প্রবা
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৪ ১০:৫৮ এএম
ট্রেন বিলম্বে
যাত্রীদের দুর্ভোগ
যাতায়াতের অন্যতম
একটি মাধ্যম ট্রেন। প্রতিদিন হাজারো মানুষ ট্রেনে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত
করে। নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও যানজটের ভোগান্তি না থাকায় ট্রেনযাত্রা মানুষের কাছে অধিক
পছন্দনীয়। কিন্তু স্বস্তির এ যাত্রাই মানুষের কাছে দুর্ভোগ হয়ে দাঁড়ায় যখন ট্রেনগুলো
নির্দিষ্ট সময়ে না ছাড়ে। ট্রেন দুর্ঘটনা, সিগন্যালে ত্রুটি, রেললাইনে ত্রুটি, সুরক্ষার
অভাব, সঠিক তথ্য ও তদারকি ঘাটতিসহ নানা কারণে ট্রেনযাত্রায় বিলম্ব হয়। এসব কারণে ট্রেনের
নির্ধারিত সময়সূচির বিঘ্ন হয়, যা যাত্রীভোগান্তির কারণ। আবার সঠিক তদারকির অভাবে
যাত্রীদের মাঝেও নানা অসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হয়। যেমন ইঞ্জিনে ও ছাদে ঝুঁকি
নিয়ে ওঠা। এ ক্ষেত্রে একটু অসচেতনতায় বিপদ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। যেহেতু যাত্রীরা বিভিন্ন
প্রয়োজনে রেল পরিষেবা গ্ৰহণ করে, তাই ট্রেনের সময়সূচির বিড়ম্বনায় বিভিন্ন সমস্যা
দেখা দেয়। বিশেষ করে রাতের ভ্রমণে এ বিড়ম্বনার ফলে গন্তব্যে পৌঁছাতে চুরি-ছিনতাইসহ
অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে রেলের সব
অব্যবস্থা দূর করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই।
ইমরান হোসেন
হিউম্যান রিসোর্স
ম্যানেজমেন্ট
শিক্ষার্থী, ইসলামী
বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
উপকূলে সুপেয়
পানি নিশ্চিত হোক
প্রতি বছর দেশের
দক্ষিণ-পশ্চিমে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসে বিধ্বস্ত হয় উপকূলীয় অঞ্চল। বেড়িবাঁধ
ভেঙে প্লাবিত হয় শত শত গ্রাম। নড়বড়ে বেড়িবাঁধ, আবার কোথাও বেড়িবাঁধ উপচে নদীর লোনা
পানি প্রবেশ করে লোকালয়ে। ফলে দেখা দেয় খাবার পানির তীব্র সংকট। বছরজুড়ে এসব জনপদে
খাবার পানির সংকট থাকলেও দুর্যোগ কিংবা বর্ষাকালে ভাঙনের ফলে এ সংকট আরও প্রকট আকার
ধারণ করে। উপকূলীয় জনপদে সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘদিনের সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। প্রতি
বছর সংকটকালে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা না নেওয়ায় সুপেয় পানির
সংকট রয়েই যাচ্ছে। উপকূলবাসীকে পানি সংকট থেকে মুক্তি দিতে সরকারি কিংবা বেসরকারি উদ্যোগে
পুকুর খনন, সরকারি জলাধারগুলো বাণিজ্যিক মাছ চাষের বাইরে রেখে সুপেয় পানির আধার হিসেবে
ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে আধুনিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে। সেই সঙ্গ উপকূলে
টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণসহ সব উন্নয়নের পাশাপাশি সুপেয় পানির সংকট কাটাতে সুষ্ঠু এবং
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি। পানি সংকট কাটাতে চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ অতিদ্রুত
সম্পন্ন করা দরকার।
রিয়াদ হোসেন
শিক্ষার্থী, সরকারি
বিএল কলেজ, খুলনা
শিক্ষাব্যবস্থায়
বৈষম্য
দেশের ৯৭ শতাংশ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেসরকারি তথা এমপিওভুক্ত। একই যোগ্যতা ও অভিন্ন সিলেবাস হওয়া সত্ত্বেও
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বৈষম্যের শিকার। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের
বাড়িভাড়া মাত্র ১ হাজার, চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা, যা একেবারেই বেমানান। ১৯৭৩ সালের ১
জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করেন। কয়েক দশক পর দেশের
সব বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় কয়েক ধাপে জাতীয়করণ হয়। ফলে প্রাথমিক শিক্ষায়
অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন সময় হয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের। মাধ্যমিক স্তর জাতীয়করণ
হলে শিক্ষাব্যবস্থায় বৈষম্য কমবে। বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের কাছে প্রত্যাশা মাধ্যমিক
শিক্ষা জাতীয়করণের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের।
মো. মোশতাক মেহেদী
সহকারী প্রধান
শিক্ষক
বুজরুক বাঁখই
মাধ্যমিক বিদ্যালয়
কুমারখালী, কুষ্টিয়া