× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বই আলোচনা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের শিকড়সন্ধানী দলিল

সালাম আজাদ

প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪ ০৯:৩৬ এএম

সালাম আজাদ

সালাম আজাদ

বাংলাদেশে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী অবসর গ্রহণের পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বিষয়ক যে বইটি লিখেছেন তার শিরোনাম ‘ট্রান্সফরম্যাশন এমার্জ্যান্স অব বাংলাদেশ অ্যান্ড এভালিউশন অব ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ টাইজ’। বাংলাটা এ রকম হতে পারে : ‘রূপান্তর : বাংলাদেশের উত্থান ও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিবর্তন’। প্রকাশক : কে.ডব্লিউ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, দরিয়াগঞ্জ, নিউ দিল্লি। বইটি প্রকাশিত হয়েছে গেল মার্চে। এক বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে গেছে। জি-২০ তার মধ্যে অন্যতম। পরবর্তী সংস্করণে লেখক সেসব বিষয় তুলে আনবেন, তা প্রত্যাশা করা যেতেই পারে। বইটির আরও একটি বিষয় সূচনাতেই পাঠকের চোখ আটকে যাবে। ২৩৪ পৃষ্ঠার বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ১,৮৮০ রুপি। এত উচ্চমূল্যের কারণে ভারতের প্রতিবেশী দেশসমূহের অসাধু পুস্তক ব্যবসায়ীদের অনায়াসে বইটি পাইরেসি করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

লেখক বইটি উৎসর্গ করেছেন নিজের বাবা-মা, স্ত্রী, পুত্র ও পুত্রবধূকে। তাদের কারও নামই তিনি উল্লেখ করেননি। বইটিতে রয়েছে মোট ১২টি অধ্যায়। এর বাইরে রয়েছে প্রিফেস ও ইন্ট্রোডাকশন শিরোনামে দুটি মূল্যবান অধ্যায়। বইয়ের ১২টি অধ্যায়ের শিরোনাম হচ্ছেÑপার্টিশন : ফার্স্ট স্টেপ টোয়ার্ডস বাংলাদেশ, ইস্ট পাকিস্তান: রাইজ অব বেঙ্গালি ন্যাশনালিজম, এমার্জেন্স অব বাংলাদেশ, আর্লি ইয়ার্স: ডমেস্টিক পলিটিক্স অ্যান্ড বাইলেটারাল টাইজ, দ্য চাকমা রেবেলিয়ন: বাংলাদেশজ লিঙ্গারিং ইনসারজেন্সি, রেলিজিওন অ্যান্ড পলিটিক্স, পোস্ট-মুজিব বাইল্যাটারাল টাইজ: ১৯৭৫-২০০৬, বাইলেটারাল টাইজ: ট্রান্সফরমেশন ১.০, ট্রান্সফরমেশন ২.০, ট্রেন্ড অ্যান্ড ইকোনমিক টাইজ, ভেক্সড ইস্যুজ: বাইল্যাটারাল চ্যালেঞ্জেস এবং কনক্লুশন। তা ছাড়া লেখক সিলেক্টেড বিব্লিওগ্রাফি-তে বাংলাদেশ ও ভারতের বেশ কিছু মূল্যবান রিপোর্ট ও গ্রন্থের তালিকা দিয়েছেন। বাংলাদেশের সৈয়দ বদরুল আহসান, সালাম আজাদ, মহিউদ্দিন আহমেদ, তৌফিক-ই- ইলাহী চৌধুরী, হারুন হাবিব, রেহমান সোবহান প্রমুখ। ভারতের জে এন দীক্ষিত, লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াইএন বাম্মি, শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, আভতার সিংহ ভাসিন, জয়া চ্যাটার্জি, দীপাঞ্জন রায়চৌধুরী, মুচকুন্দ দুবে, দেব মুখার্জি, সুরঞ্জন দাস প্রমুখের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এর বাইরেও ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত কিছু বই ও রিপোর্টের নাম রেফারেন্স হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন।

বইটির প্রতিটি অধ্যায়ই আগ্রহী পাঠকদের জন্য মূল্যবান। বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ওয়ান ইলেভন। তখন পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী ভারতের হাইকমিশনার হিসেবে বাংলাদেশের এ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিবিড়ভাবে প্রত্যক্ষ করেছেন। শুধু তাই নয়, ওয়ান ইলেভেনের ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মইনের দিল্লি সফর, সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকারে ক্ষমতা হস্তান্তরÑভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে এসব ক্রিটিক্যাল ঘটনার তিনি ছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী ও সাক্ষী। বাংলাদেশকে তিনি যত ভালোভাবে জানেন এবং বোঝেন অনেক ভারতীয় কূটনীতিকের পক্ষেই ততটা জানা ও বোঝা সম্ভব নয়। তিনি শুধু ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার হিসেবেই নন, তার আগে ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবেও ঢাকায় পোস্টেড ছিলেন। তার এ অভিজ্ঞতার আলোকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী চীন নামক দেশটি ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবেশ করে কীভাবে একটি মহিরুহে পরিণত হয়েছে সে প্রসঙ্গে তিনি ভূমিকায় লিখেছেন, দ্য গ্রোয়িং ফুটপ্রিন্ট অব চায়না ইন ইন্ডিয়াজ নেইবারহুড, পার্টিকুলারলি ইন বাংলাদেশ হ্যাজ বিন এক্সামিনড ইন দ্য কনটেক্সট অব বাইল্যাটারাল টাইজ লেভারেজিং অব দ্য চায়না কার্ড বাই বাংলাদেশ দ্যাট হাইলাইটস দ্য ফ্যাক্ট হিস্টোরিক্যাল মেমোরিজ টেন্ড টু হ্যাভ এন এক্সপাইরি ডেট ইন দ্য কনটেক্সট অব রেলেশন্স এমং নেশন্স। চায়না হ্যাড নট ফুলি ব্যাকড পাকিস্তান ডুরিং দ্য ১৯৭১ ওয়ার

গ্রন্থের ষষ্ঠ অধ্যায়টির শিরোনাম রেলিজিওন অ্যান্ড পলিটক্স। এ অধ্যায়ে বাংলাদেশের মুসলমানদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে লেখক ওয়াশিংটনভিত্তিক সিএসআইএস-এর জার্নালে প্রকাশিত অনুপম রয় থেকে কোট করেছেন, ইট ইজ এলিজেড দ্যাট নট ওয়ান ইন টেন বেঙ্গালি মুসলিমস কুড রিপোর্টেডলি রিসাইড সিম্পল কালিমাহ, অর ক্রিড, কনসিডার্ড ইনডিসপেনসেবল ফর এভরি মুসলিমবেঙ্গালি মুসলিস অয়ার দেয়ারফোর কনসিডার্ড বাই দিজ রিফর্মার্স টু বি ইগনোর‍্যান্ট অফ দ্য ট্রু ফেইথ, আইডোল্যাট্রাস অ্যান্ড ওর্স। উপমহাদেশে ইসলামের আগমন এবং পরবর্তীকালে একাধিক ধারায় মুসলমানদের বিভক্তি প্রসঙ্গে লেখক নির্ভরযোগ্য দলিলের আলোকে যে নির্মোহ বর্ণনা দিয়েছেন তা খুব কমই দেখা যায়। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেক্যুলার অবস্থানের কথা বলতে গিয়ে পিনাক রঞ্জন লিখেছেন, মুজিব হিমসেলফ ওয়াজ একিউজড অব ইন্ট্রোডিউসিং রেলিজিওন বাই এডপ্টিং খুদা হাফিজ এজ এ ফেয়ারওয়েল জেশচার, স্যাক্রিফাইসিং হিজ জয় বাংলা সুন আফটার ইনডেপেনডেন্স। একটি উদাহরণ টেনে বলেছেন, সৌদি আরবের তৎকালীন বাদশাহ ফয়সাল বাংলাদেশকে ইসলামিক রাষ্ট্র ঘোষণার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ব্ল্যাংক চেক অফার করেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তা রিজেক্ট করেন এবং বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। দুঃখের সঙ্গে পিনাক লিখেছেন, মুজিব ডিড নট লিভ লং এনাফ টু ট্রুলি ইম্লিমেন্ট হিজ ভিশন অব আ সেক্যুলার স্টেট

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি জানুয়ারি ৭, ২০০৭ যখন ঢাকায় (ভারতের হাইকমিশনার হিসেবে) আসি, তখন বাংলাদেশ অরাজকতার দ্বারপ্রান্তে ছিল।’ এ অরাজকতার ধারাবাহিকতায় মাইনাস টু ফর্মুলা নিয়ে সেনাবাহিনী সমর্থিত একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। যে অরাজকতার কথা পিনাক বলেছেন, তার সূচনা হয়েছিল আরও অনেক আগে। বাংলাদেশকে আফগানিস্তানে পরিণত করার অপচেষ্টা হচ্ছিল।

লেখক ২০০১ সালে কীভাবে একটি জাহাজ ‘এমভি মক্কা’ বাংলাদেশে এসেছিল, মার্কিন বাহিনীর বোমা হামলার পর তালেবান ও আল-কায়েদা যোদ্ধাদের আশ্রয় নেওয়ার পর কান্দাহার থেকে তালেবানদের উৎখাত করার পরপরই তার কৌতূহলী ঘটনার কথা বলেছেন। খালেদা-নিজামী জোট সরকার বাংলাদেশে ক্ষমতায় ফিরে আসার পরই এসব ঘটেছিল। এ জোট সরকারের শাসনামলেই ঘটে চট্টগ্রামে অস্ত্র উদ্ধারের চাঞ্চল্যকর ঘটনা। চট্টগ্রাম বন্দরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড এবং স্থানীয় পুলিশ একটি জেটিতে অপেক্ষমাণ ট্রাকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ বোঝাই লোকদের গ্রেপ্তার করে। জেটিটি জামায়াত নেতা ও শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিয়াজী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল। যিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বেসামরিক লোকদের হত্যা করতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহায়তা করেছিলেন। প্রায় ৫ হাজার স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, মেশিনগান, রকেট লঞ্চারসহ এ অস্ত্রের ভান্ডার ছিল ভারতে নিষিদ্ধ উলফার জন্য, যার নেতা পরেশ বড়ুয়া তখন দিবালোকে ঢাকায় ‘লুকিয়ে’ ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর সেক্যুলার বাংলাদেশ সত্যিই হাতের বাইরে চলে যায় যখন হরকাতুল-জিহাদ-আল-ইসলামী বাংলাদেশ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালায়; যা তদন্ত করার সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের দিকে আঙুল তুলেছিল। যিনি ঢাকার ‘হাওয়া ভবন’ থেকে চক্রান্তকারীদের মধ্যে সমান্তরাল সরকার পরিচালনা করে যাচ্ছিলেন। শেখ হাসিনার সমাবেশে যে গ্রেনেড হামলা হয়েছিল সেই গ্রেনেড এসেছিল পাকিস্তান থেকে। পিনাকের বর্ণনা থেকে এ রকমটিই পাওয়া যায়। বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান অরাজকতা বাংলাদেশি তো বটেই, প্রতিবেশী ভারত থেকে শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলোকে পর্যন্ত শঙ্কিত করে তুলেছিল।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমদ বিশ্বব্যাংকের প্রাক্তন অর্থনীতিবিদ এবং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বন্ধু। তা ছাড়া সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদকে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ড. মনমোহন সিং যখন তার পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে বরফ ভেঙেছিলেন এই বলে, ‘আমরা দুজনই দুর্ঘটনাক্রমে আমাদের নিজ নিজ চেয়ারে আছি।’ তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি জেনারেল মইনকে বলেছিলেন, ‘ভারত দেখতে চায় বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পথে ফিরে যাচ্ছে ও দেশটিতে সন্ত্রাসের অবসান ঘটেছে এবং উলফার মতো ভারতীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর জন্য বাংলাদেশের মাটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল নয়।’ এর পরই পরেশ বড়ুয়াকে বাংলাদেশ গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তিনি মিয়ানমার পালিয়ে যান। পিনাক লিখেছেন, ‘এটা সত্য ছিল কি না তা বিচার করা কঠিন। পরেশ বড়ুয়াকে বাংলাদেশ ছেড়ে যেতে বলা হতে পারে।’

লেখক উল্লেখ করেছেন, ভারত বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। যার সূচনাতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বহুল আলোচিত মাইনাস টু ফর্মুলা বাতিল করা। প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ দুই নেতাকে মুক্তি দেওয়া। শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা ও খালেদা জিয়াকে সৌদি আরবে না পাঠানো। অবশেষে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে আওয়ামী লীগ।

পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী ভারতের একমাত্র হাইকমিশনার যিনি স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী। এ প্রসঙ্গে আরেকজন বাঙালি হাইকমিশনারের কথা স্মরণ করি। তিনি দেব মুখার্জি, শেখ হাসিনার প্রথম ক্ষমতায় আসার পর দেব মুখার্জি হাইকমিশনার থাকাকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি হয়েছিল। পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তীর এ বইটি সার্বিকভাবে মূল্যবান দলিল। 

  • লেখক ও গবেষক। প্রেসিডেন্ট, সহেলী মির্জা ক্যান্সার ফাউন্ডেশন
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা