প্রবা
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪ ১০:৩৩ এএম
কুষ্টিয়ায়
বেতারের আঞ্চলিক কেন্দ্র চাই
বৃহত্তর কুষ্টিয়ায়
বাংলাদেশ বেতারের কোনো কেন্দ্র নেই। কুষ্টিয়া খুলনা বিভাগের একেবারে শেষ প্রান্তের
জেলা। কুষ্টিয়ার প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ জনপদের মানুষ খবর কিংবা বিনোদনের জন্য এখনও অনেকাংশে
বেতারের ওপর নির্ভর করে। এ অঞ্চলে খুলনা বেতারকেন্দ্রের অনুষ্ঠান একরকম শোনা গেলেও
রাজশাহী বেতারকেন্দ্র, ঢাকা ‘খ’ ও ‘গ’ বেতারকেন্দ্রের অনুষ্ঠান শুনতে পাওয়া যায় অস্পষ্টভাবে।
তাই বাংলাদেশ বেতারের একটি কেন্দ্র স্থাপন করলে বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও আশপাশের জেলা উপকৃত
হবে। এ অঞ্চলের শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি শিক্ষা, বিনোদন ও কৃষিভিত্তিক
অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বেতারকেন্দ্র বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। সরকারও রাজস্ব অর্জন করতে
পারবে। এ অঞ্চলের অনেক মানুষ বেতারের পরিপূর্ণ সেবা উপভোগ করতে চায়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট
বিভাগের দৃষ্টি কামনা করছি।
মো. মোশতাক মেহেদী
হাউজিং এস্টেট,
কুষ্টিয়া
অনলাইন জুয়া বন্ধে উদ্যোগ নিন
অনলাইন জুয়া কিংবা
বেটিং সাইট বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। তার পরও অনেকেই অনলাইন জুয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ছে।
অনলাইনে থার্ড পার্টি বেটিং কিংবা জুয়ার অ্যাপ সহজলভ্য। থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট থেকে
সফটওয়্যার নামিয়ে অনলাইনে জুয়া খেলা যায়। এ অ্যাপগুলো কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। অভিযোগ
আছে, অনলাইন জুয়ায় সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য জুয়ার সাইটগুলো কমিশনের ভিত্তিতে
বিভিন্ন ধরনের এজেন্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে। যেখানে ঘরে বসেই মানুষ বিভিন্ন জুয়ার অ্যাপ
বা ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছে। এতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে
জানার সুযোগ থাকছে না। অনলাইন বেটিং কিংবা জুয়া খেলার গেমের ফাঁদে পা দিচ্ছে উঠতি তরুণ,
বেকার যুবকরা। অনেক তরুণই কৌতূহলবশত এ খেলা শুরু করার পর নেশায় জড়িয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক
ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে অনলাইন জুয়া এবং লোনের সফটওয়্যারগুলো বন্ধ করা জরুরি। মোবাইল
ব্যাংকিং কোম্পানিগুলোর লেনদেনের ওপরও সরকারিভাবে নজর রাখা উচিত। এসব অ্যাপের অ্যাকাউন্টে
রিচার্জ করা টাকা অবৈধভাবে চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা (ডলার)
রিজার্ভে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। জুয়ার অ্যাপ বন্ধে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল
মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মুবতাসিম ইবনে মুস্তাফা
চট্টগ্রাম
সড়কে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি
সড়ক দুর্ঘটনা
রোধে মহাসড়কে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে দেওয়া
হয়েছে। নগর-মহানগরের জন্যও রয়েছে নির্দিষ্ট গতিসীমা। নিয়ম থাকার পরও তা মানার ক্ষেত্রে
অনেকের অনীহা লক্ষণীয়। অধিকাংশ যানবাহনের ফিটনেস ঠিক না থাকার পরও নির্দিষ্ট গতিসীমার
বাইরে চলাচল করে সড়ক-মহাসড়কে। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। গাড়ি চালানোর সময় ড্রাইভারের
অদক্ষতা, গাফিলতি, অহেতুক গতি বাড়ানো, অন্যের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো মানসিক অবস্থার
কারণে অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটে। অসাবধানতার ফলে ঘটছে মর্মন্তুদ মৃত্যুর ঘটনা। সড়কে শৃঙ্খলা
ফেরাতে আইনের প্রতিপালন ও বাস্তবায়ন জরুরি। একই সঙ্গে গণপরিবহনব্যবস্থা প্রশিক্ষণ ও
অবকাঠামোর মাধ্যমে চৌকশ করে তোলা। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনা রোধে ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিদ্যমান
আইনের কঠোর প্রয়োগও জরুরি। বেপরোয়া গতি রোধের বিষয়ে আইনের কঠোর বাস্তবায়নের বিকল্প
নেই।
টিটু আচার্য
হবিগঞ্জ, সিলেট