× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বঙ্গবন্ধু দিলেন নতুন কর্মসূচির ঘোষণা

আমিরুল আবেদিন

প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৩ ১৩:৪২ পিএম

অলঙ্করন : প্রবা

অলঙ্করন : প্রবা

১৯৭১ সালের ১৪ মার্চ দিনটি ছিল রবিবার। সারাদেশে চলছে দ্বিতীয় পর্যায়ে অসহযোগ আন্দোলন। স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কার্যক্রম এদিন থেকেই আরও জোরদার হয়ে ওঠে। এদিন মাঝিমাল্লারা সবাই বৈঠা হাতে রাজপথে নেমে আসেন। সামরিক আইনের ১১৫ ধারা জারির প্রতিবাদে বেসরকারি কর্মচারীরাও সেদিন বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। পশ্চিম পাকিস্তানিদের অন্যায় শাসনের প্রতিবাদে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন পাক সরকারের দেওয়া ‘হেলাল ইমতিয়াজ’ খেতাব বর্জনের ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্দোলন পরিচালনার জন্য নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে ৩৫টি নতুন নির্দেশ জারি করেন। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের পক্ষে তাজউদ্দীন আহমেদ এই নির্দেশনাটি প্রকাশ করেন। অবশ্য নতুন ৩৫টি নির্দেশনা ১৫ মার্চ অধিকাংশ খবরের কাগজে ছাপা হয়। নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারের বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ বইটিতে লিখেছেন, ১৪ মার্চ, ১৯৭১ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৩৫টি নির্দেশ জারির মাধ্যমে কার্যত বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) শাসনভার গ্রহণ করেন।

বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে সংবাদপত্র প্রেস কর্মচারী ফেডারেশনের উদ্যোগে সকালে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে সমাবেশ আয়োজন করা হয়। আয়োজন শেষ হওয়ার পর তারা মিছিলসহ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গিয়ে তাঁর হাতে একটি আবেদনপত্র সমর্পণ করে। আবেদনপত্রে মূলত নেতারা যেকোনো নির্দেশ পালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে অবিলম্বে একটি জাতীয় সরকার গঠন ও স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ ঘোষণার জন্য বঙ্গবন্ধুর প্রতি অনুরোধ জানান। একই দিন করাচিতে নিশাত পার্কে পিপলস পার্টির উদ্যোগে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। জনসভায় পিপিপির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো পাকিস্তানের দুই অংশের দুই সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তাব দেন। তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে তার সঙ্গে সংলাপ শুরু করার জন্য বঙ্গবন্ধুর প্রতি আহ্বান জানান। তবে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা দাবিকে মেনে নেওয়ার পক্ষে তিনি কিছু জানাননি। বরং ছয় দফা দাবিকে তিনি বক্তব্যে নস্যাৎ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

এর আগে রাজনৈতিক কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের জন্য নিজ বাসভবনে ন্যাপ নেতা আবদুল ওয়ালী খানের সঙ্গে বৈঠক করেন বঙ্গবন্ধু। রুদ্ধদ্বার কক্ষে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতারা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, যতদিন অধিকার আদায় হবে না, ততদিন বাঙালির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। জাতীয় লীগ নেতা আতাউর রহমান খান আবারও বঙ্গবন্ধুর প্রতি অস্থায়ী সরকার গঠনের আহ্বান জানান। ঝিনাইদহের কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা দেশের অধিকার আদায়ে অস্ত্রধারণের ঘোষণাও দেন। বরিশালে এক জনসভায় বাংলা জাতীয় লীগপ্রধান আতাউর রহমান খান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি অস্থায়ী সরকার গঠন করার আহ্বান জানান। শুরু হয় নতুন করে আবার অসহযোগ আন্দোলন। বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের দেওয়া বিবৃতিতে বলেন, যদি প্রেসিডেন্ট দাবিপূরণের ইচ্ছা নিয়ে আলোচনায় বসতে চান, তাহলে আমি বসতে পারি। তবে কোনোভাবেই তৃতীয় কোনো পক্ষ সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবে না।’ ন্যাপ নেতা আবদুল ওয়ালী খানও জানান বাঙালির আন্দোলন ও অধিকারের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। একাত্তরের মার্চের এই দিনে নতুন করে জীবন পায় অসহযোগ আন্দোলন। চলতে থাকে নতুন পর্যায়ে।

 


 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা