× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

স্মরণ

পরিচ্ছন্ন রাজনীতির প্রতীক

সাইফুল হক মোল্লা দুলু

প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:১১ এএম

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম

জননেতা ও শুদ্ধ রাজনীতিচর্চার প্রতীক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আজ পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুদ্ধ রাজনীতির চর্চা করেছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। দেশের প্রগতিশীল রাজনীতিতে তার নাম বারবার উচ্চারিত হয়। প্রচলিত রাজনীতির বাইরে তিনি ছিলেন আধুনিক ও অগ্রসর চিন্তার মানুষ। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের বীরদামপাড়া গ্রামে। তিনি ১৯৬৮ সালে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে এসএসসি, ১৯৭০ সালে আনন্দমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ভারতে চলে যান এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্সে ভর্তি হন। ১৯৭৫ সালে তিনি লন্ডনে শিক্ষাসফরে থাকার সময়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে শহীদ হন তার পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতা।

ছাত্রজীবনেই সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ময়মনসিংহ শহরে স্কুল ও কলেজজীবনে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। পরবর্তীকালে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ছাত্ররাজনীতি শেষে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তিনি বিমান, পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে পুনরায় জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে অতিকথন ও ক্ষমতার দম্ভ তাকে স্পর্শ করেনি। কূপমণ্ডূকতার ঊর্ধ্বে উঠে তিনি উদার গণতান্ত্রিক রাজনীতিবিদের মতোই নীরবে-নিভৃতে পথ হেঁটেছেন। কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার স্ত্রী সৈয়দা শিলা ইসলাম মারা যাওয়ার পর প্রায় অন্তরালে চলে যান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তার নিজেরও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। ২০১৮ সালের ৩ জুলাই ভর্তি হন থাইল্যান্ডের হাসপাতালে। সেখানে ছয় মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

কিশোরগঞ্জের আধুনিকায়ন এবং এ মাটির ফুসফুস বা প্রাণপ্রবাহ নরসুন্দার নাব্য ফেরাতে তার আন্তরিকতার অভাব ছিল না। এজন্য নানা উদ্যোগও তিনি গ্রহণ করেছিলেন। তার একান্ত আগ্রহ ও বলিষ্ঠ ভূমিকায় কিশোরগঞ্জে গড়ে ওঠে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মনে করতেন, জনগণই রাজনৈতিক দলের গণভিত্তি। সততা ও সহিষ্ণুতা রাজনৈতিক নেতাদের আদর্শ হওয়া বাঞ্ছনীয় বলেও তিনি বিশ্বাস করতেন।

মধ্যাঞ্চল প্রতিনিধি, প্রতিদিনের বাংলাদেশ

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা