× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ড. ইউনূস-মোদি বৈঠক

প্রয়োজন আস্থা ও বন্ধুত্ব পুনর্গঠন

ড. আলা উদ্দিন

প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৫৪ পিএম

ড. আলা উদ্দিন

ড. আলা উদ্দিন

৪ এপ্রিল ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বহুল আলোচিত আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যদিও বৈঠক নিয়ে দুই দেশের সরকারি ভাষ্য ভিন্ন ভিন্ন সুরে ও জোরে উপস্থাপিত হয়েছে, তথাপি এখন ৪০ মিনিটের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়াই সতর্ক আশাবাদের ক্ষেত্র ও কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণ বরাবরই ভারতের সঙ্গে এমন একটি সম্পর্কের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে এসেছে, যা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহযোগিতা ও সুপ্রতিবেশীসুলভ আচরণে গঠিত। ফলে এ বৈঠক কেবল একটি কূটনৈতিক যোগাযোগ নয়, বরং সাম্প্রতিক সময়ে টানাপড়েনময় সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে সম্ভাবনাময় অগ্রগতি।

বাংলাদেশের সম্মিলিত স্মৃতিতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ মানুষের হৃদয়ে গভীরভাবে গেঁথে আছে। সে সংকটময় সময়ে ভারতের রাজনৈতিক, সামরিক ও মানবিক সহযোগিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার অভিযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। বাংলাদেশ সে সহানুভূতি ও ত্যাগের জন্য বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। তবে একটি জাতির কৃতজ্ঞতা তখনই পূর্ণতা পায়, যখন সেটি একটি গতিশীল ও ভবিষ্যতমুখী সম্পর্কে রূপ নেয় পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতায়। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলব্ধি হলো, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক কেবল সরকার বা রাজনৈতিক দলগুলোর চোখ দিয়ে দেখা উচিত নয়। বরং এ সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের, যারা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা ও আবেগে একে অন্যের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। রবীন্দ্রনাথ থেকে নজরুল, গঙ্গা থেকে পদ্মা, রন্ধনশৈলী থেকে মুক্তিসংগ্রামের অভিন্ন অভিজ্ঞতাÑ এ সবকিছু মিলেই একটি শক্তিশালী ও পারস্পরিকভাবে উপকারী অংশীদারির ভিত্তি গঠন করে।

এ সমৃদ্ধ ঐতিহ্য থাকা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক পটপরিবর্তনজনিত বাস্তবতায় কিছু কিছু ঘটনা ও গুজব ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। পানিবণ্টন, বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সংখ্যালঘুর প্রতি আচরণের মতো বিষয়গুলো দেশের জনগণের মধ্যে মাঝে মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে, যা সরকার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। অনেক সময় রাজনৈতিক বক্তব্য, নীতিগত ভুল এবং স্বচ্ছ যোগাযোগের অভাব পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে। উদাহরণস্বরূপ, দীর্ঘদিনের তিস্তা নদীর পানিবণ্টন সমস্যাটি এখনও অমীমাংসিত রয়েছে, যার ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলের কৃষক পানিসংকটে পড়ছেন। অন্যদিকে, ভারতের দৃষ্টিকোণ থেকে সীমান্ত অতিক্রম, নিরাপত্তা হুমকি এবং আঞ্চলিক ভূরাজনীতি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে, যা তার পুবদিকের প্রতিবেশীর সঙ্গে নীতিনির্ধারণে প্রভাব ফেলছে। সাম্প্রতিক সময়ে রাজনীতি ও সংখ্যালঘু প্রশ্নে যে প্রচার-প্রচারণা ও গুজব লক্ষ করা গেছে তা সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কের জন্য অনুকূল নয়। এ জটিল বিষয়গুলোর সমাধান দোষারোপ বা শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে নয়, বরং আস্থাভিত্তিক ও সমতার নীতিতে পরিচালিত সংলাপের মাধ্যমেই সম্ভব।

উদ্বেগের বিষয় হলো, পারস্পরিক আস্থার যেকোনো দৃশ্যমান ভাঙন দুই দেশকে সম্ভাব্য যৌথ লাভÑ অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ও ভূরাজনৈতিকÑ থেকে বঞ্চিত করতে পারে। দুর্বল সম্পর্ক তৃতীয় পক্ষকে আঞ্চলিক রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ ও প্রভাব বিস্তারের সুযোগ করে দিতে পারে, যা গোটা দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন ব্যাহত করতে পারে।

ভারত ও বাংলাদেশ শুধু প্রতিবেশী নয়, তারা অনেক দিক থেকেই একে অন্যের প্রতিচ্ছবি। এক দেশের অভ্যন্তরে যা ঘটে, তার প্রতিধ্বনি প্রায়ই অন্য দেশে শোনা যায়। এটি বিশেষভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের ক্ষেত্রে। ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ বা জাতিগত প্রান্তিককরণের মতো বর্জনমূলক রাজনীতির উত্থান উভয় দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ও বহুসংস্কৃতির ভিত্তির জন্য হুমকি। ভারতে সংখ্যালঘুরা যদি নিজেদের অনিরাপদ মনে করে, তাহলে এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ে। তেমন বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনা ভারতে সাম্প্রদায়িক আবহে প্রভাব ফেলতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতি সামাজিক সংহতি ক্ষুণ্ন করতে পারে, সীমান্ত অঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে এবং দুই দেশের সরকারের মধ্যে উত্তেজনার জন্ম দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক বাংলাদেশে যথেষ্ট উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এতে জোরপূর্বক অভিবাসন এবং জনসংখ্যাগত চাপে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ কারণে প্রতিটি দেশের অভ্যন্তরীণ শাসনের আঞ্চলিক পরিণতি রয়েছে। উভয় জাতিকে সচেতন থাকতে হবে এমন রাজনৈতিক বর্ণনার বিরুদ্ধে, যা ঐক্যের পরিবর্তে বিভাজন সৃষ্টি করে এবং উভয় দেশকেই অন্তর্ভুক্তি, সহনশীলতা ও ন্যায়বিচারের নীতিমালা বজায় রাখতে হবে।

বর্তমান উত্তেজনা সত্ত্বেও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিশাল সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার এবং বৈশ্বিকভাবে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারও। এ সম্পর্কের যে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা রয়েছে, তা এখনও পুরোপুরি কাজে লাগানো হয়নি। যৌথ উদ্যোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, জ্বালানি খাতে সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক সংযোগ প্রকল্পÑ এ সবই দুই দেশের জনগণের জন্য বাস্তব ও স্পষ্ট উপকার বয়ে আনতে পারে। তা ছাড়া বৈশ্বিক ভূরাজনীতিতে চীনের উত্থান, জলবায়ুসংকট এবং আন্তর্জাতিক জোটগুলোর পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে আঞ্চলিক সহযোগিতা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে। ভারতের ‘প্রতিবেশীই প্রথম’ নীতি এবং দক্ষিণ এশিয়া ও বঙ্গোপসাগরের কেন্দ্রে বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থানÑ এ দুটি বিষয়ই দ্বিপক্ষীয় আস্থা ও স্থিতিশীলতায় বিনিয়োগের জন্য একটি শক্তিশালী যুক্তি প্রদান করে।

তার ওপর একাডেমিক সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পর্যটন, চিকিৎসাসেবা এবং শিক্ষা বিনিময়ের মতো জনগণভিত্তিক যোগাযোগ উভয় দেশের মধ্যে আস্থা পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সহমর্মিতা, যৌথ আকাঙ্ক্ষা এবং পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সম্পর্ক সব সময়ই লেনদেনভিত্তিক সম্পর্কের তুলনায় অধিক টেকসই হয়।

যদিও ভারত আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে, তবু বাংলাদেশকেও এ মুহূর্তে কূটনৈতিকভাবে আরও সক্রিয় ও প্রজ্ঞাবান হতে হবে। এর অর্থ হলো, আরও পরিশীলিত, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও সক্রিয় পররাষ্ট্রনীতির কাঠামো গড়ে তোলা। আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও কূটনীতিকদের হতে হবে ঐতিহাসিক প্রজ্ঞা ও আধুনিক কৌশলগত বোধে সমৃদ্ধ, যাতে বড় প্রতিবেশীর সঙ্গে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। ভারতের সঙ্গে কার্যকর সংলাপের জন্য বাংলাদেশকে পেশাদার কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে, আঞ্চলিক চিন্তানির্ভর গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (থিঙ্কট্যাঙ্ক) এবং বহুভাষিক দক্ষতা অর্জনে বিনিয়োগ করতে হবে, যাতে আন্তর্জাতিক পরিসরে আমাদের স্বার্থ আরও কার্যকরভাবে উপস্থাপন করা যায়। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান হতে হবে সম্মানজনক সমতার ভিত্তিতে, নির্ভরতা বা হীনমন্যতার নয়; এবং একটি যৌথ আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই এগোতে হবে।

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ যত বেশি পরিপক্ব হবে, তত বেশি আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হতে হবে আত্মবিশ্বাসী ও সহযোগিতাপূর্ণ। একই সঙ্গে দৃঢ় ও নমনীয়। এর মানে হলো, খোলামেলা আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকা, কৌশলগত আপস মেনে নেওয়া এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা। এর পাশাপাশি অন্য প্রতিবেশী ও আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে জোট গড়ে তোলাও জরুরি, যাতে দক্ষিণ এশিয়া প্রতিযোগিতা ও অবিশ্বাসের ক্ষেত্র না হয়ে শান্তি ও উন্নয়নের অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।

বৃহত্তর শক্তি হিসেবে ভারতের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। প্রকৃত নেতৃত্ব আধিপত্যের মাধ্যমে নয়, মহানুভবতা, সহানুভূতি ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়। একটি সমৃদ্ধ, স্থিতিশীল ও স্বতন্ত্র বাংলাদেশ ভারতের জন্য কোনো হুমকি নয়; বরং এটি দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ সুরক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।

ভারতের উচিত বাংলাদেশের উদ্বেগ গুরুত্বসহকারে দেখা; তা পানিবণ্টন হোক, সীমান্তে হত্যা হোক কিংবা সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিত্ব হোক। বাংলাদেশের সঙ্গে শুধু একজন ‘জুনিয়র পার্টনার’ হিসেবে নয়, বরং সমান অংশীদার হিসেবে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খোঁজা এবং মনোযোগ দিয়ে শোনাÑ এ সবই পারস্পরিক আস্থার ভিত্তি গড়ে তোলে। অন্যদিকে, বাংলাদেশেরও উচিত ভারতের যৌক্তিক নিরাপত্তা ও বাণিজ্যসংক্রান্ত উদ্বেগগুলোর বিষয়ে যথোচিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। একটি যৌথ নিরাপত্তা কাঠামো, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় এবং চরমপন্থা ও পাচারবিরোধী যৌথ উদ্যোগÑ এ সবই দুই দেশেরই স্বার্থে।

সাম্প্রতিক সময়ে সৃষ্ট রাজনৈতিক উত্তেজনা যেন দীর্ঘদিনের সংগ্রাম ও পারস্পরিক আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত না করে। দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এর বৃহৎ ও জনবহুল দেশগুলোর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং যৌথ উন্নয়নের ওপর। একটি ক্রমবর্ধমান বিভক্ত ও মেরুকৃত বিশ্বে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক হতে পারে আঞ্চলিক সংহতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এর জন্য প্রয়োজন দুই দেশের নেতৃত্বের পরিপক্বতা, নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং গুরুত্বপূর্ণভাবে গণমাধ্যম (বিশেষত ডিজিটাল বাংলা মিডিয়া) ও সাধারণ মানুষের ভূমিকা। দুই দেশের নাগরিকের উচিত তাদের সরকারগুলোর কাছে সংঘাত নয়, সহযোগিতা চাওয়া; সন্দেহ নয়, আস্থা দাবি করা; এবং নীরবতা নয়, উন্মুক্ত সংলাপের আবহ সৃষ্টি করা।

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, একে রাজনৈতিক ভুল বা কূটনৈতিক স্থবিরতার হাতে ছেড়ে দেওয়া যায় না। এ সম্পর্ক জ্ঞানে লালন করতে হবে, সততায় রক্ষা করতে হবে এবং দূরদর্শিতায় এগিয়ে নিতে হবে। আমরা ভুলে যেতে পারি না, এ বন্ধনের প্রকৃত শক্তি কেবল ঐতিহাসিক সম্পর্কই নয়, বরং অভিন্ন ভবিষ্যতের সম্ভাবনায় নিহিত। একটি এমন সময়ে, যখন বিশ্বব্যাপী অনেক দেশ নিজেদের মধ্যে গুটিয়ে নিচ্ছে, তখন বাংলাদেশ ও ভারতের উচিত সাহসী কল্পনা। একটি ভবিষ্যৎ কল্পনা করা যেখানে সহযোগিতা থাকবে, পারস্পরিক স্বার্থ থাকবে এবং থাকবে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের অটুট বন্ধন। ব্যাংককে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক বৈঠকটি হোক একটি নতুন যাত্রার সূচনা; যে যাত্রা হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধায় ভিত্তিপ্রাপ্ত, অভিন্ন মূল্যবোধে রূপায়িত এবং একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়ার দিকে পরিচালিত।

  • অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা