প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০০:০৬ এএম
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৫২ এএম
যৌনকর্মীদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি : সংগৃহীত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নারী যৌনকর্মীদের ওপর নির্যাতন বন্ধে ১০ দফা দাবি জানিয়েছে যৌনকর্মীদের অধিকার আদায়ের সংগঠন ‘সেক্সওয়ার্কার্স নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশ’।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হল মিলনায়তনে ‘যৌনকর্মীদের ওপর নির্যাতন বন্ধে চাই সরকারি হস্তক্ষেপ’ ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সেক্সওয়ার্কার্স নেটওয়ার্কের সভাপতি আলেয়া আক্তার লিলি।
এ সময় যৌনকর্মীদের ওপর নির্যাতনের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেককে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার করা এবং যৌনকর্মীদের নির্বিঘ্ন জীবনযাপন ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উপদেষ্টাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ঢাকার যাত্রাবাড়ী, শ্যামলী, শহীদ মিনার, মিরপুর মাজার রোড, ফার্মগেট, আসাদগেট, উত্তরা, কুড়িল, বাড্ডাসহ বিভিন্ন জায়গায় যৌনকর্মীদের নির্যাতন করা হচ্ছে। প্রকাশ্যে কোনো নারীকে নির্যাতনসহ সহিংস আচরণ এবং তার ভিডিওচিত্র ধারণ ও প্রকাশ করা শুধু অপরাধই নয়, বরং তা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
আলেয়া লিলি বলেন, এসব ঘটনায় এক যৌনকর্মীর সন্তান ট্রমাটাইজড হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এতে সন্তান ও মায়ের সম্পর্কের মাঝে তিক্ততা, টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক যৌনকর্মী শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
যৌনকর্মীদের সুরক্ষাসহ যৌনপল্লীগুলোর নিরাপত্তা চেয়ে লিলি বলেন, যৌনপল্লী যেগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে তারা তো আর দেশের বাইরে চলে যাননি। তারা কোথায় যাবেন? যদি তারা যৌনপল্লীতে থাকতেন তাহলে কি কোনো অসুবিধা ছিল? কেন তাদের সেখান থেকে উচ্ছেদ করা হলো? দেশে ১১টি যৌনপল্লী আছে। সেগুলো এখনও উচ্ছেদের আতঙ্কে রয়েছে।
তাদের দেওয়া ১০ দফা দাবি হলোÑযৌনকর্মীদের ওপর নির্যাতনকারীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া, যৌনপল্লী উচ্ছেদ বন্ধ করা, পুলিশ দ্বারা যৌনকর্মীদের ওপর আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ করা, মৃত যৌনকর্মীদের সামাজিক ব্যবস্থায় কবরের ব্যবস্থা করা, মানুষ হিসেবে তাদের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষায় নিপীড়ন এবং শোষণ বন্ধের ব্যবস্থা করা।
সংবাদ সম্মেলনে সেক্সওয়ার্কার্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক নিলুফা, সাবেক সভাপতি শাহনাজ, সদস্য শ্রাবন্তী, ট্রান্সজেন্ডার প্রতিনিধি ইভানা কথা, বঞ্চিত নারী সংগঠন নেত্রী রানুসহ দেশের বিভিন্ন জেলার যৌনকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।