× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নোবেল বিজয়ীর অধিকারের জাঁতাকলে পিষ্ট শ্রমিকের অধিকার

মামুন-অর- রশিদ

প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৪৭ পিএম

আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:৫১ পিএম

সিনিয়র সাংবাদিক, ফ্রিল্যান্সার মামুন-অর- রশিদ।

সিনিয়র সাংবাদিক, ফ্রিল্যান্সার মামুন-অর- রশিদ।




নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে একের পর এক বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ ও নানান আন্তর্জাতিক সংস্থা। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনসহ শতাধিক নোবেল বিজয়ী এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের মতো সংস্থা। সবার বিবৃতির মোদ্দাকথা হলো সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত করে একজন নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসকে হয়রানি করছে এবং উনাকে এসব মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া উচিত।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে চলমান একটি ফৌজদারি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবার পর থেকে এই বিবৃতি প্রদানের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বিবৃতিদানের পক্ষে বিপক্ষে দেশে বিদেশে তৈরি হচ্ছেন নানান মত। বিষয়টির সার্বিক পর্যালোচনার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন মামলাসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা।  

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াইশোটি মামলা দায়ের হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। একটি মাত্র ফৌজদারি মামলা ছাড়া বাকি সব মামলাই দায়ের করেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণকল্যাণ, গ্রামীণ ডিস্ট্রিবিউশন ও গ্রামীণ কমিউনিকেশনের শ্রমিক কর্মচারীরা। এই মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে শ্রম আইন অনুযায়ী লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে। শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, কর্মচারী অংশীদারত্ব ও কল্যাণ তহবিল গঠন না করা এবং কোম্পানির লভ্যাংশের ৫% কর্মচারীদের প্রদান না করা সংক্রান্ত শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে একমাত্র ফৌজদারি মামলাটি দায়ের করা হয়েছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর হতে। অর্থাৎ এই মামলাটিও শতভাগ শ্রমিকের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট, এখানে সরকারের কোনো স্বার্থ নেই। বরং রাষ্ট্র অসহায় শ্রমিকদের ন্যায্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতেই এই মামলা করেছে। এই মামলা সমূহের মধ্যে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীগণ তাদের দায়েরকৃত ১১০টি মামলা লভ্যাংশ প্রাপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যাহারের আবেদন করেছে। বাকি মামলাগুলো ‘সাবজুডিস’ ম্যাটার হওয়ায় সেগুলোর আলোচনা না করে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিকদের মামলাসমূহ সম্পর্কে একটু জানা যাক। 

গ্রামীণ টেলিকম প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৪ সালে যা গ্রামীণ ফোনের ৩৪.২% শেয়ারের মালিক। প্রতিষ্ঠার পর থেকে গ্রামীণ টেলিকম প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী না করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করে আসছিল যা শ্রম আইনের পরিষ্কার ব্যত্যয়। প্রশ্ন আসতে পারে কেন গ্রামীণ টেলিকম এই কাজটি করছিল? এই প্রশ্নের উত্তরের মাঝেই লুকিয়ে আছে শ্রমিকদের অধিকার বঞ্চিত করার এক ঘৃণ্য পরিকল্পনা। শ্রম আইন অনুযায়ী একটি প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী কর্মচারীগণ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের অংশীদার হয়, প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ আনুষঙ্গিক সুযোগসুবিধা লাভ করে এবং নিজস্ব দাবি দাওয়া আদায়ে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করতে পারে। অর্থাৎ গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীগণ কখনোই যেন কোম্পানির লভ্যাংশ না পায় কিংবা তাদের অধিকার আদায়ের বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে সেই লক্ষ্যে একদম শুরু থেকে এই হীন পরিকল্পনা করা হয়েছিল। একটি বার ভেবে দেখুন তো আপনি একটি প্রতিষ্ঠানে বিশ বছরের বেশি সময় ধরে চাকরি করার পরেও আপনার চাকরি যদি স্থায়ী না হয় কিংবা যখন তখন ছাঁটাইয়ের হুমকির মাঝে থাকেন তখন কেমন লাগবে আপনার?

গ্রামীণ ফোন হতে গ্রামীণ টেলিকম প্রতিবছর ১ হাজার কোটি টাকার বেশি মুনাফা পেলেও চাকরি স্থায়ী না হওয়ার কারণে গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীরা শ্রম আইন অনুযায়ী ৫% লভ্যাংশ প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হচ্ছিল। গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য আশার আলো নিয়ে আসে দেশের শীর্ষ স্থানীয় চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘হুদা ভাসি অ্যান্ড কোং’ এর ২০১৪ সালের অডিট রিপোর্ট। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০০০ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের অডিট রিপোর্টের কাজ করে এলেও ২০১৪ সালে তারা প্রথমবারের মতো উল্লেখ করে যে গ্রামীণ টেলিকমকে শ্রমিকদের ৫% লভ্যাংশ প্রদান করতে হবে। গ্রামীণ টেলিকমের পক্ষ হতে তাদের এই রিপোর্ট পরিবর্তনের জন্য বলা হলে তারা সেটি করতে রাজি না হওয়ায় গ্রামীণ টেলিকম পরবর্তী বছর অডিট ফার্ম পরিবর্তন করে ‘একনাবিন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস’ নামক নতুন অডিট ফার্ম নিয়োগ দেয়। ‘একনাবিন’ অডিট ফার্মটিও ২০১৫ সালের অডিট রিপোর্টে শ্রমিকদের লভ্যাংশ প্রদানের পক্ষে মতামত দিলে গ্রামীণ টেলিকম তাদেরও পরিবর্তন করে ‘জে আর চৌধুরী’ নামক নতুন অডিট ফার্মকে নিয়োগ দেয় যারা কি না মাত্র দুই দিনের মধ্যে গ্রামীণ টেলিকমের পছন্দানুযায়ী অডিট রিপোর্ট প্রদান করে। খেয়াল করে দেখুন লভ্যাংশ প্রদানের বিষয়টি এসেছে ড. ইউনূসের নিয়োগকৃত অডিট চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফার্মের অডিট রিপোর্ট থেকেই, এতে সরকার কিংবা কারও কোনো হস্তক্ষেপ থাকার প্রশ্নই আসে না। 

অডিট রিপোর্টের মতামত অনুযায়ী লভ্যাংশ প্রাপ্তির সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় গ্রামীণ টেলিকমের ২৭ জন শ্রমিক কর্মচারী ২০১৭ সালে সর্বপ্রথম শ্রম আদালতে চাকরি স্থায়ী এবং লভ্যাংশ প্রাপ্তির দাবিতে মামলা দায়ের করে। পরবর্তী বছরগুলোতে গ্রামীণ টেলিকমের অন্যান্য শ্রমিকরাও একই দাবিতে মামলা করে। গ্রামীণ টেলিকমের পক্ষ থেকে শ্রম আদালতে দায়েরকৃত মামলা বাতিলের দাবিতে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করা হয়। শুধু তাই নয় এসব মামলাসমূহের রায় নিজেদের পক্ষে আনার জন্য গ্রামীণ টেলিকম ‘ঢাকা লজিস্টিকস’ নামক একটি লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে ১৩ কোটি ৮০ লাখ টাকার একটি চুক্তিও করে। যদিও গণমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হবার পর সেই চুক্তি বাতিল হয়। গ্রামীণ টেলিকম তথা ড. ইউনূসের পক্ষ হতে কোটি কোটি টাকা আইনজীবী ফি বাবদ খরচ করা হয়েছে এসব মামলাকে দীর্ঘায়িত করতে। এসব মামলা চলাকালীন সময়েই ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর এক নোটিসে গ্রামীণ টেলিকমের সব কর্মচারীকে (৯৯ জন) চাকরিতে থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আইনগতভাবে স্বীকৃত অধিকার আদায়ে আদালত প্রাঙ্গণে ঘুরতে থাকা অসহায় শ্রমিক কর্মচারীদের প্রতি কতটা ক্ষোভ ও আক্রোশ থাকলে কোভিড মহামারির সময় তাদের চাকরিচ্যুত করা যায়! কোথায় ছিলেন তখন ড. ইউনূসের পক্ষে দাঁড়ানো বিবৃতি দাতাগণ? নাকি সব অধিকার শুধু নোবেল বিজয়ীর জন্যই বরাদ্দ!  

অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করার আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন শ্রমিক কর্মচারীগণ এবং উচ্চ আদালত ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি ফিরে পেলেও তাদের কোনো কাজে সম্পৃক্ত করেনি গ্রামীণ টেলিকম, লভ্যাংশ প্রদান তো দূরের কথা! লভ্যাংশ প্রাপ্তির মামলাসমূহে আইনি প্রতিকার না পেয়ে ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারীদের পক্ষ হতে ‘গ্রামীণ টেলিকম’ কোম্পানির অবসায়ন চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন। উক্ত রিট পিটিশনে ড. ইউনূস এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের ন্যায্য লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত করা, গ্রামীণ টেলিকমের শত শত কোটি টাকা অন্যত্র স্থানান্তর, লবিস্ট ফার্ম নিয়োগের মাধ্যমে আদালতে প্রভাবিত করে চলমান মামলাসমূহের রায় নিজেদের পক্ষে আনার চেষ্টা করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের পূর্বক কোম্পানিটির অবসায়ন ঘটিয়ে কর্মচারীদের পাওয়া বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিতে সংঘটিত নানাবিধ আর্থিক অনিয়ম এবং দুর্নীতি উদঘাটনের জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসক নিয়োগেরও দাবি করা হয় উক্ত রিট পিটিশনে। উক্ত রিট পিটিশনটি আদালত কর্তৃক গৃহীত হবার পরিপ্রেক্ষিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তথা গ্রামীণ টেলিকম সত্যিকার অর্থেই ভীত হন। কেননা উক্ত মামলার আলোকে গ্রামীণ টেলিকম সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ তদন্ত হলে প্রতিষ্ঠানটির সব অন্যায় অনিয়ম বের হয়ে আসবে। তাই তিনি শ্রমিকদের আইনজীবী এবং শ্রমিক নেতাদের প্রায় পঁচিশ কোটি টাকা অনৈতিক আর্থিক সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে মামলাসমূহ সমঝোতা করে ৪৩৭ কোটি টাকা লভ্যাংশ প্রদানে রাজি হন। ফলে গ্রামীণ টেলিকমের ১৬৪ জন শ্রমিক তাদের লভ্যাংশ পায় এবং তাদের দায়েরকৃত মামলাসমূহ প্রত্যাহারের আবেদন করে। তবে লভ্যাংশ প্রদানকালে আইনজীবী ও শ্রমিক নেতাদের অনৈতিক আর্থিক সুবিধা প্রদানের বিষয়টি দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় এই বিষয়ে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। 

দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে গ্রামীণ টেলিকমের ১৬৪ জন কর্মচারী তাদের লভ্যাংশ প্রাপ্ত হলেও গ্রামীণ টেলিকমের ১৮ জন শ্রমিক এবং  গ্রামীণকল্যাণ, গ্রামীণ কমিউনিকেশন ও গ্রামীণ ডিস্ট্রিবিউশনের শ্রমিকগণ এখন পর্যন্ত কোনো লভ্যাংশ পায়নি। সেই মামলাসমূহ এখনও চলমান রয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস আইনজীবীদের পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন এসব মামলা দীর্ঘায়িত করা জন্য কিন্তু শ্রমিকদের দিচ্ছেন না ন্যায্য পাওয়া। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর হতে ২০২১ সালে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলাটির কার্যক্রম বাতিলের জন্যও উচ্চ আদালতে একাধিক আবেদন করেছিলেন ড. ইউনূস। উচ্চ আদালত ও সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘ দুই বছর আইনি লড়াই শেষে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী অবশেষে ২০২৩ সালে শ্রম আদালতে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। অর্থাৎ এই মামলাটি দীর্ঘায়িত করতে ড. ইউনূস সম্ভাব্য সব আইনি পদক্ষেপই গ্রহণ করছেন। 

ওপরের আলোচনা থেকে এটি দিবালোকের মতোই পরিষ্কার যে, ড. ইউনূস তার নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহে শ্রমিকদের অধিকার বারংবার লঙ্ঘন করেছেন, তাদের ন্যায্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত করেছেন। যখন অধিকারের দাবিতে শ্রমিকরা আইনের আশ্রয় নিতে গিয়েছেন তখন তাদেরই হয়রানি করা হয়েছে, করা হয়েছে চাকরিচ্যুত। দুনিয়ার জোরে নীতিবাক্যের ছবক দিয়ে বেড়ানো অর্থনীতির অধ্যাপক ড. ইউনূস শ্রমিক অধিকার বিষয়ে জানেন না এমনটা হবার কথা নয়। তিনি জেনে বুঝেই এই কাজটি করেছেন। আর এখন আদালতের মাধ্যমে শ্রমিকরা যখন তাদের ন্যায্য ফিরে পাবার সুযোগ পাচ্ছে তখন তিনি এই সব মামলাসমূহকে সরকারের প্রতিহিংসামূলক মামলা হিসেবে প্রচারে উদ্যোগী হয়েছেন। লবিং তদবিরের মাধ্যমে জোগাড় করছেন একের পর এক বিবৃতি। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে তথ্য সংগ্রহ করা কোনো দুরূহ বিষয় না। ড. ইউনূসের পক্ষে যারা বিবৃতি দিচ্ছেন তারা যদি নিজেরা খোঁজ নিয়ে দেখার চেষ্টা করতেন মামলা সমূহের প্রেক্ষাপট ও বিষয়বস্ত কী তাহলে তারা নিজেরাই হয়তো প্রকৃত সত্য অনুধাবন করতেন। আর তারা যদি জেনেশুনেই এই কাজ করে থাকেন তাহলে পদ্মা নদীর মাঝির মতো বলতে হয়, ‘ঈশ্বর থাকেন অই ভদ্রপল্লীতে, এখানে থাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।’ 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা