প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:২৩ পিএম
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৩২ পিএম
সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতির প্রতিবাদে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ইআরডিএফবি।
হরতাল-অবরোধে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষ হত্যা করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধাপরাধের চেয়ে জঘন্য অপরাধ করছে জানিয়ে তাদের শাস্তির দাবি তুলেছে এডুকেশেন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলমেন্ট ফোরাম বাংলাদশে (ইআরডিএফবি)। একইসঙ্গে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতি রুখে দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে সংগঠনটি।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউিটে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব দাবি জানান সংগঠনের নেতারা। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতির প্রতিবাদে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ইআরডিএফবি।
সভায় জানানো হয়, শিক্ষার্থীরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েও হরতাল-অবরোধের কারণে ক্লাস-পরীক্ষা ঠিক সময়ে হবে কি না এ নিয়ে সংশয়ে রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ বাড়ছে এবং প্রত্যাশিত ফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যাতে নির্ভয়ে শ্রেণিকক্ষে ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে সেজন্য সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান দেশের বিশিষ্ট শিক্ষকরা। একইসঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সারা দেশে সন্ত্রাস ও অপরাজনীতি রুখে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়া সমাবেশে বিএনপি-জামায়াতের চলমান নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও অপরাজনীতির মদদ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র বলে অভিযোগ করেন ইআরডিএফবির নেতারা।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদশে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ও ইআরডিএফবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপাক ড. মশিউর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপাক ড. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপাক ড. এমদাদুল হক, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপাক ড. হাবিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপাক ড. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্ত করছে। তাদের অপরাজনীতি ও বিদেশিদের প্রতি নির্ভরতা দেশের মানুষের প্রতি আস্থাহীনতার বহিঃপ্রকাশ। দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব শিক্ষার্থীর নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এসব শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবকদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে তরুণ সমাজ গণতান্ত্রের বিজয় উৎসব উদযাপন করবে।’