হারানো যৌবন ফিরছে করতোয়া নদীর

করতোয়া নদীকে দখলমুক্ত ও বগুড়াকে সিটি কর্পোরেশন করার জন্য জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বগুড়াবাসী এক ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজন করে।  গত ৩ মে (শনিবার) মে জ্যাকসন হাইটসের এক রেস্টুরেন্টে ভার্চুয়াল এই  বৈঠক অনুষ্টিত হয়।

ভার্চুয়াল বৈঠকে বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা বলেন, কিছু দিন আগে ঢাকায় ডিসি সম্মেলন হয়েছে। সেখানে বগুড়া পৌরসভাকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা ও বিমানবন্দর নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা হয়। সেই আলোকে বগুড়া পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশন করতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বগুড়ায় বাণিজ্যিক বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রানওয়ে নির্মাণের কাজ শেষ হলে আশা করি বগুড়ায় বিমান বন্দর চালু হবে। এছাড়া করতোয়া নদীর ১৭ কিলোমিটার পুনঃখনন কাজ শুরু করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, আশা করি খনন ও সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রমের ফলে হারানো যৌবন ফিরছে করতোয়া নদীর। এসময় প্রবাসে সবচেয়ে পুরনো সংগঠন “বগুড়া সমিতি অফ নর্থ আমেরিকা ইনক্” এর সভাপতি মাসুদুল হক রুবেল বলেন, গত কয়েক বছরে নদীর চারদিকে দখল করতে করতে নদী প্রায় মৃত হয়ে গেছে। 

তিনি জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, এই নদীকে জীবিত করার জন্য আপনি এগিয়ে যান। আমরা প্রয়োজনে আপনাকে সাহায্য করবো। জেলা প্রশাসকের সাথে খুব অল্প সময়ে এই ভার্চুয়াল বৈঠকের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান লালু ধন্যবাদ জানান।

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বগুড়াবাসীর নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বিগত কয়েক বছরে বগুড়াকে সবদিক থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বগুড়াবাসী অবকাঠামোগত উন্নয়নেও চরম বৈষম্যের শিকার হয়। তেমনি বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী করোতোকে অবৈধভাবে দখল করেছে নিজ এলাকার ক্ষমতাধররা। বগুড়ায় একটি বিমান বন্দর থাকলেও সেটিকে কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছিল। জনগণের জন্য সেটি উন্মুক্ত করা হয়নি। একটি আধুনিক মানের হাসপাতাল থাকলেও সেটিকে চতুর্থ শ্রেনির হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম থাকার পরেও এখানে কোন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করা হয় নাই। অবহেলিত এই বগুড়াবাসীর পাশে এবার শক্তভাবে দাড়িছে বর্তমানের জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা। আমরা ঢাকা থেকে বগুড়ার সাথে সরাসরি রেললাইন চালুরও দাবী জানাই। 

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন শাহ আফজাল, মোহাম্মাদ মান্নান, ফারহানা চৌধুরী, এমডি জামান, ইয়াসমিন শিল্পী, মনিরা হক, মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর ইসলাম, শিল্পী ইসলাম, ওমর চৌধুরী, মোহাম্মাদ আব্দুল মান্নান, হুমায়ন সরকার, এমডি মমিনুল ইসলাম, মোহাম্মাদ ওয়ালি উল্লাহ, মোহাম্মাদ জাহিদুল ইলাম, আরিয়ান আবেদিন, রিপন । সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক  ইউসুফ আলী সবাইকে ধন্যাবাদ দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।