প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:৪৯ পিএম
বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ হোক দুই লাইনের
বগুড়া-সিরাজগঞ্জ
রেলপথের দাবি দীর্ঘদিনের। এ নির্মাণের মাধ্যমে উত্তর জনপদের বেশ কয়েকটি জেলার সঙ্গে
ঢাকাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ সহজ হবে। রাজধানীর সঙ্গে রেলপথে দূরত্ব কমবে
উত্তরের কয়েকটি জেলার। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই দাবিটি উপেক্ষিত ছিল। স্বাধীনতার পর আমাদের
রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও মসৃণ করার উদ্যোগ নিয়েছিল বঙ্গবন্ধু সরকার। কিন্তু তাঁকে
নির্মমভাবে হত্যার পর অন্য অনেক ক্ষেত্রের মতো আমাদের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাও থমকে যায়।
বিগত কয়েকটি সরকার দেশে নতুন রেলপথ বাড়ানো দূরের কথা, বরং একের পর এক স্টেশন বন্ধ করেছে।
বঙ্গব্ন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সরকারপ্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণের পর উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারাবাহিকতায়
রেল যোগাযোগেও নজর দেন। একের পর এক নতুন রেলপথ নির্মাণ হয়েছে তার হাত ধরে। যমুনা নদীর
ওপর রেলসেতু নির্মাণ তারই দূরদর্শিতা। আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক চার মেয়াদের সরকারের
হাত ধরে শুরু হতে যাচ্ছে বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণের কাজ। ইতোমধ্যে বহু আকাঙ্ক্ষিত
এ প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। আমরা এর জন্য সাধুবাদ জানাই।
সেই সঙ্গে দাবি জানাই ৮৫ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ (ব্রড গেজ ও মিটার গেজ) নতুন রেলপথে দুটি
লাইন নির্মাণের। এতে ট্রেনের গতি বাড়বে, নষ্ট হবে না সময়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সব সময়ই দূরদর্শী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জাতিকে সামনে যাওয়ার পথ দেখাচ্ছেন। প্রত্যাশা
করি, এ ক্ষেত্রেও আসা-যাওয়ার জন্য ডুয়েল গেজের দুটি রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে বাস্তবায়ন
করবেন; যা পাল্টে দেবে এ অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা ও ব্যবসাবাণিজ্য।
আহসানুল কবির
চেলোপাড়া, বগুড়া
খেলার মাঠটি
সংরক্ষণ করুন
নারায়ণগঞ্জ সদর
উপজেলার ধর্মগঞ্জের আরাফাতনগরের মাঠটি এলাকার একমাত্র খেলার মাঠ। অথচ এ মাঠটি নানাভাবে
বারবার দখলে চলে যাচ্ছে। এখানে খেলার সুযোগ হারাচ্ছে শিশুকিশোররা। তাদের বেড়ে ওঠার
জন্য প্রয়োজন পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা। এজন্য চাই খোলা মাঠ। কিন্তু আমাদের অধিকাংশ
এলাকাতেই নেই খেলার মাঠ। অনেক স্থানেই খেলার মাঠগুলো দখলে চলে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও
দীর্ঘদিন ফেলে রাখা হয় নির্মাণসামগ্রী। আবার কোথাও জনসভা, হাটবাজার বসানোসহ নানাভাবে
ব্যবহারের মাধ্যমে খেলার মাঠের পরিবেশ নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে। এর ফলে আজকের শিশুকিশোরদের
বড় সময় কাটছে ঘরে মোবাইল ফোনের গেমে। খেলাধুলাবিহীন শিশুকিশোররা ক্রমে এক যান্ত্রিক
রুটিনে আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় এ যান্ত্রিকতা থেকে বেরোতে গিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে
জড়িয়ে পড়ছে মাদকে। যুবসমাজকে এ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে খেলার মাঠ জরুরি। খেলার মাঠে
খেলার পরিবেশ বজায় রাখাও জরুরি। তাই আরাফাতনগরের খেলার মাঠটি যথাযথ সংরক্ষণের দাবি
জানাই। পাশাপাশি সারা দেশে উন্মুক্ত খেলার মাঠ নিশ্চিত করুন।
সাকির আহমেদ হিমু
ঢাকা কলেজ, ঢাকা
সড়ক দুর্ঘটনা
রোধ করতেই হবে
প্রতিদিন সড়কে
ঘটছে দুর্ঘটনা। কর্মব্যস্ত মানুষের ছোটাছুটিতে স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। সড়কে নিরাপত্তা
নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব। শুধু সরকার বা চালকদের নয়, সব মানুষের। সড়ক দুর্ঘটনা যাতে
না ঘটে সেদিকে সবার দৃষ্টি রাখা আবশ্যক। এজন্য প্রয়োজন সচেতনতা। সমন্বিত উদ্যোগ। সবাইকে
সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক। তবেই নিরাপদ
হবে সড়ক। কমবে মৃত্যুর মিছিল।
ডা. মুহাম্মাদ
মাহতাব হোসাইন মাজেদ
প্রতিষ্ঠাতা ও
চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি, ঢাকা