× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুনীল অর্থনীতি

লে. জেনারেল (অব.) আবুল হোসেন

প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২৩ ১২:৫৪ পিএম

আবুল হোসেন।

আবুল হোসেন।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধপর্ব বাঙালি জাতির ইতিহাসে বাঁক পরিবর্তনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ওই অধ্যায়-পূর্ব বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণ শুধু বাঙালিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তেই উজ্জীবিত করেনি, ওই ভাষণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতার আরেক নতুন পর্ব উন্মোচন করেছিলেন।

ওই ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা ওদের পানিতে মারব।’ তিনি নিশ্চয় জানতেন, মুক্তিযুদ্ধে এ ভূখণ্ডের নদ-নদী নির্ধারক শক্তি হয়ে উঠবে। বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের জলসম্পদের খনি। দেশের নদ-নদীর প্রবাহিত পানি কোনো না কোনো পথে শেষ পর্যন্ত গড়িয়ে যায় ওই বঙ্গোপসাগরেই। সাতই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে ‘আমরা ওদের পানিতে মারব’Ñ এই বাক্যটি যুক্ত করে হয়তো তিনি এ-ও বোঝাতে চেয়েছিলেন, পানি আমাদের ঐতিহাসিক পটপরিবর্তনের অন্যতম নিয়ামক শক্তি হতে পারে। ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পানি বর্তমানে বড় সম্পদ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে তো বটেই আরও কয়েকটি দেশেও ‘পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়’ পৃথক একটি মন্ত্রণালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। পানির গুরুত্ব কতটা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য এই বিষয়টি একটি খণ্ডিত দৃষ্টান্ত। 

বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ যেমন পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিংবা অবিচ্ছেদ্য অংশ তেমনি সমুদ্রসহ দেশের নদ-নদী প্রাকৃতিক জলসম্পদ এবং এর সঙ্গেই মিশে আছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, আমাদের ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্মরণ করি ওপার বাংলার বহুমাত্রিক লেখক, সাহিত্যিক অন্নদাশঙ্কর রায়কে। তিনি লিখেছিলেন, ‘যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা গৌরী যমুনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান’। ‘তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা-মেঘনা-যমুনা’, এটি আমাদের রাজনৈতিক একটি বিশেষ স্লোগান। বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে দেশের নদ-নদীর বর্ণনা রয়েছে। ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ যাতায়াতের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু নৌপথকেই প্রাধান্য দিতেন। নদীমাতৃক এই বাংলাদেশের অগ্নিপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমুদ্র উপকূলীয় প্রান্তিক মানুষের প্রতি বিশেষ দরদের উজ্জ্বল দৃষ্টান্তগুলোও সাক্ষ্য দেয় তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতার স্তরে স্তরে মানবিক ও উন্নয়ন ভাবনা কতটা বিস্তৃত ছিল। বঙ্গবন্ধু নদী ও সমুদ্রসম্পদের উন্নয়নে সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে যে কর্মসূচিগুলো গ্রহণ করেছিলেন এবং এর অনেক কিছু বাস্তবায়নও করেছিলেন। এজন্য তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে জলসম্পদের গুরুত্ব অনুধাবনকারী অগ্রগণ্যজন। মেরিটাইম ভিশনের স্থপতি বঙ্গবন্ধু সেই ৫২ বছর আগে তাঁর চিন্তায় সমুদ্র ঘিরে জলসম্পদ নিয়ে এবং এর পাশাপাশি তার তলদেশ নিয়েও যে ভাবনার প্রতিফলন ঘটিয়েছিলেন, এর ইতিবাচক প্রভাব আজ নানা ক্ষেত্রে দৃশ্যমান। 

বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা এখন অনেক বিস্তৃত। আমাদের প্রতিবেশী দেশ, মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু ভারতের সঙ্গে আমাদের যে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ ছিল তার নিষ্পত্তি হয় আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে। দ্বিপক্ষীয় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ার ফলে নেদারল্যান্ডসের স্থায়ী সালিশি আদালতের ঐতিহাসিক রায়ের মধ্য দিয়ে সমুদ্রে আমাদের অধিকার বর্ধিতকরণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এর আগে জার্মানির সমুদ্রবিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে মিয়ানমারের সঙ্গে জিইয়ে থাকা আমাদের সমুদ্রবিরোধেরও নিষ্পত্তি হয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আইনি লড়াইয়ে বাংলাদেশের সমুদ্রবিরোধের সুরাহা যে সম্ভাবনা জাগিয়েছিল তা এখন ক্রমেই আরও বিস্তৃত হচ্ছে। আমরা দেখছি, এই অর্জন আমাদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার পালকগুলোয় আরও ঔজ্জ্বল্যের স্পর্শ লেগেছে। ভারতের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অধিকার নিশ্চিত হয় ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার। আর মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ ৮০ হাজার বর্গকিলোমিটারের মধ্যে বাংলাদেশ অর্জন করে ৭০ হাজার বর্গকিলোমিটার। এই দুইয়ে মিলে বাংলাদেশ ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের সমুদ্রসীমা লাভ করে, যা বাংলাদেশের এখন অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত-মূল্যায়িত। শুধু তা-ই নয়, ২০০ নটিক্যাল মাইলের বাইরে মহীসোপানে বাংলাদেশের অবাধ প্রবেশাধিকারও সুরক্ষিত হয়। 

বঙ্গোপসাগরের তলদেশে প্রাকৃতিক গ্যাস-তেল যা বর্তমান বিশ্বে তরল সোনা হিসেবে বিবেচিত, তা তো রয়েছেই, অন্যান্য খনিজ সম্পদের ধারণাও মিলেছে বেশ কিছু গবেষণায়। অর্থাৎ এক কথায় বলা যায়, বঙ্গোপসাগরের উপরিভাগ এবং নিচভাগ আমাদের অর্থনীতির অন্যতম শক্তি এবং জোগানদার। প্রাকৃতিক সম্পদ বঙ্গোপসাগরে ছড়িয়ে আছে এবং এর অনুসন্ধান ও উত্তোলনপ্রক্রিয়া নিশ্চিতকরণের বিভিন্ন উদ্যোগ আশার ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত করেছে। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনের কাজে হাত দিয়ে জলসম্পদকেন্দ্রিক এবং সমুদ্র তো বটেই, নদ-নদীর জলকেও কাজে লাগিয়ে অর্থনীতির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন বর্তমান বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে তা-ই সুনীল অর্থনীতি হিসেবে আখ্যায়িত। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে বঙ্গবন্ধু বিশেষ কিছু ক্ষেত্র চিহ্নিত করেন এবং এগুলোর ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তিনি তাঁর শাসনযাত্রা শুরু করেছিলেন। আমরা এ-ও দেখতে পাই, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো গঠন ও অনুমোদন এবং এর পরবর্তী ধাপ হিসেবে অনেকগুলো রণতরির কমিশন লাভের বিষয়টিও তাঁর আরও উচ্চমাত্রার দূরদর্শিতার প্রমাণ দেয়। সমুদ্রসীমা বিজয় এবং সুনীল অর্থনীতির ক্ষেত্র যা বঙ্গবন্ধু তৈরি করে গিয়েছিলেন, এরই ধারাবাহিকতা তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অব্যাহত রেখেছেন। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও সুনীল অর্থনীতি যেন সমান্তরাল। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে হাত দিয়ে বঙ্গবন্ধু টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মডেল হিসেবে সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা বাস্তবায়নের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, এরই সড়ক ধরে আমাদের আজকের এই অবস্থান। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনের প্রেক্ষাপটে স্বপ্নের যে বীজ স্বাধীন দেশে রোপিত হয়েছিল, তা থেকে চারা গজিয়ে ক্রমে ক্রমে আজ এই চারা পরিণত বৃক্ষের দিকে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সড়ক ধরে তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনীতির শৈশব অতিক্রম করে কৈশোরের ধাপ পেরিয়ে যৌবন অভিমুখী করেছেন। আন্তর্জাতিক নানা সংস্থার পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতির যে চিত্র আমাদের সামনে উঠে আসছে তা ভবিষ্যতের সম্ভাবনার ক্ষেত্র ক্রমেই প্রসারিত করছে। অর্থনীতির ক্রমবিকাশে অর্থাৎ বৈপ্লবিক জাগরণের আরও বিস্তৃত ক্ষেত্র নির্মাণের অবকাশ রয়েছে জলসম্পদ এবং সমুদ্রকেন্দ্রিক কার্যক্রম প্রসারিত করে। 

অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি রক্তস্নাত এই বাংলাদেশের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়েছে সমুদ্র ও দেশের নদ-নদী। সমুদ্র ও দেশের নদ-নদীর জলভান্ডার শুধু সৌন্দর্যের আলোই ছড়াচ্ছে না, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। স্মরণ করি, বরেণ্য শিক্ষাবিদ, কবি এবং লেখক আবু হেনা মোস্তফা কামালকে। তিনি তার ‘ছবি’ কবিতায় আহ্বান জানিয়েছেন, ‘আপনাদের সবার জন্যে এই উদার আমন্ত্রণ/ ছবির মতো এই দেশে একবার বেড়িয়ে যান…।’ বাংলাদেশ তো বটেই দুই বাংলার আরও অনেক কবি-সাহিত্যিকের রচনায় আমাদের দেশের সৌন্দর্যের যে চিত্র উঠে এসেছে এর সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার যোগসূত্রটিও লক্ষণীয় হয়ে ওঠে। বাল্যকালেই বঙ্গবন্ধুর নদ-নদীর সঙ্গে যে সখ্য গড়ে উঠেছিল, তা ব্যাপৃত ছিল জীবনব্যাপী। স্বাধীন দেশে ক্ষমতাভার গ্রহণ করে তিনি দেশের নদ-নদী ও সমুদ্রের উন্নয়নে বিশেষ অর্থনীতিকেন্দ্রিক ভাবনার প্রতিফলন ঘটিয়ে যে দূরদৃষ্টির প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন, তা বহুমাত্রিক। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সমৃদ্ধ নৌ-বাণিজ্যের গৌরবময় প্রামাণ্য ইতিহাসের পাতা উল্টিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নে জল এবং সমুদ্রসম্পদকে কাজে লাগিয়ে বহির্বিশ্বের সঙ্গে নদী ও সমুদ্রপথে পরিবহনব্যবস্থার সুদূরপ্রসারী চিন্তা করেছিলেন। এরও ইতিবাচক প্রভাব বর্তমানে স্পষ্টতই দৃশ্যমান। বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রসম্পদ বাংলাদেশকে যেমন দিতে পারে আগামী দিনের জ্বালানি নিরাপত্তা, তেমনি বদলে দিতে পারে অর্থনীতির সামুদ্রিক চেহারাও। এই পর্যবেক্ষণ দেশ-বিদেশের অর্থনীতিবিদদের। তাদের আরও অভিমত, সাগরে প্রাণিজ-অপ্রাণিজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার জাতীয় প্রবৃদ্ধির বর্ধিতকরণে আরও বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। এ-ও এখন আমাদের দৃশ্যমান বাস্তবতা। দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রও প্রসারিত করা সম্ভব সমুদ্রনির্ভর সুনীল অর্থনীতির মাধ্যমে। বিদ্যমান বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে সঙ্গত কারণেই এই প্রত্যাশাও করি, সুনীল অর্থনীতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে সুনীল বিপ্লব মোটেও দুরূহ নয়। আমরা যদি ইতিহাসের পাতা ওল্টাই তাহলে দেখতে পাই, সমুদ্রভিত্তিক এ ধরনের সম্ভাবনার বিষয়টি বঙ্গবন্ধু বহু আগেই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন এবং তাঁর ছয় দফায়ও এরই প্রতিচ্ছায়া পড়েছিল। 

শুধু বাংলাদেশ কেন, সমগ্র বিশ্বেই এখন সুনীল অর্থনীতির বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। আমরা যদি বিশ্ব প্রেক্ষাপটের দিকে দৃষ্টি দিই তাহলেও স্পষ্ট দেখতে পাই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামের সম্মেলন কিংবা কর্মনির্ধারণী পন্থায় খাদ্য নিরাপত্তা ও সুনীল অর্থনীতির বিষয়গুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। ভবিষ্যতেও যে তা অগ্রভাগেই থাকবে, এও বলা যায় সন্দেহাতীতভাবেই। সমুদ্র বাংলাদেশের জন্য ভবিষ্যতে অমিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করবে বঙ্গবন্ধু তা বহু আগেই উপলব্ধি করেছিলেন। সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা বাস্তবায়নের জন্য ২০১৩ সালে দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি। প্রত্যাশা করি, এই উচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে প্রজন্মের প্রতিনিধিরা সুনীল অর্থনীতির সঙ্গে সঙ্গে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। জয় হোক আমাদের স্বপ্ন ও প্রত্যাশার।

  • লেখক : সাবেক মহাপরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা