× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সাধারণ্য

শান্তিতেই ব্যবসা করছি

আমিরুল আবেদিন

প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৩ ১৩:৫৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মোহাম্মদ জামাল। বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একটি খাবার দোকান পরিচালনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ব্যবসা পরিচালনার বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে কীভাবে টিকে আছেন মন্দার বাজারে এ নিয়েই তার সঙ্গে কিছু আলাপ

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কত বছর আছেন?

খুব বেশিদিন হবে না। ২০১৫ সালে প্রথম আমি এখানে দোকান দেই। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল অন্য রকম। তবে খাবারের দোকানের তো বাড়তি ঝামেলা আছে। একটু সমস্যা হলেই টেকা মুশকিল। ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। সকালের দিকে নাশতা আর দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা। ব্যস্ত সময় কাটে। মাঝখানে করোনার সময় তো অনেক দিন বন্ধ ছিল। তখন এদিকে কিছুই ছিল না। ব্যবসার সুযোগও ছিল না। সব ঠিক হওয়ার পর আবার শুরু।

 

করোনার সময় কি ব্যবসা করতে পেরেছেন?

না। সম্ভব হয়নি। সবকিছুই বন্ধ। মানুষের মধ্যে ভয় ছিল। পুলিশও নিয়মিত টহল দিয়েছে। দোকান ওই সময় খোলা রাখা যায়নি। আমাদের মূল ক্রেতা তো ছাত্ররা। ক্লাস না থাকায় সবাই বাড়ি চলে গিয়েছিল। আমরাও তখন এলাকায় ফিরে যাই। কোনোমতে দুই বছর কাটিয়ে ফিরে এসেছি। আবার সব নতুন করে শুরু করি।

 

বাকি খাওয়ার সমস্যা আপনাকে ভোগায়?

অত না। আসলে ক্যানটিন বা হলের সামনের চায়ের দোকানে বাকি বেশি চলে। আমাদের এখানে সবাই আসেÑ নাশতা বা খাবার খেতে। দোকানে আড্ডা দেওয়ার সুযোগ কম। তাই পরিচয়টাও এখানে এত বেশি হয় না। এমনিতে ছোটখাটো কিছু বাকি দেওয়া হয়। রেগুলার কাস্টমার থাকলে দিতে হয়। তার পরও অত বেশি না। সবাই ঠিকমতো বিল দিয়ে দেয়। আসলে সবারই তো কম বেশি সমস্যা আছে। এমনিতে ছাত্ররা যদি বাকি করত, তা হলে তো কেউ এখানে ব্যবসা করত না।

 

করোনার সময় অনেকের বিল আদায় নিয়ে কিছু ঝামেলা হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। আপনার ক্ষেত্রেও কি এমন হয়েছে?

ওই যে বললাম, অত বেশি না। আমাদের দোকানে অত বাকি হয় না। আর হলেও আমি তো লিখে রাখি না। কেউ খেয়ে শুধু বলে যায় পড়ে দিয়ে যাবে। সবাই দিয়েই যায়। ওরাই মনে করে দিয়ে দেয়। করোনার আগেও এমন কিছু বাকি ছিল। আমি যেহেতু লিখে রাখি না, তাই আমার মনেও নাই। আর এগুলো ছোটখাটো বিষয়। খাবার দোকানে কিছু বিল এভাবে যায়। আমার ব্যবসায় এমনটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি।

 

এখন ব্যবসার কী অবস্থা?

আল্লাহর রহমতে ব্যবসা ভালো চলছে। বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশি। ক্যাম্পাস এলাকায় ব্যবসা করতে একটু চিন্তাভাবনা করতে হয়। ছাত্ররা নারাজ হলে ঝামেলা বাধে। তার পরও এখানে শান্তিতেই ব্যবসা করা যায়। জিনিসপত্রের দাম বাড়লে একটু কাটছাঁট করতে হয়। আমরা বাইরের দোকান, ক্যানটিনের মতো না। হলের হিসাব আলাদা। সবাই তো হলে টাইমলি খেতে পারে না। তাই আমাদের এখানে কাস্টমার থাকেই। ক্যাম্পাসের ছাত্র বাদেও বাইরের অনেকে আসেন। আমরা চেষ্টা করি কাস্টমারদের খুশি রাখতে। বাজারের কথা চিন্তা করলে অনেক সময় অনেক কিছু করা যায় না। তার পরও রান্নাটা ফ্রেশই রাখি। এ জন্য আমার ব্যবসা ভালোই চলছে।

 

বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কেমন লাগে?

ভালো লাগাটার চেয়ে বড় কথা কাজটা করা। আমাদের তো কিছু করতেই হবে। না হলে বাঁচা যাবে না। এখানে সুযোগ আছে, ব্যবসা আছে। এর বেশি আর কী চাই?

 

আলাপনে : আমিরুল আবেদিন

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা