প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৩৪ পিএম
জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘নির্বাচনী ইশতেহার ও নারী অধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সংগঠনটির সদস্যরা। প্রবা ফটো
রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীদের অধিকারের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। আর এখানেই রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে নারী অধিকারের বিষয়গুলো উল্লেখ করা জরুরি বলে মনে করেছে নারী অধিকার ফোরাম বাংলাদেশ। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘নির্বাচনী ইশতেহার ও নারী অধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদা খানম মিলি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সামাজিক ও নারী অধিকার কর্মী খুশি কবীর, সাবেক সংসদ সদস্য ও খালেদ মোশাররফ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মাহজাবিন খালেদ, আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাসিমা খান মন্টি, নারী নেত্রী মমতাজ লতিফ, নারী অধিকার ফোরাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহ সভাপতি রোকসানা বিলকিস, সহ সভাপতি সাবিহা সুলতানা লাবনী, সাধারণ সম্পাদক কোহিনূর আজাদ মলি, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূরজাহান শামস প্রমুখ।
খুশি কবীর বলেন, প্রত্যেকটা দল যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে, তাদের বলব নারী অধিকারের বিষয়টা যেন তারা নির্বাচনী ইশতেহারে সামনে নিয়ে আসেন। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় নারীর উন্নয়নে বেশ নাম করেছে, এটা অস্বীকারের কোনো উপায় নেই। কিন্তু তারপরও আমরা সন্তুষ্ট নই।
তিনি বলেন, নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই আসনগুলোর মধ্যে নারী প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র ৮ শতাংশ। এটা আমাদের আরও বাড়াতে হবে। আরেকটি বিষয় হলো, যারা ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে আসেন তারা সংরক্ষিত আসনের সদস্যদে সমান দৃষ্টিতে দেখেন না। এখানে যেন কোনো ব্যবধান না থাকে, এটা নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় মাহমুদা খানম মিলি লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ১০, ১৯, ২৭, ২৮ ও ২৯ নম্বর ধারাগুলোতে জীবনের সবক্ষেত্রে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। প্রশ্ন আসে, পরিবার থেকে প্রতিষ্ঠান, সমাজ থেকে রাষ্ট্রে আদৌ কি নারী অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে? রাষ্ট্রের সর্বস্তরে সমঅধিকার নিশ্চিত করতে নারীকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে?
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী দেশে নিবন্ধন করা রাজনৈতিক দল রয়েছে ৪৪টি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ৩০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। নারীর অধিকার, নারীর শিক্ষা, চিকিৎসা, সুরক্ষাসহ সমঅধিকারের বিষয়গুলো রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুতিবন্ধভাবে লিপিবদ্ধ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মোট ভোটারের অর্ধেক নারীদের সামনে তুলে ধরা প্রয়োজন। তাহলে নারী তার অধিকারের ব্যাপারে শুধু সচেতনই হবে না, ভোট প্রদানেও তার কাঙ্ক্ষিত প্রতীক নির্বাচন করতে সক্ষম হবে।