× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

জঙ্গিদের নিশানায় পাহাড় কেন

মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ আলী শিকদার (অব.)

প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:০৭ পিএম

অলঙ্করন : জয়ন্ত জন

অলঙ্করন : জয়ন্ত জন

সম্প্রতি প্রতিদিনের বাংলাদেশসহ অন্য সংবাদমাধ্যমে পাহাড়ে জঙ্গি তৎপরতার খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর একটি প্রতিবেদনের শিরোনামÑ ‘র‌্যাবের অভিযানে ১৭ জঙ্গিসহ গ্রেপ্তার ২০’। এই খবরটি দেশের অন্য মিডিয়ায়ও গুরুত্বসহকারে এসেছে। পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলার দুর্গম পাহাড়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে বিশেষ অভিযান চালিয়ে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) থানচি উপজেলার রেমাক্রি সেতুসংলগ্ন এলাকা থেকে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে, উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম। গ্রেপ্তারকৃতদের পরিচয় সম্পর্কে বলা হয়েছেÑ এর মধ্যে ১৭ জন নব্য জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্য এবং অন্য তিনজন পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সদস্য। সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেছেন, ‘হরকাতুল জিহাদ (হুজি) ও আনসার আল ইসলামের মতো জঙ্গি সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুনর্গঠিত হয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নামে জঙ্গি সংগঠন গড়ে তুলে পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।’ এই সংবাদের মধ্যে ভালো ও মন্দ দুটো দিকই আছে। ভালো দিক এই, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক আছে এবং জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অবিরাম অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তাতে জঙ্গিরা ধরাও পড়ছে। এর আগেও র‌্যাব পার্বত্য চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে নব্য এই জঙ্গি সংগঠনের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার ও অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার করে। খবরের খারাপের দিকটা অনেক বেশি উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার।

প্রথমত, এতে প্রমাণ হয় জঙ্গিরাও বসে নেই, তারাও অবিরাম সংগঠিত হয়ে বড় ধরনের আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। দ্বিতীয়ত, তাদের হাতে অনবরত দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক দ্রব্য আসছে। কোথা থেকে আসছে এত সব অস্ত্রশস্ত্র গোলাবারুদ? কেনার জন্য যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন হয়- সেটাইবা কোথা থেকে আসছে? কোথা থেকে অস্ত্র গোলাবারুদ আসছে তা সঠিকভাবে জানা না গেলেও এটা তো বলা যায়, তাদের জন্য অস্ত্র-গোলাবারুদ ও অর্থ আসার যে চ্যানেল রয়েছে তা বন্ধ করা যাচ্ছে না। তৃতীয়ত, শঙ্কার বিষয় হলো, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ধর্মীয় উগ্রবাদী সশস্ত্র জঙ্গি ও সংগঠনের সঙ্গে পাহাড়ে নতুনভাবে গড়ে ওঠা সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যোগসাজশ ও একাত্মতা। এ জন্যই পাহাড় জঙ্গিদের নিশানায় পরিণত হয়েছে। ৯ ফেব্রুয়ারিতে একটি দৈনিকের সম্পাদকীয়তে সরকারের প্রতি জঙ্গি নির্মূলের আহ্বান জানিয়ে লেখা হয়েছে, ‘নতুন নামে জঙ্গি সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ডের যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে আতঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।’ গত বছর প্রকাশিত এক খবরে জানা যায়, ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে ভারী অস্ত্র কিনতে টাকা দিচ্ছে। সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে ব্যাংকিং চ্যানেল ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে টাকা পাঠানো হচ্ছে।’ সম্পাদকীয়টি সময়োপযোগী ছিল এবং যথার্থ কথাই বলা হয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং চ্যানেলেই টাকা যাচ্ছে জঙ্গি সংগঠনের কাছ এবং তা উদ্বেগের। তার মানে ব্যাংকিং চ্যানেলেও তাদের নেটওয়ার্কভুক্ত লোক রয়েছে। বহু আগ থেকেই আমরা বলে আসছি, জঙ্গিদের অর্থের চ্যানেল বন্ধ করতে না পারলে তাদের অপতৎপরতা বন্ধ করা যাবে না।

২০১৬ সালের পহেলা জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজানের ঘটনার পর জঙ্গি সংগঠনগুলো, বিশেষ করে জেমএবি, নব্য জেএমবি এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ওরফে আনসার আল ইসলামের সদস্যরা তিন ডজনেরও বেশিবার নতুন করে হামলা চালানোর জন্য বড় ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু র‌্যাব-পুলিশের সতর্কতা ও তৎপরতায় প্রতিবারই তারা আগেভাগে ধরা পড়েছে এবং গোলাগুলিতে অনেক জঙ্গি আহত-নিহত হয়েছে। অনেকে গ্রেপ্তারও হয়েছে। এ অবস্থায় জঙ্গিরা বড় আক্রমণ চালাতে না পারলেও তারা যে কখনই বসে ছিল না সেটি কিন্তু বিভিন্ন সময়ে বোঝা গেছে। ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ব্ক্স ও পুলিশের গাড়িতে বেশ কয়েকটি বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। সেগুলোতে কেউ নিহত না হলেও অনেকেই আহত হন। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখে চট্টগ্রাম শহরের ব্যস্ততম এলাকা দুই নম্বর গেট মোড়ে অবস্থিত পুলিশ বক্সের ভেতরে বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন পথচারী আহত হন। আশ্চর্যজনক লক্ষণীয় বিষয় হলো, ঢাকা ও চট্টগ্রামে পুলিশের ওপর বোমা আক্রমণের পরপরই সেই আগের মতো সাইট ইন্টেলিজেন্স নামের বিদেশি এক মিডিয়ার মাধ্যমে ওই সব আক্রমণের দায় স্বীকার করে নেয় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস (ইসলামিক এস্টেট)। তাতে বোঝা যায় বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে এখনও আন্তর্জাতিক জঙ্গি নেটওয়ার্কের একটা যোগাযোগ রয়েছে। নতুন উদ্বেগের বিষয় হলো, ধর্মীয় উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন এখন পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছে এবং সেখানকার সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করছে। র‌্যাবের মহাপরিচালকও তার ব্রিফিংয়ে এমন কথাই বলেছেন।

সব সশস্ত্র সন্ত্রাসীর বড় আগ্রহ ও যোগাযোগের মৌলিক স্বার্থের জায়গা হচ্ছে তারা সবাই চোরাচালানের মাধ্যমে অস্ত্র-গোলাবারুদ সংগ্রহ করে এবং সেগুলো নিজেদের মধ্যে আদান-প্রদান করে। বাংলাদেশের সমতল এলাকায় জঙ্গি আক্রমণের আশঙ্কা তো থেকেই যাচ্ছে, তার সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে চাঁদাবাজিসহ ও প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় রক্তপাতের ঘটনা ঘটছে। এমনটি চললে স্থানীয়রা সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে জিম্মি হয়ে পড়বে। শান্তিচুক্তির ফলে পার্বত্য অঞ্জলের মানুষ যেসব সুবিধা পাচ্ছে, সেগুলো আবার নিরাপত্তার ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। পার্বত্য চট্টগ্রামে শুধু নয়, বাংলাদেশের জন্য এ সময়ে সবচেয়ে বড় নিরাপত্তার হুমকি সৃষ্টি হচ্ছে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরের মধ্যে অবস্থিত কয়েক ডজন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ জঙ্গি সংগঠনের সংযোগ ও সম্পর্কের কারণে।

অভিযোগ আছে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীগোষ্ঠী ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন, এই উভয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ধর্মীয় জঙ্গিগোষ্ঠীর গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। সুতরাং ত্রিধারার এই সশস্ত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে কমন স্বার্থের বিবেচনায় কক্সবাজারের রোহিঙ্গা সন্ত্রসীরা যদি পার্বত্য চট্টগ্রামে আশ্রয়-প্রশ্রয় পায়, তাহলে সেটি বাংলাদেশের জন্য আরও বড় নিরাপত্তা সংকট সৃষ্টি করবে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরের ভেতরে গড়ে ওঠা সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো ক্রমশই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। গত ১৪ জানুয়ারি দেশের একটি দৈনিকের প্রধান শিরোনাম ছিল ‘অপরাধের ঘাঁটি রোহিঙ্গা শিবির : পাঁচ বছরে শিবিরের ভেতরে ১৩৫ জন খুন’। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রোহিঙ্গারা নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এবং স্থানীয় মানুষের ওপরেও তারা হামলা চালাচ্ছে। কিছু দিন আগে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ এক নিরাপত্তা সংস্থার চৌকশ একজন অফিসার রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের আক্রমণে নিহত হন। ওই প্রতিবেদনেই আরও বলা হয়, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন (আরএসও), আরসা, ইসলামি মাহাজ, জমিওয়াতুল মুজাহিদিনসহ আরও বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী সংগঠনের অবস্থান রয়েছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সঙ্গে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের সংযোগ ও প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে।

২০১৬ সালের ১২ মে রাতে রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার ক্যাম্পে আক্রমণ চালায় একটি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীগোষ্ঠী। ১১টি রাইফেল ও ৫৯০ রাউন্ড গুলি সন্ত্রাসীরা লুট করে নিয়ে যায়। নিহত হন আনসার কমান্ডার আলী হোসেন। পরবর্তীতে ওই আক্রমণের মূলহোতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তার নাম ওমর ফারুক এবং সে পাকিস্তানের নাগরিক। আরও বড় বিপদের আশঙ্কা হলো, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠনের হাত ধরে চোরাচালানের মাধ্যমে আসা অস্ত্র-গোলাবারুদ শুধু জঙ্গি সংগঠন নয়, দেশের রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের হাতেও যে চলে গেছেÑ এই সন্দেহ উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশি-বিদেশি একটা বিশাল নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যে বিপজ্জনক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করবে, তার আলামত তো ইতোমধ্যেই পাওয়া গেছে। এখানে বহুপক্ষের কমন হীনস্বার্থ এক হয়ে কাজ করছে, যারা যেকোনো মূল্যে বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। সন্দেহ আছে, এই প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের সকল ধর্মান্ধ, উগ্রবাদী গোষ্ঠী এবং ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক পক্ষ জড়িত, যাদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ আশ্রয়-প্রশ্রয় ও নিয়ন্ত্রণে কাজ করে জঙ্গি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। সুতরাং জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে জঙ্গি সংগঠনগুলো সক্রিয় হয়ে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী প্রগতিশীল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ব্যক্তির ওপর আবার আগের মতো টার্গেট কিলিংয়ের মিশনে নামতে পারে। এগুলো সবই আশঙ্কার কথা।

তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদাসতর্কতা ও বিরামহীন অভিযানের ফলে আশঙ্কাগুলো বাস্তবে রূপ নেবে না, সেই প্রত্যাশাই আমরা করি। দেশব্যাপী জঙ্গি রিক্রুটমেন্টের যে পুরোনো নেটওয়ার্ক ছিল তা এখনো অটুট আছে মনে হয়। শুরুতেই বলেছি, র‌্যাবের অভিযানে যে ১৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছে তারা দেশের বিভিন্ন স্থান এবং কলেজ-মাদ্রাসার পড়াশোনা ত্যাগ করে জঙ্গি দলের সদস্য হয় এবং পাহাড়ে কুকি ন্যাশনাল ফ্রন্টের প্রশিক্ষণ ছাউনিতে সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে যায়। পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় জঙ্গি আস্তানা ও প্রশিক্ষণ নতুন বা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। একটি ঘটনার সঙ্গে অন্যটির সম্পর্ক রয়েছে এবং আগের ধারাবাহিকতায় তারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং সংঘবদ্ধ হতে সক্রিয়। এর শিকড় উপড়ে ফেলতে হবেই।


  • গবেষক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা