× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সম্পাদকীয়

বৈশ্বিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সাজুক বিটিআরসি

সম্পাদক

প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৩ ১২:৫৮ পিএম

অলঙ্করন : প্রবা

অলঙ্করন : প্রবা

‘সোয়া লাখ কোটি টাকা আয়ের মহাপরিকল্পনায় বিটিআরসি’ শিরোনামে গতকাল বুধবার প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, ১০ বছর মেয়াদি বেতার তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা ও বরাদ্দের রোডম্যাপ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বিটিআরসি। বৈশ্বিক প্রযুক্তিগত অবস্থার পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে বিটিআরসির এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির এই উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী বলেও আমরা মনে করি। দেশে টেলিযোগাযোগ খাতে ইতোমধ্যে অনেক বিস্তার ঘটেছে। বিটিআরসি প্রণীত খসড়াটি কমিশন সভায় ইতোমধ্যে উপস্থাপন করা হয়েছে। সময়ক্ষেপণ না করে পরিকল্পিত উদ্যোগ বাস্তবায়নে দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়াই সময়ের দাবি। টেলিযোগাযোগ সেবার মান উন্নয়নের দাবি নতুন নয়। বর্তমানে দেশে কয়েকটি ব্র্যান্ডের মোট ৮১৫ মেগাহার্টজ বেতার তরঙ্গ টেলিযোগাযোগ সেবার জন্য রয়েছে। এর মধ্যে মোবাইল ফোন অপারেটর ও অন্য খাতে ৩১৬ মেগাহার্টজ বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দের জন্য উপযুক্ত ৪৩৩ মেগাহার্টজ বেতার তরঙ্গ অব্যবহৃত অবস্থায় থাকা সঙ্গত নয়। এমন প্রেক্ষাপটে নতুন করে ৬ গিগাহার্টজ ব্র্যান্ড বিবেচনায় রেখে রোডম্যাপ তৈরি করা বিলম্বিত কাজ হলেও আমরা মনে করি, এ ব্যাপারে সময়ক্ষেপণের সময় আর নেই।

আমরা জানি, দেশে কয়েকটি মোবাইল টেলিফোন কোম্পানি গ্রাহকসেবায় নিয়োজিত রয়েছে। কিন্তু তাদের সেবার মান নিয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রশ্ন আছে। সেবার পথ মসৃণ করতে যথেষ্ট পরিমাণ বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ করার বিকল্প নেই। নানা ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ইতোমধ্যে দেশে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন কম হয়নি। বিশ্বব্যবস্থায় তো বটেই, দেশেও প্রযুক্তিনির্ভর কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্র ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে। আমরা জানি, অতীতে আন্তর্জাতিক টেলিকম ইউনিয়নের বিশেষজ্ঞকে দিয়ে বেতার তরঙ্গ ব্যবস্থাপনার একটি রূপরেখা তৈরি হয়েছিল। পরে তাতে কিছু পরিবর্তন আনা হয় এবং এটি এখন পর্যন্ত দেশে বেতার তরঙ্গ ব্যবস্থাপনায় একমাত্র রূপরেখা। আমরা দেখছি, বিশ্বে প্রযুক্তির উন্নয়নে নতুন নতুন পরিবর্তনের ধারা লক্ষণীয় হয়ে উঠছে। এই প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে বেতার তরঙ্গ ব্যবস্থাপনায় নতুনত্ব আনা অত্যন্ত জরুরি। অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা ও মতামত গ্রহণের মাধ্যমে উন্নতর বেতার তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা কার্যকরভাবে ব্যবহারের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আমলে রাখাও প্রয়োজন।

আমাদের অভিজ্ঞতায় আছে, অনেক ক্ষেত্রেই দূরদর্শী পরিকল্পনা করা হয় বটে, কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর বাস্তবায়নচিত্র আশানুরূপ নয়। আমরা বলতে চাই, প্রযুক্তির বিকাশের এই যুগে এ ক্ষেত্রে যেন এমনটি না ঘটে। উন্নয়ন-অগ্রগতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, পরিকল্পিত উদ্যোগ যথাসময়ে বাস্তবায়ন করা। পরিকল্পনা প্রণয়ন কিংবা রোডম্যাপ প্রণয়নই শেষ কথা নয়। এর বাস্তবায়নই হলো মূল কথা। আমরা এও জানি, ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় সরকারের রয়েছে। এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে প্রযুক্তির বিকাশ কিংবা উন্নয়নের পথ সুগম করা সর্বাগ্রে জরুরি। সেবার মান আধুনিকায়নের পাশাপাশি সেবাগ্রহীতাদের সুলভে কিংবা সহজভাবে সেবাপ্রাপ্তির বিষয়টিও সমভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে ব্যবস্থার গলদ দূর করাসহ আধুনিকতার ছোঁয়া যাতে সেবাগ্রহীতারা সহজেই পান, এ বিষয়েও মনোযোগ বাড়াতে হবে। প্রযুক্তি খাতে সেবা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের নিয়মনীতিমাফিক ব্যবসায় আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু সেবার নামে বাণিজ্যের কোনো কৌশলই যাতে ভোক্তা বা সেবাগ্রহীতার কাঁধে বোঝার মতো না চাপে, এটি মনে রাখাও জরুরি। দেশে যেমন মোবাইল ফোন অপারেটরের সংখ্যা বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে গ্রাহকসংখ্যাও। এই সংখ্যা আরও বাড়ার প্রেক্ষাপটও তৈরি হয়েছে। সেবাগ্রহীতার চাহিদা যেহেতু বাড়ছে সেহেতু সেবার মান উন্নয়ন ও সেবাপ্রাপ্তির পথ মসৃণ করা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষেরই দায়িত্ব।

মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিগুলোর গ্রাহকসংখ্যার অনুপাতে প্রযুক্তিগত ব্যবস্থার মান এখনও অনেক ক্ষেত্রেই সন্তোষজনক না হওয়ায় সেবাগ্রহীতারা কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিড়ম্বনায় পড়ছেন। এই বিড়ম্বনা নিরসনের দায় সংশ্লিষ্ট কোনো পক্ষই এড়াতে পারে না। একই সঙ্গে এ বিষয়েও মনোযোগ গভীর করতে হবে, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে পরিবেশের সুরক্ষার বিষয়টি যেন অগ্রভাগে থাকে। বর্তমানকালে সব ক্ষেত্রেই প্রতিযোগিতা বাড়ছে। ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতার পাশাপাশি সেবাগ্রহীতারা যাতে প্রকৃতই উপকারভোগী হতে পারেন, এ বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে আমলে রাখতে হবে। টেলিযোগাযোগ-সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও নিষ্পত্তির জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকেও (বিটিআরসি) সজাগ হতে হবে। একই সঙ্গে বিটিআরসিকে নজরদারি বাড়াতে হবে, প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে কেউ যাতে জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে না পারে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা