× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত

মধ্যপ্রাচ্য কি বিপজ্জনক অজানা যাত্রায়

মো. বায়েজিদ সরোয়ার

প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৪ ১২:০১ পিএম

আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৪ ১২:০৪ পিএম

মধ্যপ্রাচ্য কি বিপজ্জনক অজানা যাত্রায়

১৩ এপ্রিল শনিবার মধ্যরাত থেকে ইরান ৩ শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে (অপারেশন ট্রু প্রমিজ) ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রথমবারের মতো হামলা চালিয়েছে। মূলত দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার পর ইরানের পাল্টা জবাবের মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন বিপজ্জনক অধ্যায়ের শুরু হলো। এটা ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা। ইসরায়েল সরকার ও সামরিক বাহিনী জানিয়েছিল, ইরানের হামলার অবশ্যই জবাব দেবে তারা। এ নিয়ে এক সপ্তাহ ধরে জল্পনাকল্পনা চলছিল। অবশেষে ১৯ এপ্রিল (শুক্রবার) ভোরে ইরানের ইস্পাহানে ফিরতি (ড্রোন) হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েল ও ইরানের প্রতিশোধমূলক এ পাল্টাপাল্টি হামলা মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর পরিসরে সংঘাতের ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য মিত্রদেশের সরাসরি জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার বিষয়টি আন্তর্জাতিক দৃষ্টির প্রায় বাইরে চলে গেল।

বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন নগরী দামেস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমে মেজাহ এলাকায় ইরানের রাষ্ট্রদূতের বাসস্থান, দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগ ও সামরিক শাখা অবস্থিত। গাজা যুদ্ধের শুরু থেকেই ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের দ্বন্দ্ব। ইসরায়েল সরকারের দাবি ছিল ইরান হামাসকে নেপথ্য থেকে মদদ দিচ্ছে। এ অজুহাতে ১ এপ্রিল দামেস্কের এ কনস্যুলেটে ইসরায়েল বোমা হামলা চালিয়ে ইরানের সামরিক বাহিনীর সাত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ ১৩ জনকে হত্যা করে। এ ঘটনাই তেহরানের এ নজিরবহীন হামলার ট্রিগার টিপে দিয়েছিল। ইসরায়েলের ওই হামলা ছিল ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশনের কূটনৈতিক সম্পর্ক অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করে দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলা সরাসরি ইরানের সার্বভৌমত্বে আঘাত। ফলে সার্বভৌমত্ব রক্ষার অভিপ্রায় ইসরায়েলে আঘাত করতে উদ্বুদ্ধ করেছে এমনটা দারি করে ইরান। ইরান-ইসরায়েল বর্তমানে একে অন্যের প্রতি চরম বৈরী দুই দেশ। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইরান-ইসরায়েল বৈরিতা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

ইসরায়েল-ইরান এখন পরস্পরের শত্রু দেশ হলেও অতীতে কিন্তু পরিস্থিতি এমনটা ছিল না। একসময় ইরান-ইসরায়েল ছিল একে অন্যের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তুরস্কের পর ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া (১৯৫০) দ্বিতীয় মুসলিম দেশ ইরান। ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশক ছিল তাদের সম্পর্কের স্বর্ণযুগ। ইরানের শেষ বাদশাহ মোহাম্মদ রেজা শাহ পাহলভির প্রধান পরামর্শদাতা ছিলেন তেহরানে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত। এসব নিয়ে তখন তেহরানের কূটনৈতিক সার্কেলে বেশ চর্চা হতো। তবে ইরান-ইসরায়েল সম্পর্ক ভেঙে পড়ে ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর। চার দশক ধরে দুই দেশের সম্পর্ককে বলা হয় ‘চিরশত্রু’ হিসেবে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল এসএম মুজিবুর রহমান ১৯৭৮-১৯৮১ সময়ে তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসে সামরিক উপদেষ্টা বা ডিফেন্স অ্যাটাশে (ডিএ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এই সুদক্ষ কর্মকর্তা ইরানের ইতিহাসের উত্থানপতনের একজন নীরব সাক্ষী। তিনি দেখেছেন আধুনিক ও সংস্কার মনস্ক ইরানের প্রতাপশালী শাহের শানশওকতময় স্বৈরাচারী শাসনকাল, শাহের পতন ও ইসলামি বিপ্লবের প্রাথমিক দিনগুলো। কর্নেল মুজিব থেকে এ নিবন্ধকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পরম বন্ধু থেকে চরম শত্রু হওয়ার অদ্ভুত কাহিনীগুলো শুনেছেন। মূলত ইরানের বিপ্লবী সরকার প্যালেস্টাইনে ইসরায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্বই অস্বীকার করে। অন্যদিকে ইরানের প্যান ইসলামিক শক্তি হিসেবে উত্থানকে হুমকি হিসেবে বিবেচনা শুরু করে ইসরায়েল। সম্পর্ক খারাপের আরও কয়েকটি কারণ হলো ইরানের দূরপাল্লার মিসাইল তৈরির চেষ্টা ও পরমাণু প্রকল্প গ্রহণ। ইসরায়েল ইরানের সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বিশেষত পরমাণু প্রকল্প ভেস্তে দিতে শুরু করে নানা অন্তর্ঘাতমূলক পদক্ষেপে। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান তার প্রভাববলয় বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেয়। লেবাননে গড়ে ওঠে হিজবুল্লাহ। হামাস ও ইসলামি জিহাদকে সহায়তা করে ইরান। বর্তমানে ইরানের নেটওয়ার্ক লেবানন, সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেন পর্যন্ত বিস্তৃত। ফলে ইরান ও ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে এক ধরনের আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে পড়ে। তারই ফল আজকের সংঘাত।

ইরান-ইসরায়েলের লড়াইকে ‘ছায়াযুদ্ধ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে; কারণ উভয় দেশই এক অন্যের ওপর আক্রমণ করেছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই কেউ তা সরকারিভাবে স্বীকার করেনি। ২০২১ সালে এ ছায়াযুদ্ধ সমুদ্রেও পৌঁছেছিল। প্যালেস্টাইন ও ইসরায়েল দেখেছেন, ভ্রমণ করেছেন এমন ব্যক্তি আমাদের দেশে বর্তমানে বিরল। প্রয়াত মেজর মোহাম্মদ আফসার উদ্দিন ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ১৯৪৩ সালে কমিশন লাভ করেন। তিনি কিছুদিন বার্মা ফ্রন্টে (আরাকান অঞ্চলে) যুদ্ধ করার পর মধ্যপ্রাচ্যে ব্রিটিশ বাহিনীতে পোস্টিংপ্রাপ্ত হন। তরুণ সেনা কর্মকর্তা আফসার উদ্দিন মিসর ও তৎকালীন প্যালেস্টাইনের (বর্তমান ইসরায়েল) হাইফা বন্দর ও রাজধানী জেরুজালেমে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৯৩ সালে সেই প্রবীণ সৈনিকের ধানমন্ডির বাসায় তার অসাধারণ অভিজ্ঞতা শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার।

১৯৪৫ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন শেষ। সে সময় বেনগুরিনের নেতৃত্বে ইহুদিরা ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলন করছিল। পৃথিবীর নানা দেশ থেকে ইহুদিরা প্যালেস্টাইনে আসছিল। ইহুদিরা আরবদের থেকে উচ্চমূল্যে জমি খরিদ করত। তরুণ লেফটেন্যান্ট আফসার এক ইহুদি বসতিতে বেড়াতে গেলে এক প্রবীণ জার্মান ভদ্রমহিলা (ইহুদি) প্যালেস্টাইনের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা তাকে বলেছিলেনÑ ‘তোমরা (ব্রিটিশ বাহিনী) চলে গেলে আরবদের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ হবে, তখন সংখ্যার প্রশ্ন আসবে না। আমাদের শিক্ষাদীক্ষা-অস্ত্রবল আরবদের চেয়ে অনেক বেশি।... আমরাই আরবদের তাড়িয়ে ভূমধ্যসাগরে ফেলে দেব।’ (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও আমার সৈনিক জীবন : মেজর মোহাম্মদ আফসার উদ্দিন)। আশ্চর্য, জার্মানি থেকে আসা সেই প্রবীণ ইহুদি মহিলার কথাই ফলে গেল! ১৯৪৮ সালে লাখ লাখ প্যালেস্টাইনিকে জন্মভূমি থেকে উচ্ছেদ করে গড়ে উঠল ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। সেই থেকে মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তির অন্যতম কারণ এ রাষ্ট্রটি।

ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের পরিণতি কী? বিবিসির নিরাপত্তা সংবাদদাতা ফ্র্যাস্ক গার্ডনারের মতে, ইরান-ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের পরিণতি কী হতে পারে তা এখন অনেকটাই নির্ভর করছে ইসরায়েল ঠিক কীভাবে ইরানি হামলার জবাব দেয় তার ওপর। ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলা তিন ধরনের হতে পারেÑসামরিক বিশেষজ্ঞদের সার্কেলে এ ধরনের আলোচনা চলছিল। প্রথমত, হতে পারে তারা ওই অঞ্চলে তাদের প্রতিবেশীদের কথায় আমল দেবে এবং একটা ‘স্ট্র্যাটেজিক পেশেন্স’ বা কৌশলগত ধৈর্য প্রদর্শনের রাস্তায় হাঁটবে। এর অর্থ হলো, সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে কোনো পাল্টা হামলা না চালিয়ে তারা ওই অঞ্চলে ইরানের যেসব ‘প্রক্সি অ্যালাইজ’ বা শরিক আছে তাদের ওপর অভিযান চালিয়ে যাবে। দ্বিতীয়ত, ইরান যে ধরনের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন দিয়ে ঠিক সে ধরনের ‘সাবধানে ও মেপে মেপে’ (কেয়ারফুলি ক্যালিব্রেটেড) হামলা চালাতে পারে; যার নির্দিষ্ট লক্ষ্য হবে ইরানের সেই মিসাইল বেসগুলো, যেখান থেকে ১৩ এপ্রিল হামলা চালানো হয়েছিল। তৃতীয় পথ হতে পারে, ইসরায়েল যুদ্ধের উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল এবং ইরান যেভাবে হামলা চালিয়েছে তার চেয়েও অনেক শক্তিশালী পাল্টা হামলা চলাল। সে ক্ষেত্রে তারা শুধু নির্দিষ্ট মিসাইল বেসগুলোই নয়, ইরানের অত্যন্ত শক্তিশালী রেভলিউশনারি গার্ডসের ঘাঁটি, প্রশিক্ষণ শিবির ও কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টারকেও আক্রমণের নিশানা করবে।

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের বিপজ্জনক বিষয় হলো, ছায়াযুদ্ধ থেকে এখন সরাসরি আক্রমণ শুরু হয়েছে। দুই দেশের বৈরী সম্পর্ক যেন দীর্ঘমেয়াদি প্রকাশ্য সংঘাতে রূপ না নিতে পারে সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কাজ করতে হবে। এখানে সৌদি আরব, কাতার, আরব আমিরাত, তুরস্কসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সিরিয়া ও ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে ইসরায়েলসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ ইরান ও সৌদি আরবের (শিয়া-সুন্নি) বিরোধ কাজে লাগিয়েছিল। পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে বলা মুশকিল। তবে পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশ ইসরায়েলকে সংযত আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে। তাতে মনে হয়, বড় কোনো যুদ্ধ বাধার আপাতত আশঙ্কা নেই। ইসরায়েল চেষ্টা করবে ইরানের বিরুদ্ধে জোট তৈরি করতে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধে জড়াতে। কৌশলে শিয়া-সুন্নি বিরোধও উস্কে দিতে পারে।

ইরাক ধ্বংসের পর মধ্যপ্রাচ্যে মাথা তুলে দাঁড়ানো ইরান ধ্বংসের নীলনকশা চলছে অন্তরালে। তবে ইসরায়েলের প্রাণভোমরা যুক্তরাষ্ট্রের সেই ক্ষমতা ও আধিপত্য অবশ্য এখন আর নেই। ইরান মোটেও একা নয়। রাশিয়া ও চীন তার পাশে দাঁড়িয়েছে। এ হামলায় আপাতত সবচেয়ে লাভবান হয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। দীর্ঘ ছয় মাস গাজায় গণহত্যা চালানোর জন্য আন্তর্জাতিক চাপ থেকে এখন তিনি প্রায় মুক্ত। গাজায় গণহত্যা বন্ধের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ বর্তমানে দৃশ্যমান নয়। গাজার পর প্যালেস্টাইনের পশ্চিম তীরে যুদ্ধ উস্কে দিচ্ছে ইসরায়েলের গণহত্যাকারী বাহিনী আইডিএফ। প্যালেস্টাইনের সঙ্গে সংহতি প্রশ্নে আরব রাষ্ট্রগুলোয় সাধারণ মানুষ ও শাসকদের ব্যাপক দূরত্ব তৈরি হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে আরবদের ক্রোধের একটা সুনামি যেন তৈরি হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের উচিত ইসরায়েলকে এখনই থামানো। না হলে মধ্যপ্রাচ্য অজানা ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ইহুদি সম্প্রদায়ের মানুষও গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। হাজার বছরের সভ্যতার দেশ ইরানও মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির জন্য কাজ করুক নির্মোহভাবে। গাজায় গণহত্যা বন্ধ হোক। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি নামুক।


  • অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল । প্রেষণে কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীতে দায়িত্বপালন করেছেন
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা