বাদাবনের আলোচনা সভা
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৩৩ পিএম
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৩৪ পিএম
ভূমিতে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠাই বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। ভূমিতে নারীর অধিকার ধর্মীয় আইন দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে, ফলে দেখা যায় নারী ও সংখ্যালঘু মানুষেরা বৈষ্যম্যের শিকার হয়। এক্ষেত্রে অভিন্ন পারিবারিক আইন করে সেখানে সকল মানুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ‘নিজেরা করি’র সমন্বয়ক ও মানবাধিকার কর্মী খুশি কবীর।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে ওয়াইডব্লিউসিএর কনফারেন্স হল রুমে বাদাবন সংঘ আয়োজিত ‘নারীর ভূমি মালিকানা স্বত্ব প্রাপ্তিতে সীমাবদ্ধতা ও করণীয়’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সরকার বৈষম্যবিরোধী রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য বিভিন্ন কমিশন গঠন করেছে। তাদের সাথে একত্রিত হয়ে সংবিধানে মানবাধিকার বিষয়টিকে নিয়ে কাজ করে, যেন পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, নারী, বিভিন্ন বৈচিত্র্যের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংগঠনই শক্তি, সংগঠনই মুক্তি। তাই তৃণমূল থেকে সকল পর্যায়ের নারীদের সংঘটিত করে ভূমিতে নারীর সম অধিকার আদায়ের দাবি তুলতে হবে এবং সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একদিন বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে।’ তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ রাখেন তা হলো- ভূমিতে নারীর অধিকারের দাবি লিখিত আকারে প্রেস-কনফারেন্স এর মাধ্যমে সরকারি কমিশনে অবগত করা।
সভায় আরও বক্তব্য দেন- এ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এর নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. ঈশানী চক্রবর্তী, এ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এর উপ নির্বাহী পরিচালক রওশন জাহান মনি প্রমুখ। নীতি গবেষণাটি উপস্থাপন করেন ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক মুমিতা তানযীলা।
প্রান্তিক নারীদের নেত্রী পারভীন হালিম বলেন, ‘জমির দলিল সহজবোধ্য নয়, ফলে নারীরা অধিকার প্রাপ্তির লড়াই বেশিদূর এগোয় না।’
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে নারীর ভূমিতে মালিকানা অনেকটাই পিছিয়ে আছে, ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে উত্তরাধিকার আইন থাকলেও তার বাস্তবায়ন নেই। এছাড়া আইনগুলো বৈষম্যমূলক, যা জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সমান নয়, ধর্মীয় প্রথা অনুযায়ী ভিন্নতা রয়েছে।