× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

আইন-আদালত

বিচারব্যবস্থায়ও বিদেশিদের অযাচিত হস্তক্ষেপ

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:১৬ পিএম

বিচারব্যবস্থায়ও বিদেশিদের অযাচিত হস্তক্ষেপ

ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং সর্বোপরি মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সামরিক-সাম্প্রদায়িক পাকিস্তান সরকারের পক্ষে উন্নত বিশ্বের কয়েকটি দেশের সরকার-আইনপ্রণেতা-বিশিষ্টজনদের নানামুখী কদর্য চক্রান্ত সর্বজনস্বীকৃত। বাঙালি জাতিকে চিরতরে স্তব্ধ করার হীন উদ্দেশ্যে পরিচালিত তাদের সব অপকৌশল কালক্রমে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। এমনকি দেশ পরিপূর্ণ শত্রুমুক্ত হওয়ার স্বল্পসময় আগেও সমুদ্রে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে ভীতি প্রদর্শনের দৃষ্টান্তও রয়েছে। পক্ষান্তরে বিশ্বের মুক্তিকামী দেশ-সরকার-জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনে আমাদের স্বাধীনতার পক্ষে জোরালো ভূমিকা ছিল অতিশয় প্রশংসনীয়। অকৃত্রিম বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের ঋণ কখনোই শোধ করা যাবে না। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদেও বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে ভেটো প্রদান করে অনেক দেশ তাদের কুৎসিত চরিত্রের উন্মোচনও ঘটিয়েছিল। কিন্তু পারেনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব ও ডাকে ৩০ লাখ প্রাণ বিসর্জনের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল বিস্তৃতি এখনও অব্যাহত।

১৯৭৫ সালে প্রায় সপরিবার বঙ্গবন্ধুকে নৃশংস হত্যার মাধ্যমে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরে স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে বাংলাদেশ অনগ্রসরতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে। সংবিধান ক্ষতবিক্ষত করে আইনের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে সামরিক শাসনের মোড়কে বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি দেশকে প্রায় বিপর্যস্ত করে ফেলে। দেড় যুগ ধরে দেশের প্রাচীনতম প্রগতিশীল-অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক শক্তির সমাহারে সংগঠিত দল আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ-বাস্তবায়নে অদম্য অগ্রযাত্রায় বিশ্বপরিমণ্ডলে অনন্য মর্যাদার আসনে সমাসীন। সংবিধান সমুন্নত রেখে আইনের বিধিবিধান অনুসারে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনায় আদালত-বিচারব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বাধীন সত্তায় পরিপুষ্ট। যেকোনো নাগরিকের আইনের দৃষ্টিতে সমান অধিকার ভোগের বিষয়টি সুনিশ্চিত। ক্ষেত্রবিশেষ সামান্যতম কিছু অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হলেও পরবর্তীতে আবার আইনি কাঠামো প্রতিস্থাপনে আদালত অত্যন্ত সচেতন।

গণমাধ্যমসূত্রে কারো কারো অভিমত, অতিসম্প্রতি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ কতিপয় বিবাদীর বিরুদ্ধে চলমান মামলায় প্রধান বিবাদী হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস আইনের শাসনে বিশ্বাসী বলেই সম্পূর্ণ আইনি কাঠামোয় মামলাসমূহ মোকাবিলা করছেন। নিয়মিত বিজ্ঞ আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দেওয়াসহ মামলার নানা বিষয় নিবিড় পর্যবেক্ষণ-তত্ত্বাবধান করে চলেছেন। তা সত্ত্বেও অযাচিত-অনাকাঙ্ক্ষিত-অনৈতিক ও অযৌক্তিক পন্থায় ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২৪২ বিশ্বনেতা-আইনপ্রণেতার বিবৃতি কিসের ইঙ্গিত বহন করে? দেশের সচেতন মহল-সচেতন জনগণের তা মোটেও বোধগম্য নয়। গত বছরের আগস্টে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ড. ইউনূসের মামলার দলিল-দস্তাবেজ তথাকথিত বিশ্বনেতাদের খতিয়ে দেখার যে আহ্বান জানিয়েছিলেন এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এ চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা আপনার ওই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছি। এ পর্যালোচনার জন্য আমরা একজন জ্যেষ্ঠ আন্তর্জাতিক আইনজীবীর নেতৃত্বে স্বাধীন আইন বিশেষজ্ঞদের একটি দল পাঠানোর প্রস্তাব দিচ্ছি। আমরা দ্রুতই এটা শুরু করতে চাই। একই সঙ্গে পর্যালোচনা চলাকালে ড. ইউনূস ও তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে কারাদণ্ডের রায় স্থগিত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এটিকে পেইড বিজ্ঞাপন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ধারাবাহিকতায় ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪ গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আগেও এ ধরনের বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়েছে। যখন কোনো দেশ আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়, সেটি নিউজ আকারেই প্রকাশ হয়। কিন্তু ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশ হওয়া বিবৃতিটি বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ পেয়েছে। এ থেকে স্পষ্ট হয় এটি কোনো ফার্ম থেকে টাকা দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ড. ইউনূসের প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই, বাংলাদেশের বিচারপ্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বচ্ছ। তার বিরুদ্ধে সরকার নয় বরং শ্রমিকরা মামলা করেছেন। দেশের বিচারপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ বলেই সরকারদলের অনেকেও বিচারের সম্মুখীন হন।’ উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহৃত ৭ নম্বর পৃষ্ঠায় সাড়ে ১৮ ইঞ্চি, পাঁচ কলামে ওই খোলা চিঠিটি ছাপানো হয়। বিজ্ঞাপনটির আকার ছিল ৯০ কলাম ইঞ্চি। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতি কলাম ইঞ্চি বিজ্ঞাপনের রেট ৮০৭ ডলার। এ নিরিখে বিজ্ঞাপনে খরচ পড়ে ৭৩ হাজার ৩৩ ডলার। প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য দাঁড়ায় ৭৮ লাখ ১৪ হাজার ৫৮৪ টাকা।

এ ছাড়া ১ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী ড. ইউনূসকে সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে না বলে মন্তব্য করেন। মামলার কিছু নথিপত্রের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে এসব অকাট্য প্রমাণ থাকার পরও বিদেশে ছড়ানো হচ্ছে যে, তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ সেগুলো মিথ্যা এবং আমরা হয়রানির জন্য এটা করছি। সরকার ড. ইউনূসকে হয়রানি করার জন্য কিছু করছে না। যে মামলা হয়েছে, সেটা করেছিল শ্রমিকরা। তারপর শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত যে অধিদপ্তর আছে সেই ডিপার্টমেন্ট তার বিরুদ্ধে একটা মামলা করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই যে শ্রমিকের অধিকার থেকে শ্রমিকরা বঞ্চিত হচ্ছিল এবং ন্যায্য প্রাপ্যতা তারা পাচ্ছিল না, এটা কিন্তু সব পক্ষ স্বীকার করেছে। এখানে সরকারের কোনো হাত নেই।’

আমরা জানি, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত করে জরিমানাসহ ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ জানুয়ারি ১২ মার্কিন সিনেটর ক্রমাগত হয়রানির অভিযোগ তুলে তা বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাদের প্রেরিত চিঠিতে জানানো হয়, ‘নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ক্রমাগত হেনস্থা এবং আরও বিস্তৃতভাবে আইন-বিচারব্যবস্থার অপব্যবহারের মাধ্যমে যেভাবে সরকারের সমালোচকদের টার্গেট করা হচ্ছে তা বন্ধ করার আহ্বান জানাতে আপনার কাছে এ চিঠি লেখা হচ্ছে। এক দশকের বেশি সময় ধরে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ১৫০টির বেশি নথি-প্রমাণহীন মামলা করা হয়েছে। চলমান মামলার কার্যক্রমে অনিয়মের বিষয়টি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এবং মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা চিহ্নিত হয়েছে।’ চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা আরও বলেন, ‘মামলার গতি এবং বারবার ফৌজদারি আইনের ধারা ব্যবহারের বিষয়গুলো ইঙ্গিত করে যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে বিচারব্যবস্থার অপব্যবহার করা হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ড. ইউনূসের অবদান ক্ষুণ্ন করা উচিত নয়, বিশেষ করে একটি গণতান্ত্রিক দেশে।’

২৪ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে ড. ইউনুসের আইনজীবীরা বলেন, ‘মার্কিন সিনেটরদের চিঠি বাংলাদেশের স্বাধীন বিচারব্যবস্থায় সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল। না জেনে, না বুঝে এমন চিঠি দিয়েছেন সিনেটররা। বিচার নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতেই ড. ইউনূস ১২ সিনেটরকে দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। আমাদের দেশে যেমন কিছু সুশীল আছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও কিছু সুশীল থাকে এবং তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে প্ররোচিত হয়ে আমাদের বিচারব্যবস্থাকে না জেনে না বুঝে এ ধরনের বক্তব্য দেওয়াকে অযাচিত হস্তক্ষেপ বলে মনি করি।’ সমুদয় প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য বিজ্ঞ আইনজীবীরা তাদের আদালতে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। আরও উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। ২০২৩ সালের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠনের পর ২২ আগস্ট থেকে শুরু করে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ এবং ২৪ ডিসেম্বরে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, শ্রম আইন, ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিককল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।

ড. ইউনূসের প্রতি সুবিবেচনার জন্য সিনেটররা যে বক্তব্য পেশ করেছেন এটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কোনো স্বাধীন দেশের আদালতের বিচারিক কার্যক্রমে সরাসরি শিষ্টাচারবহির্ভূতভাবে নাক গলানোর মতো। সাধারণত পুঁজিবাদী বিশ্বের কর্তৃত্ব-আধিপত্যবাদ বিস্তারে তাদের আদর্শে বিশ্বাসী সরকার-বিশেষ কোনো ব্যক্তির পক্ষে নির্লজ্জ পক্ষাবলম্বন বিপুল বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। আইনপ্রণেতা-বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দের এমন বিজ্ঞাপিত বিজ্ঞপ্তি কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নগ্ন হস্তক্ষেপ কি-না তা তাদের ভালোই জানার কথা। প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি চিঠির মাধ্যমে তাদের মতামত প্রকাশ প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে আদালতকে অস্বীকার করার শামিল। বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং আদালতের ওপর হস্তক্ষেপ বা প্রভাব বিস্তারের প্রতিফলন দৃশ্যমান নয়। বিষয়টি যেহেতু সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সে ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সুবিবেচনার আহ্বান কতটুকু যৌক্তিক; তা সত্যনিষ্ঠ দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনায় আনা অত্যন্ত জরুরি। অন্য দেশের আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা কূটনৈতিক শিষ্টাচারকে কলুষিত করে। নৈর্ব্যক্তিক-সত্যনিষ্ঠ অভিপ্রায়ে মামলাসংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের পক্ষ থেকে বিচারাধীন বিষয়গুলো যাচাইবাছাই-নিরীক্ষার জন্য ইতোমধ্যে আহ্বান জানানো হয়েছে। মামলাসংক্রান্ত নথিপত্র-দলিল-দস্তাবেজসহ আদালতের কার্যক্রম যথোপযুক্ত মূল্যায়নে সত্য আবিষ্কৃত হোক। 


  • রাজনীতি-সমাজ বিশ্লেষক। সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা