ড. ইশিতা আকতার
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:৩২ পিএম
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ ০০:১৩ এএম
অলঙ্করন ; জয়ন্ত জন
২ ডিসেম্বর মোটরসাইকেলে চড়ে তেজগাঁও থেকে হাজারীবাগের উদ্দেশে রওনা হন রুবিনা আক্তার। শাহবাগ মোড় অতিক্রম করে বেলা ৩টার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির বিপরীত পাশের রাস্তায় পৌঁছার পর রুবিনার জীবনে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। রুবিনা আক্তার যে মোটরসাইকেলে চড়ে যাচ্ছিলেন, সেই মোটরসাইকেলে পেছন থেকে একটি প্রাইভেটকার ধাক্কা দেয়। ধাক্কার পর রুবিনা আক্তার ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই অবস্থায় রুবিনা আক্তারকে ওঠার কোনোরকম সুযোগ না দিয়ে তার ওপর প্রাইভেটকার উঠিয়ে দেন চালক। দ্রুতগতিতে তিনি গাড়ি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। গাড়িটি তাকে টেনেহিঁচড়ে নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধ থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে যায়। সংবাদমাধ্যম মারফত যতটুকু জেনেছি, আশপাশের মানুষজন না থামালে হয়তো আরও অনেক দূর তাকে নিয়ে যেতেন চালক। আশপাশের মানুষের প্রচেষ্টায় গাড়ি থামিয়ে রুবিনা আক্তারকে উদ্ধার করা হয়। সংবাদমাধ্যমেই পড়েছি, উদ্ধারের পর তিনি বেশ কবার অস্ফুটে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আর্তি জানাচ্ছিলেন। মৃত্যুর দোরগোড়ায় থাকা একজন মানুষের আর্তি কতটা মর্মন্তুদ হতে পারে, তা হয়তো আশপাশের মানুষ ভিন্ন মাত্রায় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে অনুভব করেছিলেন। দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দিলেও শেষরক্ষা হলো না! সম্পূর্ণ ঘটনাটি মানবতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। শিক্ষিত ও বিবেকবোধসম্পন্ন মানুষের পক্ষে তো এমন কিছু করা সম্ভব নয়।
গাড়িটি থামানোর পর গাড়ির চালক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আজহার জাফর শাহকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। পরিস্থিতি বিচারে বিষয়টি অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে এ ঘটনায় আশপাশের মানুষের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত মানবিক। কিন্তু তাদের এ দায়িত্বশীল ভূমিকার পরও রুবিনা আক্তারকে জীবিত রাখা গেল না। মানবিক মূল্যবোধ বলে একটি কথা আছে। কারও গায়ে সামান্য ধাক্কা লাগলে অথবা কারও গায়ে পা লাগলে এখনও অনেকেই তাদের গা ছুঁয়ে সালামের ভঙ্গি করেন। আমাদের সংস্কৃতিতে এটি ক্ষমা চাওয়ার প্রতীক হয়ে আছে। কিন্তু ওইদিন কী ভয়ংকর একটি ঘটনা ঘটল! গাড়ির নিচে পিষ্ট একজন মানুষকে গাড়ির নিচে রেখেই টেনেহিঁচড়ে এগিয়ে গেলেন চালক-যিনি সর্বোচ্চ একাডেমিক শিক্ষায় শিক্ষিত। তিনি একবারের জন্যও তা বুঝতে পারেননি তা কি হতে পারে? নাকি বুঝেও বুঝতে চাননি? হয়তো তদন্তে সব উন্মোচিত হবে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ জানায় গণপিটুনির পর তিনি চেতনা হারান। জ্ঞান ফিরলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তিনি কি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন? ঘটনার পেছনের কারণ যা-ই থাকুক না কেন, ওই মর্মন্তুদ ঘটনার দায় তিনি কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। একে দুর্ঘটনা না বলে হত্যাই বলা চলে। প্রতিদিন দেশে গাড়ির চাকায় এমন কত রুবিনা পিষ্ট হচ্ছেন এর সাক্ষ্য মেলে সংবাদমাধ্যমে।
অবাক হয়েছি, যখন জানতে পারলাম চালক আজাহার জাফর শাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক। সমাজের এমন কারোর এ বেপরোয়ানা মেনে নেওয়া কঠিন। যেহেতু তিনি এককালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন, তাই তিনি ভালোই জানেন ওই এলাকায় কীভাবে গাড়ি চালাতে হবে। তিনি যে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তা বোঝা কঠিন কিছু না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো চারদিকে ঘেরা নয়। ওখানে প্রতিদিন বহু মানুষ ভিড় করে। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যানবাহন এর মধ্য দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পরিসরে যানবাহন চলাচলের নির্দিষ্ট গতিসীমা রয়েছে। সেই গতিসীমা মেনে সবাইকে গাড়ি চালাতে হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান বিবেচনা করেই হয়তো যানবাহন চলাচল বন্ধ করা সম্ভব নয়। কিন্তু গাড়ির গতিসীমা নিয়ন্ত্রণে রেখে চালাতে হবে-এ বোধটুকু কি আইন করে জাগাতে হবে? নৈতিকভাবেও যদি আমরা ভেবে দেখি, তাহলে বোঝা যায় এক্ষেত্রে মূল্যবোধের ধসের কি ভয়াবহতার চিত্র দেখা গেছে। যে কেউ অন্তত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গাড়ি নিয়ে গেলে গতিসীমা নিয়ন্ত্রণে রেখেই চলেন।
সম্প্রতি দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের কারণে বহু অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটছে। আমাদের জাহাঙ্গীরনগরেও বহিরাগত অনেকে গাড়ি কিংবা বাইক নিয়ে আসেন। তারা অনেকটা ফাঁকা রাস্তা পেয়েই বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে শুরু করেন। ফলে অনেক সময় শিক্ষার্থী বা অন্যরা এর মর্মান্তিক শিকার হন। চলতি বছর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক সিএনজির ধাক্কায় মৃত্যুবরণ করেছেন। বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাক্কার বিষয় নিয়ে বহুবার আলোচনা হলেও এর যে সমাধান হয়নি তা স্পষ্ট। তবে রুবিনা আক্তারের ঘটনায় তো কোনো বহিরাগত কেউ ছিলেন না। আজাহার জাফর শাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কীভাবে চলাচল করতে হবে তা তো তার জানা। তিনি কেন তা করলেন না? অনেকে সন্দেহ করছেন, তিনি হয়তো নেশাগ্রস্ত ছিলেন। কিন্তু সেটি কি তার অপরাধ লাঘব করতে পারে? কখনোই পারে না। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পাঠদান করেন। এখনও অনেক শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষককে শ্রদ্ধা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশে একজন শিক্ষকের উপস্থিতিও শিক্ষাদানের পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একজন শিক্ষক, তিনি হোন সাবেক, তার চলার ধরন কিংবা আচরণও শিক্ষার্থীদের জন্য অনুসরণীয় এবং অনুকরণীয় হতে পারে। জানা গেল, আজাহার জাফর শাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। ২০১৮ সালে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। নিজ বিভাগে কোন গাফিলতির কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তা জানা নেই। তবে তিনি যে ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা শিক্ষকদের ভাবমূর্তি অনেকাংশেই ক্ষুণ্ন করেছে। আজাহার জাফর শাহ শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধিত্ব করেন না কিন্তু সামাজিক পরিসরে তার কর্মকাণ্ড অনেককেই ব্যথিত করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের একজন শিক্ষকও কি এমন বেপরোয়া হতে পারেন। তাহলে কার কাছে মানবিক সংস্কৃতি শিক্ষা নেবে শিক্ষার্থীরা?
দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভিন্ন মাত্রায় শ্রদ্ধার চোখে দেখা হয়। তাদের মতামত, আলোচনা সবখানেই গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়। সমাজের নানা স্তরে এবং সংবাদমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা জনমত গঠনে কাজ করে চলেছেন। তাই একজন শিক্ষক হিসেবে যতটা সম্ভব সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। আজাহার জাফর শাহ যে ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাতে একটি তাজা প্রাণ ঝরে পড়েছে। এই মৃত্যুর যন্ত্রণা কতটা ব্যাপক তা মানুষ অনুভব করতে পারছে। রুবিনা আক্তারকে তো প্রায় এক কিলোমিটার টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমার ধারণা, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা হওয়ায় হয়তো আশপাশের মানুষ সহজে গাড়ি থামাতে পেরেছিলেন। প্রতিনিয়ত আমাদের দেশে সচেতনতার অভাবে কিংবা চালকের অসাবধানতায় এমন কত দুর্ঘটনাই তো ঘটছে। এমন অনেক ঘটনাও ঘটে, যে ঘটনাটিও ঘটার কোনো কারণই নেই। কয়েকদিন আগে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সড়ক বিভাজকের ওপর দিয়ে অপরপাশের লেনে একটি বাসকে ধাক্কা দেয়। এর আগে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে এক গর্ভবতী নারীর মৃত্যু হয়। ট্রাকের চাপায় তার পেট থেকে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় রাস্তাতেই! এমন বহু মর্মন্তুদ ঘটনা সড়কে ঘটে চলেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এমন একটি ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার নয়।
রুবিনা আক্তারের প্রাণহানির ঘটনার ক্ষেত্রে তা আরও মেনে নেওয়া যায় না দুটি কারণে। প্রথমত, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ এবং সড়কে চলার নিয়মের সঙ্গে পরিচিত এক শিক্ষকের দ্বারা এই ঘটনা ঘটেছে। দ্বিতীয় বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ। ওই ঘটনা ঘটার সময় কিংবা আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীদের ভূমিকাও আমাদের ভাবিয়েছে। এক কিলোমিটার পথজুড়ে একজন মানুষকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে একটি গাড়ি, নিরাপত্তা কর্মী কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা টের পায়নি? তাদের ভূমিকাও কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধ। বিভিন্ন ঘটনার প্রবণতাও আমাদের নিজস্ব আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে। সেই নিয়ন্ত্রণ থেকে অনেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। যেখানে বেপরোয়াপনা থাকে এবং সেখানেই এর ফলে মর্মন্তুদ ঘটনা ঘটে। তখন সিংহভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষ এমন ঘটনায় উদ্ধারকর্তার ভূমিকা পালন করে। অতটুকু আন্তরিকতা আমাদের সমাজে এখনও জিইয়ে আছে দেখে স্বস্তি পাই।
নিরাপদ সড়ক আমাদের বহুদিনের দাবি। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সরকার যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে প্রচুর অর্থ বরাদ্দ করেছে। কিন্তু অনেকের অসচেতনতা, দায়িত্বহীনতা, বেপরোয়াপনা এবং কিছু ক্ষেত্রে দাম্ভিকতা ও ক্ষমতার অপপ্রয়োগের কারণেই নানা দুর্ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়ও অনেক শিক্ষার্থী, কর্মচারী, শিক্ষক বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালান রুবিনার মর্মন্তুদ ঘটনাটি ফের এরই সাক্ষ্য দিল। আশা করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নেবে। ঘাতক আজাহার জাফর শাহকে জিজ্ঞাসাবাদের পর হয়তো আমরা সব কথা জানব। কিন্তু এই অপরাধের জন্য তার শাস্তি নিশ্চিত করতেই হবে। কারণ যা-ই হোক না কেন, এর দায় তাকে নিতেই হবে। সে নেশাগ্রস্ত হয়ে থাকুক কিংবা অন্য যা-ই ঘটুক না কেন, তার হাতেই মৃত্যু হয়েছে রুবিনা আক্তারের। রুবিনা আক্তারের মৃত্যুতে তার সন্তান যে অকূল পাথারে নিমজ্জিত হয়েছে, তা একজন মা হিসেবে আমিও অনুভব করতে পারি। তার পরিবারে যে ছন্দপতন ঘটেছে এর উৎকট চিত্রও সমাজে গাঢ় ছায়া ফেলেছে।
দেশে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় শহরের বেশ কাছে, সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন মর্মন্তুদ ঘটনা বেড়েই চলেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটি সর্বসাম্প্রতিক আরও একটি বর্বর ঘটনা। এমন ঘটনা আমাদের অনেকটাই দিশেহারা করে তুলেছে সত্য। কিন্তু ঘটনাটি আমাদের সতর্ক হওয়ার ফের তাগাদা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় কেন, সারা দেশেই সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে হবে। কাজটি খুব কঠিন কিছু নয়। আমাদের যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নত হচ্ছে। এই উন্নত অবকাঠামো সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের ইতিবাচক ভূমিকাই অনেক কিছু বদলে দিতে পারে। রুবিনা দুর্ঘটনার শিকার নন, এটি স্পষ্টত একটি হত্যাকাণ্ড এমন বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। এভাবে কারোর উন্মাদনা কিংবা দায়িত্বহীনতায় জীবন ও মানবতার প্রদীপ নিভে যেতে পারে না। দৃষ্টান্তযোগ্য প্রতিকারই এর একমাত্র প্রতিবিধান।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়