× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে প্রয়োজন গণসচেতনতা

ড. অরূপরতন চৌধুরী

প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:১৪ পিএম

ড. অরূপরতন চৌধুরী

ড. অরূপরতন চৌধুরী

ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা ব্যক্তি এবং তাদের পরিবার, সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। ডায়াবেটিস সারা জীবনের রোগ। নিয়ন্ত্রণে থাকলে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যায়, কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের জটিলতা অনেক। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোয় ডায়াবেটিস বৃদ্ধির হার বেশি। উন্নত বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ডায়াবেটিস মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়। সুতরাং প্রতিদিন যেমন ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমন বাড়ছে ডায়াবেটিস রোগীর নানা ধরনের জটিলতা। ডায়াবেটিস অ্যাটলাসের তথ্যমতে, ২০২১ সালে ৫৩.৭ কোটি মানুষ (প্রতি ১০ জনে একজন) ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিল। ২০৩০ সালের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্তে সংখ্যা ৬৪.৩ এবং ২০৪৫ সালে ৭৮.৩ কোটিতে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ২৪ কোটি মানুষ (প্রতি দুজনে একজন) জানে না, তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তাদের অধিকাংশই টাইপ-২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত। ১২ লাখের বেশি শিশু ও কিশোর (০-১৯ বছর) টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ২০২১ সালে বিশ্বের ৬৭ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসের কারণে মৃত্যুবরণ করে। ওই বছর ৯৬৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয় ডায়াবেটিসের কারণে, যা বৈশ্বিক স্বাস্থ্য খাতে মোট ব্যয়ের ৯%।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডায়াবেটিসকে মহামারি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা দুটি বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন। তা হচ্ছে দৈনন্দিন জীবনে আমাদের শারীরিক সক্রিয়তা কম এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যগ্রহণ না করা। বংশগত কারণ ছাড়াও নগরায়ণ ও পরিবর্তিত জীবনধারণের কারণেই ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। উদ্বেগের বিষয় হলো, প্রতি বছর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ৪০০ থেকে ৫০০ বাড়ছে। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশন (আইডিএফ)-এর তথ্যানুসারে বাংলাদেশে ১৭ হাজারের বেশি শিশু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তার ৮২ শতাংশ টাইপ-১ এবং ১৮ শতাংশ টাইপ-২। সারা বিশ্বে ১ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি শিশু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। বারডেম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়, এমন সর্বোচ্চ ১৬ বছরের ডায়াবেটিস আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ৮ হাজারের বেশি! অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ও শরীরচর্চা না করা, মুটিয়ে যাওয়া ও স্থূলতায় ভুগছে এমন শিশুরা টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের ঝুঁকিতে আছে। বড় উদ্বেগের বিষয় আমাদের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪ কোটি তামাক, ধূমপান সেবন করে। সুতরাং বিরাট অংশের জনগোষ্ঠী ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপান টাইপ-২ ডায়াবেটিসের একটি কারণ। প্রকৃতপক্ষে যারা সিগারেট পান করেন তাদের ধূমপান না করা লোকের তুলনায় টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ৩০-৪০% বেশি। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত যারা ধূমপান করেন, তাদের ইনসুলিন ডোজ বা মাত্রা কার্যকর করতে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বেশি। একজন ধূমপায়ী যত বেশি সিগারেট পান করবেন, তার টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তত বেশি। যে ধরনের ডায়াবেটিস থাকুক না কেন, ধূমপান বা তামাক গ্রহণ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা আরও শক্ত করে তোলে। যদি কারও ডায়াবেটিস হয় এবং তিনি যদি ধূমপান করেন তবে ডায়াবেটিস থেকে তার বিভিন্ন জটিলতা হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। যেমন হৃদ, কিডনি রোগ এবং পায়ে দুর্বল রক্তপ্রবাহ যা সংক্রমণ, আলসার এবং সম্ভাব্য পা কেটে ফেলার কারণ হতে পারে (পায়ের আঙুল বা অংশ অস্ত্রোপ্রচারের মাধ্যমে কেটে ফেলা)। তা ছাড়া রেটিনোপ্যাথি চোখের রোগ যা অন্ধত্বের কারণ হতে পারে। পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি হাতে ও পায়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্নায়ু যা অসাড়তা, ব্যথা, দুর্বলতা সৃষ্টি করে।

ধূমপান ছেড়ে দিলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ৩০-৪০% পর্যন্ত হ্রাস করতে পারে। টাইপ-২ ডায়াবেটিস বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক দীর্ঘস্থায়ী রোগগুলোর মধ্যে একটি, যা সব ধরনের ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ৯৫%-এর বেশি। ধূমপান ত্যাগ করা কেবল টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিই হ্রাস করে না, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও অনেক সাহায্য এবং ডায়াবেটিসের জটিলতার ঝুঁকি হ্রাস করে। গবেষণা প্রমাণ করে, ধূমপান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা প্রভাবিত করে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে। ধূমপান ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা যেমন কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, কিডনি জটিলতা এবং অন্ধত্বের ঝুঁকিও বাড়ায়। ধূমপান ক্ষত নিরাময়ে বাধা সৃস্টি করে এবং নিম্নাঙ্গ পঙ্গুত্বের ঝুঁকি বাড়ায়, যা স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর একটি উল্লেযোগ্য বোঝা তৈরি করে। তামাকজাত পণ্যগুলোয় পাওয়া নিকোটিন একটি রাসায়নিক বিষাক্ত পদার্থ যা রক্তে শর্করা বাড়িয়ে তোলে। যারা ধূমপান করেন তাদের পেটের চর্বি হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়িয়ে তোলে, এমনকি তাদের ওজন যদি বেশি না-ও থাকে। আর  ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ চ্যালেঞ্জিং এবং ধূমপান সেটা আরও কঠিন করে তুলতে পারে। যেহেতু নিকোটিন রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়, তাই ডায়াবেটিক যারা ধূমপান করেন তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।

নিকোটিন পণ্য যেমন নিকোটিন প্যাচ এবং লজেন্স ধূমপন বন্ধে সহায়তা করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে নিকোটিনযুক্ত পণ্যগুলো রক্তে শর্করা বাড়িয়ে তোলে, তাই যদি ডায়াবেটিস থাকে তবে সেগুলো ব্যবহার সম্পর্কে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন। প্রথম চেষ্টায় ছাড়তে সক্ষম না হলেও হাল ছাড়া ঠিক হবে না। পিছলে গেলেও মন খারাপ করার দরকার নেই, ভালোর জন্য ধূমপানমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বেশ কয়েকবার প্রচেষ্টা নিতে হতে পারে। যদি ডায়াবেটিস থাকে এবং আপনি ধূমপান করেন তবে ধূমপান ত্যাগ করা এখনই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকার আনবে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত যারা ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ছেড়ে দেন তারা রক্তে শর্করার মাত্রা আরও ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হন।

নিকোটিন রক্তে শর্করার মাত্রা ওপরে বা নিচে ওঠাতে/নামাতে পারে। নিকোটিন জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ দেহের গ্লুকোজ ব্যবহারের কার্যকারিতা পরিবর্তন করে। রক্তে চিনি যা কোষগুলো শক্তি দেয়, এটি অন্যদিকে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলতে পারে, এটি ডায়াবেটিস আরও খারাপ করতে পারে। অন্যদিকে নিকোটিন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং ইনসুলিন গ্রহণকারীদের জন্য মারাত্মক লো ব্লাড গ্লুকোজ (হাইপোগ্লাইসোমিয়া) সৃষ্টি করতে পারে।

ধূমপায়ীদের যখন রক্তের গ্লুকোজ কয়েক বছরের জন্য নিয়মিত খুব বেশি থাকে, তখন এটি হৃদরোগ এবং কিডনি, স্নায়ু এবং চোখের ক্ষতি সাধন করতে পারে। ধূমপায়ী যত বেশি সিগারেট পান করবে তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি তত বেশি। যারা ধূমপান করে তাদের আশঙ্কা ৩০-৪০ শতাংশ বেশি। দিনে ২০টির বেশি সিগারেট খেলে তা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। নিকোটিন শরীরে প্রবেশ করার পর থেকে রক্তে গ্লুকোজ বাড়িয়ে তুলতে পারে। যেমন পরোক্ষ ধূমপানের ধোঁয়া যিনি ধূমপান না করছেন না তাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে যেমন, তামাক চিবানো (জর্দা, গুল, দোক্তা, সাদার পাতা)।

ঘনঘন সিগারেট গ্রহণকারী ধূমপায়ীদের আরও ওজন বাড়তে পারে। এমনকি যদি ওজন বেশি না হয় তবু পেটের ফ্যাট ইনসুলিন প্রতিরোধের এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলতে পারে। ধূমপানের কারণে অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন ‘খারাপ এলডিএল’ কোলেস্টেরল বাড়তে পারে। একইভাবে ‘ভালো এইচডিএল’ কোলেস্টেরল হ্রাস পেতে পারে। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ট্রাইগ্লিসারাইডগুলোও বাড়ায়। এগুলো রক্তের মধ্যে এক ধরনের চর্বি।

সুতরাং ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য যেমন জর্দা, গুল, সাদার পাতা অথবা বর্তমান সময়ে নতুন আমদানি ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক সিগারেট সবই ডায়াবেটিস রোগের যেমন কারণ হতে পারে, তেমন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও বাধা সৃষ্টি করতে পারে। সেইসঙ্গে অন্যান্য জটিল রোগ যেমন হৃদরোগ, অন্ধত্ব, নার্ভের সমস্যাসহ পায়ের পচনশীল রোগ গ্যাংগ্রিন হতে পারে। অতএব ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে যেমন নিয়মিত ব্যায়াম, খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ ও জীবনযাপন পরিবর্তন করতে হবে; তেমন ধূমপান ও তামাকজাতীয় সব বস্তু জর্দা, গুল, সাদার পাতা জীবন থেকে বর্জন করতে হবে। এভাবেই ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ হবে। সেইসঙ্গে অন্যান্য অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকা যাবে। ধূমপান ও তামাক  খাওয়া বাদ দিতে হবে।

ধূমপান ছেড়ে দিতে নিজের ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট, তবে অনেক ক্ষেত্রে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ প্রয়োজন হতে পারে। ধূমপান ত্যাগ করলে নিজেকে যেমন মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষা করা যাবে, তেমন পরিবার বা পারিপার্শ্বিক জনসাধারনের জীবন ঝুঁকিমুক্ত থাকবে। তাই আজই ধূমপান ও তামাক ছাড়ুন। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ও জটিলতা থেকে মুক্ত থাকুন।

১৯৫৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠা হয়। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি (বাডাস)-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও পালিত হচ্ছে জাতীয় ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে মানুষকে সচেতন করে তুলতেই বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি তার প্রতিষ্ঠা দিবস ডায়াবেটিক সচেতনতা দিবস হিসেবে পালনের উদ্যোগ নেয়। দিবসটি পালনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য প্রতিরোধব্যবস্থা সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধি করা। এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডায়াবেটিস : ঝুঁকি জানুন। শনাক্ত করুন। পদক্ষেপ নিন। প্রতিরোধের এখনই সময়’। ডায়াবেটিস স্বাস্থ্যসেবা সবার জন্য- ইংরেজিতে বলা হয়েছে ‘ডায়াবেটিস কেয়ার ফর এভরিওয়ান’। এ কথা অনস্বিকার্য, এখন পর্যন্ত এক বিরাট অংশের ডায়াবেটিস রোগীকে নিশ্চিত করা যায়নি। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের অমর বাণী, ‘প্রত্যেক ডায়াবেটিস রোগী যদি তিনটি ডিÑ ডায়েট, ড্রাগ, ডিসিপ্লিন অর্থাৎ পরিমিত খাদ্যগ্রহণ, নিয়মিত ওষুধগ্রহণ এবং রক্ত পরীক্ষা ও নিয়মিত ব্যায়াম এ তিনটি নীতি নিষ্ঠার সঙ্গে প্রতিদিন মেনে চলেন, তাহলে তারা অবশ্যই স্বাভাবিকের কাছাকাছি, সামাজিকভাবে উপযোগী, সৃজনশীল কাজে সক্ষম ও সম্মানজনক জীবন নির্বাহ করতে পারবেন।’ প্রতিকারের চাইতে প্রতিরোধই শ্রেয়, সস্তা ও নিরাপদ।

  • বীর মুক্তিযোদ্ধা, অধ্যাপক এবং সদস্য, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স কমিটি (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়)
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা