× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বাংলাদেশের দায়িত্ব আরও বাড়ল

দুবাই জলবায়ু সম্মেলন থেকে পাভেল পার্থ

প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:০২ এএম

পাভেল পার্থ লেখক ও গবেষক। ছবি : সংগৃহীত

পাভেল পার্থ লেখক ও গবেষক। ছবি : সংগৃহীত

মোখা, তেজ, হামুন, মিধিলির পর আবার এক ঘূর্ণিঝড়ের মুখে বাংলাদেশ। দুবাই জলবায়ু সম্মেলনের গণমাধ্যম চত্বরে ঢুকতে না ঢুকতে মোবাইল ফোনে দেখি বাংলাদেশে আবারও নিম্নচাপের সতর্কবার্তা। মনটা কেমন কেঁপে উঠল। বিবিসির সাংবাদিক জর্জিনা রেন্নার্ড জানতে চাইলেন বাংলাদেশ কতটা সাহসী? বললাম, বছরে একের পর এক ঘূর্ণিঝড় সামাল দিচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু পৃথিবীর মোট কার্বন নির্গমনের মাত্র ০.০৪ ভাগ নিঃসরণ করে বাংলাদেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এক্সপো সিটিতে ৩০ নভেম্বর শুরু হওয়া এ জলবায়ু সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনটি বাংলাদেশসহ ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্রগুলোর জন্য এক নতুন বার্তা দিল। ‘গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট মোবিলিটি’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এশিয়া ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার’ ঘোষণা করেছে।

১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি রাষ্ট্রদূত ডেনিস ফ্রান্সিস এবং ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)-এর মহাপরিচালক অ্যামি পোপে থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

জলবায়ু সম্মেলন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন কিংবা ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফেরাম’-এর নেতা হিসেবেও বহুবার প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্রসমূহের ন্যায্যতার প্রশ্ন সামনে এনেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ গৌরব অর্জন জলবায়ু সুরক্ষায় বাংলাদেশের ভূমিকা ও নেতৃত্বকে আরও দায়িত্বশীল ও দায়বদ্ধ করে তুলল। বিশ্বের নদী, জলাভূমি, কৃষিজমি, পাহাড়, বন, প্রাণবৈচিত্র্যসহ সামগ্রিক বাস্তুতন্ত্র নিয়ে এখন বাংলাদেশকে আরও বেশি মনোযোগী ও তৎপর হতে হবে; যাতে আমাদের কারণে কোনো অ্যামাজন বা সুন্দরবন আঘাত না পায়, বুড়িগঙ্গা বা ব্রহ্মপুত্র দূষিত না হয়, পেঙ্গুইন বা পেঁচা হারিয়ে না যায়। প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশ সুরক্ষায় এখন একের পর এক উদাহরণ হাজির করতে হবে। জলবায়ু সুরক্ষায় বাংলাদেশ হতে পারে আগামীর বিশ্বনেতা। এ পুরস্কার সেই বার্তাও জানায়।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে খাদ্যব্যবস্থা রূপান্তর বিষয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাপত্র তৈরি হয়েছে। ‘স্থায়িত্বশীল কৃষি, সক্ষম খাদ্যব্যবস্থা এবং জলবায়ু কর্মতৎপরতা’ বিষয়ক ঘোষণাপত্রটিতে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশসহ ১৩৪টি রাষ্ট্র। ‘জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) প্রতিবেদন’-এ এখন থেকে খাদ্য ও কৃষির বিবরণও যুক্ত করতে হবে। মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগই নিঃসরণ ঘটে খাদ্যব্যবস্থা থেকে। মূলত রাসায়নিক কৃষি ও বহুজাতিক কোম্পানিনির্ভর খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা এ দূষণ চাঙা রাখে। কেমন খাদ্যব্যবস্থা আমরা চাই, এ প্রশ্ন জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বনেতৃত্ব প্রথম তুললেন। জলবায়ুকে বিপদে ফেলছে খাদ্যব্যবস্থা নাকি পরিবেশবান্ধব খাদ্যব্যবস্থা? কৃষক, জেলে, আদিবাসীসহ গ্রামীণ জনগণের লোকায়ত খাদ্যব্যবস্থা প্রকৃতিঘনিষ্ঠ। কিন্তু পৃথিবীর মূল খাদ্যব্যবস্থা নিদারুণভাবে জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেছেন, জীবাশ্ম জ্বালানির অগ্নিকুণ্ড উস্কে রেখে কোনোভাবেই জলবায়ু পরিবর্তন রোধ সম্ভব নয়। খাদ্যব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণকারী বহুজাতিক কোম্পানি কিংবা জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলো কি মহাসচিবের কথার মূল্য দেবে?

আমরা আছি জলবায়ু সম্মেলনের ২৮তম আসরে, যা সংক্ষেপে কপ-২৮ নামে পরিচিত। বিশ্বের ২০০ দেশের প্রায় ৭০ হাজার মানুষ এবার অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা রাষ্ট্রগুলোর পক্ষে সক্রিয় দাবি তুলবে। বৈশ্বিক স্টকটেক, ক্ষয়ক্ষতি তহবিল, অভিযোজন লক্ষ্যমাত্রা, জলবায়ু অর্থায়ন এবং অভিযোজন তহবিল বাড়ানোর বিষয়গুলোতে অগ্রাধিকার দেবে বাংলাদেশ। সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনেই ক্ষয়ক্ষতি তহবিল গঠনে জার্মানি, জাপান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অঙ্গীকার করেছে। দ্বিতীয় দিনে ইতালি, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস নিজেদের তহবিল অঙ্গীকার করেছে। পাশাপাশি সুইজারল্যান্ড অভিযোজন তহবিল অঙ্গীকার করেছে। সব মিলিয়ে সম্মেলনের প্রথম দুই দিনে প্রায় ৫৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিল অঙ্গীকার করেছেন বিশ্বনেতৃত্ব। গ্রিন ক্লাইমেট তহবিলে প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার অঙ্গীকার ব্যক্ত হয়েছে। এসব তহবিল বিশ্বব্যাংকসহ বহুপক্ষীয় ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদেয় হলে তহবিলের কতটুকু কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো পাবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। নাকি জলবায়ু তহবিলের নামে আবার নতুন কোনো ঋণের রাজনীতিতে আটকা পড়বে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো? এ নিয়েও তর্ক তুলছেন বহুজন। পাশাপাশি দ্বিতীয় দিনে সংযুক্ত আরব আমিরাত জলবায়ু প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ‘আলতেরা’ নামে ৩০ বিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল গঠন করেছে। ২০৩০ সালের ভেতর এ তহবিল ২৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলা আশা করা হচ্ছে।

দুবাই জলবায়ু সম্মেলন শুরুই হয়েছে ‘তহবিল’ আর ‘তহবিল’-এর বার্তা উস্কে দিয়ে। তহবিল অবশ্যই জরুরি, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের বহু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার ও দাবি তহবিলের আড়ালে না চাপা পড়ে যায়। জলবায়ু প্রশ্নে পৃথিবীর মানুষ ন্যায্যতার দাবি তুলেছে। বিদ্যমান কাঠামোগত বৈষম্যকে প্রশ্ন করেছে, উত্তর-দক্ষিণ ক্ষমতার গণিতকে প্রশ্ন করেছে। নয়া উদারবাদী বাজারের উত্তাপ আর যুদ্ধের মতো সহিংসতা বন্ধের দাবি তুলেছে। কেবল তহবিল দিয়ে কোনোভাবই এসব অমীমাংসিত বাহাদুরি বদলাবে না। বিদ্যমান নয়া উদারবাদী ব্যবস্থার রূপান্তর ঘটাতে হবে। না হলে জলবায়ুর সত্যিকার সুরক্ষায় আমরা ব্যর্থ হব।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ‘গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন’-এর সিইও প্যাট্রিক ভারকুইজেন নিউজউইক ম্যাগাজিনে একটি গুরুত্বপূর্ণ লেখা লিখেছেন। দুবাই জলবায়ু সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে এটি প্রকাশিত হয়েছে। ‘লেটস পুট ব্যাক পিপল অ্যাট দ্য হার্ট অব ক্লাইমেট অ্যাকশন’ শীর্ষক লেখায় জানানো হয়েছে, ‘…জলবায়ু পরিবর্তন এমন এক বৈশ্বিক বিপর্যয় যা গরিবের ওপর ধনীরা চাপিয়ে দেয়। দুবাই সম্মেলনে আগত বিশ্বনেতাদের বুঝতে হবে তাদের ওপর থেকে নিচে চাপানো পদ্ধতি জলবায়ু সুরক্ষায় ভূমিকা রাখবে না।’ লেখাটিতে স্থানীয় জনগণের লোকায়ত অভিযোজন চর্চাকে গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে, ‘...এসব স্থানীয় অভিযোজনই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ।’ দুবাই জলবায়ু সম্মেলনের সময়ই জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন এবং মানবাধিকার সংগঠন দি এল্ডার্সের ডেপুটি চেয়ার গার্সা ম্যাচেল একটি লেখা লিখেছেন দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায়। তারাও লেখায় অভিযোজনকে গুরুত্ব দিয়েছেন, কিন্তু এ অভিযোজন প্রক্রিয়া খুব ধীরগতিতে চলছে বলে উল্লেখ করেছেন। লেখাটিতে তারা আরও উল্লেখ করেন, ‘...আমরা বৈশ্বিক উষ্ণতার দুঃসহ সময়ে প্রবেশ করেছি। উত্তর আমেরিকার তীব্র দাবানল, বিরূপ আবহাওয়ায় আফ্রিকায় ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু, ঘূর্ণিঝড়ে লিবিয়াসহ দেশগুলোর ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু সবকিছু মিলিয়ে আমরা এক চরম হুমকির মুখে আছি। বিশ্বনেতৃত্বের এখনই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, কিন্তু সেই প্রস্তুতি আমরা এখনও নিইনি। গ্লাসগো চুক্তিতে আমরা উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য দ্বিগুণ তহবিল অঙ্গীকার করেছিলাম। অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়নে তৎপর হতে হবে এবং অর্থপূর্ণ বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।’ জাতিসংঘের ‘ইউএনঅপস’-এর সঙ্গে ‘ইনিশিয়েটিভ ফর ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্রান্সপারেন্সি (আইক্যাট)’ যৌথভাবে জলবায়ু বিষয়ক কর্মসূচির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বিষয়ে কাজ করছে। আইক্যাটের পরিচালক দুবাই সম্মেলনের এক আলোচনায় বলেন, ‘…আমি মনে করি প্রশমনের চেয়েও অভিযোজন গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ক্ষতিপূরণের জন্য কাজ অব্যাহত রাখা গুরুত্বপূর্ণ। শুধু গবেষণা, নীতি কিংবা জাতীয় প্রতিবেদন স্বচ্ছ হলে হবে না, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের অঙ্গীকারের প্রতিও দায়বদ্ধ হতে হবে।’

দুবাই এক্সপো সিটি মেট্রোয় নেমে সম্মেলনে ঢুকতে দীর্ঘ সারিতে অপেক্ষা করতে হয়। গরমে দমবন্ধ সবার। পেছনে কয়েকজন বলাবলি করছেন, এভাবে দীর্ঘ সময় কষ্ট করে বিরক্তি নিয়ে ঢোকার পর আলোচনা কিংবা দেনদরবার করবার কি আর মুড থাকে? ভারতের নয়াদিল্লি থেকে এসেছেন ‘সি চেঞ্জেস ক্লাইমেট’ নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি মমতা বড়গয়ারি। দুবাই জলবায়ু সম্মেলনের তহবিলবিষয়ক সাম্প্রতিক উদ্যোগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘...কোনোভাবেই এ তহবিলের অঙ্গীকার যথেষ্ট নয়, যুক্তরাষ্ট্রের মতো এত বড় দেশ কীভাবে এম কত ফান্ড দিতে পারে? এসব ফান্ড সত্যিকারের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর কাছে কীভাবে পৌঁছাবে, এসব আলোচনায় আনতে হবে। জলবায়ু সংকট অবশ্যই একটি নেতৃত্ব সংকটের সমস্যা। বৈশ্বিক জলবায়ু দেনদরবারে নারীদের কার্যকর অংশগ্রহণ নেই। হাজার হাজার গ্রাম ডুবে যাচ্ছে, আদিবাসীরা বাঁচার জন্য লড়ছে, কোনোভাবেই কেবল ফান্ড দিয়ে এসব সমাধান করা যাবে না। সর্বস্তরের প্রতিনিধিকে জলবায়ু আলোচনায় জায়গা দিতে হবে।’ বাংলাদেশ দলের যুবপ্রতিনিধি হয়ে এসেছেন ইমরান হোসেন। ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ)’-এর ‘ইয়ুথ-ফেলো’ হিসেবে তিনি সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। জানালেন, ঘোষিত জলবায়ু তহবিল যথেষ্ট নয় এবং এ ফান্ড কীভাবে জলবায়ু যুবদের জন্য ব্যবহৃত হবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। খাদ্যসার্বভৌমত্ব ও জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে সংগঠিত দক্ষিণ এশিয়ার কৃষক ও অ্যাকটিভিস্টদের এক বৈশ্বিক আন্দোলনের নাম ‘গ্লোবাল পিপলস ক্যারাভান’। এর মুখপাত্র চেন্নাইয়া পগুরি বলেন, ‘...অপর্যাপ্ত এবং বিশ্বব্যাংক নিয়ন্ত্রিত এসব তহবিলের অঙ্গীকার জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ জনগণের জন্য অপমানজনক। আশা করছি বিশ্বনেতৃত্ব দুনিয়ার সব প্রান্তের কণ্ঠস্বরকে সম্মান জানাবেন। গুরুত্ব দেবেন। পৃথিবী সুরক্ষার অঙ্গীকার ভঙ্গ করবেন না।’

লেখক ও গবেষক

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা