× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

জননিরাপত্তা

ঢোল পেটানো নয়, নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন

এলিনা খান

প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৫ ১২:২২ পিএম

এলিনা খান

এলিনা খান

মানুষ নিজের ঘরেও নিরাপদ বোধ করছে না। সম্প্রতি বনশ্রীতে ডাকাতির ঘটনার উদাহরণ টানলে বুঝতে সুবিধা হয়। ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনা-পরবর্তী সময়ে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়। তবে বনশ্রীর এই যে ঘটনা ঘিরে জোরদার অভিযানের শুরু, সে ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। উদ্ধার হয়নি লুট হওয়া স্বর্ণালংকার। কিন্তু প্রাথমিকভাবে যা ক্ষতি হওয়ার, তা তো হয়েই গেছে। আমরা দেখছি, অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সংবাদ সম্মেলনে একের পর এক বক্তব্য দিচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে একটি বিষয় কিছুটা হলেও দৃষ্টিকটু বলে অনেকেরই অভিমত। আর তা হলো ‘অতিকথন’। যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকারের কার্যক্রম থাকে, তাহলে কথার চেয়ে তা বাস্তবায়নের দিকেই অধিক মনোযোগ দেওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরং আগে থেকেই অনেকটা ঢাকঢোল পিটিয়ে জানাচ্ছেন, কী কী হবে। এমনটির কোনো প্রয়োজন আছে বলে, কারোই মনে হয় না। আমরা অতীতেও দেখেছি, রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে শুধু বক্তব্য দিলেই কাজের কাজ হয় না, সমাধান পাওয়া যায় না। এজন্য প্রয়োজন একটি সুষ্ঠু, পরীক্ষিত এবং স্বাভাবিক নিরাপত্তাব্যবস্থা। যদি তা নিশ্চিত না করা যায়, তাহলে কোনোভাবেই আইনশৃঙ্খলা নিরাপত্তাজনিত পরিস্থিতির উন্নয়ন সাধন করা যাবে না। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে আমার একটিই আহ্বানÑ আপনাকে শক্ত হাতে হাল ধরতে হবে। যা-কিছু করণীয় তার তালিকা কিংবা পরিকল্পনা করুন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে যথেষ্ট সক্রিয় করা এবং প্রয়োজনে যৌথ অভিযানের পরিসর বাড়ান। একের পর এক বিচ্ছিন্ন ঘটনা এখন এমন ধারাবাহিক আকার ধারণ করেছে যে, শক্ত হাতে দমন করা ছাড়া উপায়ান্তর নেই। বিশেষত ঢাকঢোল পিটিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়। 

একটি সহজ উদাহরণ দিলেই বিষয়টি বোঝা সহজ হবে। যখনই জানানো হয়, সন্ধ্যার পর নির্দিষ্ট একটি জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী টহল দেবে। এ তথ্য অপরাধীরা আগেই যখন জেনে যায়, তখন কি তারা সেখানে অবস্থান করবে? অবশ্যই তা করবে না, আর এমনটিই স্বাভাবিক। তাই জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পনা অবশ্যই গোপন রাখতে হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সুচারু করার জন্য পরিকল্পনা নিতে হবে এবং তা যেন অবশ্যই বাস্তবায়নযোগ্য হয় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ ক্ষেত্রে জনগণকে আশ্বস্ত করার জন্য কিছু বলতেই পারেন। এক্ষেত্রে জনগণের সঙ্গে তার সংযোগের ইচ্ছেটুকুও প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী পরিচালনার জন্য যা কিছু করণীয় তার বিস্তারিত বিবরণ সবাইকে জানানোর প্রয়োজন নেই বলেই মনে করি। বরং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কাজেই তা মানুষের কাছে দৃশ্যমান হবে। তখন তিনি সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাইলে জনগণও তার ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেবে।

যেকোনো রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক সুসংহত ব্যবস্থা ও নাগরিক শঙ্কা দূর করার একমাত্র পন্থা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সক্রিয় করা এবং দ্রুত যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীলতার নিরসন করা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন হওয়া উচিত, যাতে সাধারণ মানুষের কাছে তা সন্তোষজনক ও শঙ্কামুক্ত থাকে। কিন্তু আমরা দেখছি, সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে এবং তা সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথে বড় প্রতিবন্ধকতা এমনকি অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য মুখ্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত রাজধানীতে অবাধে হামলা, ছিনতাই, ডাকাতি ও ধর্ষণ বেড়েছে। নিকট অতীতে আমরা দেখেছি, বাস ডাকাতির সময় নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি রাজশাহীগামী দূরপাল্লার বাসে ডাকাতি এবং নারীর শ্লীলতাহানির যে খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে, তা তো রীতিমতো শঙ্কা ও আতঙ্কের। যাতায়াতের জন্য সুলভ মাধ্যম বাস, সিএনজি এমনকি বাইকেও নারীরা নিরাপদ নন। বিষয়টি চাকরিজীবী এমনকি যারা রাজধানীতে যাপিত জীবনের ব্যস্ততায় নানা কারণে সড়কে যাতায়াত করেন, তাদের জন্যও মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরি করেছে। এ মনস্তাত্ত্বিক চাপের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পারিবারিক, সামাজিক চাপও। কারণ পরিবারের বয়স্ক যারা, তারা সঙ্গতই তাদের মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। তারা অনেক সময় অনেক নারীকে সন্ধ্যা হলে ঘরের বাইরে যেতে বাধা দেন কিংবা অনেক সময় তাদের প্রয়োজনেও দূরে কোথাও যাওয়ার পথে বাদ সাধেন। এমনটি যেকোনো নারীর স্বাধীনতার জন্য একটি বড় প্রতিবন্ধক। যেকোনো বয়সের নারীর জন্যই নিরাপত্তাহীনতা এখন মনস্তাত্ত্বিক চাপ জটিল করছে। কারণ পরিবারের তরুণরা ভাবছে, আমার বয়োজ্যেষ্ঠ অর্থাৎ মা, খালা বা অন্যরা যখন রাস্তায় যাবেন, তখন তারা কি ছিনতাইয়ের শিকার হবেন? ঢাকায় আদৌ কোনো নিরাপদ সড়ক রয়েছে কি-না এমন বিষয় নিয়েও তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। তাই এ সমস্যাটি এখন শুধু রাষ্ট্রীয় নয়, বরং পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়েও তীব্র সংকট হয়ে উঠেছে।

২৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে গত এক দশকে নারীর প্রতি যৌন সহিংসতা বেড়েছে। ১০ বছর আগে ২০১৫ সালে যৌন সহিংসতা ছিল ২৭ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ দশমিক ৫ শতাংশে। ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর অডিটোরিয়ামে ‘নারীদের ওপর সহিংসতা’ শীর্ষক জরিপ-২০২৪-এর প্রতিবেদনে নারীর ওপর চার ধরনের সহিংসতার চিত্র তুলে ধরা হয়। এগুলো হচ্ছে শারীরিক, যৌন, অর্থনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক সহিসংতা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহিংসতার শিকার নারীদের মধ্যে মাত্র ৭ দশমিক ৪ শতাংশ আইনের আশ্রয় নেয়। বাকি ৯৩ দশমিক ৬ শতাংশ নারীই এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয় না। এ ছাড়া সহিংসতার শিকার ৬৪ শতাংশ নারী তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সহিংসতার কথাও পরিচিত বা বিশ্বস্ত এমনকি পরিবারের কাউকে জানায় না কিংবা জানাতে পারে না। পরিসংখ্যান গত বছরের হলেও, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জননিরাপত্তা এমন এক পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যা জনমনে বড় শঙ্কা তৈরি করেছে। বিশেষত নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে অনেকগুণ।

এ মুহূর্তে যারা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তাদের অধিকাংশই আশ্রয়স্থল, পরিকল্পনা, পর্যবেক্ষণসহ নানা বিষয়ে নিজস্ব হোমওয়ার্ক করে রাখে। আর তথ্যপ্রযুক্তির কারণে এখন অনেক তথ্য পাওয়া সহজ। তাই জনগুরুত্বপূর্ণ বা জানমালের নিরাপত্তাবিষয়ক কার্যক্রমের সিদ্ধান্তগুলো সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর পক্ষ থেকে যথাসম্ভব গোপন রাখা উচিত। অনেক সময় অপরাধীরা স্বেচ্ছায় বিভিন্ন টহলে ধরা দেয়। এভাবে বাহ্যত অভিযান সফল মনে হলেও এটিও অপরাধীদেরই পরিকল্পনার অংশ। তাই আমাদের এখন যুগোপযোগী পরিকল্পনার মাধ্যমে এগোতে হবে। জননিরাপত্তার সংকট এমন এক রূপ ধারণ করেছে- যা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ সামাজিক, সাংস্কৃতিক এমনকি রাজনৈতিক ব্যবস্থায়ও নেতিবাচক প্রভাব রেখে চলেছে। এমনটি হলে সারা দেশে যে জটিলতা দেখা দেবে, তার সমাধান তো কঠিন হয়ে উঠবেই বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা উত্তরোত্তর বাড়বে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সাঁড়াশি অভিযানের বিকল্প নেই। কিন্তু অভিযান পরিচালনার সময় কিছু বিষয়ের দিকেও মনোযোগ রাখতে হবে। অভিযানের সময় কোনো সাধারণ মানুষ যেন হেনস্থার শিকার না হয় প্রথমেই এটি নিশ্চিত করা জরুরি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযানের সময় কোনো কারণ ছাড়াই অনেককে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অনেকে রাজনৈতিক কারণে গ্রেপ্তার হচ্ছে। ফলে আসল অপরাধীরা থেকে যাচ্ছে অন্তরালে। প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর ভিন্ন এক প্রতিবেদনেই বলা হয়, পটপরিবর্তনের পর শীর্ষ সন্ত্রাসীরা মুক্ত হয়ে যাওয়ায় অস্থিতিশীল আন্ডারগ্রাউন্ড। অর্থাৎ এখন অভিযান পরিচালনা এবং অপরাধী শনাক্ত করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই হোমওয়ার্ক জরুরি এবং অপরাধীদের পর্যবেক্ষণ করে একদম নিশ্চিত হওয়া অধিক জরুরি। বিদায়ি সরকারের আমলে আমরা দেখেছি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর অভিযানে অনেক সময় নানা কায়দায় সাধারণ মানুষের নাম মামলায় জড়িয়ে পড়ত। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে তাও নিশ্চিত করতে হবে।

তাই নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনায় বেশি মনোযোগ দেওয়া জরুরি। ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশনায় যৌথ বাহিনী ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এ নেমেছে। কিন্তু তাই বলে, প্রতিবার সংবাদ সম্মেলনে অপরাধীদের হুঁশিয়ারি করার কোনো প্রয়োজন নেই। বরং সংবাদ সম্মেলনে শুধু নাগরিকদের আশ্বস্ত করার কাজটিই যথেষ্ট। অভিযানের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দেওয়া আসলে অপরাধীদেরই সতর্ক করে দেয়। এ কারণে অপরাধীরা সতর্ক হওয়ায় অভিযানের আগেই এলাকা থেকে সরে যাওয়ায়, অভিযানের সফলতার হারও কমতে শুরু করে। পুলিশ সদর দপ্তরও ছিনতাইকারী, ডাকাত ও চোর ধরতে সারা দেশে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু তারপরও কিন্তু ছিনতাই, ডাকাতি ও চুরির ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে শিক্ষাসফরের চারটি বাস ডাকাতির কবলে পড়ে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি স্থানে ছিনতাই ও ডাকাতির খবরের মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় মানুষের ছিনতাইকারী ও ডাকাত চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথাও জানা যাচ্ছে। এই প্রতিরোধ গড়তে গিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গণপিটুনির ঘটনাও ঘটছে। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার এই প্রক্রিয়াও কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। অপরাধ দমনের জন্য শুধু অভিযান জোরদার করলেই হবে না, বরং অভিযানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। যেসব অপরাধীকে ধরা হচ্ছে, তাদের ওপরও নজরদারি রাখতে হবে। সেইসঙ্গে বন্ধ করতে হবে গণপিটুনিও। অপরাধীর সংখ্যা দিয়ে নয়, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে। এজন্য ঢাক-ঢোল পিটিয়ে নয়, বরং সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে নিরাপত্তা। কেউ যেন মানুষকে জিম্মি করে, অস্ত্র ঠেকিয়ে, গুলি করে অথবা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে সর্বস্ব লুটে নিতে না পারে। মানুষের ভেতরে যে নিরাপত্তাহীনতাবোধ ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে হবে। অন্যথায় সংকট তীব্র হতে থাকবে। যাতে জানমালের নিরাপত্তায় ব্যাঘাত ঘটবে, মানুষের স্বস্তি উধাও হবে। আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ রয়েই যাবে।

  • আইনজীবী ও চেয়ারপারসন, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা