প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৩২ পিএম
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৩৪ পিএম
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা। প্রবা ফটো
টেকসই ও ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরের লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে দেশের জ্বালানি বিষয়ক সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক ‘জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশন নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (জেটনেট-বিডি)’। ৭৫টি নাগরিক সংগঠন (সিএসও), জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, স্থানীয় সংগঠন, জ্বালানিখাত বিশেষজ্ঞ এবং পরিবেশবিদদের অংশগ্রহণে নেটওয়ার্কটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই নেটওয়ার্কের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল অ্যান্ড ম্যাটেরিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও পেট্রোলিয়াম প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তামিম, রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিক্স অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের প্রধান বিশ্লেষক (জ্বালানি) শফিকুল আলম, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও চেইঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এম জাকির হোসেন খানসহ দেশের বিশিষ্ট ২৩ জনের একটি উপদেষ্টামণ্ডলী প্যানেল এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
দেশে জ্বালানি সুশাসন, সাশ্রয়ী জ্বালানি, সবুজ কর্মসংস্থান, ন্যায্য ও সবুজ জ্বালানি রূপান্তরে নারীদের অংশগ্রহণ, জ্বালানি দক্ষতা, জ্বালানি সংরক্ষণ, পরিবেশ ও জনপদের সুরক্ষা, ক্যাম্পেইনসহ আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে জেটনেট-বিডি।
নেটওয়ার্কের লক্ষ্য,
উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে একশনএইড বাংলাদেশের জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশন (জেট) টিমের
ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেটনেট-বিডির কার্যকরী লক্ষ্য হলো সুশীল সমাজের জোরালো
কণ্ঠস্বর তুলে ধরা এবং একটি সবুজ ও টেকসই জ্বালানি নির্ভর ভবিষ্যতের জন্য সকলকে সংগঠিত
করা।
এ সময় ন্যায্য
জ্বালানি রূপান্তরের জন্য ১৪ দফা নাগরিক দাবি ঘোষণা করা হয়। পরে একশনএইড বাংলাদেশ’এর
কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবিরের সঞ্চালনায় ‘চাওয়া থেকে বাস্তবতা: বাংলাদেশের জ্বালানির
ভবিষ্যত গঠন’ বিষয়ক সংলাপ ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। পরিবেশ ও জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞরা
এই আলোচনায় অংশ নেন।
ফারাহ্ কবির বলেন,
জেটনেট-বিডি’র এ যাত্রায় সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ১০০ ভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি রূপান্তরের
পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।
অনুষ্ঠানে পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক বি. ডি. রহমতউল্লাহ, বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র এনার্জি স্পেশালিস্ট এমবুসো গওফিলা, জিআইজেড বাংলাদেশের ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর স্টোয়াঙ্কা স্টিচ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের এনভায়েরেনমেন্ট অ্যান্ড এনার্জির প্রোগ্রাম ম্যানেজার তানজিনা দিলশাদ, এশিয়ার ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিনিধি মাশিউর রাহমান, জেটনেট-বিডি নেটওয়ার্কের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য সানজিদা সুলতানাসহ এক শতাধিক নাগরিক সংগঠন (সিএসও), জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা, স্থানীয় সংগঠনের পরিবেশ ও জ্বালানিখাতের বিশেষজ্ঞ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।