× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বিশ্বব্যাংকের মূল্যায়ন

অর্থনীতির গৌরব পুনরুদ্ধারে সংস্কারের বিকল্প নেই

আব্দুল বায়েস

প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৩৬ এএম

আব্দুল বায়েস

আব্দুল বায়েস

আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশের বড় ধরনের ঘুরে দাঁড়ানোর ঘটনা ঘটে ২০১০-এর দশকে যেমন গত শতকের নব্বইয়ের দশকের শুরুতে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিএনআই পাকিস্তানের মাথাপিছু জিএনআইয়ের ৫৫ ভাগ ছিল; অথচ ২০১০-এর দশকের শেষের দিকে পাকিস্তানের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি দাঁড়ায় বাংলাদেশের মাথাপিছু জিএনআইঅন্যদিকে নব্বইয়ের দশকের শুরুতে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিএনআই ছিল ভারতের ৮৭ শতাংশপার্থক্যটা বেড়ে ২০০০-এর দশকে দাঁড়ায় ৭৪ শতাংশ কিন্তু ২০১০-এর দশকের শেষ দিকে হ্রাস পেয়ে ৮২ শতাংশ। শুনে কি মনে হচ্ছে না এটা ‘ক্যাচিং আপ’ ইন্ডিয়া সিন্ড্রোম?

এ পর্যন্ত ভালোই চলছিল বাংলাদেশ (সো ফার সো গুড)। কিন্তু ২০২০ সালে করোনা অভিঘাতে সব হিসাবনিকাশ ওলটপালট হয়ে যায় এবং অব্যবহিত পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তপ্ত কড়াইতে ঘি ঢেলে দিলে পরিস্থিতি মানে অর্থনীতির স্বাস্থ্য দিন দিন খারাপের দিকে ধাবিত হতে থাকে। বেগবান মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভে ত্রিশঙ্কু অবস্থা, ডলারের দাম আকাশচুম্বী। সব মিলিয়ে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা। একসময় ছিল হতাশা কাটিয়ে আশার আলো; এখন আশা পেছনে ফেলে হতাশা। কিন্তু কেন?


দুই

বাংলাদেশের আর্থিক স্বাস্থ্যের, এমনকি সামাজিক বিষয়ক হালনাগাদ নিয়ে বক্তব্য দেয় বিশ্বব্যাংক। ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ বা ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন হালনাগাদ’ শিরোনামে ষাণ্মাসিক এ প্রতিবেদনটি বেশ সাড়া জাগায় নানা কারণে। প্রথমত এটা অত্যন্ত বৈজ্ঞানিক উপায়ে সংগৃহীত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে রচিত হয়; দ্বিতীয়ত, প্রতি বছর সামস্তিক অর্থনীতির চুলচেরা বিশ্লেষণ করা চাট্টিখানি কথা নয়, যা কেবল বিশ্বব্যাংকের মতো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার পক্ষেই সম্ভব এবং সবশেষে ভালোমন্দের একটা চালচিত্রের সন্ধান পাওয়া যায় এ প্রতিবেদন থেকে; যদিও আদর্শগত অবস্থানের দিক বিবেচনায় বিশ্বব্যাংক একটি পুঁজিবাদী অর্থনীতির পৃষ্ঠপোষক। এবারের হালনাগাদে উঠে এসেছে বাংলাদেশের অর্থনীতির সামনে থাকা চ্যালেঞ্জগুলো, ঝুঁকি নিয়ে সতর্কবার্তা এবং কিছু সংকট উতরানোর জন্য কিছু উপদেশ।

বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের মোটা দাগে প্রক্ষেপণ এই : ক. আরও বেশ কিছুদিন এমনকি বছর পেরিয়ে যেতে পারে, মূল্যস্ফীতির উত্তাপ থেকে মানুষের মুক্তি মিলবে না বলে মনে হয় খ. বহিঃস্থ খাতের চাপ হ্রাসের লক্ষণ নেই গ. প্রবৃদ্ধির হার নিম্নেই থাকবে ঘ. অব্যাহত মূল্যস্ফীতির ফলে ব্যক্তিভোগের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে চ. একদিকে আমদানিকৃত উপকরণ ও জ্বালানির স্বল্পতা এবং অন্যদিকে ঊর্ধ্বমুখী সুদের হার বিনিয়োগকারীর উৎসাহে পানি ঢেলে দিতে পারে ছ. আর্থিক এবং বিনিময় হার সংক্রান্ত সংস্কারে অপর্যাপ্ত অগ্রগতি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমাতে পারে এবং জ. তারল্য সংকট ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি আরও নাজুক করে তুলতে পারে।

তিন

তবে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি বেদনাদায়ক প্রক্ষেপণ হচ্ছে বর্তমান অর্থবছরসহ আগামী ধারাবাহিক তিন বছর বাংলাদেশের অর্থনীতি বাড়ার হার ৬ শতাংশের নিচে থাকবে; যা করোনা-পূর্ববর্তী দশকের (২০২০-এর আগে) গড় প্রবৃদ্ধির চেয়েও কম। আর একটু পরিষ্কার করে বললে দাঁড়ায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশিত হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশ যা দক্ষিণ এশিয়ার গড়ের চেয়ে কম। অথচ করোনা-পূর্ববর্তী দশকে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ গড় প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছিল। কেন এ হতাশাব্যঞ্জক প্রক্ষেপণ? মূলত উচ্চ মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ সংকট, আমদানি বিধিনিষেধ এবং আর্থিক খাতের নাজুকতা এ হতাশাব্যঞ্জক প্রক্ষেপণের পেছনে কাজ করেছে। অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি কমাতে না পারলে, রিজার্ভ সন্তোষজনক না হলে, আমদানি বিধিনিষেধের জন্য কাঁচামাল ও পুঁজিপণ্য আমদানি ব্যাহত না হলে এবং আর্থিক খাতের নাজুকতা কাটাতে না পারলে সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধির পথ আপাতত রুদ্ধই থাকবে বলে ব্যাংকটির দৃঢ় ধারণা। আর যদি সঠিক সময়ে সঠিক নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা যায় তখন হতাশার প্রক্ষেপণ ছাপিয়ে যেতে পারে আশার আলো। ঠিক যেমনটি ঘটেছিল স্বাধীনতা-উত্তর ৫০ বছরÑবাস্কেট কেস থেকে রোল মডেল। দুয়েকটি ঝুঁকির দিকে দৃষ্টি দিয়েছে প্রতিবেদনটি। প্রথমত, বিনিময় হারের ক্ষেত্রে প্রলম্বিত সংস্কার বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি ও আমদানি নিয়ন্ত্রণ উৎসাহিত করছে; যার ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে যাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, জিনিসপত্রের দামের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতি মূল্যস্ফীতি তুঙ্গে তুলছে এবং সবশেষে বহির্বাণিজ্য খাতে ভারসাম্যহীনতা।

চার

সব মিলিয়ে বলা চলে, আমাদের আর্থিক স্বাস্থ্য সঠিক অবস্থানে আসতে আরও সময় নেবে যেমন সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে অদূর ভবিষ্যতে খুব একটা ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছে না বিশ্বব্যাংক এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ে সংস্থাটির পর্যবেক্ষণ হলো, আগামী অর্থবছরে তা সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি হতে পারে। বিশ্বব্যাংক বলছে, এবং যে কথা স্থানীয় অর্থনীতিবিদরা বহু আগে থেকে বলে আসছেন, ‘টাকার অবমূল্যায়নের প্রভাবে মূল্যস্ফীতির চাপ অব্যাহত থাকবে। তা ছাড়া আমদানি নিয়ন্ত্রণের প্রভাবে চলতি অর্থবছরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও কমে যেতে পারে। জিডিপিতে এ বছর কৃষি ও শিল্প খাতের অবদানও কমে যেতে পারে। তবে সেবা খাত কিছুটা সম্প্রসারণ হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি স্বল্পমেয়াদে চাপে থাকবে, আর্থিক হিসাবের ঘাটতিও প্রকট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিশ্বব্যাংক সম্ভবত সান্ত্বনার সুরে বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি প্রান্তিক বেড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পরে যদিও গত অক্টোবরে এটা ৫ দশমিক ৮ হওয়ার কথা বলেছিল। তাদের মতে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি আরও বেড়ে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে। কিন্তু যথাযথ সংস্কার পদক্ষেপ না নিলে অর্থনৈতিক দুর্বলতা আরও প্রকট হতে পারে। এ ছাড়া বিনিময় হার সংস্কার না করলে রিজার্ভ ও আমদানি স্বাভাবিক হবে না

পাঁচ

বিশ্বব্যাংক মনে করছে, বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি, ব্যালান্স অব পেমেন্টের ঘাটতি ও আর্থিক খাতের দুর্বলতা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করছে বটে তবে সরকারের নেওয়া কিছু পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে মূল্যায়ন করেছে এবং এর মধ্যে রয়েছে জ্বালানি পণ্যের মূল্য সমন্বয়, রপ্তানি ভর্তুকি কমানো ও মুদ্রানীতি কঠোর করা। আমরাও মনে করি একটু দেরিতে হলেও পরিস্থিতির গভীরতা অনুভব করে নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন সাধিত হয়েছে যদিও বর্তমান অবস্থায় আরও নিবিষ্ট এবং কঠোর নীতিমালা জরুরি। যেমন বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলা যায়, ‘সংস্কারের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ হলো এলডিসি উত্তরণে রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য অটোমেশন ও শুল্কহার কমিয়ে আনতে হবে। শুল্ক কমাতে হবে নিত্যপণ্যে।’

আরও কিছু বিষয় প্রণিধানযোগ্য। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক বলেন, ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অনেক পরিবার ভোগান্তিতে পড়েছে। আমদানি নিয়ন্ত্রণে সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হতে পারে। ব্যাংকে ঋণ খেলাপের পরিমাণ অনেক বেশি। এ খাতে সংস্কার আনতে সহায়তা করতে বিশ্বব্যাংক প্রস্তুত রয়েছে। ব্যাংক একীভূতকরণের ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করা উচিত। বিনিময় হার হতে হবে বাজারভিত্তিক। সব মিলিয়ে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে আর্থিক খাতের জোরালো সংস্কার বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত এবং প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করতে পারে।’ তবে দেশের ব্যাংক খাত সংস্কার করতে দুর্বল ব্যাংকগুলো সবল ব্যাংকগুলোর সঙ্গে একীভূতকরণের (মার্জার) যে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক, তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক বিশেষত সম্পদের মান ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে ব্যাংক একীভূত হওয়া উচিত বলে ধারণা। বিশ্বব্যাংক বলছে, ‘এমন নীতিমালা করতে হবে যেন ব্যাংগুলো একীভূতকরণ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পায়। নীতিমালা করতে হবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে। যথাযথ উদ্যোগ না নিয়ে একীভূত করতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।’

ছয়

প্রতিবেদনে একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় ২০২৩-২৪ সালের আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ শতাংশ। ২০২৪-২৫ সালে তা ৬ দশমিক ১ শতাংশ হবে। ভারত, বাংলাদেশ এতে মূল ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার অবস্থারও উন্নতি হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২ দশমিক ৪ শতাংশ, যা আগামী অর্থবছরে ২ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে। কোভিড মহামারির আগের দশকে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ধারা ছিল গড়ে ৩ দশমিক ১ শতাংশ।’ বিশ্বব্যাংক আভাস দিয়েছে, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে। পাকিস্তানে হবে ১ দশমিক ২ শতাংশ। এ ছাড়া ভুটানে ৪ দশমিক ৯, নেপালে ৩ দশমিক ৩, শ্রীলঙ্কায় ২ দশমিক ২ ও মালদ্বীপে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে।’

সাত

সবশেষে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে শুধু চ্যালেঞ্জ আর ঝুঁকির কথা বলে সমাপ্তি টানেনি বিশ্বব্যাংক, পাশাপাশি কিছু উপদেশ বিতরণ করেছে যেমন অর্থনৈতিক বহুমুখীকরণে কাঠামোগত সংস্কার দ্রুততর করা, বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার মানসে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো সেরে ফেলা, ঋণ খেলাপ রোধে সুবিবেচ্য এবং দক্ষ পদক্ষেপ গ্রহণ, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি এবং উঁচু-মধ্যম আয়ের দেশের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করব্যবস্থার প্রচলন। তবে বাংলাদেশের অর্থনীতির লুপ্ত গৌরব ফিরে পেতে হলে কিংবা বলা চলে ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধির পথে হাঁটতে হলে সব ক্ষেত্রেÑহোক শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যাংকিং, লোকসানি কারখানা, দুর্নীতি দমন, আইনের শাসন ইত্যাদি বিষয়ে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতিপ্রসূত ব্যাপক সংস্কার কর্মসূচি হাতে না নিতে পারলে জনকল্যাণের স্বপ্ন ভেস্তে যেতে পারে। আধখ্যাঁচড়া ঢিমেতেতালা সংস্কার কর্মসূচি দিয়ে মধ্যম বা উঁচু আয়ের দেশ অলীক কল্পনামাত্র

  • অর্থনীতিবিদ ও সমাজ-বিশ্লেষক। সাবেক উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা