× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়নের জট পাকানো হয়েছে : অধ্যাপক শামসুল হক

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৪ ১৯:৪৪ পিএম

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৪ ২০:৩৬ পিএম

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক। ছবি : সংগৃহীত

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক। ছবি : সংগৃহীত

দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়নের জট পাকানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর বারিধারার এসকর্ট প্যালেস বলরুমে চায়না এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ ও নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘ইনফ্র্যাস্ট্রাকচার ফর বিল্ডিং স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. শামসুল হক বলেন, ‘অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তারপরও কেন জোট লাগাল তা নিয়ে ভাবতে হবে। আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদের পরিকল্পনা দরকার। কিন্তু দেখা যায়, ভবিষ্যতের চিন্তা না করে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ফ্লাইওভার কখনোই যানজটের সমাধান হতে পারে না। যতই ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হউক সার্ভিস রোড প্রশস্ত না হলে যানজট কমবে না। এসব প্রকল্প ভবিষ্যতে মানুষের বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। এরই মধ্যে অনেক দেশে ফ্লাইওভার ভেঙে ফেলা হয়েছে।’

শামসুল হক বলেন, ‘বর্ষাকালে অনেক ব্রিজের নিচ দিয়ে নৌকা যেতে পারে না। রেলের জন্য গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। যোগাযোগ উন্নয়নের ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। প্রকল্প নেওয়ার আগে সড়ক রেলকে বলে না, রেল বিআইডাব্লিউটিএকে বলে না। কাজ হয়ে গেলে পরে দেখে সবাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চতা কম থাকার কারণে ১৩ ব্রিজ ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে টঙ্গীতে আবার ১০ লেনের ব্রিজ ও রেলব্রিজ একই উচ্চতায় করা হচ্ছে।’

যানজট নিরসনে গণপরিবহনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, ‘ঢাকাকে স্মার্ট করতে হলে গণপরিবহনে জোর দিতে হবে। শহরের ধনী মানুষরা যখন গণপরিবহন ব্যবহার করে, তখন শহর স্মার্ট হয়। সেই বিষয় মাথায় রেখে এগোতে হবে। গণপরিবহন বাড়ানোর বিকল্প নেই।’ এক্ষেত্রে মেট্রোরেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাসিনা বারি এমপি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, চায়না এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মি কি চ্যাংলিয়ান, সহসভাপতি মি ঝাং সিয়ালং, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান, বাংলাদেশ স্থপতি ইন্সটিটিউটের নগরায়ন ও পরিবেশ সম্পাদক স্থপতি সুজাউল ইসলাম খান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মাহবুব আলম, চায়না মিডিয়া গ্রুপ ঢাকার ব্যুরো চিফ মি ওয়াং জিয়ানবিং, নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মতিন আব্দুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল মামুন প্রমুখ।

পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মাহমুদ খান বলেন, ‘আমাদের সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রেই তা হয় না। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ দিয়ে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এতে প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যায় না। আবার দেখা যায় আয়ের থেকে প্রকল্প বেশি।’ উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘একটি প্রজেক্ট নেওয়ার আগে বলা হয় ৩০০ কোটি দেওয়া লাগবে। কিন্তু পরে বলা হয় ৫০০ কোটি টাকা লাগবে। শেষে সেটির ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৮০০ কোটি টাকা।’

অনেক ক্ষেত্রে প্রকল্পের আগে অযথা অপচয় করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বুলেট ট্রেনের জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হয় অনেক টাকা খরচ করে। পরে সেটি আর হলো না। কারণ এটি বাংলাদেশের জন্য এখন উপযোগী নয়। কিন্তু এর মধ্যেই অনেক টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। এগুলো বিবেচনায় নিতে হবে।’

ড. আদিল বলেন, ‘আমরা হাজারিবাগ থেকে ট্যানারি সরিয়ে ফেললাম। এখানে এখন সিডিপি হতে পারত। অথবা পরিকল্পিতভাবে অন্য কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা যেত। কিন্তু সেটি হচ্ছে না।’

স্থপতি সুজাউল ইসলাম খান বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের কাছে সব বিল্ডিংয়ের ফায়ার সেফটি প্ল্যান থাকার কথা। যাতে করে দুর্ঘটনার পর দ্রুত প্ল্যান অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু তা হয় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘অগ্নিনিরোধে ফায়ার সার্ভিস ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কমিউনিটির সমন্বয় ঘটাতে হবে। এ ছাড়া অগ্নিনিরোধের বিষয় মাধ্যমিক পাঠ্যক্রমে রাখা দরকার।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা