বাজেট
ড. মো. আইনুল ইসলাম
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৫ ১৫:৫৩ পিএম
আপডেট : ২১ মে ২০২৫ ১৭:০৬ পিএম
ড. মো. আইনুল ইসলাম
বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইঞ্জিন হিসেবে বিবেচিত হয়। বিশ্ব অর্থনীতির সিংহভাগজুড়ে রয়েছে এই এসএমই খাত, যা বহু দেশে জাতীয় জিডিপি ও কর্মসংস্থানে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখে। বাংলাদেশেও এসএমই খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি দেশের শিল্প ইউনিটের একটি বিশাল অংশ এবং কর্মসংস্থানের প্রধান উৎস। জাতীয় জিডিপিতেও এই খাতের অবদান অনস্বীকার্য। আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বাংলাদেশের এসএমই খাতের সুনির্দিষ্ট প্রয়োজন ও আকাক্ষা পূরণের এক গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। বাজেট এসএমই খাতের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে এর অবদানকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এসএমই খাতের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি হিসেবে স্বীকৃতি বাংলাদেশের এসএমই খাতের জন্য লক্ষ্যভিত্তিক নীতি ও বাজেট সহায়তার গুরুত্বকে জোরালোভাবে তুলে ধরে। কর্মসংস্থান এবং শিল্প ইউনিটের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের এসএমই খাতের আধিপত্য থাকলেও কিছু প্রতিবেশী দেশের তুলনায় জিডিপিতে এর অবদান তুলনামূলকভাবে কম।
২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত গবেষণা ও নিবন্ধের আলোকে বৈশ্বিক এসএমই প্রেক্ষাপটে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এর মধ্যে টেকসই অর্থায়নে প্রবেশাধিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে সামনে এসেছে। পরিবেশ-সচেতন অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে এই প্রবণতা ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি আকারের উদ্যোগগুলোকে নতুন আশা দেখাচ্ছে। উচ্চ সুদের হার এবং পরিবেশগত দায়বদ্ধতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এটি টেকসই উদ্ভাবন এবং নৈতিক প্রবৃদ্ধির অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে। নীতিনির্ধারক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং প্রযুক্তি সরবরাহকারীদের জন্য এটি একটি সুস্পষ্ট আহ্বানÑএকটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করা। সরলীকৃত রিপোর্টিং এবং সহজলভ্য অর্থায়নের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী চক্র তৈরি হবে, যা এসএমইদের নেতৃত্ব দিতে এবং আরও বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে সহায়তা করবে। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও বিপর্যয়ের সময়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার গুরুত্ব উপলব্ধি করছে। সম্পদ, দক্ষতা ও বাজার জ্ঞান একত্রিত করে শক্তিশালী জোট গঠনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এই সহযোগিতা এসএমইদের উন্নত শর্তাবলি অর্জন, নতুন বাজারে প্রবেশ এবং বাজারের ওঠানামা মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। এই জোটগুলো শুধু সম্পদ একত্রীকরণের ঊর্ধ্বে; তারা উদ্ভাবন এবং ধারণা আদান-প্রদানের একটি সংস্কৃতি গড়ে তোলে। ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ব্যবসা পরিচালনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং গ্রাহক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ব্যাংকগুলোও তাদের এসএমই পরিষেবা উন্নত করতে ক্লাউড কম্পিউটিং এবং এআইর মতো প্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
বাংলাদেশের এসএমই খাতের সম্ভাবনা অত্যন্ত ব্যাপক। এই খাতের পরিসংখ্যানভিত্তিক চিত্রটি বেশ আশাব্যঞ্জক। এসএমই খাত বাংলাদেশের জিডিপিতে প্রায় ২৫ শতাংশ থেকে ৩২ শতাংশ অবদান রাখে। সরকার ২০২৪ সালের মধ্যে এই অবদান ৩২ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। শিল্প ইউনিটের প্রায় ৯০ শতাংশ এসএমই খাতের অন্তর্ভুক্ত এবং শিল্প খাতে ৮০ শতাংশ কর্মসংস্থান এই খাতেই সৃষ্টি হয়। এই খাতে ২ কোটি ৪০ লাখ মানুষের পর্যন্ত মানুষ কর্মরত। এসএমই খাত বার্ষিক প্রায় ৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে প্রায় ৯০ লাখ থেকে ১ কোটির বেশি এসএমই রয়েছে। এই খাতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্র এবং সুযোগ বিদ্যমান, যেমন শ্রম-নিবিড় এবং রপ্তানিমুখী শিল্পে উৎপাদন, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ ও কৃষিভিত্তিক কার্যক্রম, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রযুক্তিভিত্তিক সৃজনশীল শিল্প, আন্তর্জাতিক চাহিদাসম্পন্ন হস্তশিল্প, চামড়াজাত পণ্য ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পণ্য, অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ এবং আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদনের সম্ভাবনা। নারী উদ্যোক্তাদের ভূমিকা ও সম্ভাবনাও এই খাতে উল্লেখযোগ্য। নারী উদ্যোক্তাদের মালিকানাধীন প্রায় ২৮ লাখ এসএমই রয়েছে বলে অনুমান করা হয়। এই উদ্যোগগুলো প্রায় ৮৪ লাখ মিলিয়ন মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। সরকারের বিভিন্ন নীতি ও উদ্যোগ নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা করার লক্ষ্য রাখে। তবে নারী উদ্যোক্তারা এখনও একটি উল্লেখযোগ্য আর্থিক ব্যবধান (৬০ শতাংশ) এবং আনুষ্ঠানিক ঋণে সীমিত প্রবেশাধিকারের সম্মুখীন। ২০২৪ সালের মধ্যে জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান ৩২ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এই খাতের বর্তমান অবদান ২৫-৩২ শতাংশের মধ্যে রয়েছে।
তবে বাংলাদেশের এসএমই খাত বেশকিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। অর্থায়নে প্রবেশাধিকার একটি বড় সমস্যা। উচ্চ জামানতের প্রয়োজনীয়তা, ঋণের ইতিহাসের অভাব এবং জটিল ঋণ প্রক্রিয়ার কারণে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিক ঋণে সীমিত প্রবেশাধিকার একটি প্রধান বাধা। ঋণের উচ্চ সুদহারও একটি বড় উদ্বেগের কারণ। এসএমই খাতে অর্থায়নের একটি বড় ব্যবধান বিদ্যমান, যা জিডিপির ১৯ শতাংশ অথবা ২৫,৯০০ কোটি টাকা হতে পারে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও এসএমই খাতকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এবং পরিচালন ব্যয়বহুল মনে করে বিনিয়োগে দ্বিধা বোধ করে। অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতাও একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। লাইসেন্সিং, বাজারজ্ঞান, সরকারি নীতি ও অর্থায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কেও পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব রয়েছে। বড় শিল্পের তুলনায় এসএমইদের অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, গ্যাস, জল সরবরাহ এবং সড়ক যোগাযোগের মতো পরিষেবাগুলোতে সীমিত প্রবেশাধিকার রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহের অভাব একটি প্রধান বাধা। নিয়ন্ত্রক বোঝাও কম নয়। জটিল কর কাঠামো এবং উচ্চ করের হার একটি বড় চ্যালেঞ্জ। লাইসেন্সিং, নিবন্ধন এবং ঋণ আবেদনের জন্য জটিল আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বিদ্যমান। ব্যবসার জন্য বিভিন্ন সরকারি বিভাগ থেকে বহু সংখ্যক সনদের প্রয়োজন হয়। নীতি নির্ধারণে অসামঞ্জস্যতা এবং সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাবও পরিলক্ষিত হয়। অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাবও এই খাতকে ভোগায়।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বাংলাদেশের এসএমই খাতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন ও আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। আর্থিক সহায়তার ক্ষেত্রে, বাংলাদেশ ব্যাংক ও এসএমই ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের জন্য বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা, জামানতের প্রয়োজনীয়তা কমাতে ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম সম্প্রসারণ ও সরলীকরণ করা, অবহেলিত এসএমই উদ্যোক্তার কাছে পৌঁছানোর জন্য ডিজিটাল ঋণদান প্লাটফর্ম এবং বিকল্প ক্রেডিট স্কোরিং পদ্ধতির প্রচার ও সমর্থন করা, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে এসএমই ঋণের জন্য বিশেষ তহবিল বা কোটা প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বিবেচনা করা এবং অর্থায়ন আরও সাশ্রয়ী করতে এসএমই ঋণের সুদের হার কমানো অপরিহার্য। কর প্রণোদনার ক্ষেত্রে, এসএমই খাতের শিল্পের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রস্তাবিত ১০ শতাংশ অভিন্ন ভ্যাট হার বাস্তবায়ন করা, এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রস্তাবিত ১ শতাংশ লভ্যাংশের ওপর সারচার্জের বিষয়টি বিবেচনা করা, এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ কর ব্যবস্থা বা ক্লাস্টার অন্বেষণ, অতালিকাভুক্ত এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য কর অবকাশ বা হ্রাসকৃত করপোরেট করের হার প্রদান এবং বিদ্যুৎ ও অন্যান্য পরিষেবাগুলোর ওপর ভর্তুকি প্রদান করা প্রয়োজন। উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির প্রসারে এসএমই খাতের মধ্যে উদ্ভাবন, প্রযুক্তি গ্রহণ ও সবুজ উদ্যোগকে উৎসাহিত করার জন্য বিশেষায়িত তহবিল প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তার জন্য, নারী নেতৃত্বাধীন এসএমই উদ্যোগের অর্থায়ন কর্মসূচির জন্য নির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ করা, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য কমপক্ষে ১৫ শতাংশ এসএমই ঋণ বরাদ্দের বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা কার্যকর, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জামানতহীন ঋণ প্রকল্প প্রসার এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আর্থিক জ্ঞান ও ব্যবসা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সমর্থন করা আবশ্যক। নীতি ও নিয়ন্ত্রক পরিবেশের উন্নয়নে, ডিজিটাল প্লাটফর্ম এবং ওয়ান-স্টপ সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে এসএমইদের জন্য লাইসেন্সিং, নিবন্ধন এবং নবায়ন প্রক্রিয়া সরলীকরণের জন্য সম্পদ বরাদ্দ করা, বিদ্যমান আইন ও প্রবিধানের ব্যাপক পর্যালোচনা পরিচালনা করা এবং অপ্রয়োজনীয় জটিলতা ও বাধা দূর করা, এসএমই উন্নয়নে জড়িত সরকারি মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর মধ্যে উন্নত সমন্বয় ও যোগাযোগ নিশ্চিত করা, এসএমই নীতি ২০১৯ এবং আসন্ন এসএমই নীতি ২০২৫-এর কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট সহায়তা প্রদান করা এবং এসএমই নীতি বাস্তবায়ন ও প্রভাবের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নের জন্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।
ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং ওইসিডি সদস্যদের মতো দেশগুলোর এসএমই নীতি ও সহায়তার পদ্ধতির অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। সফল নীতিগুলোতে প্রায়শই এসএমই সহায়তার জন্য ডেডিকেটেড মন্ত্রণালয় বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, ব্যাপক নীতি কাঠামো এবং লক্ষ্যভিত্তিক আর্থিক ও অআর্থিক প্রণোদনা অন্তর্ভুক্ত থাকে। নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়া সরলীকরণ, ডিজিটালাইজেশন প্রচার, অর্থায়নে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি (ক্রেডিট গ্যারান্টি ও বিকল্প ঋণদানসহ) এবং দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ সফল এসএমই উন্নয়ন কর্মসূচির সাধারণ বিষয়। কার্যকর নীতি বাস্তবায়নের জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব এবং অংশীজনদের (সরকার, বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ) মধ্যে সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।
আগামী বাজেট এসএমই সহায়তার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো শক্তিশালী করার ভিত্তি স্থাপন করতে পারে। বিভিন্ন দেশের জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান তুলনা করলে বাংলাদেশের সম্ভাবনা আরও স্পষ্ট হয়। যেখানে ভারত ও চীনে এই অবদান ৬০ শতাংশ, ভিয়েতনামে ৫০-৬০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ও কম্বোডিয়ায় প্রায় ৬০ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কায় ৫২ শতাংশ, সেখানে বাংলাদেশে এই হার ২৫-৩২ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের এসএমই খাতের বিকাশের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এজন্য আসন্ন বাজেটে এই খাতের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া অপরিহার্য।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ। এই বাজেটে এসএমই খাতের প্রয়োজন ও আকাঙ্ক্ষাকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে নীতি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হলে, এই খাত জাতীয় অর্থনীতিতে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে এসএমই খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের মতো অধিক জনসংখ্যা অথচ ক্ষুদ্র ভূখণ্ডের দেশের প্রচণ্ড উন্নয়নপ্রত্যাশী জনমিতিক লভ্যাংশের চূড়ায় বিশাল জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের দ্রুত বিস্তার অপরিহার্য। এজন্য আসন্ন বাজেটসহ আগামী কয়েকটি বাজেটে এই খাতের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেওয়াই সবচেয়ে সুবিবেচনাপূর্ণ সিদ্ধান্ত হবে।