× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সাধারণ্যে

এখন সবই ভালো, খালি জিনিসের দাম বেশি

প্রবা

প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৩ ১১:২৬ এএম

   এখন সবই ভালো, খালি জিনিসের দাম বেশি

মন্টু রবিদাস। জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের বাগুয়ান গ্রামে তার বাড়ি। পেশায় তিনি একজন চর্মকার। আট বা দশ বছর বয়সে অভাবের তাড়নায় বাবার সঙ্গে এই পেশায় জড়িয়ে পড়া। বর্তমানে তার বয়স ৬০। বিয়ে করেছেন, সন্তান হয়েছে, নাতি-নাতনিও হয়েছে। আরাম-আয়েশের এই চর্মকারের কাজ করে এখনও সংসার চালাতে হয়। জয়পুরহাট জেলা শহরের জিরোপয়েন্ট মসজিদ মার্কেট এলাকায় দীর্ঘদিনে তিনি হয়ে উঠেছেন পরিচিতমুখ। প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর সঙ্গে দেওয়া তার সঙ্গে আলাপনের কিছু অংশ তুলে ধরা হলো।

কেমন আছেন, আয়-রোজগার কেমন?

ভালো নাই বাবা। কাজ-কাম আগের মতো নাই। দিন ভালো যাচ্ছে না। দিনে দেড়শ-দুইশ টাকা কামায় হচ্ছে। এই দিয়ে সংসার চলে না। বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি। লবণ আনতে ঝাল ফুরায়, ঝাল কিনতে লবণ ফুরায়। কোনমতে চলে। মানে টানাটানির সংসার আর কি।

 

সংসারে কে কে আছে?

তোমার কাকি আছে। দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে। তাদের বিয়ে দিছি। ওদের সংসার হইছে। নাতি-নাতনি আছে। বেটির (মেয়ে) বিয়া দিছি, একে-ওকে বলে টাকা তুলে। তার তিনটা সন্তান আছে। জামাইটা কিছুদিন আগে মারা গেল। দুঃখে-কষ্টে চলছে।


ছেলেরা আপনার খরচ দেয় না?

তারা কী খরচ দেবে? তাদেরই তো সংসার চলে না। বড় ছেলে ঠাকুর রবিদাস ভ্যান চালায়। তার দুই মেয়ে। ছোটটা রতন রবিদাস সেলুনে খৌরকারের কাজ করে। তার এক ছেলে হইছে। তাদেরও তো সংসার চালাতে হয়। আমি কাজ-কাম করে প্রতিদিন নাতি-নাতনির জন্য খাবার কিনে নিয়ে যাই। ভালো-মন্দ কিছু কিনলে ছেলেদেরও দিই। তারাও দেয়। মিলামিশা চলতেছি। এই বয়সে কি আর আমার পরিশ্রমের সময়? তাও করতেছি।

মন্টু রবিদাস


কত দিন ধরে এই পেশায় আছেন?

অনেক দিন। অত কি আর মনে রাখতে পারি! আট-দশ বছর বয়স থেকে এই কাজ করছি। সংসারে অভাব ছিল। তখন বাবার সঙ্গে হাটে হাটে যেতাম। ওই ধামইরহাট, মঙ্গলবাড়ি, পাঁচবিবি যেতাম, এখানে (জয়পুরহাট) আসতাম। এসব জায়গায় যেতে হাঁটতে হতো। খুব ভোরে বাড়ি থেকে হেঁটেই চলে যেতাম, দুপুরে ধামইরহাট পৌঁছাতাম, সেখানে কাজ করে আবার সন্ধ্যায় বাড়ির পথে আসতাম। রাত ১২টার দিকে বাড়ি পৌঁছতাম। মা রাতেই রান্না করত, খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যেতাম। আবার ভোরে উঠে অন্য হাটে যাওয়া হতো।


সেসময় আর এখনকার সময়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য করবেন?

তখনকার সময় আর এখনকার সময়, অনেক তফাত। আগে গাড়ি ছিল না, রাস্তা ভালো ছিল না। এখন গাড়ি হইছে, রাস্তা হইছে। হাঁটতে হয় না। বাড়ি থেকে বের হলেই গাড়ি। অনেক কিছুর বদল হইছে। এখন সবই ভালো কিন্তু জিনিসের দাম বেশি। তখন এক হাটের কামায় দিয়ে দুই কেজি চালের পয়সা হতো। ভালোই চলত। আর এখন দিনের কামায় দিয়ে কী কিনতে কী কিনমু, সেটা নিয়ে চিন্তা করতে হয়।


সরকার তো নানারকম সহযোগিতা দিচ্ছে। আপনি পান না?

আমার বাড়ি ইউনিয়নের মধ্যে, সেখান থেকে তেমন কিছু পাই না। জয়পুরহাট পৌরসভা থেকে কিছু সহযোগিতা পাই। তা ছাড়া কোনো নেতাকে বললে তারা কোথাও থেকে সহযোগিতার ব্যবস্থা করে দেন। এই করেই চলছে।

  • আলাপনে : চম্পক কুমার
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা