রাষ্ট্রচিন্তা
আবদুল মান্নান
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:০১ পিএম
আবদুল মান্নান
সপ্তদশ শতক থেকে
শুরু করে পরবর্তী প্রায় ৩০০ বছর বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ বাকি দুই-তৃতীয়াংশকে শাসনের
নামে শোষণ করেছে। শোষকের ভূমিকায় ছিল ইউরোপীয় দেশসমূহ আর তারা সম্মিলিতভাবে শোষণ করেছে
উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশ। বলা হয়, ইংরেজ শাসনের
শুরুতে ভারতবর্ষে (প্রকৃত অর্থে বাংলা আর আসাম) বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ জিডিপি উৎপাদন
হতো আর পরবর্তী ২০০ বছরে তাদের শোষণের ফলে ভারতবর্ষ তথা বাংলা হয়ে পড়ে ক্ষুধা-দারিদ্র্য
পীড়িত একটি অঞ্চল। ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তিগুলোর ভয়াবহ নির্মমতার শিকার হয়েছে আফ্রিকা
মহাদেশ। এক বেলজিয়ামই কঙ্গোয় হত্যা করেছে কোটির বেশি মানুষ। কবজি থেকে হাত কেটে নিয়েছে
কয়েক লাখের। দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করে হত্যা করেছে আরও অসংখ্য আদমসন্তান। আফ্রিকার বিভিন্ন
দেশে এখন ঔপনিবেশিক শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে তুমুল অসন্তোষ আর প্রতিরোধ গড়ে উঠছে। সম্প্রতি
ছোট দেশ নাইজারে সেনা অভ্যুত্থান হলো। নাইজার পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনে ব্যবহার্য পদার্থ
ইউরেনিয়ামের অন্যতম জোগানদাতা দেশ। দেশটি একসময় ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল। সেনা অভ্যুত্থানের
পর সেনাশাসক ঘোষণা করল তারা তাদের ইউরেনিয়াম পশ্চিমের কোনো দেশে আর রপ্তানি করবে না।
প্রমাদ গুনল সব দেশ। ফ্রান্সকে না জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের
কর্মকর্তা ছুটলেন নাইজারে। দেখা করলেন সেনাশাসকের সঙ্গে। ফ্রান্সকে না জানিয়ে এ কাণ্ড
করায় ফ্রান্স বেজায় অখুশি। যুক্তরাষ্ট্র আবারও প্রমাণ করল তারা নিজের স্বার্থ ছাড়া
অন্য কিছু বোঝে না। মানবাধিকার, গণতন্ত্র এসব কথার কথা। এটা তো সেই দেশ, যে ১৯৮৯ সালে
পানামার কর্তৃত্ববাদী শাসক ম্যানুয়েল নরিয়েগাকে তার দেশ থেকে অপহরণ করে যুক্তরাষ্ট্রে
নিয়ে গিয়ে কারাগারে পুরেছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত। সেই
নরিয়েগাকে তথাকথিত বিচারের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ৪০ বছরের সাজা দিয়েছিল।
ইদানীং যুক্তরাষ্ট্র
আর ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশ নিয়ে যে ধরনের মাতম শুরু করেছে তা দেখে মনে
হয়, এ দেশটি তাদের নতুন উপনিবেশ বা করদরাষ্ট্র। সঙ্গে আছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা,
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ। তারা হয়তো ভুলে গেছে, এ দেশটা স্বাধীন
করতে একাত্তরে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়। এতদিন ইউরোপীয় ইউনিয়নের আচরণ তেমন একটা বেপরোয়া
ছিল না। সম্প্রতি বেগম জিয়ার সময়কার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদিলুর রহমান খান, যিনি
আবার ‘অধিকার’ নামে একটি বিতর্কিত মানবাধিকার সংস্থার প্রধান; তাকে প্রচলিত আইনে আদালত
অসত্য তথ্য প্রকাশ করে দেশে বিভ্রান্তি ছড়ানোর দায়ে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন।
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট শুধু এ সাজার বিরুদ্ধে অবস্থানই নেয়নি, তা বাতিলেরও দাবি করছে।
এর বাইরে গিয়ে আবার ফ্রান্স ও জার্মানি পৃথকভাবে একই দাবি তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্র তো
আছেই। তাদের এ ধরনের আচরণ সরাসরি এ দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল। মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র তো ঢাকা শহরে গাড়ির চাকা ফাটলেও সেখানে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিপন্ন
আবিষ্কার করতে দ্বিধা করবে না। অথচ যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশসমূহের সঙ্গে
বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও উন্নয়নজনিত সম্পর্ক রয়েছে; যা প্রতিনিয়ত
বৃদ্ধি পাছে। আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত প্রায় প্রতিটি দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের
সাধারণ মানুষ একাত্তরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে শুধু সমর্থন করেনি; সহায়তাও করেছে। তাদের
কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশে একটি তাঁবেদার সরকার কখন বসবে তার দিনক্ষণ গোনা
শুরু করেছে।
একটি দেশ তার
নিয়মিত কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য নিজেরাই আইন প্রণয়ন করে। সে আইনে সে দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য,
রীতিনীতি প্রতিফলিত হয়। আবার আধুনিক বিশ্বের অধিকাংশ দেশই একাধিক আন্তর্জাতিক সনদে
স্বাক্ষর করে সেই সনদে উল্লিখিত ধারাগুলো মেনে চলতে বাধ্য থাকে। অন্যদিকে সব আইনেরই
নানা ধরনের ব্যাখ্যা থাকে। তা সাধারণত সংশ্লিষ্ট দেশের আদালত বা বিচারালয় দিয়ে থাকেন।
এমন একটি সনদ হচ্ছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ। সেই সনদে স্বাক্ষরকারীরা
সনদের প্রতি সম্মান জানাবেন তা-ই প্রত্যাশিত। অথচ এ সনদ নিয়মিত লঙ্ঘন করে বিশ্বের পরাশক্তিগুলো।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তের কোনো তোয়াক্কা না করে যুক্তরাষ্ট্র ইরাক আক্রমণ
করে একটি প্রাচীন জনপদ ধ্বংস করে। পবিত্র ঈদের দিনে ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে
ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে। হত্যা করা হয় লিবিয়ার নেতা গাদ্দাফিকে। কারও সাধ্য নেই এসবের
বিরুদ্ধে কোনো কথা বলার। মিয়ানমার লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে তাদের বাপদাদার ভিটেমাটি থেকে
উচ্ছেদ করে দিল। দেশটির এমন অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে পশ্চিমা মুরুব্বিরা তো কোনো ব্যবস্থা
নেয়ইনি, বরং তাদের সঙ্গে গত এক দশকে ব্যবসা আর বিনিয়োগ বাড়িয়েছে কয়েক গুণ। সে দেশের
নোবেলজয়ী নেতা অং সান সু চি এ গণউচ্ছেদের পক্ষে শুধু অবস্থানই নেননি, আন্তর্জাতিক আদালতে
গিয়ে সাফাইও গেয়েছেন!
ফিরে আসি আদিলুর
রহমান খান প্রসঙ্গে। ২০০৮ সালে নির্বাচনে জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত বিএনপি-জামায়াত
জোট বর্তমান সরকার উৎখাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন করে আসছে। ২০১৩-১৪ সালে সে আন্দোলন
চরম নৈরাজ্যে রূপ নিয়েছিল। সরকার উৎখাতের নামে দেশে চলেছিল এক ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাস।
আগুনে পুড়ে মারা যায় ১৫ পুলিশ সদস্যসহ ৪৯২ জন। সম্পদ ধ্বংস হয় কয়েকশ কোটি টাকার। ধর্মের
উপাসনালয় পর্যন্ত বাদ যায়নি। তখন জাতিসংঘসহ সব বিশ্বমোড়ল এ নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে একটা
শব্দও উচ্চারণ করেনি। ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার কেন্দ্রস্থল মতিঝিল শাপলা চত্বরে জড়ো হয়েছিল
হেফাজতে ইসলাম নামে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক একটি সংগঠনের সমর্থকরা, যাদের অনেকের বয়স
ছিল ১০-১২ বছর। তারা দেশের নারীদের উন্নয়নের জন্য সরকার ঘোষিত নারীনীতি বাতিলের দাবিতে
সমাবেশ করছে বললেও সরকার উৎখাতের কর্মসূচি ঘোষণা করে। সারা দিন ঢাকা শহর অচল করে দিয়ে
সমাবেশস্থলে ভয়াবহ তাণ্ডব চালায়। তাদের এ কর্মযজ্ঞে বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় পার্টি
সমর্থন দেয়। তাদের এ ভয়াবহ কর্মকাণ্ডের কয়েকশ গজ দূরেই রাষ্ট্রপতির ভবনÑ বঙ্গভবন।
রাত যতই বাড়তে
থাকে উচ্ছৃঙ্খলতার ব্যাপ্তিও বাড়তে থাকে। বাংলাদেশের রাজধানীর কেন্দ্রস্থল তখন জ্বলছিল।
মধ্যরাতের কিছু আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করা শুরু করে। ব্যবহার
করা হয় রাবার বুলেট আর সাউন্ড গ্রেনেড। সাউন্ড গ্রেনেডে কোনো বারুদ বা স্প্লিন্টার
থাকে না। সমাবেশে আগত লোকজনকে সরিয়ে দিতে ঘণ্টা দুয়েক লাগে। এদিন দেশি ও আন্তর্জাতিক
গণমাধ্যম আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সারা দিন ও রাতের কার্যক্রম সরাসরি প্রচার করে।
এটি নিশ্চিত ছিল, সেদিন অকুস্থলে কোনো প্রাণহানি হয়নি। তবে ঢাকার উপকণ্ঠে আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়ালে কয়েকজনের মৃত্যু হয়, যার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনীর সদস্যও ছিল।
৫ মে’র ঘটনাটি
ছিল অভূতপূর্ব, যা অনেকটা গৃহযুদ্ধ শুরু করার শামিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সময়োচিত
ব্যবস্থা না নিলে সেদিন আরও বড় কোনো ঘটনা ঘটে যেতে পারত। পরদিন এ ঘটনা সব দেশি ও আন্তর্জাতিক
গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ঘটনার এক মাসের বেশি সময় পর কোনো বস্তুনিষ্ঠ তথ্যপ্রমাণ ছাড়া
‘অধিকার’ তাদের একটি বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলে, এ ঘটনায় কমপক্ষে ২ হাজার ৫০০
হেফাজত কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে একই কায়দায় বিএনপিসহ সব সমমনা দল বলে কয়েকশ
নিহত হওয়ার কথা। এ বিষয়ে বিভিন্ন মহল যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন তোলার পর ‘অধিকার’ পরে এ সংখ্যা
৬১-তে নামিয়ে আনে। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর তাদের কাছে তথ্যপ্রমাণ চাইলে তারা দিতে
অস্বীকার করে। ২০১৩ সালের ১১ আগস্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘অধিকার’-এর দপ্তরে
তল্লাশি চালিয়ে একটি তালিকা জব্দ করে, যা ছিল সম্পূর্ণ ভুলে ভরা ও গোঁজামিলসর্বস্ব।
সংগঠনটির সম্পাদক আদিলুর রহমান খানের বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ও
উত্তেজনা সৃষ্টির দায়ে মামলা হয় যা ১০ বছর চলে। যার ফলে সম্প্রতি আদিলুর রহমান খান
ও তার একজন সঙ্গীকে দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়। এ সাজার বিরুদ্ধে সাজাপ্রাপ্তরা উচ্চ
আদালতে আপিল করার সুযোগ পাবেন। আদিলুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলাটি মানবাধিকারের বিষয়ে
ছিল না। ছিল গুজব ও অসত্য তথ্য প্রচার করে দেশে অশান্তি সৃষ্টির বিরুদ্ধে।
সাইবার নিরাপত্তা
আইনে আদিলুর রহমানের সাজা হয়েছে। এমন আইন সব দেশেই আছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইন বিষয়ক ১৮
নম্বর কোডের ৩৫ নম্বর ধারায় কোনো ব্যক্তি মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত
করার চেষ্টা করলে তার ১ হাজার ডলার জরিমানা ও পাঁচ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে। ইউরোপিয়ান
ইউনিয়নে আছে ২০২০ সালের ‘ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট’। এ আইনে বলা আছে, তথ্যপ্রযুক্তির
মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করলে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া
হবে। ইদানীং দেখা যায়, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এসব পশ্চিমা দেশের দৃষ্টিভঙ্গি শুধু অযৌক্তিকই
নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতও বটে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা আদিলুর রহমানের সাজা ঘোষণার
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের পার্লামেন্টে এ সাজার বিরুদ্ধে বিতর্কিত সিদ্ধান্তটি নিলেন।
এতে বোঝা যায়, এ কাজটি করার জন্য তারা আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন। বাংলাদেশের কোনো কোনো
বিজ্ঞ নাগরিক মনে করেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রপ্তানির শুল্কমুক্ত
সুবিধা ব্যাহত করতে পারে। কারণ এ দেশগুলো যেসব দেশে মানবাধিকার, গণতন্ত্র প্রশ্নবিদ্ধ
সেখানে এ সুবিধা দেয় না।
ভিয়েতনাম, মিয়ানমার,
চীন, রাশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যের আরব রাষ্ট্রগুলোয় এসবের বালাই নেই অথচ সেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন
সেসব দেশ থেকে আমদানি না করলে এক মাসও চলতে পারবে না। একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে
আদিলুর রহমান বা তার সঙ্গীর সাজা হয়নি, হয়েছে অসত্য, বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে দেশে
অরাজক পরিস্থিতি ও অশান্তি সৃষ্টির জন্য। যারা কথায় কথায় আইনের শাসনের কথা বলেন,
তাদের তো নিজ দেশসহ সব দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ
যেখানে সরকার থেকে অনুমতি নিয়ে সরকার উৎখাতের আন্দোলন করা যায়, প্রকাশ্যে সরকারপ্রধানকে
হত্যার হুমকি দেওয়া যায়। তার পরও এ দেশের মানবাধিকার কি অন্য দেশগুলোর চেয়ে খারাপ?
২০ সেপ্টেম্বর,
২০২৩