প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:১৩ পিএম
রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন বাংলাদেশের জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকসান্দ।
রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন বাংলাদেশের জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকসান্দ। শনিবার (১১ নভেম্বর) ফিলিপাইনের ম্যানিলায় মেট্রোপলিটন থিয়েটারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তার হাতে পুরস্কারটি তুলে দেওয়া হয়।
ইমার্জেন্ট লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে রাকসান্দ এই পুরস্কার পেয়েছেন। এ বছর বিভিন্ন বিভাগে মোট চারজনকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। যার মধ্যে বাংলাদেশের করভি রাকসান্দসহ আরও রয়েছেন ভারতের রবি কান্নান আর, ফিলিপাইনের মিরিয়াম করোনেল-ফেরার ও পূর্ব তিমুরের ইগুয়েনিও লেমোস।
করভি রাকসান্দের হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন তৃতীয় অরেলিও আর. মন্টিনোলা ও সিনেটর রামোন বি. ম্যাগসেসের চেয়ারম্যান জুনিয়র। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ২০০২ সালের রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কারপ্রাপ্ত দক্ষিণ কোরিয়ার দ্য ভেনারেবল পমনিয়ান সুনিম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফিলিপাইনের ফার্স্ট লেডি খ্যাত লিজা অ্যারানেতা-মার্কোস।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। এই সারিতে রাকসান্দ স্থান করে নেন সামাজিক ও স্থিথিশীল উন্নয়নে তার অবদানের জন্য।
রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কারকে এশিয়ার নোবেল পুরস্কার বলা হয়। এ পুরস্কারটি সারা এশিয়া মহাদেশে সমাজের জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হয়। এই পর্যন্ত মোট ৩৪৪ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এই কাতারে এবার যোগ দিলেন বাংলাদেশ থেকে রাকসান্দ।
ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রামোন ম্যাগসেসের স্মরণে ১৯৫৭ সালে রকেফেলার ব্রাদার্স ফান্ড প্রবর্তন করে রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার। নিষ্ঠা, সাহস ও আত্মত্যাগের সাথে কাজ করার মধ্য দিয়ে যারা এশিয়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই পুরস্কারের আয়োজন।
জাগো ফাউন্ডেশনের দূরদর্শী নেতৃত্বে সামাজিক পরিবর্তনে উদ্যোগী ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার পেলেন করভি রাকসান্দ। জাগো ফাউন্ডেশন স্কুল এবং ভলেন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) প্রোগ্রামটি তারই অধীনে পরিচালিত হয়। ভলেন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) সংগঠনে বর্তমানে ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচির জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
অন্যদিকে জাগো ফাউন্ডেশন স্কুল শিক্ষার মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং সুবিধাবঞ্চিতদের সাহায্য প্রদানের লক্ষ্যে সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।