× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

অবৈধ অস্ত্রের উৎসে হাত দিন

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.)

প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:০১ পিএম

অলঙ্করন : প্রবা

অলঙ্করন : প্রবা

সম্প্রতি প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে আসছে প্রচুর অবৈধ অস্ত্র। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবিষয়ক মন্ত্রীসভা কমিটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। ফিরে তাকাই পেছনে। এক দশক আগের কথা। ২০১৩ সালে ২৮টি সদস্য দেশে জরিপের ভিত্তিতে ২১ অক্টোবর ২০১৩-এ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক তথ্যে জানায়, সে সময় বিশ্বে প্রায় ২৩৬ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশের বর্তমান বাজারে ২ হাজার ৬৩০ কোটি টাকার সমান) মূল্যের অবৈধ অস্ত্র কেনাবেচা হতো। আরও দাবি করা হয়, বিশ্বের যত অস্ত্র প্রস্তুত হয় তার ১০ থেকে ২০ শতাংশই অবৈধভাবে কেনাবেচা, হাতবদল, পরিবহন বা স্থানান্তর হয়। ফরচুন বিজনেস ইনসাইট নামক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রকাশনায় দেখা যায়, ২০২১ সালে বিশ্বে উৎপাদিত ছোট অস্ত্রের বাজার বা ব্যবসায়িক মূল্য ছিল ৮.৫৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২২ সালে ৮.৭৫ বিলিয়ন ও ২০২৯ সালে ১১.১৬ বিলিয়ন হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়। এ অর্থের ২০% অবৈধ অস্ত্রের পেছনে ব্যয় হয়েছে ধরা হলে গত বছর অবৈধ অস্ত্র বাবদ ব্যয় হয়েছে সাড়ে ১৭ কোটি ডলার বা ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। এসব তথ্যের সূত্র ধরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) অবৈধ অস্ত্রের লেনদেনকে পৃথিবীর অন্যতম সংঘবদ্ধ অপরাধ বলে অভিহিত করেছে। জাতিসংঘের অফিস ফর ডিজ আর্মামেন্ট বা নিরস্ত্রীকরণ শাখার দাবি, কয়েক দশক ধরে বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক খাত হলো অবৈধ অস্ত্রের উৎপাদন ও বেচাকেনা। তবে আশঙ্কার কথা হলো, অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদের এ গোপন উৎপাদন ও বিপণন বিশ্বময় মানুষের দুর্ভোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিনিয়ত উস্কে দিচ্ছে। একটি অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঘটলে প্রথমেই সেখানকার স্থিতিশীলতা নষ্ট হয় ও প্রায় সকল প্রকার অপরাধের মাত্রা বাড়তে থাকে। আর দীর্ঘমেয়াদে অবৈধ অস্ত্র মানবাধিকার লঙ্ঘন, উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই অবৈধ অস্ত্রকে সকল প্রকার অপরাধের অন্যতম সহযোগী ও মদদদাতা বলা হয়।

অবৈধ অস্ত্র এবং মাদকসংক্রান্ত অপরাধের মধ্যে বহুমাত্রিক সংযোগ ও পারস্পরিক নির্ভরশীলতা লক্ষ করা যায়। কানাডার বিচার বিভাগ রিলেশনশিপ বিটুইন ইললিগ্যাল ড্রাগস অ্যান্ড ফায়ার আর্মস অর্থাৎ অবৈধ মাদক ও অস্ত্রের মধ্যকার সম্পর্ক বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করে। গবেষণায় উঠে এসেছে, মাদক ব্যবসা মূলত সন্ত্রাসনির্ভর। আর সন্ত্রাসের শক্তি বা প্রাণ হলো অবৈধ অস্ত্র। অধিকাংশ ক্ষেত্রে একজন মাদকসেবীর মাদকের চাহিদা ক্রমেই বাড়তে থাকে এবং একপর্যায়ে এ বর্ধিত মাদকের জন্য প্রয়োজন হয় মাত্রাতিরিক্ত অর্থ। বৈধ পথে এ অর্থ একজন মাদকাসক্ত ও প্রকারান্তরে মানসিক বিকারগ্রস্ত মানুষের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব হয় না। তখন সেই ব্যক্তি স্বেচ্ছায় কিংবা একটি চক্রে আবদ্ধ হয়ে মূলত বাড়তি মাদকের জন্য অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে অপরাধের পথে পা বাড়ায় এবং অপরাধী চক্রের সঙ্গে কালো জগতে জড়িয়ে যায়। আর এ অপরাধী চক্রের অন্যতম চালিকাশক্তি অবৈধ অস্ত্র। যারা মাদকদ্রব্য উৎপাদন, বহন বা বাজারজাত করে, তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার বা চাঁদাবাজি করতে চায় সমাজের নানান স্তরের স্বার্থান্বেষী মহল। এ কুচক্রী মহলের কালো থাবা থেকে আত্মরক্ষা কিংবা তাদের কালো হাত দূরে রাখতে তারা নিজেদের কাছে অবৈধ অস্ত্র রাখতে বাধ্য হয়।

একটি দেশে গণতন্ত্রের যথাযথ চর্চা, ক্রমবিকাশ ও স্থায়িত্বের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু  দেশ ও সমাজের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্টে কেবল অবৈধ অস্ত্রই যথেষ্ট। বিরোধীমত দমন বা সরকারবিরোধী আন্দোলন সমূলে উপড়ে ফেলতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, সরকারের প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত, গোয়েন্দা সংস্থা ও বৈদেশিক শক্তির ছায়ায় অবৈধ অস্ত্রের অপপ্রয়োগ বিশ্ব ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আবার বিরোধী দল অবৈধ অস্ত্র হাতে পেলে অরাজকতার সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পিছপা হয় না। অবৈধ অস্ত্রের বেচাকেনা ও পরিবহনের পুরো অর্থই লেনদেন হয় বৈদেশিক মুদ্রা বা বেআইনি মুদ্রার মাধ্যমে। এ বৈদেশিক মুদ্রা কোনোভাবেই বৈধ পথে লেনদেনের সুযোগ থাকে না। দেশে যখন বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে শিশুখাদ্য, ওষুধ বা চিকিৎসা সরঞ্জামের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানি কঠিন হয়ে পড়ে, তখন অবৈধ অস্ত্র বা মাদকের জন্য হুন্ডি করে বৈদেশিক মুদ্রা পাচার দেশটিকে অচলাবস্থার দিকে ঠেলে দেয়।

এ বৈশ্বিক সংগঠনের ২০২১ সালের ইনডেক্স মোতাবেক অপরাধ জগতে লেনদেনের হিসাবে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে অবৈধ অস্ত্রজনিত লেনদেন। অবৈধ অস্ত্রের কারণে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে মানব পাচার, চোরাচালান, মাদকের বিস্তার, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই। অন্যদিকে জাতিসংঘের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম ২০১৯ সালে কাতারের রাজধানী দোহায় এ-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক শিক্ষা সেমিনার শেষে দোহা ঘোষণায় ক্রমবর্ধমান অবৈধ অস্ত্রের চাহিদা ও ব্যবহারের যেসব কারণ উল্লেখ করেছে, তার মধ্যে রয়েছে চারদিকে অপরাধ ও সন্ত্রাস বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃঙ্খলার অবনতি, দেশ-বিদেশে সংঘাত, জননিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ দুর্বল সরকারি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আইনের শাসন ও সুষ্ঠু বিচারব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা, নিজ সরকার বা অন্যের দ্বারা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রভৃতি। এ ছাড়া দেশ পরিচালনায় জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ কমে গেলে যেকোনো দেশে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বাড়ে, ইতিহাস এই সাক্ষ্য দেয়। ভারতের মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অপরাজিতা বিশ্বাস এক গবেষণায় দেখিয়েছেন, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্রের সংখ্যা এবং অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে অপরাধ করার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তার দাবি, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান অঞ্চলে বিশ্বের সর্বাধিক অবৈধ অস্ত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। আর এ দুটি দেশেই জঙ্গি ও উগ্রবাদীদের শক্তিশালী অবস্থানের কারণে সেখানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্রের উপস্থিতি যেকোনো বিচারে আশঙ্কার কারণ। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের দুটি দেশ মিয়ানমার ও আফগানিস্তান গাঁজা, পপি ও অন্যান্য মাদক বা মাদকের কাঁচামাল উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষে রয়েছে। মাদক আর অস্ত্র সমান্তরাল গতিতে চলে বিধায় পুরো দক্ষিণ এশিয়া আজ ঝুঁকির মুখে। গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল ও গোল্ডেন ক্রিসেন্ট নামে কুখ্যাত মাদক ও অবৈধ অস্ত্রের রুটও দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত। তাই গোটা দক্ষিণ এশিয়া তথা সার্ক দেশগুলো অবৈধ অস্ত্র এবং মাদকের অপব্যবহারের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে বলে ধারণা করা যায়।

বাংলাদেশের ইতিহাস ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির সঙ্গে অবৈধ অস্ত্রের সংযোগ বহু প্রাচীন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময় সরকারি পেটোয়া বাহিনীর হাতে খোদ ব্রিটিশরাই অবৈধ অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। অন্যদিকে স্বদেশীরাও গুপ্ত হামলা চালিয়ে ব্রিটিশ ও তাদের দোসরদের ঘায়েল করতে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। পাকিস্তান আমলে বিশেষত ষাটের দশকে সামরিক জান্তা আইয়ুব খান ও তার দোসর মোনেম খান পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলন দমাতে ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ফেডারেশন (এনএসএফ) নামে তথাকথিত ছাত্র সংগঠন তৈরি করেন এবং তাদের হাতে অবৈধ অস্ত্র তুলে দেন। মুক্তিযুদ্ধের  আগে ও যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানিদের সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও এ দেশে বসবাসরত অবাঙালিদের হাতে অবৈধ অস্ত্র সহজলভ্য হয়ে যায় হানাদার বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায়। আর দেশের স্বাধীনতার জন্য এবং নিজের জীবন বাঁচাতে স্বাধীনতাকামী আমজনতা ও মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে সম্ভব অস্ত্র সংগ্রহ করে এবং জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেন। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১-এ স্বাধীনতা লাভ ও ১০ জানুয়ারি ১৯৭২-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের পর তাঁর সর্বপ্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল ঘরে ঘরে এমনকি হাতে হাতে থাকা অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরকারি গুদাম বা অস্ত্রাগারে জমা করা। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেকেই অস্ত্র জমা করলেও একদল সুযোগসন্ধানী অবৈধভাবে অস্ত্র রেখে দেয়।৭৫-এর বিরোধীমত বিশেষত বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে তৎকালীন শাসকরা নিজস্ব ছাত্র সংগঠন ও অঙ্গসংগঠনের পেটোয়াদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিশেষত বেশ কিছু মেধাবী ছাত্রের নাম কিংবদন্তিতে পরিণত হয়, যারা কলম ছেড়ে অবৈধ অস্ত্রহাতে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসে যোগ দিয়েছিলেন। যারা জাতির জনককে হত্যা করেছিল, তারাই আবার ফ্রীডম পার্টি গঠন করে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দেয়। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের বন্দরে ১০ ট্রাক অবৈধ অস্ত্র ধরা পড়ে, যা ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দেওয়া হতো বলে তথ্য পাওয়া যায়। একই বছরের ২১ আগস্ট রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা ও তার গাড়িতে গুলি চালাতে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহৃত হওয়ার তথ্য আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশের বিষয়টি নিশ্চয় বৃহৎ উদ্বেগের।

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩ জেলায় প্রায় একই সময়ে বোমা বিস্ফোরিত হয়। বগুড়া, দিয়াবাড়ী, শেরপুরসহ বহু এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের ভান্ডার পাওয়া যায়, যার গন্তব্য ভারতের সীমান্ত অঞ্চল বলে জানা যায়। আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হলে অবশ্যই অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করতে হবে। অতিসম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদে গৃহীত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে দেশব্যাপী অভিযানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই এবং স্মরণ করতে চাই সেই প্রবাদ বৃক্ষ তোমার নাম কি, ফলে পরিচয়। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে ঘোষণা নয় ; চাই আন্তরিকতা এবং সাধারণ মানুষের ওপর আস্থা।


  • নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও গবেষক
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা