× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নারীর ক্ষমতায়ন

যেতে হবে বহুদূর...

ড. ফরিদুল আলম

প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৫ ১০:৫৯ এএম

ড. ফরিদুল আলম

ড. ফরিদুল আলম

নারীর ক্ষমতায়ন বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচনা করা হলেও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে উন্নত বিশ্বের উন্নয়নের চিত্র পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, নারীর ক্ষমতায়নের দিক দিয়ে আজকের উন্নত দেশগুলোও যে খুব সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে তা নয়। বরং বলা যায়, বিভিন্ন দেশের নারীরা নানা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এখানে অবশ্য বৈষম্যকে অনেকভাবেই দেখা যায়, তবে প্রধানত যে বৈষম্যগুলো উন্নয়নের পথে প্রধান প্রতিবন্ধক হিসেবে বিবেচনা করা হয় তা হলো স্বাস্থ্য ও বেঁচে থাকা, শিক্ষায় অংশগ্রহণ, অর্থনৈতিক সুযোগ এবং রাজনীতিতে অংশগ্রহণ। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বাংলাদেশের জন্য সুখের বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নের প্রতিটি ক্ষেত্রেই উন্নতি সাধন করেছে এবং এর মধ্যে রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের শীর্ষ ১০-এর মধ্যে রয়েছে। যদিও বাংলাদেশে লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণে সরকারের দিক থেকে প্রচেষ্টার অভাব রয়েছে বলে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, কিন্তু আমরা নারীর অধিকারের ক্রমোন্নতির ধারা পর্যবেক্ষণ করলে দেখতে পাই, এ বৈষম্য আগে আরও প্রকট ছিল। পাশাপাশি এ কথাও স্বীকার করতে কারও দ্বিধা থাকার কথা নয় যে, উন্নয়নের স্বার্থেই নারীর ক্ষমতায়ন দরকার। যে উন্নয়ন পরিবার থেকে শুরু করে দেশ পর্যন্ত বিস্তৃত এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নিরিখে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সব মানুষের অধিকার নিশ্চিতকরণের মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান।

বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থসামাজিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তনে নারীর ক্ষমতায়নের প্রসঙ্গটি একটি বড় বিবেচিত বিষয় হিসেবে উঠে এলেও এখানে আমরা ক্ষমতায়নের বা নারীর অধিকারের যে চিত্রটি দেখতে পাই, তা সার্বিক অবস্থার একটি খণ্ডিত অংশ কেবল। আমরা সব ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণের ধারণা পৃষ্ঠপোষকতা করতে গিয়ে ক্ষেত্রবিশেষ নারীদের এমন অবস্থায় নিয়ে আসি, যেখানে আসার জন্য তারা সত্যিকার অর্থে কতটুকু মানসিকভাবে প্রস্তুত সে বিষয়টি ভেবে দেখি না। উদাহরণস্বরূপ চাকরি ক্ষেত্রে কোটাভিত্তিক নিয়োগ এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য কোটাভিত্তিক নির্বাচনব্যবস্থার মাধ্যমে নারীদের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের উদ্যোগ নিলেও এ ব্যবস্থা আসলে নারীর ক্ষমতায়নে কতটুকু কর্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। বস্তুতপক্ষে ক্ষমতায়িত করার আগে তাদের সে ক্ষমতা গ্রহণ করার মতো মানসিক যোগ্যতা এবং দক্ষতা অর্জন বেশি জরুরি, যা অর্জিত হতে পারে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। সেজন্য প্রথমত. সঠিক শিক্ষা, বিশেষত নারীর সুশিক্ষার পথে যে অন্তরায়সমূহ রয়েছে তা দূর করতে হবে সবার আগে, যা মূলত সরকারের দায়িত্ব। দ্বিতীয়ত. পারিবারিক পর্যায়ে কেবল ছেলে আর মেয়েÑ এ সংকীর্ণ চিন্তাধারা অতিক্রম করে সন্তানদের প্রতি পিতা-মাতার সমান দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন বেশি জরুরি। এখানে শিক্ষার সুযোগ থেকে শুরু করে সম্পত্তির অধিকার পর্যন্ত নারী-পুরুষের মধ্যকার বিভেদ দূরকল্পে পারিবারিক মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি। আর এ পরিবর্তন যতক্ষণ না করা যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত সার্বিক অবস্থারও উন্নয়ন করা যাবে না। বিচ্ছিন্নভাবে উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, আমাদের সমাজে এখনও প্রাথমিকভাবে নারীরাই আক্রমণের প্রধান শিকার, সেটা কর্মস্থলেই হোক আর পথে ঘাটেই হোক এবং তারা আমাদেরই কারও না কারও পরিবারের সদস্য। এটি কি আমাদের সমাজে নীরবে চলতে থাকা এক ধরনের বৈষম্যের নামান্তর নয়, যে বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে প্রকারান্তরে আমাদের সবাইকে? 

আগেই বলা হয়েছে, উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশসমূহে অধিক দৃশ্যমান হলেও নারীর অধিকারহানির বিষয়টি সর্বব্যাপী। ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উদ্যোগে নারীর প্রতি সব বৈষম্য দূরীকরণ শীর্ষক কনভেনশনের মাধ্যমে ঐতিহাসিক সিডও সনদ গৃহীত হয় এবং ১৯৮১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তা কার্যকর হতে শুরু করে। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রের আলোকে এবং উক্ত ঘোষণাপত্রের অনুচ্ছেদ ১-এ বর্ণিত সমতার নীতিতে বলা হয়েছে, ‘বন্ধনহীন অবস্থায় এবং সমমর্যাদা ও অধিকারাদি নিয়ে সব মানুষই জন্মগ্রহণ করে। বুদ্ধি ও বিবেক তাদের অর্পণ করা হয়েছে; অতএব ভ্রাতৃত্বসুলভ মনোভাব নিয়ে তাদের একে অন্যের প্রতি আচরণ করা উচিত।’ একইভাবে বৈষম্যহীনতার নীতিতে বলা হয়েছে, ‘যেকোনো প্রকার পার্থক্য যথা জাতি, গোত্র, বর্ণ, নারী-পুরুষ, ভাষা, ধর্ম, রাজনৈতিক বা অন্য মতবাদ, জাতীয় বা সামাজিক উত্পত্তি, সম্পত্তি, জন্ম বা অন্য মর্যাদানির্বিশেষ প্রত্যেকেই ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত সব অধিকার ও স্বাধিকারে স্বত্ববান।’ মূলত এ অবস্থার আলোকে যে তিনটি মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে সিডও সনদ গৃহীত হয়েছে তা হলো ১. সমতার নীতি ২. বৈষম্যহীনতার নীতি এবং ৩. শরিক রাষ্ট্রের দায়দায়িত্ব। বাংলাদেশে নারী অধিকার নিয়ে আন্দোলনরত সংগঠনগুলোর অব্যাহত চাপের মুখে সরকার ১৯৮৪ সালের ৬ নভেম্বর সিডও সনদ স্বাক্ষর করে। তবে দুঃখের বিষয়, স্বাক্ষরকালে তিনটি ধারার চারটি উপধারা সম্পর্কে সংরক্ষণমূলক নীতি অবলম্বন করে বাংলাদেশ। ধারাগুলো হচ্ছে ২, ১৩.১ (ক), ১৬.১ (গ), (চ)।

২ নম্বর ধারায় বর্ণিত আছে, বৈষম্য বিলোপের লক্ষ্যে রাষ্ট্র কর্তৃক যথাযথ নীতি ও পদ্ধতি গ্রহণ। সনদের ২ ধারার সাতটি উপধারায় সংবিধান ও অন্যান্য আইনে নারী-পুরুষের সমানাধিকারের নীতি গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন, বৈষম্য নিষিদ্ধ করার জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থাসহ আইনগত ও অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা আছে। রয়েছে সমানাধিকারের আইনগত সুরক্ষা প্রতিষ্ঠায় আদালত, ট্রাইব্যুনাল এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থার মাধ্যমে যেকোনো বৈষম্যমূলক কাজের বিরুদ্ধে কার্যকর সুরক্ষা নিশ্চিত করা, নারীর প্রতি বৈষম্য সৃষ্টি করে বিদ্যমান এমন আইন, বিধান, সংশোধন বা বাতিল করার জন্য আইন প্রণয়নসহ উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ এবং এমন সব ফৌজদারি বিধিবিধান বাতিল। ধারা ১৩.১(ক) পারিবারিক কল্যাণের অধিকার।

১৬.১ (গ) ধারায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ও বিচ্ছিন্ন হওয়ার ব্যাপারে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলা হয়। আর এ ধারা (চ) অনুচ্ছেদে অভিভাবকত্ব, সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়কত্ব ও পালক সন্তান গ্রহণ অথবা জাতীয় আইনে যেখানে অনুরূপ ধরনের ধারণা বিরাজমান রয়েছে সেসব ক্ষেত্রে সমান অধিকার ও দায়িত্ব, সব ক্ষেত্রেই সন্তানের স্বার্থ হবে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত চারটি অনুচ্ছেদ সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের আন্দোলনে নতুন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নারী সংগঠনগুলোর ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলে ২ ও ১৬.১ (গ) ব্যতীত অন্য দুটি ধারার ওপর থেকে আপত্তি তুলে নেওয়া হয় ১৯৯৬ সালে।

এখানে যে বিষয়টি আলোচনায় ইতোমধ্যে উল্লেখ করেছি তা হলো কেবল নামমাত্র শিক্ষাব্যবস্থা, কোটারিভিত্তিক চাকরি এবং নির্বাচনব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যারা নারীর ক্ষমতায়নের বিষয় দেখার চিন্তা করেন, এ অবস্থা আসলে কায়েমি স্বার্থবাদীদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য লোকদেখানো এক ধরনের সস্তা সাইনবোর্ডসর্বস্ব নারীর ক্ষমতায়নের নীতি ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। বাছবিচার ছাড়া কিছুসংখ্যক নারীকে সুবিধা দিয়ে বাকিদের সস্তাশ্রমে নিযুক্ত করে পশ্চিমা কায়দায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন করার এ মানসিকতা মধ্যযুগীয় বর্বরতার পর্যায়েই পড়ে। এখানে উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রাণ বলে বিবেচিত পোশাক কারখানা এবং চিংড়ি চাষের শ্রমে যথাক্রমে ৯৫ এবং ৮০ শতাংশই নারী শ্রমিক। এ ছাড়া গৃহস্থালি কাজে ৯৫ ভাগের বেশি নারী নিয়োজিত। নারীর অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে দেশের অর্থনীতির উৎপাদনশীল খাতে তাদের নিয়োগ দিয়ে নারীর ক্ষমতায়নের কথা যারা প্রচার করে যাচ্ছেন তারা মুখে যতই উদার কথা বলুক না কেন, আচরণে তারা তথাকথিত ‘নারীদের পিছিয়ে রাখা তত্ত্বের’ সমর্থক।

অনেকে বলেন বাংলাদেশে নারীর অধিকারের পথ যতটুকু প্রশমিত হয়েছে তাতে সিডও সনদের ২ ও ১৬.১(গ) সংরক্ষণের আর কোনো প্রয়োজন পড়ে না। বিষয়টি যদি এতটাই সহজ হতো তবে কেন সরকার এ দুটি ধারা থেকে তাদের আপত্তি প্রত্যাহার করছে না, সে প্রশ্নও থেকেই যায়। সরকার কর্তৃক এ দুই ধারা সংরক্ষণ নিয়ে ১৯৯৭ সালে সিডও কমিটির সভায় অসন্তোষ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, মূলত এ ধারাদ্বয়ই সিডওর প্রাণ। সেই সঙ্গে ২০০৪ সালে তাদের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, এ ধারাদ্বয়ের সংরক্ষণ সিডওর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের পরিপন্থি। ২০০৮ সালে বাল্যবিবাহ এবং পরিবারে ও সমাজে নারীর দায়িত্ব ও ভূমিকার ব্যাপারে একচোখা ও গৎবাঁধা দৃষ্টিভঙ্গি আচরণ নারীর অধিকার খর্ব ও সিডওর পূর্ণ বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করবে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের সংবিধানের কতিপয় অনুচ্ছেদ প্রণিধানযোগ্য। ১৯ (৩) অনেচ্ছেদে বর্ণিত, ‘জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা রাষ্ট্র নিশ্চিত করিবেন;’ ২৭ অনুচ্ছেদে বর্ণিত, ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী;’ ২৮ (২) অনুচ্ছেদে বর্ণিত, ‘রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারীপুরুষ সমান অধিকার লাভ করিবেন;’ এবং ২৮ (৪) অনুচ্ছেদে বর্ণিত, ‘নারী বা শিশুদের অনুকূলে কিংবা নাগরিকদের যে কোন অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান-প্রণয়ন হইতে এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না।’ সংবিধানের উল্লিখিত অনুচ্ছেদসমূহের বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় সিডও সনদে যে ধারাদ্বয়ের বিষয়ে সরকার সংরক্ষণবাদী নীতি অনুসরণ করে যাচ্ছে তা আমাদের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাহলে সঙ্গত কারণেই প্রশ্নও আসতে পারে তবে এ ধারাসমূহ থেকে তাদের আপত্তি প্রত্যাহার করতে বাধা কোথায়? এর একটি সহজ জবাব হতে পারে দেশের সাংবিধানিক বিষয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের অজ্ঞতার কারণে এর বাস্তবায়নে সরকারের দিক থেকে নৈতিক এবং আইনগত বাধ্যবাধকতার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হলেও আন্তর্জাতিক পরিসরে সবার চোখে ফাঁকি দেওয়াটা কষ্টসাধ্য।

বাংলাদেশের নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের নেপথ্যে মূলত ১৯৯০-পরবর্তী জাতীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নারী নেতৃত্বের অবদানই বেশি, কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিকাশ ঘটছে তা কি দেশের সব নারীকে কিংবা সংখ্যাগরিষ্ঠ নারীসমাজকে রাজনীতিসচেতন করতে পারছে? নিঃসন্দেহে বলতে পারি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও আগ্রহ সেভাবে বাড়েনি। এর কারণ কী তা আমরা অনুমান করলেও নিরূপণের দায়িত্ব সরকার তথা বিরাজমান রাজনৈতিক দলসমূহের। তবে এ কথা বলতে দ্বিধা নেই, আমাদের সমাজে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নারীর ক্ষমতায়নের নামে নানা ধরনের ব্যবস্থা গৃহীত হলেও নারী এখনও পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার ভেতর দিয়েই নিজেদের পরিচালিত করছে। বৈষম্যহীন উদার ব্যবস্থার ভেতর দিয়ে আমাদের সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামো পরিচালিত হচ্ছে না বলেই পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার ভেতর থেকে পুরুষবিদ্বেষী মানসিকতাও আমাদের সমাজে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ছে । শুধু তাই নয়, দিনদিন তা আরও প্রকট আকার ধারণ করছে, যা ভবিষ্যতে নারী-পুরুষের সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে একটি বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণের স্বপ্ন বাধাগ্রস্ত করবে। সুতরাং নারী অধিকার তথা নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে আমরা সত্যিকারভাবে কোন পথে হাঁটছি তা ভেবে দেখে সঠিক পথের অন্বেষণ করা অতি আবশ্যক। এই বাস্তবতা সামনে রেখে নিঃসন্দেহে বলা যায়, যেতে হবে আরও বহুদূর।

  • অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা