× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস

দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তর করতে হবে

মাহবুব হাওলাদার

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৩ ১৪:১০ পিএম

অলঙ্করন : সংগৃহীত

অলঙ্করন : সংগৃহীত

বিশ্বের জনসংখ্যা বাড়ছে খুব দ্রুত। বাড়তি জনসংখ্যার ভালোমন্দ এবং অন্য দিকগুলো সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর ১১ জুলাই ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ পালন করা হয়। ১৯৮৭ সালের ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা ৫০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলে সারা বিশ্বের জনমানুষের মধ্যে যে আগ্রহের সৃষ্টি হয়, তাতে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির পরিচালনা পরিষদ এ দিবসটি প্রতিষ্ঠা করে। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের লক্ষ্য হলো পরিবার পরিকল্পনালৈঙ্গিক সমতাদারিদ্র্যমাতৃস্বাস্থ্য এবং মানবাধিকারের মতো জনসংখ্যাসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করা। প্রতি বছর এ দিবস কেন্দ্র করে নানা সেমিনার, পোস্টার ছাপানো এবং জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে এ ব্যাপারে সচেতনতা নেই বললেই চলে। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষিত দম্পতিও অধিক সন্তান নিচ্ছেন। কোনোভাবেই আমাদের দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে দ্রুত জনসংখ্যার বৃদ্ধি এক মারাত্মক সমস্যা। এ সমস্যার প্রভাব আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান এবং চিত্তবিনোদনের ওপর পড়ছে। এতে আমাদের বসবাসের জন্য নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে প্রতি মিনিটে জনসংখ্যা বাড়ছে চারজন। ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ বাংলাদেশে প্রায় ১৮ কোটি মানুষের বসবাস। ১৯৬১ সালে যেখানে জনসংখ্যা ছিল ৩ কোটির ওপরে, তা এখন বেড়ে হয়েছে পাঁচগুণের বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধারা অব্যাহত থাকলে জনসংখ্যা ২০ কোটিতে পৌঁছাবে কয়েক বছরের মধ্যেই। বাংলাদেশের পক্ষে বিপুল জনসংখ্যার বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কোনো বিশেষ ব্যবস্থা, যা জনসংখ্যার ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা পূরণে সক্ষম তা সম্ভব হচ্ছে না বলে সমাজে হতাশা, ক্ষোভ ও অস্থিরতা বাড়ছে। এ অভাব-অনটন, বেকারত্ব থেকে বিভিন্ন রকম অন্যায়, অবিচার ও রোমহর্ষক ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। জনসংখ্যাস্ফীতি সমস্যার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধে। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২৫ লাখ টন খাদ্য ঘাটতি হয়। অতিরিক্ত জনসংখ্যা বাংলাদেশের খাদ্য ঘাটতির একটি প্রধান কারণ। তাই কৃষিপ্রধান দেশ হয়েও বাংলাদেশে খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে। কারণ জমির তুলনায় আমাদের জনসংখ্যা অনেক। তাই অতিরিক্ত মানুষের খাদ্য চাহিদা মেটাতে আমাদের প্রতি বছর বিদেশ থেকে প্রচুর খাদ্য আমদানি করতে হয়। অতিরিক্ত জনসংখ্যার বসতি স্থাপনের জন্য কৃষিজমির পরিমাণও কমে যাচ্ছে। খাদ্যের অভাব হলে শিশুসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠী পুষ্টিহীনতায় ভোগে। খাদ্যের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানির রয়েছে তীব্র সংকট। খাদ্য ও পানীয় জলের সংকট দেশের ভবিষ্যৎ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

জনসংখ্যা যেকোনো দেশের একটি মূল সম্পদ। তবে দেশের সার্বিক সম্পদ ও জনসংখ্যার মধ্যে একটি ভারসাম্য বজায় থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো দেশে জনসংখ্যা প্রয়োজনের বেশি হলে দেখা দেয় বহুবিধ সমস্যা। বর্তমান পৃথিবীতে জনসংখ্যা সমস্যা একটি বিশাল সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। উন্নত দেশের তুলনায় উন্নয়নশীল দেশগুলোয় এ সমস্যাটি তীব্র আকার ধারণ করেছে। এসব দেশে জনসংখ্যা অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাতিসংঘের এক হিসাব অনুযায়ী, ৫০ খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীর জনসংখ্যা প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কোটির মধ্যে ছিল। পৃথিবীর বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৭৫০ কোটি। এ বিপুল জনস্ফীতিকে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশে মূলধন কম হলেও প্রাকৃতিক ও জনসম্পদে সমৃদ্ধ। তাই আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আমাদের শপথ হোকÑ অতিরিক্ত জনসংখ্যাকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তরিত করা।

 


  • উন্নয়নকর্মী

 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা