× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নির্বাচন

বিদেশি কূটনীতিকদের পর্যবেক্ষণে আমাদের প্রেক্ষাপট

ড. ফরিদুল আলম

প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:৪১ এএম

ড. ফরিদুল আলম

ড. ফরিদুল আলম

৩ জানুয়ারি প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এ ‘বিদেশি কূটনীতিকরা সরব থেকে নীরব’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যে চিত্র উঠে এসেছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের তৎপরতার কারণ ও প্রেক্ষাপট নিয়ে এর আগে এ স্তম্ভেই কয়েক দফা বিশ্লেষণ করেছি। তবে এখন অবস্থানের যে অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে এর ক্ষীণ প্রমাণ মিলছে তাদেরই কর্মতৎপরতায়। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গিরও আপাতত কিছু পার্থক্য দৃশ্যমান, অনেকের এ অভিমতও একেবারে অমূলক নয়। তার পরও সার্বিক প্রেক্ষাপটে এ ব্যাপারে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সতর্ক নজর বাঞ্ছনীয়। নির্বাচন প্রশ্নমুক্ত হলে জিইয়ে থাকা অনেক বিতর্কের নিরসন এমনিতেই হবে এ ভাবনাও অমূলক নয়। আমাদের স্বার্থ ও জরুরি প্রয়োজনেই সুষ্ঠু নির্বাচন অপরিহার্য। গণতান্ত্রিক রাজনীতির বিকাশ ও কদর্যতামুক্ত অর্থাৎ পরিচ্ছন্ন রাজনীতির অপরিহার্য প্রয়োজনেও এর কোনো বিকল্প নেই।

সারা দেশে নির্বাচনী উত্তাপ বাড়ছে। মাঠপর্যায়ে কেবল প্রতিদ্বন্দ্বীদের দল নয়, নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির উল্লেখযোগ্য সমর্থক-নেতাকর্মী বিভিন্ন প্রার্থীর হয়ে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। কোথাও কোথাও তো বেশ কয়েকজন দলের প্রতি বিদ্রোহ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশও নিচ্ছেন। অবশ্য তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের বহিষ্কারের ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে। একদিকে নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার, অন্যদিকে নির্বাচন বর্জনের সপক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণÑএসবের মাঝেও যে বিষয়টি আশা জাগাচ্ছে তা হলো বেশিরভাগ মানুষই নির্বাচনের পক্ষে। আর এ নির্বাচনে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অনেক ভোটারের বিশেষ মনোযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে বিগত দিনগুলোয় এ নির্বাচন ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলের যে ধরনের শঙ্কা ছিল, সেসব পাশ কাটিয়ে আপাতদৃষ্টে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।

নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাকেই সর্বাগ্রে বিবেচনা করা হয়। সংবিধান অনুযায়ী স্থানীয় প্রশাসন এ সময়টায় সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করে। সরকারকেও নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া নীতিমালা অনুসারে কেবল রুটিন দায়িত্ব পালন করে যেতে হয়। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং নিরপেক্ষ করতে যা দরকার নির্বাচন কমিশন সেসবের ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে থাকে। আর সেজন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তাদের ওপর অর্পিত ক্ষমতা এবং দায়িত্বের চেয়েও সবকিছু সামলে নিয়ে তাদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সমাধা করার ক্ষেত্রে মানসিক চাপের একটি বিষয় থেকেই যায়। বিগত সময়ের নির্বাচনগুলোর চেয়ে এবারের নির্বাচনের আলাদা ধরনের তাৎপর্য রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে চর্চা চলছিল। অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে বিএনপিসহ সব দলকে আনার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছিল। তবে কী পন্থায় নির্বাচন হবে, তা আইনের আলোকেই নির্বাচন কমিশনকে পরিচালনা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে তাদের দিক থেকে এ নির্বাচনটি গ্রহণযোগ্য করার জন্য যা করণীয় তা তারা করবে; এর বেশি আসলে প্রত্যাশা করার কিছু নেই। এ ক্ষেত্রে সরকার কমিশনকে সাহায্য করল কি করল না, এ বিবেচনারও খুব একটা অবকাশ নেই। কারণ নিয়মতান্ত্রিকভাবেই কমিশন নির্বাচনের স্বার্থে চাহিবামাত্রই যেকোনো সুবিধা প্রাপ্য। তবে নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার থাকে না, বিষয়টি সম্পূর্ণভাবেই রাজনৈতিক।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন সবচেয়ে বেশি যে চাপ অনুভব করছে বলে তাদের বক্তব্য থেকে বোঝা যায় তা হচ্ছে, নির্বাচনটি আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য করা। এ ক্ষেত্রে তাদের পক্ষ থেকে দায়িত্বের বাইরে গিয়েও সব রাজনৈতিক দলকে সংলাপে ডাকা হয়েছে। যদিও এ ধরনের সংলাপের মূল বক্তব্যই ছিল কমিশনের কর্মকাণ্ড সবার কাছে তুলে ধরে কমিশনের প্রতি সবাইকে আস্থাশীল করা। তফসিল ঘোষণার পরও নির্বাচনে বিএনপিকে আনতে কমিশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনে পুনঃতফসিল করার ঘোষণার পরও একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যখন তারা এলো না, কমিশনকে বাধ্য হয়ে আইন অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনার পথেই অগ্রসর হতে হলো। আউয়াল কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে যে কটি নির্বাচন হয়েছে সেগুলো নিয়ে খোদ বিএনপি বা তাদের সমমনাদের পক্ষ থেকে নেতিবাচক জোরালো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অনিয়মের অভিযোগে একটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ স্থগিত করার মতো দৃঢ়তাও দেখিয়েছে এ কমিশন। এবারের জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও কমিশনের এ দৃঢ়তা অব্যাহত রয়েছে এবং বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলসহ নির্বাচনী প্রচারে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় কয়েকজনের প্রার্থিতা বাতিল এবং জরিমানার ঘটনাও ঘটেছে। সার্বিকভাবে নির্বাচন কমিশন যেভাবে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে এখন পর্যন্ত তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ ক্ষীণ।

তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক সময়ে যে ধরনের বক্তব্য এবং বিবৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে, এর অনেকটাই যেন কমিশনের দায়িত্ব এবং কর্মপরিধির বাইরে। সম্প্রতি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে এক কর্মশালায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের দিকে আন্তর্জাতিক বিশ্ব তাকিয়ে আছে এবং এটিকে দেশের অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মন্তব্য করেছেন। অন্য একজন কমিশনার তার বক্তব্যে জানিয়েছেন এ নির্বাচন কেবল নিজেদের কাছে গ্রহণযোগ্য হলে চলবে না, আন্তর্জাতিকভাবেও গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার বিষয় রয়েছে। আমার ক্ষুদ্র বিবেচনায় যে বিষয়টি বুঝি তা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোন রাষ্ট্র কী ভাবল-না ভাবল তা একান্তই রাজনৈতিক বিষয়, আর এ রাজনৈতিক বিষয়টি দেখভাল করা একটি দেশের সরকারের রাজনৈতিক দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশনের কাজ হচ্ছে তাদের নিজ দায়িত্ব এবং কর্তব্যের কর্মপরিধির ভেতরে থেকে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা। দেশের মানুষের আস্থা অনুযায়ী সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাইরে অন্য কোনো বিষয় তাদের এখতিয়ারবহির্ভূত। কমিশন যদি আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি নিয়ে ভাবে, তাহলে আমাদের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে তা কতটুকু সঙ্গতিপূর্ণ হবে একটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াবে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের আর মাত্র হাতে গোনা কয়েক দিন বাকি, এ সময়টায় কমিশনের উচিত হবে নির্বাচনের দিকে গভীর মনোনিবেশ করা। ইতোমধ্যে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, তা-ও আবার নির্বাচন কমিশনে চাহিদার আলোকে। নির্বাচন ঘিরে নাশকতা করতে এক বা একাধিক মহল সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধারণা করা হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে এসব বাধা অপসারণে সহায়ক শক্তি হিসেবে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে সব অন্তরায় দূর করতে পারাকেই কমিশনের জন্য সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে ধরে নেওয়া হবে।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই নির্বাচন বর্জনকারী দেশের বড় দল বিএনপির সঙ্গে আরও কয়কটি দল একত্র হয়ে নির্বাচন বানচালের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেÑএ অভিযোগ অনেকের। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা যেমন নির্বাচনের আমেজে রয়েছেন, ভোটাররাও তাদের কাঙ্ক্ষিত প্রার্থীদের নির্বাচিত করতে কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ অবস্থায় এসব প্রার্থী ও ভোটারকে নিরুৎসাহ করতে দেশে যদি হঠাৎ বড় ধরনের কোনো নাশকতা ঘটানো হয়, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। গত কয়েক মাসে হরতাল-অবরোধের নামে যে ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করা হয়, জনগণ কর্তৃক তা ব্যাপকভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে বুঝে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে সরে এলেও চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। একটি দেশের গণতন্ত্র শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে হলে নির্বাচনের যেমন কোনো বিকল্প নেই, নির্বাচন বর্জন করে কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে নিজ অস্তিত্ব জানান দেওয়াও কঠিন। সেই সঙ্গে বর্জনের পক্ষে জনমত গড়ার নামে জনগণকে ভয়ভীতি দেখানো, কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া কিংবা প্রচার করা–এসবই গুরুতর অপরাধ।

এ নির্বাচন ঘিরে যে ধরনের অপতৎপরতার বিষয় ধারণা করা যায়, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে দেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে নাশকতার চেষ্টা। নির্বাচন কেন্দ্র করে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলো অস্থির হয়ে উঠেছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ। আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইন অনুযায়ী শরণার্থীদের ক্যাম্পের বাইরে যাওয়া কিংবা কোনো কর্মকাণ্ডে স্পষ্ট বাধা থাকা সত্ত্বেও গত এক মাসে সেখানে অবৈধ কর্মকাণ্ডের জেরে ৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আরসার মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের তৎপরতায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। দেশের একশ্রেণির অপশক্তির প্রত্যক্ষ ইন্ধনে তারা সংগঠিত হচ্ছে এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে ঢুকে তাদের গোপনে সংগঠিত করার চেষ্টা হচ্ছে-এমন খবরও সংবাদমাধ্যমেরই। কক্সবাজারের স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের বিষয়ে বিশেষ সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এসব কর্মকাণ্ড নিশ্চিতভাবেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় হুমকি। নির্বাচনের সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতে যা প্রয়োজন এর সব ক্ষেত্রেই কমিশন ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী এবং এ ব্যাপারে তাদের নজর গভীর করা জরুরি।

সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমাদের সবার প্রত্যাশা। আমাদের নিজ প্রত্যাশাটুকু পূরণ হওয়াই এ মুহূর্তে মুখ্য। আমাদের নির্বাচন নিয়ে বহির্বিশ্বের ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কূটনৈতিক শিষ্টাচারের ব্যত্যয় কাম্য নয়। নির্বাচন কমিশন, সরকার, ভোটার এবং প্রার্থী সবার দায়িত্বশীল আচরণ এ ক্ষেত্রে যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমন নির্বাচন কমিশন তার আওতার মধ্যে থেকে ত্বরিত ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সব আশঙ্কার অবসান ঘটাবে এও প্রত্যাশিত। সবকিছুর ওপরে সত্যিকার অর্থে নির্বাচন কমিশনের ওপরই সব ভালোমন্দের দায় বর্তায়। নির্বাচন কমিশন সব বাধা অতিক্রম করে দক্ষতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করবে–এটাই প্রত্যাশা।

  • কূটনীতি-বিশ্লেষক ও অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা