× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

প্রেক্ষাপট

উপকূলীয় অঞ্চলের সংকট

শফিকুল ইসলাম খোকন

প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০২:২১ এএম

উপকূলীয় অঞ্চলের সংকট

দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৫ কোটি মানুষ দুর্যোগের শঙ্কা নিয়ে বসবাস করছে। অতীতে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলাসহ নানা দুর্যোগের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে বেড়িবাঁধ। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর দক্ষিণাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এযাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সিডরে জনপদের বিশাল বেড়িবাঁধের প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০০৯ সালে উপকূলে আবারও আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আইলা। বড় ধরনের দুটি ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দ্রুত মেরামত না হওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা এখন প্লাবিত হয়ে আরও ভেতরে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করছে।

দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ১৯৮৮ সালে হয়। ওই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে দেশে যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তা দেশের ইতিহাসে অন্যতম সর্বনাশা বন্যা হিসেবে পরিচিত। ২১ নভেম্বর মালাক্কা প্রণালিতে এ ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়েছিল। শুরুতে এটি পশ্চিমগামী ছিল, এরপর গভীর নিম্নচাপ থেকে ক্রমান্বয়ে আন্দামান সাগরে এসে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। ২৬ নভেম্বর এটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয় এবং উত্তর দিকে ঘুরে যায়। ধীরে ধীরে এর গতি তীব্রতর হয়ে ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তের স্থলভূমিতে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মোট ৬ হাজার ২৪৬ জনের মৃত্যু ঘটে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ৫ হাজার ৭০৮ ও পশ্চিমবঙ্গের ৫৩৮ জন। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় নিহতের সংখ্যা বিচারে স্মরণকালের ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড়গুলোর একটি। এটি ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ৬ মিটার (২০ ফুট) উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হয় এবং প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ নিহত হয়।

উপকূলে ১৯৭০-এর ঘূর্ণিঝড় গোর্কি, ২০১৫ সালের সিডর, সিডর-পরবর্তী আইলা, হারিকেন, নার্গিস, রোয়ানু, মোরা, বুলবুল, ফণি, ইয়াসসহ বিভিন্ন দুর্যোগের আঘাতে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। তবে উপকূলীয় অঞ্চলে জীবনযাপনের সংকট এবং অবকাঠামোর অভাবের বিষয়ে মনোযোগ আরও গভীর করা জরুরি। ৭১০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলীয় এলাকার জীবনজীবিকা মানুষসহ দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি আরও সামনে এগিয়ে নিতে উপকূলীয় অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষের ভূমিকা কম নয়। আর এসব খেটে খাওয়া মানুষের নিরাপত্তা, সুযোগসুবিধা দিলে পরিপূর্ণভাবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। সে কারণে উপকূলের জন্য সরকারের এগিয়ে আসতে হবে, এনজিওসহ গণমাধ্যমেরও এগিয়ে আসা উচিত। পাশাপাশি উপকূলের দুঃখদুর্দশা, জীবনজীবিকা নিয়ে গণমাধ্যম এবং সরকারের বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি।

 

  • ·        সমাজকর্মী
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা