× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

জেলহত্যা : জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার যৌক্তিকতা

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২২ ০৭:৩৫ এএম

আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২২ ১৪:১৬ পিএম

জাতীয় চার নেতা। ফাইল ফটো

জাতীয় চার নেতা। ফাইল ফটো

মুক্তির মহানায়ক স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাঙালির বঙ্গবন্ধু নন, পৃথিবী নামক এই গ্রহে শোষিত-বঞ্চিত-স্বাধীনতাকামী আপামর জনগোষ্ঠীর বিশ্ববন্ধু হিসেবে সমধিক নন্দিত ও সমাদৃত। বস্তুতপক্ষেঃ বঙ্গবন্ধুর জীবনচরিত, জীবন-সমাজ-রাষ্ট্র-শিক্ষাদর্শন, বৈশ্বিক সম্পর্ক ইত্যাদি পর্যালোচনায় এটি বরাবরই প্রতীয়মান হয়েছে, তিনি ছিলেন অনগ্রসর বাঙালি সমাজের বিদ্যমান সকল কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামি, মানবাধিকারবিরোধী কার্যকলাপ, শোষণ-বঞ্চনার কঠিন অন্ধকার দূরীভূত করে বাঙালি জাতিসত্তার ভিত্তিতে আধুনিক-গণতান্ত্রিক-সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ মানবিক রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা। তাঁর সততা, সত্যবাদিতা, নির্ভীক সাহসিকতা, অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা, দেশপ্রেম, মাটি ও মানুষের প্রতি নিখাদ ভালোবাসা ছিল অতুলনীয়। এদেশের সমগ্র জনগণ তাঁর নেতৃত্বে আস্থাশীল হয়ে অকাতরে ত্রিশ লাখ প্রাণ এবং দুই লাখ জননী-জায়া-কন্যার সর্বোচ্চ প্রপতন বিসর্জনে অর্জন এই স্বাধীন মাতৃভূমি। ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জাতীয় চার নেতা দৃঢ়চেতা মনোভাবে ঋদ্ধ আদর্শিক চেতনায় মহান মুক্তিযুদ্ধের পরিপূর্ণতা এবং স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অপরিমেয় অবদানের জন্য অবিস্মরণীয়। 

বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার নেতৃত্বে গঠিত আওয়ামী লীগ অসহযোগ আন্দোলনসহ সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সুচারুরূপে পরিচালনায় ছিল অপরাজেয়, সফল ও সার্থক। বঙ্গবন্ধু ৬ দফা ঘোষণার পর মার্চের ১৮, ১৯ ও ২০ তারিখ হোটেল ইডেনে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধু সভাপতি, তাজউদ্দীন আহমদ সাধারণ সম্পাদক, সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রথম সহ-সভাপতি, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী অন্যতম সহ-সভাপতি এবং এএইচএম কামারুজ্জামান নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ‘৬৮ সালে কারাগারে থাকা অবস্থায়ও তাজউদ্দীন আহমদ দলের সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত ছিলেন। ’৬৯-এর গণ-আন্দোলনের সময়কালে দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের কারাবন্দি অবস্থায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ’৭০-এর নির্বাচনে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ এবং এএইচএম কামারুজ্জামান পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ’৭১-এর ২৩ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্টারি দলের সভায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের নেতা, সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপনেতা, তাজউদ্দীন আহমদ পার্লামেন্টারি দলের নেতা, এএইচএম কামারুজ্জামান সচিব এবং প্রাদেশিক পরিষদে নেতা নির্বাচিত হন ক্যাপ্টেন এম মুনসুর আলী। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে নির্দেশিত অসহযোগ আন্দোলনেও জাতীয় চার নেতার অনবদ্য ভূমিকা অনস্বীকার্য। 

বঙ্গবন্ধুর আজীবন রাজনৈতিক সহকর্মী জাতীয় চার নেতা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে চিরভাস্বর হয়ে আছেন। ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর স্বৈরাচারী পাকিস্তানি সামরিক জান্তা কর্তৃক গ্রেপ্তার হলে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে গঠিত মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ, অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মুনসুর আলী, খাদ্য ও ত্রাণমন্ত্রী এএইচএম কামারুজ্জামান। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে জাতীয় চার নেতা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশের আপামর জনগণকে সুসংগঠিত-ঐক্যবদ্ধ করে অসীম দক্ষতার সমন্বয়ে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ পরিচালনার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনে অসামান্য ভূমিকা পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ ছাড়াও প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে জাতীয় এই চার নেতা সর্বক্ষণ বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকেছেন। 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শুধু বাংলাদেশ নয়, ধরিত্রীর অবারিত ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্ট-নৃশংস-বর্বরতম যে ঘটনাটি সমগ্র বিশ্ববাসীকে অবাক বিস্ময়ে দেখতে হয়েছে, সেটি হলো মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্র কর্তৃক বর্বরোচিতভাবে প্রায় সপরিবার বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ড। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরপরই খুনি মোশতাকের নেতৃত্বে চক্রটি দেশকে পুনরায় পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত, দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা এবং সর্বোপরি দেশে স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন-অত্যাচার ও হত্যার মাধ্যমে কদর্যতার উন্মেষ ঘটায়। তখন জাতীয় চার নেতাসহ অনেকেই ছিলেন গৃহবন্দি। খুনি মোশতাক জাতীয় নেতা ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিলে তা তিনি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। ২২ আগস্ট জাতীয় চার নেতাসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করে হত্যার উদ্দেশ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাইন করে দাঁড় করালেও শেষ পর্যন্ত ঘাতক দল হত্যা না করে অশুভ উদ্দেশ্যে নেতৃবৃন্দকে কারাগারে নিক্ষিপ্ত করে। পরবর্তী সময়ে ষড়যন্ত্রের নীলনকশায় সংঘটিত হয় বাঙালি জাতি-সভ্যতার ইতিহাসে আরেকটি কলঙ্কিত কালো অধ্যায় ‘জেল হত্যাকাণ্ড’। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকগোষ্ঠী বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোদ্ধা জাতীয় চার নেতাকে বিনা বিচারে জেলখানার ভেতরে গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। 

জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের পরদিন তৎকালীন কারা উপ-মহাপরিদর্শক লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করলেও মামলার তদন্ত কার্যক্রম বন্ধ ছিল ২১ বছর। দীর্ঘ ২৯ বছর পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। ২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির মধ্যে ২ জন এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের চার জনের খালাসের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ হাইকোর্টের খালাসের রায় বাতিল করে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন। দুঃখজনক হলেও সত্য, মামলার পলাতক ১০ জন আসামিদের এখনও দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সরকারি তথ্যমতে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে একজন কানাডায় এবং একজন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে। বাকি আসামিদের অবস্থান সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট তথ্য নেই। দুজনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে উক্ত দেশ দুটির সঙ্গে সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত আছে। জেলহত্যা মামলার রায় কার্যকর এবং পলাতক আসামিদের খুঁজে বের করতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।  

দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ পুনর্গঠনে জাতীয় চার নেতার অবদান জাতি কতটুকু মূল্যায়ন করতে পেরেছে তার সত্য-বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ অতীব জরুরি। স্বাধীন বাংলাদেশ ও মহান স্বাধীনতার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকাল থেকে দেশদ্রোহীদের চক্রান্ত্র-ষড়ন্ত্রের অব্যাহত ঘৃণ্য ধারাবাহিকতায় জাতীয় নেতারা কীভাবে কুখ্যাত মোশতাক গংদের রোষানলে পড়েছিল জাতি বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত জ্ঞাত আছে বলে মনে হয় না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনায় নিরঙ্কুশ-অবিচল আস্থাশীল এসব নেতা শত প্রলোভনকে পদদলিত করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের সঙ্গে ন্যূনতম বেইমানি না করে জেল-কারাবন্দি থাকা অবস্থায় জীবন বিসর্জনেও ন্যূনতম কুণ্ঠাবোধ করেননি। এরা শুধু জাতীয় বীর নন, দেশপ্রেম-সততা-নিষ্ঠা-নেতার প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বস্ততায় তারা বিশ্বের সমগ্র বিবেকবান মানুষের হৃদয়ে অতি উঁচুমাত্রিকতায় সর্বোচ্চ বীরের আসনে অধিষ্ঠিত আছেন। 

৩১ অক্টোবর ২০২২, জাতীয় চার নেতার অন্যতম বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সুযোগ্য সন্তান এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ ৩ দফা দাবি পেশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ইতিহাসগুলো সঠিকভাবে তুলে ধরতে না পারলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আমি বিশ্বাস করি, সেই গৌরবের ইতিহাসের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতার ২৩ বছরের সংগ্রাম এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের অর্জন। সেই ক্রান্তিলগ্নে যদি মুজিবনগর সরকার বা বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত না হতো, তবে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্যরকম হতো। সেই সময় জাতীয় চারনেতা তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং এম মনসুর আলী যদি বলিষ্ঠ নেতৃত্ব না দিতেন, তাহলে আমাদের স্বাধীনতা নয় মাসে অর্জন করা হতো না। তাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানের কারাগার থেকে ছিনিয়ে বাংলার মাটিতে ফেরত আনতে পেরেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এই ৩ দাবি শুধু সময়েরই দাবি নয়, এটি এখন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করার দাবি। এটা গণমানুষের দাবি। এই তিন দাবি বাস্তবায়ন এখন জনস্বার্থে পরিণত হয়েছে।’ তার অন্য দুটি দাবি হচ্ছেযেহেতু ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে, তাই দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে এবং জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসরকারি ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম-আবদান-জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা-গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে-সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

এই দাবিগুলো শুধু শহীদ তাজউদ্দীনপুত্র সোহেল তাজেরই নয়, এর সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশের অবকাশ নেই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে অকুতোভয় জাতীয় চার নেতার আকাশচুম্বী অবদান আবিষ্কারে জাতি ব্যর্থ হলে আগামী প্রজন্মের কাছে জাতিকে দায়বদ্ধ হতেই হবে। স্বাধীনতার গৌরবদীপ্ত ইতিহাস পাঠোদ্ধারে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ এবং তাদের হৃদয়ে প্রকৃত ঘটনাসমূহ প্রোথিত করা জাতীয় আদর্শেরই পরিচায়ক। জাতি পরিপূর্ণ সহমত পোষণ করে জাতীয় চার নেতার স্মৃতি চিরঞ্জীব-চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ অনিবার্য। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত কার্যাবলি কার্যকর করার লক্ষ্যে প্রায়োগিক কর্মকৌশল দৃশ্যমান করার এখনই উপযুক্ত সময় বলে মনে করি। 

লেখক : শিক্ষাবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা