× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

উপসম্পাদকীয়

চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু, করোনাও ঊর্ধ্বমুখী

ড. মুনীরউদ্দিন আহমদ

প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৩ ১২:৪৬ পিএম

আপডেট : ০৬ জুন ২০২৩ ১২:৪৮ পিএম

অলঙ্করন : জয়ন্ত জন

অলঙ্করন : জয়ন্ত জন

কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনের বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা গেছে, প্রতিরোধের কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় জেলা-উপজেলা পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডেঙ্গু থাবা বসিয়েছে। একই সঙ্গে ৩ জুন একটি দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণও দেখা দিয়েছে এবং ৬৬ দিন পর ২ জুন দেশে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। একদিকে তীব্র দাবদাহ, অন্যদিকে বিদ্যুৎ-পানির সংকট বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য এই পরিস্থিতি অনুকূল নয়। এ বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়বেÑ এমন আশঙ্কার কথা জনস্বাস্থ্যবিদরা আরও আগে থেকেই বলে আসছিলেন। শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রীও যা বললেন তা কোনোভাবেই স্বস্তির নয়। ২৯ মে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, দেশে গত বছরের তুলনায় কয়েকগুণ ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে।

ডেঙ্গুর মৌসুম এখনও শুরু হয়নি। আমরা জানি, বর্ষাকালে সাধারণত ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে। কিন্তু এবার ডেঙ্গু অকালেই বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৩০ মে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, ২৯ মে পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু সংবাদও পাওয়া গেছে। ৪ জুন প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর অনলাইন সংস্করণে বলা হয়েছে, ৩ জুন একদিনে আরও তিনজনের প্রাণহানি ঘটেছে। অকালে ডেঙ্গুর চোখ রাঙানোর পাশাপাশি করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি বাড়তি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা জানি, ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের ঘোষণা দেয় সরকার। আর করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ওই মাসের ১৮ তারিখ। তারপর পর্যায়ক্রমে দফায় দফায় কী ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল তা দুঃসহ স্মৃতি হয়ে আছে। এখন করোনা শনাক্তের যে ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে তা জুলাই পর্যন্ত চলতে পারে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন। করোনাভাইরাসের কারণে জারি করা বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা গত মাসে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আমাদের দেশে করোনার বিধিনিষেধ তুলে না নেওয়া হলেও বাস্তবে এর কোনো কিছু অনেক দিন ধরেই দৃশ্যমান নয়। এখন যে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে মনে হয়, জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি আমাদের পুরোনো অভ্যাসে ফিরে যাওয়া উচিত।

নানা কারণে বৈশ্বিক সংকটের ছায়া নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের তরফে নানা রকম বার্তা আমরা শুনছি। সংকটের বাইরে আমরাও নই। বলতে গেলে আমরা অর্থনৈতিকভাবে কঠিন সময়ই পার করছি। এর মধ্যে ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি বৈকি। আমরা জানি, ডেঙ্গু আক্রান্ত খুব অল্পসংখ্যক (১-২ শতাংশ) হেমোরেজিক জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন। অনেকেরই ধারণা, ডেঙ্গু আক্রান্ত সব রোগী হেমোরেজিক জ্বরে আক্রান্ত হন। কিন্তু এ ধারণা সঠিক নয়। এডিস মশার কামড়ের পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে ডেঙ্গুর উপসর্গগুলো দৃশ্যমান হবে। সংক্রমণের জন্য দায়ী ভাইরাসের ইনকিউবেশন সময় (রোগ সঞ্চার থেকে প্রথম লক্ষ্মণ দেখা দেওয়া পর্যন্ত) হচ্ছে পাঁচ থেকে সাত দিন। এ জন্য পাঁচ থেকে সাত দিন অপেক্ষা না করে তড়িঘড়ি করে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করা হলে তাতে কিছুই বোঝা যাবে না। ডেঙ্গুতে জ্বর ও তীব্র ব্যথা-বেদনা ছাড়া অন্য কোনো উপসর্গ থাকে না। কিন্তু হেমোরেজিক জ্বরে মারাত্মক কিছু উপসর্গ দেখা যায়। যেমন জ্বর ও মাথা ব্যথা ছাড়াও পেটে তীব্র ব্যথা; নাক, মুখ ও দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ, রক্তবমি, কয়লার মতো টয়লেট হওয়া ইত্যাদি। এ ধরনের ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে সজাগ দৃষ্টিতে রাখা বাঞ্ছনীয়। ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে বলে এর প্রতিকারে কোনো ওষুধ কার্যকর নয়। ডেঙ্গুতে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার একেবারে অযৌক্তিক। জ্বর ও ব্যথা-বেদনার জন্য সচরাচর অ্যাসপিরিন প্রয়োগের বিধান থাকলেও ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ। কারণ অ্যাসপিরিন ও আইবুফ্রেনজাতীয় ওষুধগুলো রক্তক্ষরণের পরিমাণ ও মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে অবস্থার আরও অবনতি ঘটতে পারে।

ডেঙ্গু কেন নিয়ন্ত্রণে আসছে নাÑ এর কারণগুলো সচেতন মানুষের অজানা নয়। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের জীবাণুবাহী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে এ পর্যন্ত কথা যত হয়েছে কাজ হয়নি তত। আমরা অতীত থেকে এখন পর্যন্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা যে যথেষ্টভাবে নিতে পারিনি, বিদ্যমান পরিস্থিতি এরই সাক্ষ্যবহ। আমরা জানি, নির্মীয়মাণ ভবনে কিংবা টবে জমে থাকা পানিÑ এমন যেসব ক্ষেত্র এডিস মশা প্রজননের উৎস, সেগুলো নির্মূল করা যায়নি। দৃশ্যত আমরা ঢাকা মহানগরীর দুই সিটি করপোরেশনের তরফে এডিসের লার্ভা নির্মূলে কিংবা এডিস মশার উৎস ধ্বংস করতে কিছু কার্যক্রম দেখেছি। কিন্তু কার্যত কোনো কিছুরই দীর্ঘমেয়াদি সুফল মেলেনি। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর বিশেষ করে সিটি করপোরেশন দায় এড়াতে পারে না। তাছাড়া এডিস মশা নির্মূলে যে ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে, এর গুণগত মান নিয়েও বিস্তর প্রশ্ন আছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, এসব ক্ষেত্রেও অনিয়ম-দুর্নীতির ছায়া কম প্রলম্বিত হতে দেখা যায়নি।

প্রশ্ন হচ্ছে, বিগত কয়েক বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার পরও সিটি করপোরেশনসহ স্বাস্থ্য বিভাগ এ ক্ষেত্রে কাজের কাজ কেন করতে পারেনি। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের সব উদ্যোগ-আয়োজন শুরু হয় সমস্যা দেখা দিলে, তার আগে নয়। প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভালোÑ এ কথাটি আমরা প্রায়ই বলে থাকি। কিন্তু মুখে যতই বলি না কেন, দুঃখজনকভাবে বাস্তবে এর প্রয়োগ ততটা দেখা যায় না। যদি তাই হতো তাহলে এবার অকালেই ডেঙ্গু চোখ রাঙাতে শুরু করতে পারত না। কোনো কোনো রোগ বা আপদ-বিপদ আমাদের বিবেক-বুদ্ধিকে নাড়া দিয়ে যায়, আতঙ্কিত করে। তখন আমরা অনন্যোপায় হয়ে কিছুটা সচেতন হই বটে, তারপর বেমালুম ভুলে যাই। ডেঙ্গুর প্রতিকার ও প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে সবাই জানেন মশার ওষুধ ছিটানো এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এরকম কার্যক্রম ব্যাপকভাবে এখনও কেন দৃশ্যমান নয়, এর জবাব দেওয়ার দায়ও সংশ্লিষ্ট কোনো পক্ষই এড়াতে পারে না।

তবে এ কথাও সত্য, যতই ওষুধ ছিটানো হোক আর কামান দাগানো হোক, মশা মরবে সামান্য ও সাময়িককালের জন্য, এটি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নয়। কয়েক দিন পর আবার মশা হবে। আবার ডেঙ্গু হবে। মানুষও মরবে। এই দুঃখজনক বিষয়গুলো ইতোমধ্যে আমাদের সামনে দফায় দফায় প্রতিভাত হয়েছে। মশা প্রতিরোধের জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন পরিবেশ সংরক্ষণ। কিন্তু সেই কাজ কি হচ্ছে? অন্যান্য নগর-মহানগর তো বটেই, ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন স্থানে আবর্জনাময় ও অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি জিইয়ে থাকার পেছনে আমাদের সবারই কমবেশি দায় রয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সচেতন বলে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকত এবং একই সঙ্গে পরিবেশের সুরক্ষা কিংবা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজটি যদি লাগাতারভাবে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে চলে তাহলে এমন বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার উৎসগুলোর পথ বন্ধ করা কঠিন কিছু নয়। আমাদের স্মরণে আছে, ২০১৯ সালে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল। এবারও সেই আলামতই দেখা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সব পক্ষের উচিত সমন্বয়ের ভিত্তিতে পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, মশা নিধনে যথাযথ কার্যক্রম জোরদার করা এবং জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য কার্যকর প্রচার-প্রচারণা চালানো। নিজ নিজ ক্ষেত্রে সবাই দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহির পরিচয় দিলে সমস্যার নিরসন না হওয়ার কোনো কারণ নেই।

আমরা যেন অতীত ভুলে না যাই। সময়ের কাজ যদি সময়ে না করা যায় তাহলে এর মাশুল কতটা ভয়াবহভাবে দিতে হয়Ñ এমন নজিরও আমাদের সামনে আছে। বাসাবাড়িতে লার্ভা পাওয়া গেলে জরিমানা করা হবে, সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আমরা তার এই সতর্কবার্তার জন্য সাধুবাদ জানাই। একই সঙ্গে এ কথাও স্মরণ করিয়ে দিতে চাইÑ এমন উচ্চারণ অতীতে বহুবার শুনেছি, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। যদি কাজের কাজ হতো তাহলে নতুন করে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। সংবাদমাধ্যমে জানা গেছে, ডেঙ্গুর প্রকোপ তুলনামূলকভাবে পুরান ঢাকায় বেশি। সংবাদমাধ্যমে জানা গেছে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে ডেঙ্গু আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে।

বিদ্যমান পরিস্থিতির আলোকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সব পক্ষকে সমন্বিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জোরদার পদক্ষেপ নিতে হবে। মনে রাখা প্রয়োজন, সময়ক্ষেপণের মতো সময়ও হাতে নেই। আমরা কথা নয়, কাজের কাজ দেখতে চাই। মশকনিধন কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি এডিস মশার প্রজনন উৎস ধ্বংসে চালাতে হবে সাঁড়াশি অভিযান। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা যখন বাড়ছে তখন স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে কী কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এরও পরিষ্কার ব্যাখ্যা দরকার। দায়বদ্ধতা-জবাবদিহি নিশ্চিত না হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে, যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে।

ডেঙ্গু-করোনা দুই-ই জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক শত্রু। এ দুইয়ের সংক্রমণের পেছনেই মুখ্যত কারণ মানুষের অসচেতনতা, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সব পক্ষের কম-বেশি দায়িত্বহীনতা। নানা দিকে আমরা পার করছি কঠিন সময়। এই প্রেক্ষাপটে করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবার সচেতনতা ও যথাযথ ভূমিকা জরুরি। আমাদের ফের অভ্যস্ত হতে হবে পুরোনো সব অভ্যাসে। দায়িত্বশীলদের দায়িত্ব পালনে উদাসীনতা যেমন মেনে নেওয়া যাবে না, তেমনি ছাড় দেওয়া যাবে না অনিয়ম-অস্বচ্ছতায়ও।


  • জনস্বাস্থ্যবিষয়ক বিশ্লেষক ও সাবেক অধ্যাপক, ক্লিনিক্যাল ফার্মাসি ও ফার্মাকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা