সমাজসেবা
ড. আলা উদ্দিন
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:১০ পিএম
ড. আলা উদ্দিন
সরকারের যে বিভাগটি কয়েক দশক ধরে হতদরিদ্র জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার মহান ব্রত পালন করে আসছে, তার নাম সমাজসেবা অধিদপ্তর। গবেষণার মাধ্যমে এ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবার টার্গেট গোষ্ঠী, অর্থাৎ সমাজের হতদরিদ্র মানুষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমি এ বিভাগের সেবা, প্রতিবন্ধকতা এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে অবগত হয়েছি। দরিদ্র জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরতেই মূলত এ প্রয়াস। নামের মতোই সমাজসেবা অধিদপ্তর মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্তম্ভ হিসেবে কাজ করে। প্রান্তিক ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মাত্র ১২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী বিভাগের প্রায় ১ হাজার ৯৭টি অফিসের মাধ্যমে ৫৪টি সেবামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করছে প্রায় ২ কোটি মানুষের জীবনমান উন্নত করার লক্ষ্যে। এ বিভাগটি দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিশু সুরক্ষা, বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা এবং অন্যান্য দুর্বল জনগণের টিকে থাকার সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সহায়তা প্রদান করে।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের গুরুত্ব তার বাজেট বরাদ্দ ও কার্যবিধির মাধ্যমে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। দেশে ১৪০টি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির মধ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করে ২৭টি এবং ২৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এ কর্মসূচিগুলোর বাস্তবায়নে অংশগ্রহণ করে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সামাজিক সুরক্ষা খাতে মোট বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৬ কোটি টাকা, যা দেশের মোট বাজেটের ১৭.০৬ শতাংশ।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের ১২ হাজার কর্মচারী এবং ১ হাজার ৯৭টি কার্যালয়ের মাধ্যমে ৫৪টি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে ১ কোটি ৯৭ লাখ উপকারভোগীকে সেবা প্রদান করা হচ্ছে, যা দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ১১ শতাংশ। এ দপ্তরের মোট উপকারভোগীর মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশ (১ কোটি ২৩ লাখ) বয়স্কভাতা ভোগী (৬০.০১ লাখ), বিধবা ও স্বামীনিগৃহীতা মহিলা (২৭.৭৫ লাখ), সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও প্রতিবন্ধী (৩২.৩৪ লাখ), হিজড়া, ভবঘুরে, নিরাশ্রয় ব্যক্তি, চা-শ্রমিক, অনগ্রসর ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত। এসব মানুষকে এ২চ পদ্ধতিতে ভাতা, উপবৃত্তি ও অনুদান সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এ ছাড়া দারিদ্র্যমোচন, সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম, শিশু, প্রবীণ ও নিরাশ্রয় ব্যক্তির সুরক্ষায় দক্ষতা উন্নয়নসহ প্রাতিষ্ঠানিক সেবা, সামাজিক অবক্ষয় রোধে প্রবেশন ও আফটার কেয়ার সার্ভিস, এবং ছয়টি দুরারোগ্য জটিল রোগী (ক্যানসার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোক থেকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ এবং থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত) এর জন্য এককালীন অনুদান (অর্ধলাখ টাকা) প্রদানসহ হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে দুস্থ রোগীদের জন্য বহুমুখী সেবাকার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তারপরও এ গুরুত্বপূর্ণ মানবিক প্রতিষ্ঠানটি নিজেই অবহেলিত। মাত্র ১২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি মানুষের (অধিকাংশই প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা) কাছে সেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজের চাপ, পদায়ন ও পদোন্নতির ধীরগতি, নিয়োগবিধির ব্যত্যয়সহ অন্যান্য অসঙ্গতি সেবামূলক বিভাগের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ক্যাডারভুক্ত ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে অধিদপ্তরের পরিচালক নিয়োগের দাবিতে সাম্প্রতিক সময়ে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে হতদরিদ্র ও অরক্ষিত জনগণ নিয়মিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যা তাদের জীবনের জন্য একটি বড় ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে, কেননা তাদের বেশিরভাগের জীবন চলে এ বিভাগের প্রাপ্ত অনুদানের মাধ্যমে। তা ছাড়া বিধিমতো কর্মকর্তাদের পদায়ন ও বদলি না হওয়া এবং বিলম্বিত বদলির কারণে বিভিন্ন অফিসে সেবামূলক কার্যক্রমে স্থবিরতা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে অতিদরিদ্র ও অভাবী মানুষ প্রত্যাশিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
১৯৬১ সালে সমাজকল্যাণ বিভাগ হিসেবে এর সূচনা হওয়ার পর ১৯৮৪ সালে সমাজসেবা বিভাগ এবং ১৯৮৯ সালে একটি পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রণালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর থেকে সমাজসেবা অধিদপ্তর গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা প্রদানকারী হিসেবে সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে। এ বিভাগটি বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং বিশেষ সম্প্রদায়ের জন্য বিভিন্ন ভাতা এবং সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিভাগটির লক্ষ্য হলো যেসব অতি সাধারণ মানুষ সরকারি সেবা থেকে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হন, তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করা।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অন্যান্য মাঠকর্মীসহ সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মীরা এ মিশনের সামনের সারিতে রয়েছেন। তাদের শুধু সহায়তা প্রদানের দায়িত্ব নয়, বরং তারা যাদের সেবা প্রদান করেন তাদের জটিল চাহিদাসমূহ বোঝা এবং মোকাবিলা করার দায়বদ্ধতাও পালন করেন। ২০০৬ সাল থেকে অনেক কর্মকর্তা দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগণের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলো প্রত্যক্ষ করেছেন, যা তাদের এ মহৎ উদ্দেশ্যের প্রতি প্রতিশ্রুতি আরও দৃঢ় করেছে।
তবে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষের স্তর উদ্বেগজনক এবং বহুমুখী। দীর্ঘদিন ধরে কর্মচারীরা বেতন স্কেল এবং পদোন্নতির সুযোগসংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন। কাঠামোগত পদোন্নতির অভাব এবং অপর্যাপ্ত সুযোগসুবিধা কর্মশক্তির মধ্যে হতাশা ও নিরাশার অনুভূতি বাড়াচ্ছে। সমাজসেবা অধিদপ্তর একটি ক্যাডারভিত্তিক বিভাগ নয়, যা অন্য সরকারি সংস্থাগুলোর তুলনায় কর্মজীবনের মর্যাদা ও অগ্রগতি ব্যাহত করছে।
ক্যাডার কাঠামোর অভাবে সমাজসেবা বিভাগের তরুণ, শিক্ষিত পেশাদাররা বেশি আকর্ষণ পাচ্ছেন না, যারা পরিষ্কার কর্মজীবন, পদ, পদোন্নতি এবং ভালো আর্থিক প্রণোদনার দিকে মনোনিবেশ করেন। ফলে অনেক প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ বিভাগে যোগদান করতে আগ্রহী হন না এবং সুযোগ পেলে অন্যত্র চলে যান। প্রতিভার এ বহির্গমন অধিদপ্তরের সক্ষমতা দুর্বল করে, যা একটি অভিজ্ঞ এবং অনুপ্রাণিত কর্মীবাহিনী বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। এটি শেষ পর্যন্ত অভাবী জনগণের জন্য প্রদত্ত পরিষেবার মানও পরোক্ষভাবে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।
সমাজসেবা বিভাগের কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষের সুদূরপ্রসারী পরিণতি রয়েছে, বিশেষ করে সেই দুর্বল জনগণের জন্য যারা বিভাগের কর্মসূচির ওপর নির্ভরশীল। বার্ষিক প্রায় ৩০০ জন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হচ্ছে, কিন্তু উচ্চ টার্নওভার হার এবং কর্মজীবনে অসন্তোষ পরিষেবা প্রদানে অসঙ্গতি এবং কল্যাণমূলক কর্মসূচির কার্যকারিতায় একটি সম্ভাব্য পতনের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
ফিল্ড অফিসাররা যারা সম্পূর্ণরূপে নিযুক্ত বা অনুপ্রাণিত নন, কল্যাণমূলক উদ্যোগের সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সেবা ও সহায়তা প্রদান করতে সক্ষম হন না। এর ফলে বিলম্ব, অদক্ষতা এবং পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আস্থার সংকট সৃষ্টি হতে পারে। যখন কর্মীরা তাদের পদ, পদোন্নতি এবং মর্যাদায় সন্তুষ্ট নন, তখন তাদের কর্মক্ষমতা অবশ্যম্ভাবীভাবে প্রভাবিত হয়, যা অধিদপ্তরের মিশন কার্যকরভাবে সম্পন্ন করার ক্ষমতা বাধাগ্রস্ত করে।
নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৩ অনুযায়ী শূন্যপদে নিয়োগ এবং বিদ্যমান স্কেল উন্নীতকরণ কর্মীদের কর্মসন্তুষ্টি বৃদ্ধি এবং কর্মপরিধি সম্প্রসারণের মাধ্যমে সরকারি সেবা যথাযথভাবে লাখো মানুষের কাছে পৌঁছাতে সহায়তা করবে।
প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমাজসেবা বিভাগের জন্য সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য দুটি কমিশন গঠন করা হয়েছিল। যদিও এ কমিশনগুলো কিছু পরিবর্তন করেছে, তবে তারা বিভাগের গতিপথে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়েছে। সংস্কারগুলো কর্মীদের অসন্তোষ এবং পদ্ধতিগত বৈষম্যের মূল সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারেনি, যার ফলে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো থেকেই বিভাগটি মুক্তি পায়নি।
অর্থপূর্ণ সংস্কারের অভাব দক্ষ পেশাদারদের আকৃষ্ট এবং ধরে রাখার ক্ষেত্রে বিভাগের অক্ষমতা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করে, যা সমস্যাটি আরও গুরুতর করে তুলেছে। বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাজের সবচেয়ে দুর্বল অংশগুলোকে সেবা প্রদানে নিবেদিত ব্যক্তিদের প্রয়োজনসমূহ মোকাবিলায় অবহেলা ও উদাসীনতার এক বিস্তৃত চিত্র তুলে ধরে।
বর্তমান সংকট মোকাবিলা এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করার জন্য একটি ব্যাপক সংস্কারের প্রয়োজন। কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভাগটিকে একটি ক্যাডারভিত্তিক ব্যবস্থায় স্থানান্তর করা কর্মজীবনের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় স্বচ্ছতা এবং কাঠামো প্রদান করবে। এটি তরুণ পেশাদারদের জন্য আরও আকর্ষণীয় বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। তদুপরি বেতন স্কেল এবং পদোন্নতির সুযোগগুলোর সংশোধন অভিজ্ঞ কর্মীদের ধরে রাখতে এবং সামগ্রিক কাজের সন্তুষ্টি বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে।
সরকারকে অবশ্যই জাতীয় কল্যাণের দৃষ্টিকোণ থেকে সমাজসেবা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা স্বীকার করে এর কর্মীবাহিনীকে সমর্থন ও ক্ষমতায়নের জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। কর্মীদের যথাযথ বেতন-ভাতা, মর্যাদা এবং পেশাগত উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়িত হলে তা শুধু কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি করবে না, বরং বিভাগের সক্ষমতাও বৃদ্ধি করে প্রয়োজনীয় সেবাসমূহ দক্ষতার সঙ্গে প্রদান করার পথে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মতে নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৩ (গেজেটেড এবং নন-গেজেটেড কর্মচারী) অনুযায়ী অতিরিক্ত পরিচালক পদে ন্যূনতম তিন বছরের চাকরির অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পদোন্নতিযোগ্য প্রার্থী থাকায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিজস্ব কর্মকর্তাদের পরিচালকের পদে পদোন্নতি দেওয়া হলে অনেকটা ক্ষোভ প্রশমিত হবে। এতে অযথা প্রেষণে পদায়নের প্রয়োজনীয়তা থাকবে না। তাছাড়া পদোন্নতি কর্মচারীদের কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি করে এর পাশাপাশি শূন্যপদে নিয়োগ এবং স্কেল উন্নীতকরণ অত্যন্ত জরুরি। অনেক ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী পদোন্নতি ও বদলি সেবার গতি ধরে রাখতে সহায়ক, অন্যথায় সেবার মান ও কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেখা। সমাজসেবা অধিদপ্তর কিংবা আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তার দীর্ঘদিন যাবৎ (তিন বছরের বেশি) একই স্থানে-পদে বহাল থাকায় সেবা ও কাজের গতি হ্রাস পেয়েছে বলে চট্টগ্রামের সেবাগ্রহণকারীদের অভিমত।
অতএব নিয়োগ, পদোন্নতি এবং বদলি সম্পর্কিত সরকারি নিয়ম যথাযথভাবে অনুসরণ করা আবশ্যক। এভাবে সমাজসেবা বিভাগের বিদ্যমান সমস্যাগুলো মোকাবিলা করে সরকার নিশ্চিত করতে পারে যে সমাজসেবা বিভাগ দেশের সবচেয়ে দরিদ্র ও দুর্বল জনগণের সমর্থনের এক শক্তিশালী স্তম্ভ হিসেবে কাজ করছে। সমাজসেবা অধিদপ্তর সারা দেশে লাখ লাখ মানুষের কল্যাণ রক্ষা ও সেবা প্রদানে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করছে। তবে এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে পদোন্নতি এবং মর্যাদাসংক্রান্ত অসন্তোষ এ গুরুত্বপূর্ণ মিশনটি সঠিকভাবে বাস্তবায়নে বাধাগ্রস্ত করছে।
বিভাগটি কার্যকরভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে পরিষেবা চালিয়ে যাওয়ার জন্য অসন্তোষের মূল কারণসমূহ মোকাবিলা এবং অর্থপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়ন অপরিহার্য। অতীতের সরকারগুলোর ব্যর্থতা বা অবহেলা থেকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সংস্কার এখন সময়ের দাবি। প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে সরকার সমাজসেবা বিভাগকে আরও শক্তিশালী এবং নিশ্চিত করতে পারে যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা যথাযথভাবে প্রাপ্ত হবে। শূন্যপদে নিয়মিত নিয়োগ, বিধি অনুযায়ী পদায়ন, পদোন্নতি, স্কেল উন্নীতকরণ, নিয়মিত মনিটরিং, সময়মতো বদলি এবং সেবার পরিধি বর্ধিতকরণের মতো পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে এ অধিদপ্তরকে আরও জনমুখী এবং কার্যকর করা সম্ভব।