× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

প্রেক্ষাপট

শাহজালালে পাখি-ঝুঁকি

দয়াল কুমার বড়ুয়া

প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৩ ১৫:২০ পিএম

আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৪৭ পিএম

শাহজালালে পাখি-ঝুঁকি

রাজধানীর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ১২ আগস্ট শনিবার উড্ডয়নের সময় পাখির সঙ্গে ধাক্কায় দুটি উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত দুটি উড়োজাহাজের যাত্রীদের অন্য উড়োজাহাজে গন্তব্যস্থলে পাঠানো হয়। তবে যাত্রীদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঢাকা-ব্যাংকক রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-৩৮৮ যাত্রীবাহী ফ্লাইটটি যাত্রা শুরু করে। উড্ডয়নের সময় রানওয়েতে উড়োজাহাজের সঙ্গে একটি পাখির ধাক্কা লাগে। পাইলট ব্রেক কষলে উড়োজাহাজের একটি চাকা ফেটে যায়। উড্ডয়ন বাতিল হওয়ায় যাত্রীদের ট্যাক্সিওয়েতে নামতে হয়। একই দিন দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে দুবাইয়ের একটি উড়োজাহাজের সঙ্গে। দুবাইয়ের ফ্লাইটটি উড্ডয়নের সময় পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে এর বাঁ পাশের ইঞ্জিনের তিনটি ব্লেড ও দুটি চাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর আগে গত বছর ডিসেম্বরে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ইঞ্জিনে পাখির আঘাতে বিমানের একটি ড্রিমলাইনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

গত ১০ মাসে পাখির সঙ্গে উড়োজাহাজের সংঘর্ষ ঘটেছে কমপক্ষে ৩২টি। এতে সৌভাগ্যক্রমে প্রাণহানি না ঘটলেও উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে বিশেষ ডিভাইসের সাহায্যে মনিটরিং করে লেজার রশ্মি এবং বিশেষ সাউন্ড ব্যবহার করে পাখি তাড়ানো হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দেশের সবকটি বিমানবন্দরে পাখি তাড়ানোর জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে তা জানা গেছে। সেই সঙ্গে ম্যানুয়ালিও পাখি তাড়ানোর ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।

দেশে তিনটি আন্তর্জাতিকসহ আটটি বিমানবন্দর রয়েছে। শুধু শাহজালাল বিমানবন্দরে পাখি তাড়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে। একাধিক পাইলট জানান, বিমান অবতরণ ও উড্ডয়নের সময় উড়ন্ত পাখির সঙ্গে সংঘর্ষ হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। বর্তমানে শাহজালাল, শাহ আমানত ও ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আশপাশে পাখির আনাগোনা বেড়ে গেছে। ফলে বিমানবন্দরগুলোয় প্রতিদিন শত শত পাখি অবাধে বিচরণ করছে। বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় পাইলটরা থাকেন আতঙ্কে। নিরাপদে বিমান অবতরণ ও উড্ডয়ন করতে গিয়ে উড়ন্ত পাখি এড়িয়ে চলতে পাইলটদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। উড়ন্ত পাখি যদি উড়োজাহাজের ডানায় থাকা ইঞ্জিনের ভেতরে ঢুকে যায়, তখন ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। উড়োজাহাজের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়। পাইলট যদি পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারেন, তাহলে বড় বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

হযরত শাহজালাল, শাহ আমানত, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ সবকটি বিমানবন্দরে উড়ন্ত পাখিদের আনাগোনা রয়েছে। বিমানবন্দরগুলোর পাশেই রয়েছে প্রচুর ঝোপজঙ্গল, গাছপালা ও জলাশয়। এগুলোয় রয়েছে পাখিদের প্রচুর খাবার। পোকামাকড়সহ বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে পাখিরা সার্বক্ষণিক ভিড় করে। তবে বিকালে ও সকালে পাখিদের আনাগোনা বেড়ে যায়। শীতকালে এসব পাখির ভিড় ও উড়ন্ত পাখির যাতায়াত আরও বেড়ে যায়। বর্তমানে বার্ডহিট আতঙ্কে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলো শাহজালাল, শাহ আমানত ও ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। তার পরে রয়েছে কক্সবাজার, যশোর, রাজশাহী, বরিশাল ও সৈয়দপুর। এসব বিমানবন্দরে পাশের গাছপালায় রয়েছে পাখিদের অবাধ বিচরণ।

ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরে পাখির সঙ্গে সংঘর্ষ বড় ধরনের ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে বিমান সংস্থাগুলো ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। শাহজালাল বিমানবন্দরে পাখির উৎপাত উড়োজাহাজের অবতরণ উড্ডয়নের ক্ষেত্রে বিপদসংকুল হয়ে উঠেছে। বিঘ্নিত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সুনাম। এ ব্যাপারে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অধিক সতর্কতা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। পাখি তাড়ানোর কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টরা ব্যর্থ হলে বড় বিপদের মুখোমুখি হতে হবে, যা কাম্য হতে পারে না।

  • রাজনৈতিক কর্মী
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা