× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

প্রেক্ষাপট

এভিয়েশনের অগ্রগতি

মো. কামরুল ইসলাম

প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৪ ০৯:৪৪ এএম

এভিয়েশনের অগ্রগতি

বাংলাদেশ এভিয়েশনের জন্য বিগত ১০ বছরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা মাইলফলক বললে অত্যুক্তি হবে না। বাংলাদেশ এভিয়েশনের উত্থানপতনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে উন্নয়নের গল্পই উঠে আসবে। এক ঘণ্টার আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে চেপে ২-৩ ঘণ্টা লাগেজের জন্য অপেক্ষা, নির্দিষ্ট সময়ের প্লেন কখন যাবে এ নিয়ে শঙ্কা এখনও নিত্যনৈমিত্তিক। যাত্রীরা এখনও ভাবেন এয়ারক্রাফট এসি নাকি নন-এসি। ফ্লাইট আদৌ যাবে তো? তবে এখন আর তা দেখা যায় না। বাংলাদেশ এভিয়েশন প্রতিষ্ঠার প্রায় ৫২ বছর অতিক্রান্তে সুখকর গল্পের স্থান সামান্যই। প্রাইভেট এয়ারলাইনসের অবস্থা আরও নাজুক। জিএমজি, ইউনাইটেড, রিজেন্ট, বেস্ট এয়ারের মতো খ্যাতনামা আট-নয়টি এয়ারলাইনস তাদের সেবা কার্যক্রম গুটিয়ে ফেলেছে। বর্তমানে তিনটি বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস, নভোএয়ার ও এয়ারঅ্যাস্ট্রা জাতীয় বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সঙ্গে দেশে আকাশ পরিবহন ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এজন্যই বিগত ১০ বছর দেশের বেসরকারি বিমান সংস্থার জন্য নানা ঘাত-অভিঘাতে জর্জরিত। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজ এরই মধ্যে সেবা কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। জিএমজি এয়ারলাইনস তো ১৪ বছর পর ব্যবসায়িক মন্দার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে শুধু নভোএয়ার ১১ বছরের অধিককাল অতিক্রম করছে। পরিকল্পনা আর বাস্তবায়নকে সঙ্গী করে এগিয়ে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরুর পর ব্যবসা নয়, বরং সেবাকেই প্রাধান্য দিয়ে এগোনোর চেষ্টা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যে যাত্রীদের আস্থাও অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস ১৭ জুলাই, ২০১৪-এ যাত্রা করে ১০ বছর অতিক্রান্ত করেছে। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য একটাইÑসেবার মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিক যারা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছেন, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছেন অর্থাৎ রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের মানসম্পন্ন যাত্রীসেবা প্রদান করা।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস প্রতি মুহূর্তে বিমানবহরে নতুন নতুন উড়োজাহাজ যোগ করছে, যোগ করছে দেশের নাগরিকের কাছে আকর্ষণীয় সব গন্তব্য। বেশ কিছু রুট পরিচালনার জন্য ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসকে বাংলাদেশ এভিয়েশন সব সময়ই মনে রাখবে। বিশেষ করে ভারতের চেন্নাই, চীনের গুয়াংজু, মালদ্বীপের মালে রুটগুলো অন্যতম, যেখানে জাতীয় বিমান সংস্থাও পরিকল্পনা সাজাতে পারেনি, সেখানে ইউএস-বাংলা এ রুটে যাত্রীসেবা বাস্তব রূপ দিতে পেরেছে। ইউএস-বাংলাকে অনুসরণ করে অন্য এয়ারলাইনসগুলো সেসব রুটে ফ্লাইট শুরু করেছে। কিন্তু মালেতে দেশি একমাত্র ইউএস-বাংলাই ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এ ছাড়া কলকাতা, দুবাই, শারজাহ, আবুধাবি, মাস্কাট, দোহা, সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ১৫ মিলিয়ন প্রবাসী বাংলাদেশি অবস্থান করছে, যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ তথা রেমিট্যান্স যোদ্ধা বাস করছে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, ওমান, কাতার, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালদ্বীপ। উল্লিখিত প্রতিটি দেশেই ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা। সম্প্রতি সৌদি আরবের জেদ্দায় ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে। দুটি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ নিয়ে যাত্রা করা ইউএস-বাংলার বহরে বর্তমানে রয়েছে ৪৩৬ আসন বিশিষ্ট দুটি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০, নয়টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ১০টি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০ ও তিনটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট। উল্লেখ্য, সংখ্যার বিচারে দেশের সরববৃহৎ এয়ারলাইনস ইউএস-বাংলা। বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ রুটে সর্বপ্রথম ব্র্যান্ডনিউ এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে ইউএস-বাংলা। দেশের এভিয়েশনের অগ্রযাত্রায়, বেকার সমস্যা দূরীকরণে, অর্থনীতির চালিকাশক্তিতে ইউএস-বাংলা প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখছে। প্রতিষ্ঠার এক দশক যেন বাংলাদেশ এভিয়েশনে বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলোর শুভসংকেতরূপে স্থায়ী হয়, তা-ই সবার কাম্য।

  • মহাব্যবস্থাপক, জনসংযোগ, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা