× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

পরিপ্রেক্ষিত

বদলে গেছে দৃশ্যপট

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:৩১ এএম

বদলে গেছে দৃশ্যপট

যানজটের নগরী ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে উড়াল মহাসড়ক। ২ সেপ্টেম্বর এ উড়ালপথের একাংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। উড়ালপথ ব্যবহার করে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট প্রায় ১১ কিলোমিটার যেতে সময় লাগছে ১৫ থেকে কুড়ি মিনিট। তবে এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা নিতে যানবাহন কর্তৃপক্ষকে পরিশোধ করতে হচ্ছে নির্দিষ্ট পরিমাণ টোল। যানজট এড়াতে উন্নত বিশ্বে পরীক্ষিত যোগাযোগব্যবস্থা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এ ধরনের সড়কে বিরামহীনভাবে গাড়ি দ্রুতগতিতে চলে। এ উন্নয়ন প্রকল্পের বাকি অংশের (তেজগাঁও-কুতুবখালী) জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী বছর পর্যন্ত।

প্রকল্পের পুরো অংশ চালু হলে দিনে অন্তত ৮০ হাজার যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করবে। ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এ উড়ালপথে থাকবে না কোনো ট্রাফিক সিগন্যাল। অর্থাৎ ঢাকার সড়কের দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রকল্পের পুরো অংশ চালু হলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে খাদ্যসহ অন্যান্য পণ্য পরিবহন খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। এ প্রকল্প পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম, সিলেটসহ পূর্বাঞ্চল ও পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন ঢাকায় না ঢুকে সরাসরি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশ করবে। আবার উত্তরাঞ্চল থেকে আসা যানবাহনগুলোও ঢাকাকে পাশ কাটিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সরাসরি যাতায়াত করতে পারবে। ফলে আগামীতে ঢাকা ও পাশের এলাকার যানজট কমবে। কমবে ভ্রমণের সময়, খরচ। কিন্তু সাশ্রয়ের এই ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের মনোযোগ গভীর রাখা জরুরি।

ইতোমধ্যে রাজধানীবাসী মেট্রোরেলের সুবিধা ভোগ করছে। সড়কে যানজটের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথে আরেকটি মেগা প্রকল্পের দরজার বৃহদাংশে খুলে গেলো। ২ সেপ্টেম্বর শেরেবাংলানগরের পুরোনো আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা মাঠে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রান্ত-ফার্মগেট প্রান্ত) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আপাতত এ সড়কের বিমানবন্দরের দিক থেকে ওঠা গাড়ি নামবে ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড দিয়ে। আর ফার্মগেট প্রান্ত থেকে গাড়ি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠবে বিজয় সরণি ফ্লাইওভার দিয়ে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিতে (পিপিপি) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হচ্ছে বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত যাবে। প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এতে ওঠানামার জন্য ২৭ কিলোমিটারের ৩১টি র‌্যাম্প রয়েছে। এসব র‌্যাম্পসহ এক্সপ্রেসওয়েটি প্রায় ৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ। প্রকল্পের বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত এই উড়াল মহাসড়কের দরজা উন্মুক্ত হলো। এ অংশে ওঠানামার জন্য ১৫টি র‌্যাম্প রয়েছে। এর মধ্যে এয়ারপোর্টে দুটি, কুড়িলে তিনটি, বনানীতে চারটি, মহাখালীতে তিনটি, বিজয় সরণিতে দুটি ও ফার্মগেটে একটি। এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে থ্রি-হুইলার, মোটরবাইক, বাইসাইকেল ও পথচারী চলাচল করতে পারবে না। এই উড়াল মহাসড়ক ঢাকা শহরের উত্তর-দক্ষিণ করিডোরের সড়কপথের ধারণক্ষমতা বাড়াবে। মূলত উত্তর-দক্ষিণের সংযোগের জন্যই ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। আশা করা যায়, পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে রাজধানীবাসীর জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠবে এ প্রকল্প।


  • পরিচালক, এফবিসিসিআই
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা