সমাবেশে বক্তারা
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৫০ পিএম
আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৪ পিএম
ঢাকার শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে আদিবাসী নেতারা চার দফা দাবি তুলে ধরেন। প্রবা ফটো
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন, পাহাড় থেকে অস্থায়ী সেনা ছাউনি প্রত্যাহার, জনসংহতি সমিতির কর্মী-সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের বিরুদ্ধে করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ নারী ও শিশুদের প্রতি সকল প্রকার সহিংসতার বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে ঢাকার শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, আদিবাসী যুব ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে চার দফা দাবি তুলে ধরেন তারা।
সমাবেশে বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অলিক মৃর সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন আদিবাসী যুব ফোরামের সভাপতি আন্তনী রেমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিপন ত্রিপুরা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি চন্দ্রিকা চাকমা, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি দীপক শীল, ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি অতুলন দাশ আলো, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের ঢাকা শাখার সভাপতি জন জেত্রা, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল ঢাকা মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ক্যংজ মারমা প্রমুখ।
নিপন ত্রিপুরা বলেন, ’পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান রাজনৈতিক সমস্যাসহ সকল সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ শান্তিচুক্তির যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন। এই ২৬ বছরে চুক্তির ২৫টি ধারা পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হলেও ১৮টি ধারা আংশিকভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে এবং ১৯টি ধারা বাস্তবায়ন হয়নি। চুক্তি নিয়ে সরকারের এ ধরনের টালবাহানা, অপপ্রচার কখনও সফলতা বয়ে আনবে না।’
আন্তনী রেমা বলেন, ’আদিবাসীদের সংকট দিন দিন বাড়ছে। নিরাপত্তার অজুহাতে পাহাড়ের জনজীবন কঠিন থেকে কঠিন করছে বর্তমান সরকার। পাহাড়ের পাশাপাশি সমতলের আদিবাসীদেরও অনেক আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা পূরণ করা হয়নি। মধুপুরে ইকোপার্ক করার সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজেই গিয়ে সমতলের আদিবাসীদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তা হয়নি। সমতলে চা-শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি পায় না। আর কত প্রজন্ম পার হয়ে গেলে আদিবাসীরা তাদের ন্যায্য অধিকার পাবে? আর কত বছর পার হলে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন হবে?’
সভাপতি অলিক মৃ বলেন, ’আমরা কত দিন শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে কিংবা রাজু ভাস্কর্যের সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করব? আমাদের প্রতিবাদ সরকার শুনেও না শোনার ভান করে থাকে। ১৯৯৭ সালে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও তা যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করছে না সরকার। সরকার চুক্তিতে নামমাত্র স্বাক্ষর করেছে। সরকার জেএসসের নেতাদের বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাদের ঘরছাড়া করে রেখেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক পরিষদ গঠন করলেও তাকে অথর্ব করে রাখা হয়েছে।’