× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

স্বাস্থ্য

চিকিৎসাসেবায় মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে

ড. মিহির কুমার রায়

প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৫ ১৬:১৫ পিএম

ড. মিহির কুমার রায়

ড. মিহির কুমার রায়

‘স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল’ এ প্রবাদটি সর্বজনস্বীকৃত এবং একে সামনে রেখেই জাতিসংঘ প্রণীত এসডিজি লক্ষ্যমাত্রায় উল্লিখিত হয়েছে সবার জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার বিষয়টি। এ লক্ষ্যেই সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে যেসব বিষয় অর্জন সম্ভব হয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হলো শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, টিকাদান কর্মসূচির ব্যাপক সফলতা, গড় আয়ু বৃদ্ধি, সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার উন্নতি ইত্যাদি। বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত হওয়ায় ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্যবিধি অর্জনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য প্রশাসন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যসেবায় শিক্ষা গবেষণা অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য প্রশাসনের কাঠামোতে ঢাকাভিত্তিক কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শুরু করে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে উপজেলাভিত্তিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। আবার মেডিকেল কলেজভিত্তিক হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা প্রচলিত রয়েছে দেশে বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত ৩০টি সরকারি ও ৭৪টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাধ্যমে। তাছাড়াও সারা দেশে বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক উদ্যোক্তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় অনেক হাসপাতাল স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত রয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে রাষ্ট্রীয় ব্যয় কম। এক দশক ধরে বাংলাদেশ গড়ে জিডিপির শতকরা মাত্র ২ ভাগ বা তারও কম আর বাজেটের মাত্র ৫ শতাংশ ব্যয় করছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বনিম্ন। উন্নত দেশগুলোতে এ হার শতকরা ১০ থেকে প্রায় ২০ ভাগ। মাথাপিছু স্বাস্থ্য ব্যয়ের ক্ষেত্রেও দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ সবচেয়ে পিছিয়ে। এ পরিস্থিতির বিবেচনায় নতুন অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে ৪১ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে; যা মোট বাজেটের ৫.১৯ শতাংশ। গত অর্থবছরে এ খাতে বাজেট বরাদ্দ ছিল ৩৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা; যা মোট বাজেটের ৪.৯৯ শতাংশ। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ বাড়ছে ৩ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের তুলনায় এবার বরাদ্দ মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বেশি। আবার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২০ হাজার ৬৮২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা; যা উন্নয়ন বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের অংশ ৪১ শতাংশ এবং গত বছর যা ছিল ৫১ শতাংশ। গত পাঁচ বছরের বাজেট বরাদ্দ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এ সময় এ খাতের বরাদ্দ ৫ শতাংশের আশপাশে ছিল। অন্যদিকে, মোট জিডিপি অনুপাতের এ খাতে বরাদ্দ ১ শতাংশের মতো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলে এলেও সেটা মানা হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মেনে ১৫ শতাংশ না হলেও অন্তত ৮ থেকে ১০ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া যেত এ খাতে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় স্বাস্থ্য খাতে মোট এডিপির ১১ শতাংশ বরাদ্দের কথা বলা হয়েছিল। বর্তমানে এ খাতে ৫৬টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২৮টি হাসপাতাল, ক্লিনিকসহ বিভিন্ন ধরনের ভবন নির্মাণসংক্রান্ত, বাকিগুলো গবেষণা, দক্ষতা, সেবা স্বয়ংক্রিয় করতে নেওয়া হয়েছে। তবে বাজেটের বড় অংশই ব্যয় হবে মজুরি ও বেতন, প্রশাসনিক ব্যয় পেশাগত সেবা ও সম্মানি ভাতা বাবদ। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অবকাঠামো খাতের চেয়েও শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলে আসছে। তবে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) বরাদ্দে তা প্রতিফলিত হচ্ছে না। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবায় বরাদ্দ নেমে আসছে প্রায় অর্ধেকে। পরিকল্পনা কমিশনের চূড়ান্ত করা আরএডিপির খসড়ায় দেখা যায়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের বরাদ্দ কমানো হচ্ছে ৫ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা। আরএডিপিতে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৫ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। মূল এডিপিতে এ বিভাগের বরাদ্দ ছিল ১১ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা।

বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার বাণিজ্যিকীকরণ বর্তমানে এক উদ্বেগজনক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে চিকিৎসাসেবা একটি মৌলিক মানবাধিকার হওয়ার কথা, সেখানে তা এখন এক ব্যবসায়িক পণ্যে পরিণত হয়েছে, যা কেবল বিত্তবানদের জন্য সহজলভ্য। সরকারের অপর্যাপ্ত উদ্যোগ, বেসরকারি হাসপাতালগুলোর অস্বাভাবিক খরচ, ওষুধের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি সবই এ সংকট তীব্র করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, ‘চিকিৎসা কি কেবল বিত্তবানদের জন্য সংরক্ষিত?’

সরকারি হাসপাতালগুলোতে সাধারণ মানুষের জন্য মৌলিক সেবা পাওয়া চ্যালেঞ্জ। রোগী ভর্তি করতে গেলে অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। চিকিৎসক বা নার্সের অভাব সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে সরকারের ব্যয় মোট জিডিপির মাত্র ০.৯%; যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। এটি সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো এবং সেবার মানে ঘাটতি সৃষ্টি করেছে।

স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান সেবা খাতের আর ১০টি প্রতিষ্ঠানের মতো নয়। অসুস্থতায় রোগীর চিকিৎসা নেওয়ার ভরসাস্থল হওয়ায় হাসপাতালে সুশৃঙ্খল, আরামপ্রদ, নির্ঝঞ্ঝাট একটি পরিবেশ ভীষণ প্রয়োজন। অথচ বাস্তবে আমাদের দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোয় একটি নৈরাজ্যপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। দেশে সরকারি স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত কর্মীর গড়ে প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ প্রতিদিনই কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকছেন। দক্ষতা, পেশাদারি ও জবাবদিহির অভাবেই সরকারি স্বাস্থ্যসেবায় এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। আর্থিকভাবে সচ্ছল ব্যক্তিরা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারলেও স্বল্প আয়ের মানুষের চিকিৎসার প্রধান ভরসা সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো। কিন্তু পর্যাপ্তসংখ্যক কর্মীর অনুপস্থিতিতে এসব হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের ভোগান্তি বহুলাংশে বেড়ে যায়। দেশের স্বাস্থ্য খাত এমনিতেই কর্মীসংকটে ভুগছে। এর মধ্যে হাসপাতালগুলোয় প্রায় অর্ধেক কর্মীই থাকেন অনুপস্থিত। সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোয় চিকিৎসক, নার্স এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনুপস্থিতির সমস্যা কাটাতে সরকার বিভিন্ন সময়ে উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু এর কোনোটিই সেভাবে কাজে আসেনি। সর্বশেষ শতভাগ হাজিরা নিশ্চিত করতে বেশিরভাগ হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা চালু করা হয়। তাতেও তেমন সুফল মেলেনি। সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোয় চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনুপস্থিতি সমস্যা কাটাতে জোরালোভাবে তদারকি ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের আরও কঠোর হতে হবে।

সর্বজনীন চিকিৎসাসেবা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর বিকল্প নেই। বরাদ্দের গতানুগতিকতার কারণে আউট অব পকেট স্বাস্থ্য ব্যয় কমানো সম্ভব হচ্ছে না। মনে রাখতে হবে আমাদের মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের মাত্র ২৩ শতাংশ আসে সরকারের বরাদ্দ থেকে আর ৬৮ শতাংশই বহন করতে হয় ব্যক্তিমালিকানায়। তাই বাজেটে এর অংশ বাড়ানো গেলে নাগরিকের ওপর চাপ কিছুটা কমবে। কারণ স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপে চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে দেশের জনগণ; যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে প্রতীয়মান হয়; যা কাম্য নয়। উল্লেখ্য, প্রতি বছর এ খাতে গবেষণার জন্য বরাদ্দ থাকে ১০০ কোটি টাকা, যার একটিও খরচ করতে পারেন না স্বাস্থ্য গবেষকরা; যার জন্য সরকার নিজেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে যা কাম্য নয়।

বিগত সরকারগুলো দৃশ্যত যে সাফল্যগুলো দেখিয়েছে তার মধ্যে বাজেট বৃদ্ধি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য হলেও স্বাস্থ্যসেবা খাতে বরাদ্দ শতাংশের হারে কমে গেছে। অথচ গ্রামীণ চিকিৎসাসেবা অর্জন বিশেষত কমিউনিটি ক্লিনিক, যা সারা দেশের গ্রামাঞ্চলে রয়েছে ১৩ হাজার ১২৬টি, যার মাধ্যমে ৩৪টি ওষুধ বিনামূল্যে রোগীদের দেওয়া হয়। এখন যে কাজগুলো জরুরি ভিত্তিতে করা প্রয়োজন তা হলোÑ

প্রথমত গ্রাম-শহরের মধ্যে চিকিৎসাসেবার বৈষম্য কমিয়ে সমানুপাতিক সুযোগ বৃদ্ধির জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা; যা বর্তমান উন্নয়ন বাজেট দিয়ে ব্যয় সম্পন্ন সম্ভব নয় বিধায় এডিপির বাজেটে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। দ্বিতীয়ত চলতি অর্থবছরে বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন-অনুন্নয়ন মিলিয়ে মোট বরাদ্দ যে টাকা রয়েছে অর্থাৎ এ খাতের মোট বরাদ্দের ২২ শতাংশ ব্যয় হয় মেডিকেল শিক্ষায় অথচ আধুনিক শিক্ষা উপকরণ, গবেষণা ও শিক্ষক প্রশিক্ষণে তেমন কোনো বরাদ্দ নেই যা পরিতাপের বিষয় আর বর্তমান বাজেটেও একই চিত্র পরিলক্ষিত তা অব্যশই টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে। তৃতীয়ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রমতে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে কর্মরত ১০৫টি মেডিকেল কলেজের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাসিক সায়েন্স বিভাগে মেডিকেল কলেজগুলোর শিক্ষক নেই এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজ শিক্ষার মান নিয়ে খোদ প্রশাসনিক দপ্তরই অসন্তুষ্ট; যেখানে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কিংবা গবেষণার কোনো ব্যয় বরাদ্দ নেই বিশেষত ব্যবসায়ী মনোভাবের কারণে; যা থেকে মুক্তি পাওয়া সময়ের দাবি।

চতুর্থত মেডিকেল শিক্ষা কারিকুলামে নৈতিক শিক্ষার বিষয়টি থাকলেও তার কার্যত কোনো বহিঃপ্রকাশ চিকিৎসকদের আচরণে প্রতিফলন হচ্ছে না; যা প্রভাব পড়ছে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার ওপরে। অথচ মেডিকেল ভর্তির পরপরই নাকি শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করানো হয় যে আর্তমানবতার সেবায় তারা আত্মনিয়োগ করবেন। একজন রোগীকে মানবিকতার আঁচলে বেঁধে তার রোগমুক্তি ঘটাতে হবে, ব্যবসার পণ্য হিসেবে নয়।

পঞ্চমত আমাদের সমাজে একটি প্রচলিত ধারণা রয়েছে যে একটি পরিবারে বা গোষ্ঠীতে যদি একজন প্রশাসনিক ক্যাডারের কর্মকর্তা, একজন চিকিৎসক কর্মকর্তা ও একজন পুলিশ কর্মকর্তা থাকেন তাহলে তাদের কোনো কিছুতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তার অর্থ দাঁড়ায়, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিচরণে এ তিন কর্মকর্তার সহযোগিতা কিংবা প্রতিপত্তি সেই পরিবার কিংবা গোষ্ঠীকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। আবার এ তিনজনের মধ্যে চিকিৎসকের ওপর দাবিটা অনেক বেশি হওয়ায় সে এখন কোন দিকে যাবেÑ নিজের পরিবারের আর্থিক দীনতা ঘোচাতে, নাকি সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে মানবতার সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে। এ ধরনের একটি সংঘাত বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা চিকিৎসকের মধ্যে রয়েছে; যার একটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে পরিবারকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা আশা করি, এ খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। 

  • অধ্যাপক (অর্থনীতি), সাবেক ডিন (ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ) ও সিন্ডিকেট সদস্য, সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকা
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা