গাজা
ড. আলা উদ্দিন
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৫ ১১:১৩ এএম
ড. আলা উদ্দিন
দ্বিতীয়বার ক্ষমতাগ্রহণের এক সপ্তাহের মধ্যে ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫-এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বক্তব্য আন্তর্জাতিক ক্ষোভ এবং উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প প্রকাশ করেন, তিনি জর্ডানের বাদশাকে গাজা উপকূল থেকে আরও বেশি ফিলিস্তিনি গ্রহণ করার অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের গাজা ত্যাগ করে ‘এনক্লেভ পরিষ্কার/খালিকরণ (ক্লিন আউট) করা উচিত। এ প্রস্তাবটি, যা ফিলিস্তিনিদের প্রতিবেশী দেশগুলো যেমন জর্ডান এবং মিসরে স্থানান্তরের পরামর্শ দেয়, মানবাধিকারকর্মী, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ফিলিস্তিন জনগণের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। শুধু তাই নয়, ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রথম বিদেশি নেতা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প গাজা দখলে নিয়ে সেখানে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। গাজাবাসীকে সেজন্য অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে। আবার ইসরায়েলের সব বন্দিকে মুক্তি না দিলে গাজাকে জাহান্নাম করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
গাজায় চলমান মানবিক সংকট এবং ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলিদের মধ্যে ৭৫ বছরের পুরোনো সংঘাতের মুখে ট্রাম্পের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ মন্তব্য শুধু ফিলিস্তিনিদের আত্মনির্ধারণের ইচ্ছা অগ্রাহ্য করে না, বরং দীর্ঘদিন ধরে চলা অধিকারহরণ, বাস্তুচ্যুতি এবং পদ্ধতিগত নির্যাতনের চক্র আরও শক্তিশালী করে। এমন এক সময়ে যখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে পেতে সংগ্রাম করছে, তখন গাজা ‘ক্লিন আউট’ করার এ আহ্বান আগুনে তেল ঢালার মতো এবং এটি ইতোমধ্যে অস্থির পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে। যখন কিনা ১৫ মাস পর গাজাবাসী বিষাদ শেষে আনন্দযাত্রার অভিযাত্রী-ট্রাম্পের এমন বক্তব্য ও অবিশ্বাস্য সম্প্রসারণবাদী পরিকল্পনা তাদের জন্য গুড়ে বালি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ অপ্রত্যাশিত অবস্থানের কারণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সে দেশের জনসাধারণের বিরোধিতা সত্ত্বেও তাদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনায় না নিয়ে কেবল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের মানসে যুদ্ধবিরতির মধ্যে ১৮ মার্চ গাজায় তীব্র বিমান হামলা চালিয়ে শত শত নিরীহ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে হত্যা করছে। যেখানে শুধু ১৮ মার্চের (মঙ্গলবার) হামলায় ৪২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৭৪টি শিশু ও ৮৯ জন নারী। এ আক্রমণাত্মক হামলায় ৬০০-এর বেশি মানুষ আহত হয়েছে। তাদের বাড়িঘর, মসজিদ ও আশ্রয়স্থল লক্ষ করে হামলা চালানো হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েল ১৭ দিন ধরে গাজার সীমান্ত ক্রসিংগুলো বন্ধ করে রেখেছে। যার ফলে উপত্যকাজুড়ে চরম মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে এবং খাদ্য ও ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। কোথায় প্রভাবশালী দেশসমূহ ও জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যুদ্ধ বন্ধসহ সম্ভাব্য যুদ্ধপরিস্থিতি প্রতিরোধে কাঙ্ক্ষিত অবদান রাখবে, তার বদলে যুক্তরাষ্ট্র যে ন্যক্কারজনক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে তা মানবতার জন্য উদ্বেগজনক।
দীর্ঘ দশক ধরে ফিলিস্তিনিরা দখল, উপনিবেশবাদ এবং বাস্তুচ্যুতি বিরোধিতা করে আসছে, অপ্রতিরোধ্য প্রতিবন্ধকতার মুখে তাদের অধিকার রক্ষা করেছে। ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে ‘প্রস্থান’ করার পরামর্শ দেওয়া এবং গাজা দখলে নিয়ে উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ তাদের মর্যাদা এবং ন্যায়ের জন্য সংগ্রামের প্রতি একটি অবমাননা। এটি এড়িয়ে চলে যে তারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম গাজা উপকূলেই বসবাস করে আসছে, তীব্র ইসরায়েলি সামরিক দখল এবং অবরোধের সম্মুখীন হয়েও একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং পরিচয় গড়ে তুলেছে।
ট্রাম্পের বক্তব্য আরও একটি বিষয় তুলে ধরে, যা হলো গাজায় ফিলিস্তিনিদের বাস্তবতা সম্পর্কে বোঝার অভাব অথবা সম্ভবত এটি এক ধরনের ইচ্ছাকৃত অবজ্ঞা। গাজা উপকূল, যেখানে ২ মিলিয়নের বেশি মানুষ বাস করে, সেখানে অত্যন্ত অমানবিক পরিস্থিতি চলছে, যার মধ্যে রয়েছে বিধ্বংসী সামরিক আক্রমণ, একটানা বিমান হামলা এবং ইসরায়েলের দ্বারা চাপানো একটি ভঙ্গুর অবরোধ। গাজার মানুষ ইতোমধ্যে একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং এখন, এ বিপর্যস্ত সংঘাতের উচ্চতম পর্যায়ে, ট্রাম্প তাদের আবারও তাদের মাতৃভূমি ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছেনÑ এবার জর্ডান বা মিসরে।
এ প্রস্তাবটি শুধু ফিলিস্তিনিদের অধিকার ক্ষুণ্ন করে না, বরং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের মৌলিক কারণও উপেক্ষা করে। সংঘাতের জন্য একটি ন্যায়সঙ্গত এবং স্থায়ী সমাধান খুঁজে পাওয়ার পরিবর্তে এটি একটি অস্থায়ী এবং নৈতিকভাবে দুর্বল সমাধান প্রদান করে যা বাস্তুচ্যুতি এবং অধিকারহরণের চক্র আরও দীর্ঘায়িত করে। শান্তি এবং সহাবস্থানের পক্ষে যথোচিত পদক্ষেপ নেওয়ার পরিবর্তে ট্রাম্পের গাজা খালি করার আহ্বান এ অঞ্চলে বহু দশক ধরে চলা জাতিগত নির্মূল প্রক্রিয়া অপ্রত্যাশিতভাবে উৎসাহিত করার ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে।
গাজার জনগণের জন্য ট্রাম্পের মন্তব্য তাদের কল্যাণের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কতটুকু উদাসীনতার একটি বেদনাদায়ক স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে কাজ করছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, যখন ইসরায়েল গাজার বিরুদ্ধে তার সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরু করেছিল, তখন থেকে গাজার পরিস্থিতি বিপর্যস্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। হাজার হাজার সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে, বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে এবং অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে। ফিলিস্তিনিদের দুর্যোগের মাত্রা ও পরিমাণ অপ্রতিরোধ্য এবং তবু ট্রাম্পের পরামর্শ যে তারা তাদের ঘর ছেড়ে প্রতিবেশী দেশে চলে যাবে, তা নিঃসন্দেহে তাদের মানবিক মর্যাদা খর্ব করে। এ প্রস্তাব শান্তির কাঙ্ক্ষিত পথ সরবরাহ করার পরিবর্তে গাজার জনগণের মধ্যে হতাশা আরও গভীর করবে। এটি একটি সমাধানের ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করে, যখন এটি সেই মৌলিক সমস্যাগুলো সমাধান করতে ব্যর্থ হয়, যা দীর্ঘকাল ধরে ফিলিস্তিনিদের অব্যাহত দমনপীড়ন অবস্থায় রেখেছে। গাজার ফিলিস্তিনিরা জর্ডান বা মিসরে সাময়িক স্থানান্তরের জন্য আবেদন করছে না; তারা দখল শেষ করার, তাদের অধিকার স্বীকৃতি পাওয়ার এবং তাদের নিজের ভূমিতে মর্যাদার সঙ্গে বাস করার অধিকার দাবি করছে। তাদের সরানোর আহ্বান জানিয়ে ট্রাম্প সরাসরি এ মৌলিক অধিকার অস্বীকার করছেন।
গাজার জনগণের স্থানান্তরের পরামর্শটি শুধু ইসরায়েলকে তাদের চলমান জাতিগত নির্মূল অভিযান আরও উৎসাহিত করে, যার সাম্প্রতিক প্রমাণ ১৮ মার্চের অতর্কিত বিমান হামলা, যেটিকে নেতানিয়াহু ‘হামলা মাত্র শুরু’ বলে চরম দম্ভোক্তি করেছেন। ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ইসরায়েলি বাহিনী একটানা বোমাবর্ষণ এবং সামরিক অভিযান চালিয়েছে, যা প্রায় ৫০ হাজার গাজাবাসীর মৃত্যুর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের বসতি, হাসপাতাল, স্কুল এবং জাতিসংঘের কেন্দ্র লক্ষ্য করে সর্বাত্মক হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছে। এ অভিযানটির উদ্দেশ্য শুধু হামাসের বিরুদ্ধে নয়, বরং গাজার ফিলিস্তিন জনগণের পুরোপুরি নিশ্চিহ্নকরণ।
ট্রাম্পের বক্তব্য ও অমর্যাদাকর পরিকল্পনা কেবল গাজার জন্য নয়, পুরো ফিলিস্তিনের উদ্দেশ্যেও বৃহত্তর প্রভাব ফেলবে। তার প্রস্তাব-পরিকল্পনা দুটি রাষ্ট্রের সমাধান অবমূল্যায়ন করে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন আরব দেশ দীর্ঘদিন ধরে সমর্থন করে আসছে। ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ট্রাম্প কার্যকরভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের ধারণাটি মুছে ফেলছেন, যা বিশ শতক থেকে ফিলিস্তিন রাজনৈতিক আন্দোলনের মূল লক্ষ্য। ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তর আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হবে, বিশেষত চতুর্থ জেনেভা কনভেনশন, যা সংঘাতের সময় এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে সাধারণ মানুষের স্থানান্তর নিষিদ্ধ করে। অতএব এ প্রস্তাবটি কেবল নৈতিকভাবে অসঙ্গত নয়, আইনি দিক থেকেও অগ্রহণযোগ্য।
ট্রাম্পের এহেন অবস্থান ও ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়িত্বসুলভ ও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে ফিলিস্তিনিদের অধিকার সুরক্ষিত থাকে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্য আন্তর্জাতিক অভিনেতাদের ট্রাম্পের বিপজ্জনক প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান এবং ফিলিস্তিনের আত্মনির্ধারণ, স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচারের অধিকার সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতে হবে।
ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের অনুমতি দেওয়ার পরিবর্তে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের জন্য একটি সমন্বিত এবং ন্যায়সঙ্গত সমাধানে কাজ করতে হবে, এমন একটি সমাধান যা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের অধিকার সুরক্ষিত রাখে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে দখল বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি, ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গাজার অবরোধ শেষ করার জন্যও কাজ করতে হবে, যাতে এলাকা পুনর্গঠন করা যায় এবং তার জনগণের জন্য মানবিক সাহায্য সরবরাহ করা যায়।
একই সময়ে আঞ্চলিক অভিনেতাদের বিশেষ করে জর্ডান ও মিসরের মতো আরব রাষ্ট্রগুলোকে ফিলিস্তিন জনগণের প্রতি একাত্মতা প্রদর্শন করতে হবে এবং তাদেরকে তাদের ভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য করার কোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ফিলিস্তিনের উদ্দেশ্য শুধু একটি ফিলিস্তিন ইস্যু নয়; এটি একটি আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক ইস্যু, যা সম্মিলিত কর্মের দাবি জানায়। বিশেষত আরব লিগকে ফিলিস্তিনের অধিকার সমর্থনে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে এবং ঐক্যবদ্ধ কৌশল তৈরি করতে হবে।
সর্বোপরি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজা ‘পরিষ্কার’ করার আহ্বান এবং অঞ্চলটি দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা বিপজ্জনক এবং গভীর উদ্বেগজনক প্রস্তাব, যা ফিলিস্তিনিদের আত্মনির্ধারণের অধিকার অবমূল্যায়ন এবং গাজার জনগণের কষ্ট দীর্ঘায়িত করে। এটি সেই লাখ লাখ ফিলিস্তিনির প্রতি অবমাননা, যারা বহু প্রজন্ম ধরে গাজার ভূখণ্ডে বাস করছে এবং এটি ইসরায়েলের চলমান জাতিগত নির্মূল অভিযানের প্রতি পরোক্ষ সমর্থন বা প্রেরণা। স্থানান্তরের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনের অধিকার রক্ষায় দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের জন্য একটি ন্যায়সঙ্গত ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে কাজ করতে হবে।
গাজার এবং দখলকৃত অঞ্চলের ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতা, মর্যাদা, এবং আত্মনির্ধারণের জন্য অপেক্ষা করছে। তারা শূন্য প্রতিশ্রুতি এবং স্থানান্তরের আহ্বান থেকে অনেক বেশি কিছু প্রাপ্য। পৃথিবীকে অবশ্যই কাজ করতে হবে যাতে তাদের অধিকার রক্ষা হয় এবং তারা তাদের নিজভূমিতে শান্তিতে বাস করতে পারে। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের জন্য ন্যায়সঙ্গত সমাধান পাওয়ার সময় দীর্ঘদিন আগে চলে গেছে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাব ও পরিকল্পনা এবং নেতানিয়াহুর অমানবিক হামলা কেবল সেই ভবিষ্যৎটি বিলম্বিত করে এবং লাখ লাখ নির্দোষ মানুষের দুর্ভোগ আরও গভীর করে। বিশ্ব যখন এটি পর্যবেক্ষণ করছে, তখন এটি প্রত্যাশিত যে বিশ্ববাসী ফিলিস্তিন জনগণের পাশে দাঁড়াবে, তাদের অপসারণের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করবে এবং তাদের মর্যাদা ও শান্তিতে বাস করার অধিকার সমর্থন করবে। শুধু ন্যায়বিচারের প্রতি প্রতিশ্রুতি, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি এবং সহাবস্থানের জন্য এ প্রত্যাশা একান্তভাবে কাম্য।