× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

গাজায় হামলা

সভ্য পৃথিবী যেন নীরব দর্শক

শহিদুল ইসলাম

প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:১৯ পিএম

শহিদুল ইসলাম

শহিদুল ইসলাম

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যায় বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ আজ বিক্ষুব্ধ। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর ধর্মবর্ণজাতপাতনির্বিশেষে লাখ লাখ মানুষ এ গণহত্যা বন্ধের দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর মুসলিমপ্রধান ও মুসলিমশাসিত দেশের সাধারণ মানুষ সঙ্গত কারণেই ইসরায়েলের এ গণহত্যার বিরুদ্ধে নানানরকম কর্মসূচি পালন করছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কোনো দেশের সরকার খোলাখুলিভাবে এ হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। লজ্জার হলেও সত্য, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কোনো মুসলিম রাষ্ট্র এর জোরালো প্রতিবাদ করেনি। জাতিসংঘ নীরব দর্শকের মতো তাকিয়ে এ গণহত্যা দেখছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, গাজায় এই বর্বর হামলার পরও সভ্য পৃথিবী যেন নীরব দর্শক।

২০২২ সালের এক হিসাবমতে পৃথিবীর শতকরা ২৫ দশমিক ৮ ভাগ মুসলমানের জন্য এটা যে অবধারিত ছিল সে বিষয়ে বিশ্বের একমাত্র মুসলিম নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত পদার্থবিজ্ঞানী প্রফেসর আবদুস সালাম ১৯৫০-এর দশক থেকে আমাদের সাবধান করে এসেছেন। তার সেই যুক্তিপূর্ণ সাবধানবাণীর কিছু তিক্ত কথা বলার জন্য আজ বসেছি। কারও কাছে খারাপ লাগবে জানি, কিন্তু প্রফেসর সালামের সেই সাবধানবাণীর সত্যতা আজ পৃথিবীর প্রতিটি কোনার মানুষ বুঝতে পারছে।

১৯৫২ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি লাভ করার পর তিনি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে থাকেন। তিনি সেখানেই থাকবেন না দেশে ফিরে আসবেন? মাতৃভূমি পাকিস্তানের প্রতি আকর্ষণে তিনি দেশেই ফিরে এলেন এবং পাঞ্জাব সরকারি কলেজ ও পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু পাকিস্তানে তখন কাদিয়ানিবিরোধী আন্দোলন দাঙ্গায় রূপ নিয়েছে। ১৯৫৩ সালে জামায়াত নেতা মওদুদির নেতৃত্বে কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের বহু মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। প্রফেসর সালাম ওই সম্প্রদায়ের মানুষ। তিনি পুনরায় ১৯৫৪ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার পদে যোগ দেন। সেখান থেকে তৃতীয় বিশ্বের বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোয় বিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে চেষ্টা করতে থাকেন। তিনি বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান সম্মেলনে বক্তৃতায় একটি আন্তর্জাতিক পদার্থবিজ্ঞান ও উচ্চতর গণিতের একটি গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রস্তাব উত্থাপন করতে থাকেন। শেষে ইতালি সরকার ও অন্যান্য দেশের আর্থিক সহায়তায় ট্রিয়েস্টে গড়ে তোলেন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিওরেটিক্যাল ফিজিক্স। তিনি হন তার প্রথম পরিচালক। তিনি এটাকে উন্নত-অনুন্নত উত্তর-দক্ষিণের সব দেশের গবেষকের জন্য উন্মুক্ত করেন। সব দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের গবেষকের মিলনকেন্দ্রে পরিণত হয় কেন্দ্রটি। পরিণত হয় পৃথিবীর গবেষণা কেন্দ্রে। সে কেন্দ্রের মাথায় বসে পৃথিবীর প্রতিটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চতর গবেষণাগারে কী ও কতটুকু কাজ হচ্ছে সে হিসাব তার নখদর্পণে।

পাকিস্তানসহ সমস্ত মুসলিমপ্রধান ও মুসলিমশাসিত দেশগুলোর প্রতি তার এক আলাদা দুর্বলতা বরাবরই ছিল। মুসলিম দেশগুলোয় বিজ্ঞানের গবেষণা নেই বললেই চলে। তিনি গভীর কষ্টের সঙ্গেই লিখেছেন, ‘তারা বিশ্বাস করে যে আধুনিক বিজ্ঞান আমাদের যুক্তিবাদের দিকে নিয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত তা আমাদের নাস্তিকতায় পৌঁছে দেবে।’ মুসলিম মনীষীদের এ বিজ্ঞানবিরোধিতার বিরুদ্ধে প্রফেসর সালাম জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যুদ্ধ করে গেছেন। তিনি ইসলামে জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চার সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য ধর্মের বিশেষ করে ইসরায়েলে বিজ্ঞানচর্চার তুলনা করে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে এর পরিণতি মুসলমানদের জন্য সুখকর হবে না। তার সেই ভবিষ্যদ্বাণীর সত্যতা আজ মুখ ব্যাদান করে আমাদের সামনে এসে উপস্থিত হয়েছে।

২০২২ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, বিশ্বের লোকসংখ্যার ২৫ দশমিক ৮ ভাগ মুসলিম এবং জু বা ইহুদির সংখ্যা মাত্র ০.২ পার্সেন্ট। ১৯৪৮ সালে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে এবং তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ওই মুষ্টিমেয় ইহুদির কাছে বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সম্প্রদায় মার খেয়েই চলেছে। ১৯৬৭ সালে মাত্র ছয় দিনের যুদ্ধে সে মিসরীয় বাহিনীকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করে। ইসরায়েল আজ মরণকামড় দিয়েছে। গাজা ও ফিলিস্তিন সে দখল করবেই। গত ৭৭ বছর সে নিজেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সেভাবেই সাজিয়েছে। তথাকথিত সভ্য পৃথিবী নীরবে তা পর্যবেক্ষণ করছে। আবদুস সালাম নানানভাবে এ ভয়ংকর পরিণতির কথা বারবার ইসলামী বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন।

তিনি ১৬৬০ সালের দিকে দুটি বিশাল মনুমেন্টের কথা মনে করেন। তার একটি পূর্ব গোলার্ধে ভারতের তাজমহল ও অন্যটি পশ্চিমের সেন্ট পলস ক্যাথেড্রেল লন্ডনের। দুটিই সে সময়ের স্থাপত্য ও প্রকৌশলজ্ঞানের চূড়ান্ত নিদর্শন। কিন্তু প্রায় একই সময়ে তৃতীয় আর একটি মনুমেন্ট নির্মিত হয়েছিল। সেটা কেবল পশ্চিমে, যার জুড়ি ভারতের মুঘল আমলে নেই। সেটা হলো নিউটনের প্রিন্সিপিয়া, যা ১৬৮৭ সালে মুদ্রিত হয়েছিল। তিনি তাজমহল তৈরির যে প্রযুক্তি, তার ভবিষ্যৎ নিয়তির সঙ্গে নিউটনের প্রিন্সিপিয়ার সংস্কৃতি ও প্রযুক্তির তুলনা করেছেন। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গেই বলছেন যে ১৭৫৭ ও ১৮৫৭ সালে প্রিন্সিপিয়া জয় লাভ করেছিল। শাহজাহান ও তার উত্তরসূরিরা লজ্জাজনকভাবে প্রিন্সিপিয়ার কাছে বিজিত হয়েছিলেন। এ উদাহরণ উল্লেখ করে যে মেসেজটি তিনি আমাদের দিতে চেয়েছেন তা হলো বিজ্ঞানহীন প্রযুক্তি আমদানি করে কোনো দেশ কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে না। তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য মুসলিমপ্রধান ও মুসলিমশাসিত দেশগুলোয় বক্তৃতায় বারবার এ কথাটি দৃঢ়তার সঙ্গে উচ্চারণ করেছেন। তিনি পাকিস্তানের কথা উল্লেখ করেন। ‘আমাদের প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রযুক্তি আমরা কিনে থাকি।’ নিজের দেশে তার নিজের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে আমার কিছুই করার নাই। দেশজ উন্নয়ন সেখানে অনুপস্থিত। আমি কেবল আরও কিছু পদার্থবিজ্ঞানী উৎপাদন করতে পারতাম। তারা কেবল শিক্ষকের সংখ্যা বৃদ্ধি করতেন। দেশে কোনো শিল্পায়নের অভাবে তারা গবেষণার সুযোগবঞ্চিত হয়ে বিদেশে পাড়ি জমাতেন। এভাবেই ভালো ভালো মাথা বিদেশে পাচার হওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না।

সালাম ইসলামী বিশ্বে জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চার পতনের কারণ খুঁজেছেন। তার মতে দ্বাদশ শতাব্দীতেই ইসলামী বিজ্ঞানের পতন শুরু হয় এবং পরবর্তী আড়াইশ বছরে তা সম্পূর্ণ হয়। পতনের কারণ কী? তার মতে বাইরের আক্রমণ নয়, প্রথমত মুসলিম সমাজের অন্তর্মুখীনতা ও বিজ্ঞান সংগঠনগুলোর সঙ্গে বিচ্ছিন্নতা এবং দ্বিতীয়ত সৃজনশীলতাকে (তকলিদ) অনুৎসাহিত করা। ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতি ও নিজেদের মধ্যে ভয়ংকর হানাহানি সে প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত করে।

১৯৮৪ সালের এপ্রিলে লেখা একটি প্রবন্ধে প্রফেসর সালাম ইসলামী দেশগুলোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চার তুলনামূলক আলোচনার সুবিধার্থে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুসলমানদের ছয়টি ভৌগোলিক অঞ্চলে ভাগ করেন।

এক. আরবীয় উপত্যকা ও উপসাগরীয় অঞ্চল।

দুই. উত্তর আরবীয় অঞ্চল : সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন, ফিলিস্তিন পশ্চিম উপকূল ও গাজা।

তিন. তুরস্ক, মুসলিম মধ্য এশিয়া, ইরান, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান।

চার. বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া (+ ভারত ও চীন)।

পাঁচ. উত্তর আফ্রিকার আরব দেশসমূহ এবং

ছয়. অআরবীয় আফ্রিকার দেশসমূহ।

১৯৮৩ সালের ১০-১৩ মে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত সায়েন্স কমিশন অব দি অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্সে জানা যায়, সমগ্র ইসলামী বিশ্বে কর্মরত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদের সংখ্যা ৬৮ হাজার। তুলনায় সোভিয়েত ইউনিয়নে এ সংখ্যা ১৫ লাখ এবং জাপানে ৪ লাখ। বৈরুতের আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমবি জাহলানের গবেষণায় উঠে আসে, আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিতে পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণার ক্ষেত্রে মুসলমানদের অবস্থান এক দশমাংশ এবং সামগ্রিকভাবে সৃজনশীল গবেষণার ক্ষেত্রে তা শতভাগের এক ভাগ মাত্র।

ওই বছরেই ২৪ মার্চ নেচার পত্রিকায় ফ্রান্সিস গিলস প্রশ্ন তোলেন, হোয়াট ইজ রঙ ইউথ মুসলিম সাইন্স? উত্তরে বলেন, এক হাজার বছর আগে ইসলামী জগৎ বিজ্ঞানের জগতে বিশেষ করে গণিত ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছিল। তারা বাগদাদ ও দক্ষিণ স্পেনে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলেছিল। পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের হাজার হাজার শিক্ষার্থী সেখানে আসত। শাসকশ্রেণি জ্ঞানী-পণ্ডিত ব্যক্তিদের দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকতে ভালবাসতেন। একসঙ্গে কাজ করতেন ইহুদি, খ্রিস্টান, মুসলিম বিজ্ঞানীরা। আজ সেসব স্বপ্ন মনে হয়।

তেল আবিষ্কারের পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু তারা বিলিয়ন ডলার খরচ করে পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত। বিজ্ঞানের জন্য তাদের কোনো সময় নেই। ব্যবসাবাণিজ্য পুরোপুরিই আমদানিকৃত প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। মৌলিক কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণার ধারা গড়ে ওঠেনি। সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো রাজতন্ত্র বা সামরিক শাসনে জর্জরিত। সেখানে দেশজ বিজ্ঞানের শেকড় গড়ে ওঠা অসম্ভব।

ওই একই নেচার পত্রিকায় আর একটি প্রবন্ধে জানা যায়, ইসরায়েলের ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট দাবি জানায় যে তাদের দেশের জন্য ১৯৯৫ সালে ৮৬ হাজার ৭০০ জন বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদের প্রয়োজন হবে। ১৯৭৪ সালে এ সংখ্যা ছিল ৩৪ হাজার ৮০০ জন। শতকরা দেড়শ ভাগ বৃদ্ধির দাবি করা হয়।

পৃথিবীর থেকে বিভিন্ন মেয়াদের গবেষণার জন্য প্রতি বছর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিওরেটিক্যাল ফিজিক্সে যেতেন গবেষকরা। ১৯৭০-১৯৮৫ সালের মধ্যে পাকিস্তান থেকে গিয়েছিলেন ৪১৮, বাংলাদেশ থেকে ২০৬, সৌদি আরব থেকে ৬০, কুয়েত থেকে ৯২, চীন থেকে ২২৮ ও ভারত থেকে ১ হাজার ২৮৬ জন। সে সময় পাকিস্তানের জনসংখ্যা ছিল ৮৭.১, বাংলাদেশের ১৪০, সৌদি আরবের ১০.০, কুয়েতের ১.৫, চীনের ১০০৪.২ এবং ভারতের ৭১৬.৯ মিলিয়ন।

ওই সময়ে দেশগুলোর দেশি উৎপাদন জিএনপি/ক্যাপিটা ছিল পাকিস্তানে ৩৮০, বাংলাদেশে ১৪০, সৌদি আরবে ১৫,৮০২, কুয়েতে ১৯,৬১০, চীনে ৩০০ ও ভারতে ২৬০ ডলার। তিনি ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞান গবেষণায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশসহ সমগ্র মুসলিম বিশ্ব আজও জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চার বিপরীত স্রোতে ভেসে চলেছে।

  • অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মারুফ কামাল খান

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা