× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

৭ মার্চ ১৯৭১

রেসকোর্স বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক দিকনির্দেশনা

লোপা মমতাজ

প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৩ ০০:২৮ এএম

অলঙ্করন : প্রবা

অলঙ্করন : প্রবা

বাঙালি জাতির মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ৭ মার্চ এক ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। একটি কবিতা পড়া হবে তার জন্য কী ব্যাকুল প্রতীক্ষা মানুষের ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে এমনটাই লিখেছিলেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বানের জন্য অধীর অপেক্ষায় ছিল বাঙালি জাতি। বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী এ ভাষণ মুক্তিকামী মানুষকে যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রেরণা এবং সেই সঙ্গে নয় মাসের লড়াইয়ের শক্তি জুগিয়েছে। বিশ্বমানচিত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র।
৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আসেন বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে। সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি ও কালো মুজিবকোট পরিহিত বঙ্গবন্ধু মঞ্চে উঠে এলেন। পুরো জাতি তাঁর কথা শোনার প্রতীক্ষায় উদগ্রীব। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সর্বশেষ দুটি লাইন, যা পরে বাঙালির স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিকনির্দেশনা ও লড়াইয়ের শক্তিতে পরিণত হয়েছে। এ দিন লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে তিনি ঘোষণা করেন রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশা আল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা। রেসকোর্সে জনতার উদ্দেশে দেওয়া জাতির পিতার এ কালজয়ী ভাষণে ধানিত হয়েছিল বাংলার মানুষের প্রাণের দাবি এবং ফুটে উঠেছিল বাঙালি হত্যা, নিপীড়ন-নির্যাতনের চিত্র। একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। এর পরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা জীবন অনেক প্রাণ উদ্দীপ্তকারী ভাষণ দিয়েছেন। কিন্তু যে ভাষণ দিয়ে তিনি নিপীড়িত বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা অর্জনে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, সেটি হলো একাত্তরের ৭ মার্চের ভাষণ। মাত্র ১৯ মিনিটের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সেই ভাষণ আজও মানুষকে উদ্দীপ্ত করে। আজও তাঁর ৭ মার্চের ভাষণ নতুন প্রজন্মকে দারুণভাবে নাড়া দেয়।। তাঁর এ ভাষণের পর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠ ভাষাই নয়, এটি জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেস্কো) বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ভাষণগুলোর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ। ঐতিহাসিক ওই ভাষণে রয়েছে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য জনগণের প্রতি নির্দেশনা রয়েছে পাকিস্তানের ২৩ বছরের দুঃশাসন, শোষণ-নিপীড়ন ও করুনার ইতিহাস; সেই সঙ্গে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক। বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে পাকিস্তানি শোষণ ও শাসন থেকে মুক্ত করার নির্দেশ দেন এবং একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ ও গেরিলাযুদ্ধের প্রকৃতির রূপরেখা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। বিশ্বমানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা