× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সাধারণ্যে

ঢাকায়ই রইয়া গেলাম

প্রবা

প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৩ ১০:২০ এএম

ঢাকায়ই রইয়া গেলাম

মালেক। গ্রামের বাড়ি ফেনিতে। ঢাকার মিরপুরে রিকশা চালান। পায়ে চালানো এই রিকশার আয়ে দিয়েই তার দিনাতিপাত, সংসার খরচ চালানো। সকালে বের হয়ে রাতে ফিরে যান মেসে। যাপিত জীবনের প্রতিবন্ধকতা ও নিজের জীবনের অতীতের খুঁটিনাটি বিষয়ে কথা হয় প্রতিদিনের বাংলাদেশের সঙ্গে।

ঢাকায় আজ কত বছর ধরে আছেন?

আঠারো-উনিশ বছর তো হইছে। অনেক ছোটবেলায় আসছি। তখন আমার বয়স আঠারো কি উনিশ। আসছিলাম ইনকামের আশায়। অনেক দিন পার হইয়া গেছে। এখন ঢাকাতেই রইয়া গেলাম। মনে হয় এইখানেই ছিলাম সবসময়।

 

রিকশা কি শুরু থেকেই চালাতেন?

নাহ! অল্প বয়সে কি আর কেউ রিকশা দেয়? এখন তো অটোরিকশা বাইর হইছে। ছোট ছোট পোলাপানও চালায়। আমার সময় এত সহজ ছিল না। মহাজনকে জমার টাকা দিতে তো হইব। আমি ঢাকায় আসার পর বুঝতে পারতাছিলাম না কী করমু। মহাজনের গ্যারেজে রিকশা মুছতাম। এইডা ওইডা আগায় দিতাম। তারপর রিকশা চালানো শিখলাম। মহাজন দিলো। তার আগে চাকরি করছি। ১৫ টাকার চাকরি। ওই দিনে অনেক পরিশ্রম করতে হইছে। এখন রিকশা চালাই।

মালেক

অটো থাকতে পায়ের রিকশা কেন?

অটোতে খালি আরামই। মহাজনরে ২০০ টাকা রোজ দিতে হয়। তারপর ব্যাটারি চার্জ দিতে আরও ২০০। ৪০০ টাকা তো এইখানেই নাই। তারপর অটোরে পুলিশ ধরে। মিরপুরের এদিকে চিপাচাপা দিয়া চালাই। তাও পুলিশ ধরে। ধইরা জরিমানা করে ৫০০। আর অটো অনেকে চালায় রাইতে। আমার দিনের বেলায় ইনকাম করতেই ভাল্লাগে। রাতে জান-মালের কোনো গ্যারান্টি নাই। আর অটো আমার ভয় করে। পেছনে একজন যাত্রী নিয়া যাইতেছি, তার গাইলও খাইতে হয় আবার বিপদও থাকে। অটোরিকশাগুলা যারা চালায় অরা অনেক ঝামেলা পাকায়।

 

গ্রামে কি যাওয়া হয়?

না। বাড়িতে যাওয়া হয় না। ঢাকায় যে আসছি ওই থাইকা যাওয়া। আমার ঢাকা ছাইড়া যাইতে ইচ্ছা করে না। এইখানে আপন কেউ নাই। তবে নিজের মতো থাকা যায়। কেউ কাউরে বিরক্ত করে না। আর বাড়িতে যাওয়ার দরকার পড়ে না। বাড়িতে টাকা পাঠাইলেই হয়।

 

ঢাকার এখনকার অবস্থা নিয়ে কী বলবেন?

ঢাকার কথা তো জানি না। আমার এই রিকশা নিয়া যতটুক যাই। রাস্তা ভালো হইছে। আর জানের বিপদ বাড়ছে। বাস এখন তো রাজা। পায়ের রিকশা, অটোর মতো এত কন্ট্রোল নাই আমার। চাপ দেয়, তখন খুব বিপদ। এমনিতে এখন পায়ের রিকশা চালানোর সুবিধাও ভালো। এত তো ভাঙাচোরা রাস্তা না। বাজার করতে হয় না। তয় মানুষ অলস। এক নাম্বার বাজারে অনেক কমে সবজি কেনা যায়। মিরপুরে ছড়ায়-ছিটায় আছে অনেক বাজার। মানুষ যদি ভাগ ভাগ কইরা কিনত, এত ঝামেলা পড়ত না। মানে যাও ঝামেলা আছে একটু মানাইতে পারত। এইডা আমার কথা। সবাই তো এক জায়গায় চায় সব।

  • আলাপনে : আমিরুল আবেদিন
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা