× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নজরুল জয়ন্তী

নজরুলের নাটকে মায়াজালের বিস্তার

ড. রিটা আশরাফ

প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৫ ১৬:৫৫ পিএম

নজরুলের নাটকে মায়াজালের বিস্তার

কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যের নানা দিক নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে প্রচুর। কিন্তু নজরুল সাহিত্যের যে দিকটি নিয়ে একেবারেই আলোচনা হয়নি সেটি হলো তার সাহিত্যে জাদুবাস্তবতা। নজরুল সাহিত্যে বিভিন্নভাবে নানা রূপে জাদুবাস্তবতা এসেছে। তার নাটকে বিস্তার করেছে মায়াজাল। তার পদ্ম-গোখরো ছোটগল্পটিতে পদ্ম-গোখরো সাপের সঙ্গে মানুষের কাল্পনিক চিত্রের মধ্য দিয়ে নজরুল যে জাদুবাস্তবতার মোহ তৈরি করেছেন তা অসাধারণ। নজরুলের আশিটিরও বেশি নাটকের বেশ কয়েকটিতে রয়েছে জাদুবাস্তবতার রস। ‘মধুমালা’ তার মধ্যে অন্যতম। এক সম্মোহনী জাদুবাস্তবতার মায়াজাল বিস্তার করে নজরুল রচনা করেছেন ‘মধুমালা’ নাটকটি। পূর্ববঙ্গ গীতিকার একটি অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় লোকগাথা ‘মধুমালা’। এই ‘মধুমালা’ কাহিনীটিতেই জাদুবাস্তবতার মিশ্রণ ঘটিয়ে নতুন স্বাদ এনেছেন নজরুল। লোককাহিনীতে সাধারণত কোনো জটিলতা থাকে না। ‘মধুমালা’ নাটকের কাহিনী বিন্যাসেও কোনো জটিলতা নেই। ঘুমপরী এবং স্বপ্নপরীর জাদুময়ী নেপথ্য কাণ্ডকারখানায় ‘মধুমালা’ নাটকের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে। জাদুবাস্তবতা কী এ প্রসঙ্গে খানিক আলোচনা করে নেওয়া যাক। খুব সাদামাটা ভাষায় বাস্তব নয়, অথচ বাস্তবের মতো, এটিই জাদুবাস্তবতা।

জাদুবিদ্যা থেকেই সাহিত্যে জাদুবাস্তবতার জন্ম। মানবসমাজে জাদুর অস্তিত্ব অতি প্রাচীনকাল থেকে। এটি মানুষের মনে আনন্দের উদ্রেক করে। চোখের সামনে তুলে ধরে একটি বাস্তব অস্তিত্ব। এই যেমন, একজন জাদুকর একটি বাক্সের চারদিক খুলে আমাদের সামনে তুলে ধরল। আমরাই নিশ্চিত করে দিলাম বাক্সের ভেতর কিছু নেই। কেবলই শূন্য। অতঃপর জাদুকর আমাদের সামনেই বাক্সটির চারদিক বন্ধ করে তার ভেতর থেকে বের করে আনল একটি ধবধবে সাদা কবুতর। কবুতরটি সবার সামনে পাখা মেলে উড়ালও দিল। অথচ এর ভেতরে যে রহস্য তার সবটাই ফাঁকি। কুহক। জাদুকর লেখকের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টিও তাই। সাহিত্যে জাদুবাস্তবতা পাঠককে নিয়ে যায় জীবনের গভীরতর কোনো রহস্য অনুসন্ধানে। 

জাদুবাস্তবতার অস্তিত্ব রয়েছে চলচ্চিত্রের মধ্যেও। শুধু জাদুবাস্তবতার কারণেই লোককাহিনীভিত্তিক বাংলা সিনেমা রূপবান এখনও পর্যন্ত দর্শকের হৃদয়ে গেঁথে আছে। হিন্দি ছবি ‘কোহে মিলগিয়া’র বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে ভর করে দর্শক জাদুবাস্তবতায় মোহগ্রস্ত হয়। কিংবা ইংলিশ ছবি টারমিনেটর দেখেও দর্শক টান টান উত্তেজনা অনুভব করে। দর্শকের একবারও মনে হয় না যে ‘কোহে মিলগিয়া’র যে এলিয়েন তা নিছক কল্পনা থেকে এসেছে। দর্শকের মনে এখনও গেঁথে আছে নিশ্চয়ই কোনো ভিন গ্রহ থেকে কোনো এলিয়েন সুপার পাওয়ার নিয়ে যেকোনো সময় চলে আসতে পারে এই পৃথিবীতে। কিংবা কোনো বিপর্যয়ের মুখে নিশ্চয়ই পারদ দিয়ে তৈরি সুপার পাওয়ার যুক্ত কোনো মানুষ এসে দাঁড়াবে সামনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে। গুলি করে তার দেহ ফুটা করে দিলেও কিংবা তার দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে ফেললেও তা আবার ঠিকই জোড়া লেগে যাবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এই জাদুবাস্তবতা নিয়ে আমাদের বিদগ্ধ সমালোচকগণ নীরব। গবেষকগণ এ ক্ষেত্রে হাতই দেননি। ইংরেজি সাহিত্যে এর ওপর কিছু গ্রন্থ পাওয়া গেলেও আমাদের সাহিত্যে এই বিষয়ের ওপর কোনো বই খুঁজে পাওয়া যায়নি। অথচ আমাদের সাহিত্যে জাদুবাস্তবতা অনেক বড় একটি জায়গা দখল করে আছে। শুধু দখল করে আছে নয়, এই জাদুবাস্তবতা জীবন থেকে জীবনের গভীরে নিয়ে গিয়ে মোহাবিষ্ট করে রাখছে পাঠককে। জগতের বাইরে আরেক জগতের সন্ধান দিয়েছে। বিজ্ঞানকে করে তুলছে রহস্য থেকে রহস্যময়। নজরুলের মধুমালা নাটকেই রয়েছে তার দৃষ্টান্ত। শুধুমাত্র যাদুবাস্তবতার রহস্যের কারণেই নজরূলের ‘মধুমালা’ নাটকটি একটি সফল মঞ্চ নাটক। নাট্য ভারতীর উদ্যোগে ১৯৩৯ খ্রীষ্টাব্দে আলফ্রেড রঙ্গমঞ্চে ‘মধুমালা নাটকটি প্রথম মঞ্চায়িত হয় এবং একাধারে চল্লিশ রজনী এটি অভিনীত হয়। এ থেকেই বোঝা যায় নাটকটির মঞ্চ সফলতা। আর দর্শকপ্রিয়তা না থাকলে তো মঞ্চ সফলতা সম্ভব হতো না।

‘মধুমালা’ নাটকের পরিচালক শ্রী ধীরেন্দ্রনাথ ভদ্র ‘মধুমালা’ সম্পর্কে বলেছেন : এ কথা আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি, বিদগ্ধ সমাজ কাজী সাহেবের এ গীতিনাট্য দেখে বিমুগ্ধ হয়ে আমাদের প্রশংসা করে গেছেন এবং সেসব সংগীতরসিক ও শিল্পবোধসম্পন্ন দর্শক মহল অজস্র অভিনন্দন দিয়েছিলেন আমাদের। কাজেই সমসায়িক সমালোচকদের কাছ থেকেই ‘মধুমালা’ নাটকের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে জানা যায় এবং এটি সন্দেহাতীতভাবেই বলা যায়, নাটকটিতে যে জাদুবাস্তবতা রয়েছে তার জন্যই নাটকটি এতটা মঞ্চ সফলতা পেয়েছে। কারণ, মানূষ সব সময়ই দৈনন্দিন জীবন-যাপনের বাইরেও কিছু পছন্দ করে। নাটকের প্রথম অঙ্কেই ঘুমপরী ও স্বপনপরীর মাধ্যমে যাদুবাস্তবতার প্রবেশ ঘটানো হয় এভাবে: ‘হঠাৎ সকলের হাসির হুল্লোর কমিয়া আসিল, সকলে হাই তুলিয়া তুড়ি দিয়া যেন কোন মায়ার প্রভাবে নিদ্রাভিভূত হইয়া পড়িল। এই নিদ্রা আসিবার পূর্ব হইতেই বেনুবীণা ইত্যাদির ঘুম-আসা অলস সুর বাজিতে ছিল এবং ইহারা তন্দ্রাছন্ন হইবার সাথে সাথে কমল দিঘীতে ঘুমপরী ও স্বপনপরী গাহিয়া উঠিল:

ঘুম আয় ঘুম, ঘুম ঘুম ঘুম/ আকাশ বাতাস জল থল উপবন/ সব হোক নিঝঝুমস।

ঘুমপরী ও স্বপনপরীর যাদুর কারসাজিতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লো। সবাইকে ঘুম পাড়িয়ে তারা যাদুর ময়ুর বিমানকে আহবান করলো:

আয় আয় মোর ময়ূর বিমান আকাশ নদী বেয়ে/ ফুল ফোটানো হাওয়ায় ভেসে চাঁদের আলোয় নেয়ে।

অতঃপর তাদের ডাকে যাদুর ময়ূর বিমান আসলে তাতে ঘুমন্ত মদন কুমারকে পালঙ্কসহ শুইয়ে তারা নিমিষে তাকে নিয়ে গেল সমুদ্রগর্ভের রাজ্য সন্দ্বীপে। সেখানে ঘুমন্ত রাজকুমারী মধুমালার পালঙ্কের পাশে এনে রাখলো মদনকুমারের পালঙ্ক। ঘুম থেকে জেগে উঠে মধুমালা নিদ্রিত রাজপুত্র মদনকুমারকে দেখেই তার প্রেমে অভিভূত হয়। অতঃপর তাদের নাঝে বিনিময় হয় প্রেম, ভালবাসা, অঙ্গুরীয়, নবলকের হার, পদ্মমণির মালা এবং চাদর। এসব বিনিময়ের পর পরীদের যাদুর কারসাজিতে তারা আবার ঘুমিয়ে পড়ে।

নাটকের তৃতীয় অঙ্কে মধুমালার প্রেমে উন্মত্ত মদনকুমার তার বাবা মার অনুমতি নিয়ে সপ্তডিঙ্গা মধুকর নিয়ে মধুমালাকে খোঁজার উদ্দেশ্যে সমুদ্রযাত্রা করে। এ সময় ঝড়ের কবলে পড়ে সাবইকে হারিয়ে মদন কুমার সমুদ্রবক্ষে হারিয়ে যায়। যখন তার জ্ঞান ফিরে আসে তখন সে মগরাজা চিত্রসেনের হাতে নিজেকে বন্দি দেখতে পায়। এখানে প্রবেশ করে একটি উপকাহিনী। দস্যুরাজা চিত্রসেনের কুৎসিৎ, মূর্খ ও তোতলা পুত্র বিচিত্রকুমারের সঙ্গে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজা ইন্দ্রজিতের কন্যা কাঞ্চনমালার বিয়ের কথা-বার্তা চলছিল। কিন্তু কুৎসিৎ, মূর্খ ও তোতলা বিচিত্রকুমারকে কাঞ্চনমালা বিয়ে করতে রাজি হবে না ভেবে চিত্রসেন বন্দি মদনকুমারকে বিচিত্রকুমার সাজিয়ে কাঞ্চনমালার সঙ্গে বিয়ে দেয়। বাসর ঘরে মদন কুমার কাঞ্চনমালাকে সব কথা খুলে বলে আবার মধুমালার সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে। এদিকে কাঞ্চমালাও ঘৃণা ও ক্রোধে বিচিত্রকুমারকে অস্বীকার করে মদনকুমারের জন্য তপস্যা শুরু করে। 

অন্যদিকে ঘটনাক্রমে কাঞ্চননগরের রাজা রানী মদনকুমারের স্ত্রীকে পায় এবং তাকে পেয়ে কিছুটা শান্ত হয়। অন্যদিকে মদনকুমার মধুমালার খোঁজে পাগলপ্রায়। উন্মাদের মতো ঘুরে বেড়ায়। তার এই অবস্থা দেখে দুই বোন ঘুমপরী ও স্বপ্নপরীর মায়া হয়। তারা আবারও খেলে রসময় খেলা। স্বপ্নপরীর উদ্দেশে ঘুমপরী বলে : স্বপনদি। আর ওর এ আর্তি দেখতে পারিনেÑ ওর কান্না শুনে পাষাণ গলে আকাশ টলে সাগর দুলে ওঠে। ফুল ঝরে যায়, বনের পাখি গান ভুলে যায়। চল, ওকে মধুমালার দেশে রেখে আসি। তারা আবার মদনকুমারকে নিয়ে সাগর তলের রাজ্য সন্দ্বীপে যায়। সেখানে মধুমালার সঙ্গে মিলন ঘটায় মদন কুমারের। সন্দ্বীপের রাজা রানীসহ সমস্ত রাজ্যে খুশির বন্যা বয়ে যায়। সুখের সাগরে ভেসে যাওয়া মধুমালা সাগরের পাড়ে কার করুণ কান্না শুনে প্রহরীদের কঠোর পাহারা ভেদ করে মদনকুমারকে নিয়ে সমুদ্রকূলে আসে। সেখানে কাঞ্চনমালা আর মদনকুমারের ঘটনা জানতে পারে মধুমালা। অতঃপর কাঞ্চন মালা যেন মদনকুমারকে নিয়ে সুখী হয় সেজন্য মধুমালা নিজেকে বিসর্জন দেয় সাগরের বুকে। নিজের জীবন দিয়ে কাঞ্চনমালা আর মদনকুমারকে সুখের জীবন দান করে মধুমালা। এখানেই যবনিকাপাত ঘটে মধুমালা নাটকের। 

মধুমালা নাটকের সরল কাহিনীতে পরীদের উপস্থিতি যে জাদুর আবহ সৃষ্টি করেছে নজরুল পাঠকের কাছে কখনই তা বাস্তবের বাইরে কিছু মনে হয়নি। গল্পের কাহিনী বিন্যাসে দেখা যায়, হিমালয়ের পাদদেশে, বনানী প্রান্তরে, বসন্ত ঋতুতে, পিক কুহুতার গুঞ্জরিত পরিবেশে বন-বালিকারা নৃত্যগীত করছিল। সরোবরে বীণা হাতে ঘুমপরী ও স্বপ্নপরী সে দৃশ্য উপভোগ করছিল। এরই মাঝে সেখানে শিকারি বেশে সুসজ্জিত যুবরাজ মদনকুমার তার সঙ্গীদেরসহ উপস্থিত হয়। মদনকুমারের রূপে মুগ্ধ হয়ে পরীরা সাগরতলের রাজ্য সন্দ্বীপের রাজকন্যা মধুমালার সঙ্গে তার মিলনের দুষ্টবুদ্ধি আঁটে। এবং এর পরে ঘুমপরীরা সবাইকে ঘুম পারিয়ে মদনকুমারকে পালঙ্ক সমেত জাদুর বিমানে করে নিয়ে যায় মধুমালার কাছে। অতঃপর তাদের ভালোবাসা বিনিময়ের পর তারা আবার মদনকুমারকে তার স্ব-স্থানে ফিরিয়ে আনে। তারপর ঘটনা এগিয়ে যায় শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে। নাটকে আবির্ভাব ঘটে কাঞ্চনমালার। শেষে মদনকুমারের বিরহে কাতর হয়ে পরীরা আবার তাকে নিয়ে যায় মধুমালার কাছে। তাদের মিলন ঘটায়। নাটকের এই কাহিনী কখনও পাঠকের মনে হয় না ‘কুহক’। বরং পাঠক রোমাঞ্চ অনুভব করেছে। টান টান উত্তেজনা অনুভব করেছে। নাটকে দুইবার মাত্র পরীদের উপস্থিতি ঘটে। এই দুইবারেই পুরো নাটকটিতে জাদুবাস্তবতায় পাঠককে তারা নিয়ে যায় শ্বাসরুদ্ধকর এক পরিবশে। এতে করে নাটকের মানবিক গুণাবলি কোথাও ক্ষুণ্ন হয়নি এতটুকুও। 

মধুমালা নাটকের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বলা যায়, নজরুল ১৯২৯ সালে চট্টগ্রাম ও সন্দ্বীপ ভ্রমণ করেন। সন্দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন নজরুল। দ্বীপবাসীর আতিথেয়তায় তার প্রাণ উদ্বেলিত হয়। নজরুলের সন্দ্বীপ ভ্রমণ সম্পর্কে মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ লিখেছেন : ‘জাহাজ হইতে নৌকায় এবং নৌকা হইতে সন্দ্বীপের মাটিতে পা রাখিয়াই কবি আনন্দে বলিয়া ওঠেন : চমৎকার জায়গা, এ যেন একটা মায়াপুরী। আমার মতো ভবঘুরে পর্যন্ত এখানে নীড় বাঁধতে চাইবে।’ এ থেকে বলা যায়, এই মায়াপুরীকে কেন্দ্র করেই মায়ার জালে আবদ্ধ হয়ে নজরুল রচনা করেন মধুমালা নাটক।

  • অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, বাংলা বিভাগ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ 
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মারুফ কামাল খান

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা