× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক নতুন বছরে

আবদুল মান্নান

প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:১৯ এএম

আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৫৯ এএম

আবদুল মান্নান

আবদুল মান্নান

একটি ঘটনাবহুল বছর ২০২৩ শেষে আজ সারা বিশ্ব ২০২৪-কে বরণ করছে। শুরুতে সব পাঠককে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। ২০২৩ সাল বাংলাদেশের জন্য তো বটেই, বিশ্বের জন্যও একটি ঘটনাবহুল বছর ছিল। বিগত বছরে রাজনীতি বা অর্থনীতিতে তেমন খুব ভালো কোনো খবর ছিল না, যা নিয়ে মানুষ স্বস্তিবোধ করতে পারে। পূর্বের করোনা ও ইউরোপে অনাকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি হয়েছিল তার ধকল না কাটতেই শুরু হলো ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা, যা এখন গণহত্যায় রূপ নিয়েছে। আর এই গণহত্যার নিরঙ্কুশ মদদ দিচ্ছে বিশ্বের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ফেরিওয়ালা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই একটি গণহত্যার ভয়াবহতা বিশ্বের মানুষ সরাসরি ঘরে বসে দেখতে পাচ্ছে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির কোনো প্রস্তাব উঠলে তাতেও ভেটো দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আবারও প্রমাণিত হলো জাতিসংঘ তার জন্মের পর থেকেই যেভাবে পরাশক্তিগুলোর বশংবদ হিসেবে বেড়ে উঠেছে, তা হতে বিশ্ব সংস্থাটি এখনও মুক্ত হতে পারেনি, বরং আরও বেশি বশংবদ হয়ে উঠেছে। আবারও প্রমাণিত হলো জাতিসংঘের সংস্কার এখন সময়ের দাবি। আরও পরিতাপের বিষয়, ইসরায়েলের এই মানবতাবিরোধী অবস্থানের ব্যাপারে মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোর দুর্ভাগ্যজনক নীরবতা। গাজায় গণহত্যা পরিচালনায় ইসরায়েলের যে সামরিক যানগুলো ব্যবহার হয় তার সব জ্বালানি আসে আরব দেশ ও মিসর থেকে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্ররোচনায় রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন যে যুদ্ধে জড়িয়েছে তা বন্ধ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আবার এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শর্তযুক্ত যে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা এখন অনেকটা সংক্ষিপ্ত হয়ে এসেছে। মানবসৃষ্ট এইসব অশান্ত পরিবেশের কারণে বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে তার রেশ এখনও দেশে দেশে পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা আগামীতেও থাকার সম্ভাবনা দৃশ্যমান। এর বড় প্রমাণ বিশ্বের প্রায় সব দেশে লাগামহীন মুদ্রাস্ফীতি। 

বাংলাদেশের জন্য ২০২৩ সাল ছিল নানাভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত আগে থেকেই ‘শেখ হাসিনা হটাও’ আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল। এর মধ্যে তাদের সঙ্গে যোগ হয়েছে বেশ কিছু খুচরা দল, যাদের মধ্যে আছে চরম বামপন্থি আর ধর্মাশ্রয়ী কিছু মৌলবাদী গোষ্ঠী। বাংলাদেশের রাজনীতির একটি বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগ যখনই রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে তাকে উৎখাত করতে সব মত ও পথের দল গোষ্ঠী ও মানুষ এক হয়েছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার বছর পার না হতেই বঙ্গবন্ধু সরকারের 

বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে সৃষ্টি হয় জাসদ। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় একাধিক মাওবাদী বামপন্থি সংগঠন। সেই ধারা এখনও চলছে। তবে ২০২৩ সালের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক অনুমোদন। নিবন্ধন হারালেও জামায়াতের সন্ত্রাসীরা এখনও দেশে অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য তৎপর। দলটিকে নিষিদ্ধ করা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। 

বর্তমানে এই উৎখাত আন্দোলনে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির সঙ্গে বেশ কিছু দল যুক্ত হয়েছে, যারা রাজনীতিকে তামাশায় পরিণত করেছে। শুরুটা হয়েছিল বিএনপি নেতৃত্বে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে। এসব কর্মসূচিতে বিএনপি বা সমমনা দলগুলোর প্রতি অনুগত নেতাকর্মীদের বড় ধরনের সমর্থন ছিল বেশ লক্ষণীয়। কিন্তু বিএনপির নেতৃত্বের দূরদৃষ্টির অভাবে তারা তাদের সেই শক্তির সঠিক ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়। সম্ভবত ‘শেখ হাসিনা হটাও’ আন্দোলনে ছন্দপতন ঘটে গত ২৮ অক্টোবর যখন নয়াপল্টনে বিএনপির পূর্ব ঘোষিত জমায়েতের মাঝপথে হঠাৎ দলের কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মী দায়িত্ব পালনরত পুলিশ ও সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে তারা পিঠিয়ে একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে, প্রায় ত্রিশজন সাংবাদিককে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে, নজিরবিহীনভাবে হামলা করে প্রধান বিচারপতিসহ বিচারপতিদের বাসভবনে। সেই থেকে এই ‘শেখ হাসিনা হটাও’ আন্দোলন অনেকটা ফানুসের মতো ফুটো হয়ে গেল। এরপর চলছে অবরোধ, অসহযোগ বা হরতালের মতো বর্তমানে অচল কর্মসূচি। যোগ হলো যানবাহন, ট্রেনে অগ্নিসংযোগ, রেললাইন উৎপাটনের মতো ভয়াবহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড। তাতে তেমন একটা সুবিধা করতে না পেরে বর্তমানে তারা দেশের মানুষকে আগামী ৭ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন বর্জন করতে আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করছেন। তারা মনে করছেন তাদের এই আহ্বানে ব্যাপক সাড়া মিলবে। ২৮ অক্টোবরের পর বিএনপির দলীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৫৯০ জন সদস্য আছেন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ৯০ জন কারাগারে আছেন। বাকিরা তাদের দলের কার্যালয় খোলার প্রয়োজন কেন মনে করছেন না তার কোনো উত্তর নেই। 

বিএনপি ও তাদের মিত্ররা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তারা অংশ না নিলেও দলের নির্নেশ অমান্য করে দলের ৮৭ জন প্রার্থী বিভিন্ন আসন থেকে এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের বেশ কজন আছেন যারা হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে পরিচিত। ৭ তারিখ নির্বাচনের পর বুঝা যাবে কার দৌরাত্ম্য কতটুকু। ৭ তারিখের নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের সামনেও চ্যালেঞ্জ কম নয়। এবারই প্রথম দলের মনোনয়নের বাইরে মনোনয়নবঞ্চিত নেতানেত্রীরা ইচ্ছা করলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে দল তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে না। এতে দলের অনেক স্থানীয় পর্যায়ের নেতা আগামী নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে শুধু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভিন্ন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করছেন না তাদের অনেকেই মূল প্রার্থীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছেন। কোনো কোনো গণমাধ্যমের হিসাব অনুযায়ী প্রায় দেড়শ আসনে এমন প্রার্থীর দেখা মিলছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে কয়েকজনরে সঙ্গে কথা বলে জেনেছি তারা ভোট দেবেন তবে দলের মূল প্রার্থীকে হয়তো ভোট নাও দিতে পারেন। কারণ হিসেবে তারা বলছেন আগে যাদের তারা ভোট দিয়ে সংসদে পাঠিয়েছিলেন তাদের অনেকেই নির্বাচনের পর স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেননি। শুনেননি জনগণের চাওয়া-পাওয়ার কথা। তাদের কথা ফেলে দেওয়ার মতো নয়। নতুন পরিস্থিতিতে হয়তো আওয়ামী লীগের সামনে সুযোগ এসেছে দলের কিছু অযোগ্য ব্যক্তিতে ছেঁটে ফেলার। এতে দলের শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে অন্তর্দীলয় হানাহানিতে একাধিক দলীয় কর্মী আহত বা নিহত হয়েছেন। মনে রাখতে হবে এই নির্বাচনের ওপর বিশ্বের ও দেশের অনেক সংস্থা কঠোরভাবে নজরদারি করছে। এই আত্মঘাতী কর্মকাণ্ড দ্রুত বন্ধ করতে হবে । সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো ক্ষমতা দলের সভাপতির আছে এবং তা দ্রুত করতে হবে। 

২৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলের ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। এর পূর্বে তিনি আরও ছয়বার এমন ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে চারবার নির্বাচনে বিজয় লাভ করে সরকার গঠন করেছেন। এটি ঠিক ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি সাধারণত কোনো দলকে ভোট দেওয়ার প্রধান কারণ নয়। এটি নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে দল জনগণের জন্য কী করবে তার একটা রূপরেখা। মেয়াদ শেষে সচেতন মানুষ মিলিয়ে দেখতে পারে একটি দল নির্বাচনের পূর্বে তাদের কাছে কী অঙ্গীকার করেছিল আর মেয়াদ শেষে তারা কী পেয়েছে। বলা যেতে পারে গত চার মেয়াদে যখন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে তারা তাদের অঙ্গীকার রক্ষা করার চেষ্টা করেছে। এটাও ঠিক নানা কারণে অনেক সময় মানুষের কিছু কিছু প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এসব কারণের মধ্যে যেমন আছে বৈশ্বিক কারণ, তেমনি আছে অযোগ্য মানুষের হাতে অঙ্গীকার বাস্তবায়নের দায়িত্ব তুলে দেওয়া। মানুষ আশা করে সামনের নির্বাচনে জয়ী হয়ে যদি শেখ হাসিনা সরকার গঠন করতে পারে, তিনি সঠিক স্থানে সঠিক মানুষের পদায়ন করবেন। বাংলাদেশের একটি বড় সমস্যা আমলাতন্ত্র। আমলা ছাড়া দেশ চলবে না কিন্তু আমলাতন্ত্র দেশের জন্য নানা বিপদের কারণ হতে পারে। অযোগ্য মানুষকে নীতিনির্ধারণের দায়িত্ব দিলে তখন তাদের হাতেই আমলাতন্ত্রের জন্ম নেয়। এমন নজির তো আছেই। বঙ্গবন্ধুর শাসনামলেও এই সমস্যা ছিল, তবে তিনি কিছুটা হলেও তা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছিলেন। 

ইশতেহারে যে কয়টি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে আছে দুর্নীতি আর আর্থিক খাতের সংস্কার। এটি ঠিক বাংলাদেশ বর্তমানে দুর্নীতিতে আর চ্যাম্পিয়ন হয় না, তবে সরকারি চাকরিজীবী, রাজনীতিবিদ আর ব্যবসায়ীদের মাঝে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্নীতি নানা স্তরে হতে পারে। তবে সবচেয়ে সহজ হচ্ছে জরুরি ফাইল আটকে রেখে অর্থ আদায় করা। বিদেশে অর্থ পাচার করেছে বলে যাদের কথা প্রায় শোনা যায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি। শেখ হাসিনার কাছে এ ব্যাপারে মানুষের প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। দেশের আর্থিক খাতের খোলনলচে না পাল্টালে এই খাতকে সংস্কার করা সম্ভব নয়। ব্যাংকিং খাত প্রায় সময় সংবাদের শিরোনাম হয় কিছু বোর্ড সদস্যের নানা অপকর্মের কারণে। আর্থিক খাতকে সংস্কার করতে হলে প্রথমেই এই খাতের দিকে জরুরি ভিত্তিতে নজর দিতে হবে। অনেক বোর্ড সদস্য ভুলে যান তাদের ব্যাংকে রক্ষিত অর্থ তাদের নয় আমানতকারীদের। নিয়মিতভাবে সেবার মূল্য দিয়ে তারা তাদের টাকা ব্যাংকে জমা রাখেন। ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ বোর্ড সদস্যদের পৈতৃক সম্পতি ভাবার কোনো কারণ দেখি না। 

ইশতেহারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার ওপর বেশ জোর দেওয়া হয়েছে। বিএনপি ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচনের পর যা হবে তার জন্য সরকারই দায়ী থাকবে। এটি একটি মারাত্মক হুমকি। ২০০১ সালে নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করেছিল। বেগম খালেদা জিয়া তখনও সরকার গঠন করেননি। বিএনপির সন্ত্রাসীরা দক্ষিণবঙ্গে যে ভয়াবহ দাঙ্গা সৃষ্টি করেছিল তা একাত্তর সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নৃশংতাকে হার মানিয়েছিল। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পাহাড় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত। প্রতি বছর দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ সেখানে তীর্থে আসেন। সেখানে কদিন আগে কিছু মানুষের গরুর মাংসের বারবিকিউ করার পেছনে উস্কানি ছাড়া কোনো পবিত্র কারণ ছিল না। এমন ঘটনা নির্বাচনের পর ঘটবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এখন থেকেই প্রশাসনকে এমন ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সে ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। সবশেষে ইশতেহারে অঙ্গীকার করা হয়েছে সুশাসনের। সুশাসন নিশ্চিত করা গেলে কিংবা সম্ভব হলে বাকিগুলো নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না। এটি করতে হলে আবারও যথাস্থানে যথা মানুষকে পদায়ন করা ও আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে থাকতে হবে নির্মোহ ও নিরপেক্ষ। সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোকÑ এই প্রত্যাশায় ২০২৪-এ পদার্পণ। 

লেখক : শিক্ষাবিদ, গবেষক ও বিশ্লেষক


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা