× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সৃজনে-কর্মে ভাস্বর জীবন

নাটালি প্রোলম্যান

প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৪ ০২:২৫ এএম

সৃজনে-কর্মে ভাস্বর জীবন

আন্তর্জাতিক নারী দিবস আমার পছন্দের একটি দিন। বছরের এই একটি দিন আমরা ওই নারীদের স্মরণ করি যারা তাদের জীবন ভাস্বর করে তুলেছেন সৃজনে-কর্মে। বরণ করি যারা এখন নিজেদের উপস্থাপন করছেন অনন্য উচ্চতায়। নারী দিবসে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত নারীদের মূল্যায়নের বিষয়টি উপস্থাপিত হয় জোরালোভাবে। এ দিবসটিতে অতীতে নারীর অর্জন-অনর্জনেরও মূল্যায়ন হয়। নারীর সাফল্য-অর্জনের স্মৃতিচারণাটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ; কিন্তু দিনটিতে বিশেষভাবে নারীর প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করা জরুরি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নারী এখনও নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে রয়েছে। নারী দিবসে তাই নারীর অর্জন-অনর্জনের মূল্যায়ন মুখ্য নয়। আন্তর্জাতিক নারী দিবস আমাদের একটি বার্তাই দিয়ে যায়, বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার জন্য কাজ করতে হবে। নারীর আত্মোন্নয়নের পথে যে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা নিরসনে যা কিছু করণীয় তা নিয়ে ভাবার দিনটিকে আরও পরিশীলিতভাবে উদ্‌যাপনের সুযোগ রয়েছে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস। বিশ শতকে উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপে নারী শ্রমিক অসন্তোষের দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মর্যাদা দেওয়া হয়। ১৯০৯ সালে প্রথম নারী দিবস উদ্‌যাপন করা হয়। ১৯১০ সালে নারী দিবসের তাৎপর্য ব্যাপক আকার ধারণ করে। গোটা বিশ্ব তখন নারীর অধিকার ও মর্যাদার দাবি নিয়ে সচেতন হয়ে উঠতে শুরু করে। নারী দিবসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নারীর অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে র‍্যালি, আলোচনা সভা ও সমাবেশের আয়োজন শুরু হয়। আন্তর্জাতিক নারী দিবস নারীর জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে ওঠে। নারী সমবেত হয়ে নিজেদের দাবি উত্থাপন করতে পারে।

১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ নারী দিবসকে ভিন্ন মাত্রা দেওয়ার চেষ্টা করে। ৮ মার্চ জাতিসংঘ ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণার কথাও বলে। দুই বছর পর জাতিসংঘ দিনটিকে আন্তর্জাতিক দিবসের মর্যাদা দেয়। সময়ের পরিক্রমায় দিনটির ব্যাপ্তি ও প্রভাবনী শক্তি বিবর্তিত হয়েছে। ১৯৯৫ সালে বেইজিংয়ে ‘দ্য বেইজিং ডিক্লারেশন অ্যান্ড প্ল্যাটফর্ম ফর অ্যাকশন’ উপস্থাপিত হলে লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণের পথ সুগম হয়। লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণের এ রোডম্যাপে বলা হয়, ‘এমন এক পৃথিবী গড়ে তোলা জরুরি যেখানে নারী তার সিদ্ধান্ত অনুসারে জীবন পরিচালনা করতে পারে। রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, কর্মসংস্থানসহ নানা ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ও সুযোগসুবিধা নিশ্চিত করার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। পারিবারিক নিপীড়নে যেন নারীর স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন না হয় এজন্য নানাবিধ কার্যক্রম অনুসরণ করা জরুরি। নারীর জন্য বৈষম্য ও নিপীড়নহীন সমাজ গড়ে তোলার প্রত্যয় থাকুক সবার মধ্যে।’

এ বছর নারী দিবসের প্রতিপাদ্য, নারীর অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকরণ নিশ্চিত হোক। প্রতি বছরের মতো এবারও নারী দিবসে রয়েছে নানা আয়োজন। বৈশ্বিক সংকটে নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি আরও প্রাসঙ্গিক আকার ধারণ করেছে। এজন্য নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষত নারী রাজনীতিকদের স্বরকে প্রাধান্য দিতে হবে। কারণ নারীর অধিকার আদায়ের জন্য যারা সোচ্চার তারা নারীর প্রতিনিধিও বটে।

 

  • কানাডার সাংবাদিক

গ্লোবাল সিটিজেন থেকে অনুবাদ : আমিরুল আবেদিন

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা